হাসিনা, মুহিত, আশরাফ BAL গং যখন দিল্লীর চামচা!

লিখেছেন লিখেছেন বাংলাদেশ_জিন্দাবাদ ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ১০:১৯:২৬ রাত



‘গুন্ডে’ : ১৯৭১ যুদ্ধে জয়ী ভারত, ফলশ্রুতিতে জন্ম বাংলাদেশের!



মৃদুল কাšিত্ম রায় : সম্প্রতি ভালোবাসা দিবসে ভারতে মুক্তি পেয়েছে প্রিয়াঙ্কা-রনবীর সিং জুটি অভিনীত বহুল আলোচিত ‘গু-ে’ ছবিটি। ছবিটি মুক্তি দেয়ার আগেই মন্দির প্রাঙ্গণে অশ্লীল দৃশ্য ধারণ এবং তা ছবিটিতে প্রদর্শনের মাধ্যমে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার অভিযোগ ওঠে পরিচালক আলি আব্বাস জাফর এবং প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান যশরাজ ফিল্মসের বিরুদ্ধে। যেখানে উঠে এসেছে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের প্রসঙ্গ৷ কিন্তু কীভাবে সেটি উপস্থাপিত হয়েছে তা নিয়ে ব্লগে নিন্দার ঝড় উঠেছে।

চলচ্চিত্রটির শুরুতে অডিওর বর্ণনার বাংলা অনুবাদ করলে যা দাঁড়ায় তা হলো- "১৯৭১ সালে ভারত-পাকি¯ত্মানের যুদ্ধে ভারত জয়ী হয়। ৯৩ হাজার সৈন্য নিয়ে পাকি¯ত্মানি সেনাবাহিনী ভারতীয় সেনাবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পন করে! ভারত এই যুদ্ধে জয়ী হয় এবং ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের জন্ম হয়!"

প্রথমবারের মতো বলিউডের কোনো ছবি বাংলায় ডাবিং করে পশ্চিমবঙ্গে মুক্তি দেয়ার কারণে চলচ্চিত্রপ্রেমীদের প্রতিরোধের মুখেও পড়ে। তবে ভারতীয় চলচ্চিত্রের রাজনীতিতে পাকা খেলোয়ার বলে পরিচিত যশ রাজ ফিল্মস দুটো প্রতিবন্ধকতা থেকে খুব ভালোভাবেই পার পেয়ে যায়। ফলস্বরূপ গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ভারতীয় প্রেক্ষাগৃহগুলোতে মুক্তি পায় ১৯৭১ সালের এর পটভূমিতে নির্মিত ‘গু-ে’ ছবিটি।

ছবিটির পাইরেটেড কপি এখন ইন্টারনেটে ঘুরে বেড়াচ্ছে। ফলে বাংলাদেশি চলচ্চিত্রপ্রেমীরাও ছবিটি দেখতে শুরু করেছে। আর এখানে অভিযোগ উঠেছে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির। ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ছবিটির এই ইতিহাস বিকৃতি নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে।

সাংবাদিক ও টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব অঞ্জন রায় লিখেছেন, ভারতীয় গু-ে চলচ্চিত্রটি আমি দেখিনি। লোকমুখে এটির কাহিনীর কিছু অংশ শুনেই হতবাক হয়ে গেছি। যারা এটি দেখেছেন তাদের কাছে থেকে জানলাম, এখানে বলা হয়েছে- ১৯৭১ সালে ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধে ভারত জয়ী হয়। ৯৩ হাজার সৈন্য নিয়ে পাকিস্তানী সেনাবাহিনী ভারতীয় সেনাবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করে! ভারত এই যুদ্ধে জয়ী হয় এবং ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের জন্ম হয়!

