তবুও BAL গং ভারতকে শুধু বিনামূল্যে করিডোর নয় ভর্তূকীতেও জ্বালানি দিবে!

লিখেছেন লিখেছেন বাংলাদেশ_জিন্দাবাদ ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ০৮:১২:৩৩ রাত



ভারতে নদী-সংযোগ প্রকল্প চালু, উপেক্ষিত বাংলাদেশের বিরোধিতা



ডেস্ক রিপোর্ট : বাংলাদেশসহ প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর প্রবল বিরোধিতা সত্ত্বেও মঙ্গলবার থেকে ভারতে বিতর্কিত নদী সংযোগ প্রকল্প চালু হয়েছে। খবর বিবিসি’র।

ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী প্রায় এক যুগ আগে দেশের নদীগুলোকে যুক্ত করার যে পরিকল্পনা ঘোষণা করেছিলেন, তারপর এই প্রথম সে দেশের একটা বড় নদী থেকে আরেকটায় পানিপ্রবাহ মঙ্গলবার চালু করা সম্ভব হয়েছে।

মধ্যপ্রদেশের বিজেপি সরকার মঙ্গলবার নর্মদা ও শিপ্রা নদীকে যুক্ত করার এ প্রকল্প উদ্বোধন করেছে। দলটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিজেপি ক্ষমতায় এলে সারা দেশে এই নদী-সংযোগ প্রকল্প নতুন উদ্যমে শুরু করা হবে।

এই প্রকল্প নিয়ে প্রতিবেশী দেশগুলোর উদ্বেগও প্রশমিত করা সম্ভব বলে দাবি করছে বিজেপি। ভারতে এনডিএ জমানার প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী আšত্মঃনদী-সংযোগ প্রকল্প ঘোষণা করার পর এক যুগেরও বেশি সময় কেটে গেছে। কিন্তু সেই বিতর্কিত প্রকল্প রূপায়নে অগ্রগতি প্রায় কিছুই হয়নি।

বিশেষ করে ইউপিএ জোটের গত দশ বছরের শাসনে বিভিন্ন প্রকল্পের সমীক্ষা রিপোর্টেই ফাইলবন্দি ছিল সেই প্র¯ত্মাব। তবে গতকাল উজ্জয়িনীতে নর্মদা থেকে পানি বয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হল শিপ্রাতে। মধ্যপ্রদেশ সরকার একে বর্ণনা করছে বাজপেয়ীর স্বপ্ন রূপায়নের প্রথম ধাপ হিসেবে।

সিমহ¯ত্ম লিঙ্ক প্রজেক্ট নামে এই প্রকল্পের উদ্বোধনে বিজেপির প্রায় সব শীর্ষস্থানীয় নেতাই মঙ্গলবার হাজির ছিলেন উজ্জয়িনীতে।

তবে প্রকল্পটি গুরুত্বপূর্ণ, এ কথা মানলেও ভারতের নদী-বিশেষজ্ঞরা অনেকেই বলছেন এই সিমহস্থ প্রকল্পে অনেক মৌলিক অসঙ্গতি আছে।

সাউথ এশিয়া নেটওয়ার্ক অন ড্যামস, রিভার্স আর পিপল’র হিমাংশু ঠক্কর বলেন, ‘এটি একটি পাইপলাইন প্রকল্প, যাতে নর্মদার একটি খাল থেকে পানীয় জল ও শিল্পের জন্য পানি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে শিপ্রা অববাহিকায়। পদ্ধতিটি অনেক ব্যয়বহুল, একে প্রকৃত নদী-সংযোগ বলতেও আমার আপত্তি আছে।’

তিনি আরো বলছেন, ‘আর এতো উল্টো প্রবাহ হচ্ছে, কারণ আমরা জানি নর্মদাতেই পানির ঘাটতি আছে, আর শিপ্রা, যা গঙ্গা বেসিনের অংশ, সেখানেই পানি উদ্বৃত্ত’।

ফলে সিমহšত্ম প্রকল্প নিয়ে বিতর্ক হচ্ছেই। কিন্তু বিজেপি নেতৃত্ব তাতে আমল দিতে রাজি নন। বরং তারা বলছেন, পশ্চিম ভারতে গুজরাট ও মধ্যপ্রদেশের বিজেপি সরকার যেমন ছোট আকারে হলেও নদী-সংযোগের কাজ শুরু করে দিয়েছে, কেন্দ্রে ক্ষমতায় এলে তারা গোটা দেশেই সেই প্রকল্প সম্প্রসারিত করবেন।

বিজেপি নেতা ও মধ্যপ্রদেশ থেকে নির্বাচিত রাজ্যসভা এমপি চন্দন মিত্র বলছিলেন, ‘বাজপেয়ী সরকার যেমন হাইওয়ে দিয়ে দেশের বড় বড় শহরগুলোকে জুড়েছিল, ঠিক একইভাবে দেশের প্রধান নদীগুলোকেও জুড়তে চেয়েছিল, যাতে দেশের কোন কোন এলাকায় খরা ও অনাবৃষ্টি মোকাবিলা করা যায়।’

