তারপরেও ভারত এবং তাবেদারদের প্রেমের জোয়ার-প্লাবন চলবেই চলবে! Happy

লিখেছেন লিখেছেন বাংলাদেশ_জিন্দাবাদ ০১ মার্চ, ২০১৪, ০৭:১৩:৫০ সন্ধ্যা



উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় সেচ ও খাবার পানির সঙ্কটের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।



http://www.shokalerkhabor.com/2014/03/01/157739.html

১৯৯৬ সালে হাসিনা যখন ভারতে সফরে গিয়ে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী দেবগৌড়ার সাথে ফারাক্কা চুক্তির জন্য যায় তার আগেই বিএনপি, জামাত এমনকি জাপাও দাবী করেছিল সংসদ ও নদী বিশেষজ্ঞদের সাথে আলাপ করেই যেন কোন চুক্তি করে। আর এতে যেন অবশ্যই গ্যারান্টি ক্লজ রাখা হয়। কিন্তু কথায় বলে বৃক্ষ তোমার পরিচয় কি! পিতা মুজিবের মতই হাসিনা কাউকে কিছু না জানিয়ে ৩০ বছর মেয়াদী ফারাক্কা চু্ক্তি করে আসে। এই চুক্তিতে বলা হয় শুস্ক মৌসুমে যদি ফারাক্কার উজানে ৭৫ হাজার কিউসেক পানি জমে তবে ভারত পাবে ৪০ হাজার আর বাংলাদেশ ৩৫ হাজার। এই নিয়ে বাংলাদেশী বিশেষজ্ঞরাতো বটেই এমনকি পশ্চিমবঙ্গের মূখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুও বলেছিলেন যে এই ধরণের চুক্তিতে বাংলাদেশ মোটেই লাভবান হবে না। কারণ খোদ পশ্চিমবঙ্গকেও দিল্লী ও অন্যান্য রাজ্যের সাথে অনেকটা লড়াই করেই পানি আনতে হয়। ভারতের গঙ্গা নদ পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশের আগেই সংশ্লিষ্ট অন্যান্য রাজ্য গুলি ফিডার ক্যানেল ও পাম্পের মাধ্যমে ব্যাপক হারে পানি টেনে নেয়। এই যদি হয় তাহলে বাংলাদেশ কিভাবে গ্যারান্টি ক্লজ ছাড়া ৩৫ হাজার কিউসেক পানি পাবে? এরপর ১৯৯৭ সালের শুস্ক মৌসুমে কম পানি আসলে হাসিনা বলে "মাটি পানি শুষে নেয়"। আর ঐদিকে বেজন্মা দালাল তৎকালীণ পানি সম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলে আমরা ৩৫ হাজার কিউসেকই পানি পাচ্ছি যেখানে হার্ডিঞ্জ ব্রিজে পদ্মার উচ্চতা ৫.৭২ মিটার। এই বক্তব্যর পর বিএনপি থেকে জানানো হয় হাসিনার সরকার মিথ্যা কথার মাধ্যমে কম পানি প্রাপ্তিকে আড়াল করছে। তখন রাজ্জাক বলে বিএনপির এই বক্তব্য মিথ্যাচার ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এরপর যখন বিএনপির পক্ষ হতে তথ্য পরিসংখ্যান দেওয়া হয় যে এই ১৯৯৬ সালের শুস্ক মৌসুমে যেখানে হার্ডিঞ্জ ব্রিজের পানির উচ্চতা ৬.৮৫ মিটার তখন পদ্মায় পানি প্রবাহ ছিল ২৭ হাজার কিউসেক তবে কিভাবে ১৯৯৭ সালে ৫.৭২ মি উচ্চতায় ৩৫ হাজার কিউসেক হয়? এরপর দালাল রাজ্জাক ও বাল সরকারের পক্ষ থেকে কোন বক্তব্য আসে নাই। তাইলে দেখা যাচ্ছে যে বরং চুক্তির আগেই বাংলাদেশ পদ্মায় বেশী পানি পেত। আর হাসিনা বাটপারি চুক্তির মাধ্যমে বরং ভারতের অন্যায্য পানি লুটকে বৈধতা দিয়ে এসেছে। এই যে বর্তমানে রাজশাহী, চাপাই নবাবগঞ্জে পানির স্তর এত নীচে নেমে গেছে তার জন্য শেখ মুজিব ও তার কন্যা হাসিনাই দায়ী। অথচ তথাকথিত মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার পক্ষের শক্তির দাবীদারদের এই নিয়ে টু-শব্দটিও নেই। তারা সর্বদা ভারত বন্দনায় মশগুল। দেশ মরুভূমি হয়ে যাক কিন্তু তাদের ও ভারতের প্রেম প্রেম খেলা সব সময়ই পানিতে ভরপুর টইটুম্বুর নদীর মতই থাকবে :D

বিষয়: রাজনীতি

১১৪০ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

185047
০১ মার্চ ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৩০
শেখের পোলা লিখেছেন : ভারত আমাদের ফার্টক্লাস ট্রেনে চড়িয়ছে তাই তাদের আব্দার কোন মতেই অগ্রাহ্য করা যাবেনা৷ এমনকি দেশ তারা দখল করলেওনা৷ এই হল চেতনা৷
০১ মার্চ ২০১৪ রাত ০৮:৪০
137031
বাংলাদেশ_জিন্দাবাদ লিখেছেন : এরই নাম পুটকিযুদ্ধের চেতনা।

ধন্যবাদ।
185057
০১ মার্চ ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৪১
বাংলার দামাল সন্তান লিখেছেন : রেন্ডিয়ার দাদাগো ছাড়া আমাগো চরকার চলেনাগো।
০১ মার্চ ২০১৪ রাত ০৮:৪১
137032
বাংলাদেশ_জিন্দাবাদ লিখেছেন : Rolling on the Floor

ধন্যবাদ।
185063
০১ মার্চ ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৪৬
প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন লিখেছেন : স্বাধীনতা যুদ্ধে সাহায্য করেছে তাই এখন পানি না ইলে কি হয়েছে ?
০১ মার্চ ২০১৪ রাত ০৮:৪২
137034
বাংলাদেশ_জিন্দাবাদ লিখেছেন : আওয়ামী-বাকশালীরা করছে পুটকির যুদ্ধ! Winking

ধন্যবাদ।
185204
০১ মার্চ ২০১৪ রাত ১১:১৮
সজল আহমেদ লিখেছেন : খ্যাক খ্যাক খ্যাক!
০৬ মার্চ ২০১৪ রাত ০১:৩১
139092
বাংলাদেশ_জিন্দাবাদ লিখেছেন : ;Winking

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File