এটুকু শুনেই আমি হতবাক। এই ইস্যুতে আপোষ করতে জানি না, করবো না কোনদিন। আর সেই কারণেই এই বিষয়ে দাবি করছি সরকারি শক্ত বক্তব্য। এই ইস্যুতে দেখতে চাই তাদেরই প্রতিবাদ, যারা বাংলাদেশের অস্তিত্বে বিশ্বাস করেন। আশা করি, কোনো দলীয় সীমারেখার মধ্যে নয়, সবাই সোচ্চার হবেন। একই সাথে যারা এই ইস্যুটিকেও ক্যাশ করে চেষ্টা করবেন ভারত বিরোধী রাজনীতির ধুয়া তুলে পানি ঘোলা করার, তাদের প্রতিও নজর রাখতে হবে। কারণ দেশের প্রতি অসম্মানের প্রতিবাদে আমরা সোচ্চার হতে দ্বিধান্বিত নই, কিন্তু আমরা তাদেরও চিনি যারা এই ইস্যুগুলোকে নিয়ে নষ্ট খেলা খেলেন- যারা আমাদের আবেগের পিঠে সওয়ার হয়ে নিজেদের আখের গোছান।

ফেসবুক ব্যবহারকারী সিডাটিভ হিপনোটিক্স লিখেছেন, ‘নোবডি পয়েন্টস দ্য ফিঙ্গার অ্যাট আওয়ার লিবারেশন ওয়ার। কেউ ম্যানিপুলেশন করতে পারে না আমাদের ইতিহাস। কড়া প্রতিবাদ চাই রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে। নয় মাস পাকি¯ত্মানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার পর বলিউড যখন প্রচার করবে এটা ভারত-পাকি¯ত্মানের যুদ্ধ, আমার মনে হয় না আর মিন মিন করার কোন উপায় আছে। ইতিহাস বর্গা দেই নাই, যে যার খুশি মতো, তা বদলাবে।’

তিনি আরো লিখেছেন, ‘ব্যক্তি পর্যায় থেকে প্রতিবাদ করলাম এই ইতিহাস ধর্ষণের। আমরা হতে পারি খুব ছোট্ট একটা দেশ, কিন্তু আমাদের অহম তোমাদের ভূমির আয়তনের থেকেও বড়।’

সামহয়্যার ইন ব্লগে রিপন ইমরান লিখেছেন, প্রতিটি পাকি¯ত্মানি বিশ্বাস করে ভারতের চক্রাšেত্মর কারণেই তারা পূর্ব পাকি¯ত্মান হারিয়েছে, সুতরাং বাংলাদেশ সৃষ্টির জন্য বাংলাদেশি বা মুক্তিযোদ্ধাদের কোনো কৃতিত্ব নেই৷ পুরো ঘটনার জন্য দায়ী ভারত৷ প্রতিটি ভারতীয় বিশ্বাস করেন ভারতীয় সেনাবাহিনী বনাম পাকি¯ত্মান সেনাবাহিনীর মধ্যকার যুদ্ধ জয়ের কারণেই বাংলাদেশের সৃষ্টি৷ এখানেও ঘটনার নায়ক মুক্তিযোদ্ধারা উপেক্ষিত৷ ভারতে সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত ‘গুন্ডে’ ছবির শুরুতে বর্ণিত ইতিহাস শুনলেও তাই মনে হবে৷ তবে ‘গুন্ডে’ ছাড়াও বেশ কিছু ভারতীয়র সঙ্গে কথা বলার সময়ও আমি এ বিষয়টির প্রমাণ পেয়েছি৷

রিপন স্বীকার করেছেন যে, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতীয় সেনাবাহিনীর আকুণ্ঠ সহযোগিতা ভুলবার নয়৷ তবে প্রশ্ন রেখেছেন, ‘‘আমাদের আসল নায়ক মুক্তিযোদ্ধাদের খাটো করে দেখবেন এত বড়ো সাহস পান কোথা থেকে আপনারা?''

মেহেদী হাসান শোয়েব নামের একজন তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন-

‘ভারতীয় গুন্ডে সিনেমাটি আমি দেখিনি। ফেসবুকের কল্যাণে এর কাহিনীর কিছু অংশ শুনে এবং একটি অংশের ভিডিও ক্লিপ দেখে আক্রাšত্ম হয়েছি। হয়েছি বিরক্ত এবং বুকের ভেতরে ক্ষোভ জন্মেছে।..."