আসন্ন সাধারণ নির্বাচনে বিজেপি যদি ক্ষমতায় আসে, তাহলে সেই সরকার এই আšত্মঃনদী-সংযোগ প্রকল্পের কাজ আবার খুব গুরুত্ব দিয়ে শুরু করবে বলেও জানান মিত্র।

তবে এই প্রকল্প নিয়ে পরিবেশগত অনেক প্রশ্ন ছাড়াও আরো একটি বড় সমস্যা হলো ভারতের অনেক নদীই প্রতিবেশী নেপাল, বাংলাদেশ বা পাকি¯ত্মানের মধ্য দিয়েও প্রবাহিত হচ্ছে এবং অভিন্ন নদীগুলোর প্রবাহ অন্যখাতে বইয়ে নেয়ার চেষ্টা হলে তারা অবশ্যই প্রতিবাদ করবে।

বাংলাদেশ অনেক আগেই ভারতের এই পরিকল্পনা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল। তবে চন্দন মিত্র বিবিসি-কে বলছিলেন প্রতিবেশী দেশগুলোর উদ্বেগ অবশ্যই প্রশমিত করা সম্ভব।

তার যুক্তি, ‘জম্মু ও কাশ্মীরে বিভিন্ন নদীর ওপর কিছু জলবিদ্যুৎ প্রকল্প নিয়ে পাকি¯ত্মান আপত্তি জানিয়েছিল। কিন্তু ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে শুনানির মাধ্যমে সেই বিরোধের ফয়সালা করা সম্ভব হয়েছে।’

‘একইভাবে ফারাক্কা বাঁধ নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে বিরোধের অবসান হয়েছে, আর তি¯ত্মা নদীর প্রবাহ নিয়ে বাংলাদেশের যে বক্তব্য আছে তা নিয়েও দুদেশের মধ্যে আলোচনা চলছে।’

ফলে চন্দন মিত্র বলছেন, প্রতিবেশী দেশগুলোর উদ্বেগ থাকাটা স্বাভাবিক কিন্তু আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সেই উদ্বেগ দূর করতে না-পারার কোনো কারণ নেই বলে আমরা মনে করি!

ভারতে প্রায় সব জনমত জরিপ লোকসভা ভোটে বিজেপি জোটকে এগিয়ে রাখলেও তারা ক্ষমতায় আসতে পারবে কিনা তা আদৌ নিশ্চিত নয়।

কিন্তু ক্ষমতায় এলে দেশের নদীগুলোকে জোড়ার বিরাট ও বিতর্কিত পদক্ষেপ থেকে তারা যে পিছিয়ে থাকবেন না, দলের নেতারা মঙ্গলবার মধ্যপ্রদেশেই তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন। আরটিএনএন

http://www.amadershomoyi.com/content/2014/02/27/news0002.htm

********************

একটি ওলন্দাজ সংস্থা ১৯৬৭ ও ১৯৭৪ উভয় সময়েই জরিপ করে দেখে যে আমাদের মোট নদী পথের দৈর্ঘ্য ২৪ হাজার কিমি। এরপর ২০১১-১২ সালের জরিপে দেখা যায় আমাদের নদী পথের দৈর্ঘ্য মাত্র ৬ হাজার কিমি। তথা ৭৫%ই গায়েব। এটা শুরু হয়েছে উজানে ভারতের ফারাক্কা সহ মোট ৫৪-৫৫টি নদীতে বাধ তৈরি করে একতরফা ইচ্ছা মত পানি প্রত্যাহার করে নেওয়া। তারপর আবার ভরা বর্ষা মৌসুমে কোন প্রকার নিয়ম-নীতি ছাড়াই ও বাংলাদেশকে না জানিয়ে বাধের সব গেট খুলে দিয়ে এখানে বন্যার সৃষ্টি করে। এই যখন অবস্থা হাসিনা তখন দেশবাসী ও সংসদকে না জানিয়ে ১৯৯৬ সালে ভারতের সাথে ৩০ বছর মেয়াদী ফারাক্কা চুক্তি করে আসে। কিন্তু সেটাও ছিল শুভংকরের ফাকি। এরপর ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে ভারতের তৎকালীন বিজেপি সরকার সিদ্ধান্ত নেয় ব্রম্মপুত্র নদ হতে কৃত্রিম খালের মাধ্যমে পশ্চিম দিকে পানি প্রত্যাহার করে নেওয়া। এতে করে ব্রম্মপুত্র, যমুনা নদী ও তার শাখা গুলিতে মারাত্নক প্রভাব পড়বে। অথচ এর বিরুদ্ধে হাসিনা সরকারের কোন গুরুত্ব বা আন্তরিকতা আছে বলে মনেই হয় না। হবে কিভাবে? এক তিস্তা নিয়ে যে নাটক করল তারপরেও হাসিনা ২০১০ সালের গোপন শর্তের চুক্তি মোতাবেক ভারতকে বিনামূল্যে তথাকথিত ট্রানজিট দিয়ে বসে আছে। ভারত আমাদের প্রাকৃতিক ন্যায্য পানি দিবে না কিন্তু তথাকথিত ট্রানজিট নিবে তাও বিনামূল্যে। কয়েকদিন আগে ভারত সরকারের পর্যবেক্ষক গ্রুপ আমাদের নদী পথের সার্ভে করে আরও করিডোর নেওয়ার জন্য উদ্রগীব;

