থিফ অব বাগদাদও নস্যি! Happy

লিখেছেন লিখেছেন বাংলাদেশ_জিন্দাবাদ ০৫ জানুয়ারি, ২০১৪, ১০:৪২:২৬ রাত



প্রতি ছয় সেকেন্ডে একটি ভোট!



কিশোরগঞ্জ-৩ (করিমগঞ্জ-তাড়াইল) আসনের নির্বাচনে আজ রোববার করিমগঞ্জ ও তাড়াইলের বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে বেলা ১টা পর্যন্ত শতকরা আট থেকে ১০ ভাগ ভোট পড়েছে।করিমগঞ্জের জাফরাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়, কিরাটন উচ্চবিদ্যালয়, সাকুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ন্যামতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভাটিয়া উচ্চবিদ্যালয়, তাড়াইলের ঘোষপাড়া উচ্চবিদ্যালয়সহ অন্তত ২৫টি কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে বেলা ১টা পর্যন্ত ওই সব কেন্দ্রে ১০ শতাংশ ভোট পড়েছে।কিন্তু জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নুর নিজ বাড়ির কেন্দ্রে বেলা ১টার মধ্যে ৯০ শতাংশ ভোট পড়েছে।

বেলা ১টায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, তাড়াইল উপজেলার কাজলা গ্রামে মুজিবুল হক চুন্নুর বাড়িতে ঢোকার বাঁ পাশে রয়েছে কাজলা আলিম মাদ্রাসা ভোটকেন্দ্র আর ডানপাশে রয়েছে কাজলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্র।বাড়ির ১০০ গজের মধ্যে এ দুটি ভোটকেন্দ্র।কাজলা আলিম মাদ্রাসা ভোটকেন্দ্রে ভোট রয়েছে দুই হাজার ১১৯।বেলা ১টার মধ্যে ভোট পড়েছে এক হাজার ৮০০টি।অপরদিকে কাজলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোটকেন্দ্রে ভোট আছে তিন হাজার ৫৫৯।বেলা ১টা ১০ মিনিটে দুই হাজার ৩০০ ভোটার তাঁদের ভোট দিয়ে দিয়েছেন।এ ঘটনা সারা এলাকায় চাঞ্চল্য ও বিস্ময়ের সৃষ্টি করেছে।

ঘটনাটি বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ভোট শুরু হয়েছে সকাল আটটায়।মাত্র পাঁচ ঘণ্টার ব্যবধানে বিপুলসংখ্যক ভোট পড়ার ঘটনাটি মানতে পারছেন না এলাকার সচেতন ভোটাররা।কারণ, কাজলা আলিম মাদ্রাসা কেন্দ্রে দেখা গেছে প্রতি ছয় সেকেন্ডে একটি করে ভোট পড়েছে।কাজলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রতি আট সেকেন্ডে একটি করে ভোট পড়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কাজলা আলিম মাদ্রাসার প্রিসাইডিং কর্মকর্তা আব্দুল কুদ্দুস জানান, সকালে ভোটাররা এসে লাইন দাঁড়িয়ে ভোট দিয়ে চলে গেছেন।এত কম সময়ে বিপুলসংখ্যক ভোট পড়ার বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ভোটাররা ভোট দিয়ে চলে গেছেন।এতে আমার করার কী আছে?’

কাজলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা এস এম কামাল উদ্দিন বলেন, সকালে এসে দুপুরের আগেই ভোটাররা ভোট দিয়ে ফেলেছেন।তাই একটার আগেই সিংহভাগ ভোট প্রদান সম্পন্ন হয়েছে।

আওয়ামী লীগের সাবেক সাংসদ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হরিণ মার্কার মিজানুল হক বলেন, ‘৮৬-এর মতো এবার ভোট ডাকাতি হয়েছে।আমার পোলিং এজেন্ট মৃত্যুভয়ে কেন্দ্রে যায়নি।’ শুধু তাঁর কেন্দ্রে নয়, করিমগঞ্জের ৭৮টি এবং তাড়াইলের ৪২টি কেন্দ্রে মুজিবুল হকের লোকজন আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা-কর্মীদের নিয়ে ভোট ডাকাতি করেছে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মুজিবুল হক ‘প্রথম আলো’কে বলেন, ‘আমার বাড়ির কেন্দ্রে প্রতি নির্বাচনে ভোটাররা উত্সাহ নিয়ে সকালবেলায় ভোট দিয়ে কাজে চলে যায়।এবারের নির্বাচনেও এর ব্যতিক্রম হয়নি।বিগত ৯১ ও ৯৬-এ আমি পরাজিত হলেও এ দুটি কেন্দ্রে ৮০ ভাগ ভোট আমিই পেয়েছি।’

http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/116389

************

আজকে আন্তর্জাতিক মিডিয়া রয়টার্সের বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে খবর হল;

Bangladesh ruling party set to win poll hit by violence, boycott

http://www.reuters.com/article/2014/01/05/us-bangladesh-election-idUSBREA0301N20140105

এখন এই ম্যাচ ফিক্সিং, সিলেকশন তথা পূর্ব নির্ধারিত জয়ের জন্য এটা কোন প্রাপ্ত বয়স্ক ভোটার একাই ১০০ ভোট দিক কিংবা ১২-১৪ বছরের কিশোররাই দিক হাসিনার কুচ পরোয়া নাই! :D

বিষয়: রাজনীতি

১৩৮১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File