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতীয়দের অবদানকে আমরা কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করি। তার মানে এই নয় আমাদের মুক্তিযুদ্ধকে কেউ ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ দাবি করবে, আমাদের মুক্তিযুদ্ধকে অপমান করে কেউ দাবি করবে তারা এই দেশের জন্ম দিয়ে গেছে, আর আমরা বসে বসে আঙ্গুল চুষেছি, তখন চুপ করে থাকবো? দাম দিয়ে কিনেছি বাংলা, কারো দানে পাওয়া নয়, দাম দিয়েছি লক্ষ কোটি, জানা আছে জগতময়...

মুক্তিযুদ্ধ ইস্যুতে আমি কোনো আপোস করতে রাজি নই। এই ইস্যুতে কারো সামনে মাথা নত করে থাকতে রাজি নই। আমার জায়গা থেকে আমি এর প্রতিবাদ করছি। আশা করছি, যারা 'বাংলাদেশ' বিশ্বাস করেন, তারা সকলেই প্রতিবাদ করবেন সজোরে। আর দাবি করছি, বাংলাদেশ সরকারের কাছে, তারা যেন এই বিষয়ে দ্রুত ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন শক্ত ভূমিকা নেয়। সরকার যেন কোনো কারণে চুপ করে না থাকে, যেমন আরো অনেক বিষয়েই বর্তমান সরকার সরব, সোচ্চার, এ বিষয়েও যেন তেমন শক্ত পদক্ষেপ নেয় তারা। বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের সময়ে যদি মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করে প্রচার করে কেউ জবাবদিহিতার মুখে না পড়ে, সে পৃথিবীর যে অংশের যেই হোক না কেন, তা বড় দুর্ভাগ্যের বিষয় হবে আমাদের জন্য।

একই সাথে আরো একটি বিষয় সকলের দৃষ্টি রাখা প্রয়োজন, ভারতবিরোধী ধুয়া তুরে জিহাদ ঘোষণার জন্য যারা সদা প্রস্তুত থাকেন, এই ইস্যুকে পুঁজি করে তারাও যেন কোনো ফায়দা লোটার নষ্ট খেলায় না নামতে পারেন। আমাদের দেশপ্রেম, আমাদের আবেগ, আাদের মুক্তিযুদ্ধ, চেতনা যেন কারো স্বার্থ আদায়ের মাধ্যম না হতে পারে সে দিকে সতর্ক লক্ষ্য রাখার দায়ও কিন্তু আমাদেরই।’

আসিফুজ্জামান পৃথিল নামের একজন ফেসবুক স্ট্যাটাসে প্রতিক্রিয়ায় লিখেছেন-

‘গুন্ডে নিয়ে সবার আলোচনা দেখে সিদ্ধাšত্ম নিয়েছিলাম, না দেখে কোনো মšত্মব্য করবো না। তাই রাতেই যশ রাজ ফিল্মসের নতুন মুভিটা দেখলাম।

প্রথমেই বলি, ইতিহাস বিকৃতি ধারাবাহিকভাবেই হচ্ছে। এটা তারই ধারাবাহিকতায় তৈরি ছবি। প্রথমেই বলা হয়েছে মুক্তিযুদ্ধ নাকি ভারত পাকি¯ত্মান তৃতীয় যুদ্ধ। এই যুদ্ধে ভারত জিতলে নাকি জন্ম হয় বাংলাদেশের!

সবার এই জায়গাতেই আপত্তি! কিন্তু পুরোটা দেখলে বুঝবেন আমাদের কি সূক্ষ্মভাবেই না অপমান করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় সাধারন মানুষ অস্ত্র চোরাচালানসহ নানামুখী অপরাধে মেতে উঠেছিল!

এই দেশের মানুষ কয়লা চোর! এবং শেষ অবধি এই দেশের মানুষ নিজেদের ভারতীয় মনে করে, এবং নাগরিকত্ব পেতে সব কিছুই করতে পারে। এর প্রতিবাদ চাই। তীব্র প্রতিবাদ। রাষ্ট্রের সব থেকে উপরের মহলের প্রতিবাদ।

কন্ঠ হতে হবে উচ্চ। এই ইতিহাস বিকৃতি আর অপমানের জন্য যশরাজ ফিল্মসকে ক্ষমা চাইতে হবে। আর সংশোধন না হওয়া পর্যন্ত গুন্ডের সকল প্রচার বন্ধ রাখতে হবে।''

গুগল ডট কমে '1971 War' লিখে সার্চ দিলে 'Indo-Pakistani War of 1971' শিরোনামের লিংক আসে অজস্র! পাকি¯ত্মানিরা এখনও বলে থাকে যে, ‘১৯৭১-এ আমরা বাংলাদেশের কাছে হারিনি, হেরেছি ভারতের কাছে।’

সূত্র : পরিবর্তন, বাংলামেইল, ডিডব্লিউ

স্থানীয় সময় : ১৫৩৩ ঘণ্টা, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৪

http://www.amadershomoyi.com/content/2014/02/19/middle0376.htm

****************

ভারত ও তার নীতি নির্ধারকগণ কখনই ১৯৪৭ সালের বিভাজন মেনে নেয় নাই। শুরু থেকেই এর জন্য বৃটিশ ও মুসলিমদের দায়ী করতে থাকে। অথচ হিন্দু মহাসভা ও কংগ্রেসের ছুপা সাম্প্রদায়িক নীতি নিয়ে কিছু বলে না। যদি কংগ্রেস সত্যিকার অর্থেই ধর্মনিরপেক্ষ ও গণতান্ত্রিক হত তাইলে মুসলিমদের সেই দলে ২৫% কোটা দিলে মুসলীম লীগ নামক দলেরই জন্ম হত না। ৪৭র পর যখন পশ্চিম পাকিস্তানীরা পূর্ব পাকিস্তানের বাঙালীদের সাথে বৈষম্য জুলুম করে তখনই আমরা ধারাবাহিক রাজনৈতিক আন্দোলন ও শেষে আলাদা হওয়ার জন্য ১৯৭১ স্বাধীনতা যুদ্ধ করি। এখানে ভারত আমাদের অস্ত্র, ট্রেনিং ও শরণার্থীদের আশ্রয় দিলেও সুসংগঠিত পাকিস্তান সেনাদের বীর বাঙালীরাই বেশীর ভাগ জীবন দান ও আহত হওয়ার মাধ্যমে পর্যদূস্ত করে। সারাদেশে পাকিস্তানীদের চলাচলই অসম্ভব হয়ে দাড়ায়। আর ভারত তাও ৩রা ডিসেম্বর ১৯৭১ পাকিস্তান ভারতে সরাসরি আক্রমণ করলেই কেবল ইন্দিরা পূর্ব পাকিস্তানে অভিযানের নির্দেশ দেয়। এখন ভারতীয়দের ভাবখানা এমন যে মাত্র ১৩ দিনের যুদ্ধে তারা পাকিস্তানকে পরাস্ত করেছে। আবার জাতিসংঘে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেটো না দিলে মার্কিন সপ্তম নৌবহর আসলে আমরা স্বাধীন নাও হতে পারতাম। এখন অকৃতজ্ঞ ভারত সোভিয়েত ভেটোর কথাও বলে না। এই রকম নিজস্ব মতলবী ও আধিপত্যবাদী চিন্তা চেতনা তার শিক্ষা ব্যাবস্থায়, বিনোদোন ইত্যাদি গণ-মাধ্যমে প্রচার প্রচারণায় স্বাভাবিক ভাবেই ভারতের সাধারণ জনগণ বাংলাদেশকে ছোট চোখে দেখবে। এটা প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সুসম্পর্কের জন্য অন্তরায়। আমরা দেশ হিসেবে ছোট হলেও কেউ আমাদের অমর্যাদার দৃষ্টিতে দেখবে সেটাও আমরা চাইব না। এই বিষয়টা বহুদিন ধরেই সেই ১৯৭২ থেকেই চলে আসছে। তারপরেও ১৯৯০-৯৩ পর্যন্ত ক্যাবল টিভি আসার আগে আমারা এতটা জানতাম না। এখন ইন্টারনেট ও সামাজিক মাধ্যমের জন্য যেটা জানতে পারছি সেটা অনেক ভয়ংকর। পাকিস্তানীরা এখন এই ভারতীয়দের কথার ভিত্তি করে বলে "আমরা ভারতের ষড়যন্ত্রের জন্য ৭১এ হেরেছি"! এই কথা যদি শুধুই পাকিরা বলত তাহলে আমাদের হাসিনা, আশরাফ, মুরগী কবির, মুনতাসির, মাহফুজ আনাম গংরা তেলে বেগুনে জ্বলে উঠে পাকিস্তানের গুষ্ঠি উদ্ধার করত। কিন্তু এখন যেহেতে তাদের প্রিয় বন্ধু তথা মনিব ভারতই এই একক কৃতিত্ব দাবী করছে যে "আমরা হিন্দুস্থানীরাই ১৯৭১এ পাকিস্তানীদের পরাজিত করেছি" যেখানে বাংলাদেশী বাঙালীদের কোন অবদান নাই তাই তারা মুখে কুলুপ এটে আছে। হাসিনা, আশরাফ তারা বাংলাদেশ ও ভারতকে আলাদা বলে মনে করে না। আর ঐ দিকে অর্থমন্ত্রী মুহিত বাংলাদেশের নিজস্ব মুদ্রা টাকা তুলে দিয়ে ভারতীয় রুপি চালুর পরিকল্পনাও আছে। তার চিন্তা চেতনায় মনে হয় যে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এতই উজাড় লাগছে তাই ভারতীয় রুপি চালু না করলে কোন উপায় নাই। এই যদি আওয়ামী-বাকশালীদের নিজেকে চোখ বন্ধ করে দিল্লীর কাছে সমর্পণ তখন ভারতীয়রা কোন দুঃখে ১৯৭১এ আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের মরণপণ যুদ্ধকে মূল্যায়ন করবে? এর জন্যই বলে নিজের সম্মান রক্ষা করতে না জানলে কেউ তাকে সম্মান করে না।

বিষয়: রাজনীতি

২৪৩৭ বার পঠিত, ২৩ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

179563
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ১০:২৬
নূর আল আমিন লিখেছেন : বাংলাদেশ জিন্দাবাদVAY@বালদের ভক্তিযোদ্ধের চ্যাতনায় আঘাত মারলেন
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ১০:৩৯
132542
বাংলাদেশ_জিন্দাবাদ লিখেছেন : আওয়ামীদের জন্য হইল আসলে সেটা "পুটকিযুদ্ধের চেতনা"। কারণ আওয়ামী-বাকশালীরা ভারতের গেলমান ছাড়া আর কিছুই না Smug
179569
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ১০:৪০
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ভালো লাগলো
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ১০:৩২
136267
বাংলাদেশ_জিন্দাবাদ লিখেছেন : ধন্যবাদ সবুজ ভাই।
179582
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ১১:০২
শেখের পোলা লিখেছেন : শাহবাগের প্রোজনন চত্তর কি বলে?
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ১০:৩৪
136268
বাংলাদেশ_জিন্দাবাদ লিখেছেন : শাহবাগের বেশীর ভাগ গেলমান ও নারীরা কিভাবে হিন্দুস্থানী ধনের দ্বারা কখন ফ্রি ঠাপ খাবে সে স্বপ্নইতো দেখে Rolling on the Floor
179590
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ১১:১১
গেঁও বাংলাদেশী লিখেছেন : হাচা কতায় গা জ্বলে
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ১০:৩৪
136269
বাংলাদেশ_জিন্দাবাদ লিখেছেন : হুম!
179602
২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ১২:০৪
বিডি রকার লিখেছেন : আমি হতবাক !
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ১০:৩৫
136270
বাংলাদেশ_জিন্দাবাদ লিখেছেন : ইহাই হাসিনা ও তার চামচারা Happy
179614
২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০১:১২
আলমগীর মুহাম্মদ সিরাজ লিখেছেন : ইন্ডিয়ার কাছেই তো পাকিস্তান আত্মসমর্পন করেছিল...
২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০১:৪৪
132608
শিকারিমন লিখেছেন : সহমত
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ১০:৩৫
136271
বাংলাদেশ_জিন্দাবাদ লিখেছেন : ;Winking
179623
২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০১:৪২
অজানা পথিক লিখেছেন : অসাধারন পোষ্ট
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ১০:৩৫
136272
বাংলাদেশ_জিন্দাবাদ লিখেছেন : ধন্যবাদ।
179664
২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০৪:৫৬
তহুরা লিখেছেন :
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ১০:৩৬
136273
বাংলাদেশ_জিন্দাবাদ লিখেছেন : দুই জনেরই স্বামী নাই কিনা Rolling on the Floor
179723
২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ১০:৫৮
আমীর আজম লিখেছেন : এখন আমার চেতনা দন্ডের কি হইপে ? এখন আমার মুক্তিযুদ্ধের জাল সার্টিফিকেটটা নিয়ে কি করাম.?
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ১০:৩৬
136274
বাংলাদেশ_জিন্দাবাদ লিখেছেন : এর নাম হইল পুকটিযুদ্ধের চেতনা Winking
১০
179806
২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০৩:০৬
হতভাগা লিখেছেন : এই ছবিতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ নিয়ে যে বিরুপ ধারণা পাওয়া গেছে বলে বোকা বাংলাদেশীরা হাউকাউ বাঁধিয়ে দিচ্ছে - তা আমার মনে হয় না ।

আত্মসমর্পনের ছবিটিই সব কিছু বলে দেয় ।




একপাশে ভারতের আর্মি আরেক পাশে পাকিস্তানের ।

এটা যদি বাংলাদেশের কাছে পাকিস্তানের আত্মসমর্পন হত তাহলে এখানে অরোরার জায়গায় অন্তত বাংলাদেশী একজন থাকতো ( ফালু/বুলু/কালু/মালু/দুলু যেই হোক )।

''গুন্ডে''তে সঠিক ইতিহাসই দেখানো হয়েছে বলে মনে করছি ।

দেশ বিভাগের পর ভারত-পাকিস্তান যত যুদ্ধ বেঁধেছে তাতে ভারত জিততে পারে নি । তাই বাংলাদেশীদেরকে দিয়ে পাকিস্তানকে কাবু করে একেবারে শেষ পর্যায়ে এসে নিজেরা নেমে শুধু আলতো টোকায় বলকে গোল লাইন পার করিয়ে জিতেছে ।

ভারত জিতলে স্বভাবতই পাকিস্তানের এই অংশ (বাংলাদেশ) ভারতের দখলে আসার কথা । কিন্তু ভারত এখানে খুব উদারতা (!)দেখিয়ে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রকে স্বাধীন হতে সাহায্য করেছে ।

দখল করলে ভরণপোষনসহ অনেক ঝামেলা মিটাতে হত আজীবন । তার চেয়ে ভাল স্বাধীন রেখে অন্য সবকিছু নিজেদের হাতে রেখেছে । ফলে এখান থেকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছে এই অজুহাতে ইচ্ছা মত হাতিয়ে নিচ্ছে , কোন ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে না যদি দখলই করে নিত।
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ১০:৩৯
136275
বাংলাদেশ_জিন্দাবাদ লিখেছেন : অথচ আওয়ামী-বাকশালীরা এখনও দাবী করে যে বঙ্গবীর ওসমানীকে না আসতে দিয়ে ভারত ঠিক কাজই করেছিল।
১১
180128
২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৫:৪৮
ব্যাসদেব লিখেছেন : অপূর্ব সুন্দর মন্তব্য। অনেক ধন্যবাদ । আমরা ছোটবেলায় রাক্ষষ-খোক্ষষ এর রুপকথা শুনতাম। এখন সবাই মুক্তিযুদ্ধের রুপকথা শুনতে শুনতে বিভ্রান্ত। সত্যটা সামনে এলেই ...বাংলাদেশ সৃষ্টির জন্য বাংলাদেশি বা মুক্তিযোদ্ধাদের কোনো কৃতিত্ব নেই৷ পুরো ঘটনার জন্য দায়ী ভারত৷
প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান যশরাজ ফিল্মস কি জামাত না রাজাকার?
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ১০:৪০
136276
বাংলাদেশ_জিন্দাবাদ লিখেছেন : যশ ফিলমস ভারতেরই গুণগাণ গাইবে এতে অবাক হওয়ার কিইবা আছে। প্রশ্ন হল হাসিনা ও তার বাল দল কিভাবে Happy

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File