সমীক্ষাও সম্পন্ন॥ বাংলাদেশের সাথে নতুন নৌপথ চায় ভারত : ভারতীয় সংবাদমাধ্যম

http://www.dailynayadiganta.com/details.php?nayadiganta=MTYyMzY=&s=MjM=

এখন নিশ্চয়ই হাসিনার উপদেষ্টা মসিউর, এইচটি ইমাম, রিজভীদের অস্থিরতা শুরু হয়ে গেছে। এরা চাচ্ছে কত দ্রুত ভারতকে এই সমস্ত নতুন রুটে করিডোর দেওয়া যায়। তিস্তার পানি চুলোয় যাক ভারত নদী সংযোগ প্রকল্প বাস্তবায়ন করুক কিন্তু তারপরেও ভারতের আব্দার পূরণ করা থেমে থাকবে না BAL গংদের। উপরন্ত ভারতীয় ট্রাক, জাহাজকে ভর্তূকী মূল্যে জ্বলানিও দিচ্ছে হাসিনার সরকার। অথচ ২০০৮এ বলেছিল তথাকথিত ট্রানজিটের মাধ্যমে বাংলাদেশ সিঙ্গাপুর হয়ে যাবে। এরাই হল তথাকথিত মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি! এদের কথা হল বাংলাদেশ হল স্রেফ স্বাধীন কিন্তু সার্বভৌমত্ব থাকবে দিল্লীর হাতে। এর যে বিরোধীতা করবে সে পাকিস্তানী। বাংলাদেশের মর্যাদা ও স্বার্থ রক্ষা হলে সেটা কিভাবে পাকিস্তানের উপকার হয় তা আজ পর্যন্ত আওয়ামী-বাকশালী ও হিন্দুস্থানের দালালরা জবাব দিতে পারে নাই। শুধুই এরা কুকুরের মত ঘেউ ঘেউ ও মাস্তানী করতে পারে।

বিষয়: রাজনীতি

১১৯৩ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

184116
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০৮:৫১
প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন লিখেছেন : তত্ত্ব ভিত্তিক লিখার জন্য অনেক ধন্যবাদ ,কিন্তু আমাদের দেশের সকরার দিতে জানে নিজের প্রাপ্প পেতে চায় না । ধন্যবাদ
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ১০:৪২
136277
বাংলাদেশ_জিন্দাবাদ লিখেছেন : হাসিনা, বাল ও ভারতের চামচাদের উৎখাত না করলে বাংলাদেশ শুধু ঠকবে না বরং তার অস্তিত্বও হুমকির মুখে থাকবে!

ধন্যবাদ শাহীন ভাই।
184132
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০৯:৩০
বাংলার দামাল সন্তান লিখেছেন : সবই দেখি রেন্ডিয়ার দাদা
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ১০:৪৩
136278
বাংলাদেশ_জিন্দাবাদ লিখেছেন : Tongue

অনেক ধন্যবাদ।
184163
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ১০:৪৭
সালাহ খান লিখেছেন : এখন এই জাতির সামনে দুটো পথ । এক , হয় হাসিনাকে হটাতে হবে । ২, নয়ত ভারতের মধ্যে মিশে যেতে হবে । এখন ডিসিশন নিতে হবে আমরা মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে চাই না দাসত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হতে চাই.....
০১ মার্চ ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:১৯
136956
বাংলাদেশ_জিন্দাবাদ লিখেছেন : পূর্ণ সহমত সালাহ ভাই।

অনেক ধন্যবাদ।
184224
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ১২:২৯
এনামুল মামুন১৩০৫ লিখেছেন : হূম ভালো লাগলো- তবে ভারত আমাদের বাবা চাচা দাদা সব, এঈটা করলে আমি সমস্যা কিছু দেখিনা্ চুক চুক
০১ মার্চ ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:২০
136957
বাংলাদেশ_জিন্দাবাদ লিখেছেন : ;Winking
184276
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০১:৪৭
সজল আহমেদ লিখেছেন : রেন্ডি,রেন্ডি,রেন্ডি নামটা শুনতে শুনতে তো রেন্ডিয়ার প্রতি পুরাই অরুচি ধইরা গেল।
০১ মার্চ ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:২০
136958
বাংলাদেশ_জিন্দাবাদ লিখেছেন : পূর্ণ সহমত সজল ভাই।

ধন্যবাদ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File