পানি থেকে জ্বালানি এখন বাস্তব এবং কিছু এলিট ব্লগারদের বুদ্ধিবৃত্তিক দেউলিয়াত্ব!
লিখেছেন লিখেছেন বাংলাদেশ_জিন্দাবাদ ০৬ জুন, ২০১৪, ০২:১৯:৪৭ রাত
U.S. Navy successfully turns seawater into fuel for ships and planes
http://www.reuters.com/video/2014/05/29/reuters-tv-massive-tumor-removed-from-mans-face?videoId=312991505&videoChannel=118065
http://www.dvice.com/2014-4-8/us-navy-successfully-turns-seawater-fuel-ships-and-planes
আজ থেকে ৫০০ বছর আগে লিওনার্দো দা ভিঞ্চি উড়োজাহাজ, নদীর পলি অপসারণের জন্য ড্রেজার মেশিনের ধারণা দেন। ঐ সময়ে কেউ ভাবতে পারে নাই তার এই ধারণা বাস্তবে রুপ লাভ করবে। এখন এগুলা স্রেফ ইতিহাস। এখন যান্ত্রিক সভ্যতার জন্য জ্বালানি অপরিহার্য বিষয় তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এই নিয়ে কত যুদ্ধ বিগ্রহ, হানাহানি, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক দেন দরবার। পৃথিবীর মজুদ পেট্রলিয়াম অফুরন্ত নয় যা কমে আসছে এবং দিনকে দিন মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই বিভিন্ন দেশ ও তাদের বিজ্ঞানী, প্রকৌশলীরা বসে নাই। তারা ব্যাপক ভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছে এর বিকল্প, সহজে ও কম মূল্যে জ্বালানি উদ্ভাবন করার। এই নিয়ে আমরা কম-বেশী দেশ বিদেশে বিভিন্ন কথা শুনেছি। এখন সর্বশেষ রয়টার্স ও অন্যান্য সুত্র নিশ্চিত করছে যে মার্কিন নৌবাহিনী সুমুদ্রের পানিকে হাইড্রোকার্বনের জ্বালানিতে রুপান্তর করছে এবং এই দিয়ে জাহাজ ও বিমান চালাতে সক্ষম হয়েছে। এটা নিঃসন্দেহে একটা অসাধারণ খবর।
আজ থেকে ৫ বছর আগে সামুতে একটা পোষ্ট দিয়েছিলাম;
পানির সাহায্যে গাড়ি চালানোর প্রযুক্তি উদ্ভাবন করলেন জয়নাল
http://www.somewhereinblog.net/blog/Bangladesh_Zindabad/28946087
দেখা গেল কিছু ব্লগার খুশী ও আশাবাদী হলেও ঐ সময়ের অন্য কিছু এলিট ব্লগারের যেন রীতিমত গত্রদাহ শুরু হল। তারা এটাকে কোনমতেই বিশ্বস করতেই চাইল না বরং খবরটা শেয়ার করার চেয়ে আমার উপর কটাক্ষ ও টিটকারী শুরু করে দিল। এদের কাছে বিশ্বাসই হয় না যে বাংলাদেশের কেউ এমন ধরণের কোন আবিস্কার করতে পারে। উদাহরণ স্বরুপ বলা যেতে পারে স্যার আইজাক নিউটন এবং জার্মান গণিতবিদ লীবনীজ উভয়েই স্বতন্ত্র ভাবে ক্যালকুলাস বিষয়টিকে রুপ দেন ও উন্নত করেন। এখন কেউ বলে যে না নিউটনই আবিস্কার করেন লীবনীজ না। আবার লীবনীজের পক্ষেও এমন বলা যেতে পারে। কিন্তু যারা প্রকৃত জ্ঞানী ও সৎ ব্যাক্তী তারা উভয়েকই এর জন্য কৃতিত্ব দিবেন। কিন্তু আমাদের বাংলাদেশের বাঙালীদের নিজেদের মধ্যেই অনেকেরই পরশ্রীকাতরতা। কেউ কিছু আবিস্কার করলে কোন উৎসাহতো দিবেই না বরং ঋণাত্নক, ব্যাঙ্গাত্নক কথা বলে এই ধরণের বিষয়কে নষ্ট করে দিবে সেই প্রতিযোগীতাই চলে। এই সমস্ত কুলাঙ্গারদের কথা হল যে বাংলাদেশের কেউ এমন কিছু আবিস্কারের যোগ্যতা রাখে না। এই দেশের কারো আবিস্কার তখনই এপ্রুভড হবে যখন বিদেশীরা এটাকে স্বীকৃতি দিবে। এই হইল তাদের জ্ঞান-বুদ্ধির চরম দেউলিয়াত্ব। শুধু জ্ঞান বুদ্ধি না এদের বিবেকটাও অন্ধ তাদের মধ্যে নিরপেক্ষ ও সৎভাবে এই সমস্ত আবিস্কারকে বিবেচনা করার মানসিকতাও নাই। শুধু শিক্ষিত হয়ে বুলি আওড়াইলেই চলে না, মনুষ্যত্বও থাকতে হয়। এই সমস্ত বিবেকহীনদের নিয়ন্ত্রণ না করা গেলে একটা দেশ ও জাতি কখনই অগ্রসর হতে পারে না।
বিষয়: আন্তর্জাতিক
১০৫৮ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ঘটনা যাই হোক আমাদের দেশেও অনেকই এই চেষ্টা করছেন এবং সল্প পরিসরে সফল ও হয়েছেন। যেটা দরকার ছিল যারা এই বিষয়ে অভিজ্ঞ ও উচ্চ শিক্ষিত তাদের তত্বাবধানে উদ্ভবিত প্রযুক্তিটির উন্নয়ন করা। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য আমাদের দেশের বেশিরভাগ উচ্চ শিক্ষিত প্রকেীশলি বা বিজ্ঞানিরা এই সাধারন উদ্ভাবক দের কে কোন গুরুত্বই দিতে চাননা। এরা বোধহয় আধুনিক বিশ্বের সেরা উদ্ভাবক এডিসন কেও গুরুত্ব দেননা যেহেতু তার কোন ডিগ্রি নাই।
একটি তথ্য নিউটন বা লিবনিজও ক্যালকুলাস এর প্রথম আবিস্কারক নন। এর প্রাথমিক তত্ব ও সুত্র আবিস্কার করেন আলখারাজি ও ওমর খৈয়াম।
....
পৃষ্ঠপোশকতা করতে হলে যে মানের রাজনৈতিক নেতৃত্ব এবং উচ্চাকাঙ্খা দরকার না নেই। আর পরশ্রীকতরতা তো আছেই। একজন ডিগ্রীধারী যখন জানবে তার পাশের বাড়ির গরিব অশিক্তি টাইপের কেউ বিধাল কিছু করেছে,তখন সে আগে ওটাকে ডাউন করার চেষ্টা করে। ....
ধন্যবাদ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন