রাষ্ট্রপতি না হয়ে বিচারপতি হলেই ভাল হত।

লিখেছেন লিখেছেন বাংগালী ০৫ মার্চ, ২০১৪, ১০:০১:৪১ রাত



বর্তমান সরকার ( ? ) আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার আমলে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত ২৬ জন রাষ্ট্রপতির ক্ষমা পেয়েছেন ।

গত বুধবার সংসদে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমানের প্রশ্নে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ২০০১ থেকে এই পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি কতৃক ক্ষমা পাওয়া ফাঁসির আসামিদের তালিকা তুলে ধরেন।

তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী, এই পর্যন্ত রাষ্ট্রপতির বিশেষ ক্ষমার আওতায় ফৌজদারি মামলায় সাজা প্রাপ্ত ৩৩ জনের সাজা মওকুফ বা কমানো হয়েছে। এদের মধ্যে ৩০ জনই মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামী।

বাংলাদেশের সংবিধান আদালতে দণ্ডিত কাউকে ক্ষমা করার অধিকার রাষ্ট্রপতিকে দিয়েছে। বিএনপি এবং আওয়ামী লীগের উভয় দলই তাদের শাসনামলে এর প্রয়োগ করেছে।

এর মধ্যে আওয়ামী সরকারের আমলে ২০০৯ থেকে এই পর্যন্ত মোট ২৯ জনের সাজা মওকুফ হয়েছে । এর মধ্যে লক্ষ্মীপুরের আওয়ামী লীগ নেতা আবু তাহেরের ছেলে বিপ্লবের মৃত্যুদণ্ড মওকুফ নিয়ে আওয়ামী লীগকে ব্যাপক সমালোচনায় পড়তে হয়।

লক্ষ্মীপুর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলামকে হত্যার পর তার লাশ টুকরা টুকরা করে মেঘনা নদীতে ফেলে দেয়া হয়েছিল। ওই মামলায় বিপ্লবকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল বিচারিক আদালত।

মহাজোট সরকার আমলে যে ২৯ জনের সাজা মওকুফ বা কমানো হয়েছে, তার মধ্যে তিনজন বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারের দেড় মাসে কোনো আসামি রাষ্ট্রপতির ক্ষমা পাননি।

আগের আট বছরে রাষ্ট্রপতির ক্ষমা পাওয়ার সবগুলোই ঘটেছে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের পাঁচ বছরে।

ওই সময়কালে চারজনকে ক্ষমা করেন রাষ্ট্রপতি, যার মধ্যে তিনজনই আদালতের রায়ে মৃত্যুদণ্ড দণ্ডিত ছিলেন।

বিএনপি-জামায়াত জোট ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারে শাসনামল মিলিয়ে তার আগের আট বছরে রাষ্ট্রপতির ক্ষমা পান চারজন, যার মধ্যে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত মহিউদ্দিন ঝিন্টুর নাম ব্যাপক আলোচিত।

চারদলীয় জোট সরকার আমলে ক্ষমা পাওয়া ঝিন্টু ছিলেন সুইডেন বিএনপির নেতা। সূত্রাপুরের দুই ব্যবসায়ীকে হত্যার দায়ে এরশাদ আমলে সামরিক আদালতে তিনিসহ চারজনের মৃত্যুদণ্ড হয়েছিল।

এর মধ্যে আবুল হাসনাত কামাল নামে একজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হলেও বিদেশে পালিয়ে যাওয়া ঝিন্টু ২০০৫ সালে দেশে ফেরার পর রাষ্ট্রপতির ক্ষমা পান।

মহাজোট সরকার আমলে নাটোরের সাব্বির আহমদ গামা হত্যামামলায় মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত ২০ জনকে রাষ্ট্রপতির ক্ষমা করে দেয়াও বেশ আলোচনা তুলেছিল।

চারদলীয় জোট সরকার আমলে ২০০৪ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি নাটোর নলডাঙ্গা রামশার কাজিপুর বাজারে খুন হন ওই সময়ের উপমন্ত্রী রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুর ভাতিজা গামা।

এরপর বিচারিক আদালত যাদের মৃত্যুদণ্ড দেয়, তারা সবাই আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মী। আওয়ামী লীগ নেতাদের অভিযোগ ছিল, তার দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ওই রায় ছিল রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

ওই মামলায় দণ্ডিত যারা আওয়ামী লীগ সরকার আমলে রাষ্ট্রপতির ক্ষমা পান, তারা হলেন-আনিসুর রহমান, মো. সেন্টু, মো. ফয়সাল, এম এ ফিরোজ, ফারুক শাহ, ফজলুল হক শাহ, জাহিদুল, শাহ জাহান আলী, মো. বাদল, আবদুল জলিল, মো. সোহাগ, এস এম ফকর উদ্দিন, সাজ্জাদ হোসেন, জহুরুল মেম্বার, মো. ফরমাজুল, আবুল হোসেন, আতাউর রহমান, আসাদ, অহিদুল।

গত ১৩ বছরে আর যাদের মৃত্যুদণ্ড মওকুফ করা হয়েছে, তারা হলেন- চাঁন মিয়া (মাদারীপুর), মো. বাবলু (রাজশাহী), মিন্টু ঘোষ (ঢাকা), আবদুল খালেক (ঠাকুরগাঁও), তালেবউদ্দিন (সুনামগঞ্জ),বেনজির আহমেদ (ঝিনাইদহ), ইসলাম উদ্দিন (কিশোরগঞ্জ), রাখাল চন্দ্র সাহা (কুমিল্লা) ও শিমন সিং (সিলেট)।

বিভিন্ন মেয়াদে কারাভোগের পর যাদের সাজা মওকুফ বা কমানো হয়েছে, তারা হলেন- সিরাজ মিয়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া), আবদুল মান্নান (টাঙ্গাইল) ও আবদুল জব্বার (লক্ষ্মীপুর), এর মধ্যে বহুল আলোচিত নুরুল ইসলাম হত্যামামলায় সাজাপ্রাপ্ত এ এইচ এম বিপ্লবও রয়েছেন।

Click this link

বিষয়: বিবিধ

১৪০০ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

187518
০৫ মার্চ ২০১৪ রাত ১১:৪৫
প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন লিখেছেন : খুনি মাফ পায় সত লোকের ফাসি হয় এটাই বাংলাদেশের চরিত্র
187550
০৬ মার্চ ২০১৪ রাত ০১:৪৭
সজল আহমেদ লিখেছেন : শাহীন ভাই চমত্‍কার মন্তব্য করেছে।আমি তার সাথে সহমত।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File