বাংলাদেশ এর উপর এবার ভারতীও মিলিটারি হস্তক্ষেপ !!
লিখেছেন লিখেছেন পাথরের প্রতিবাদ ০২ নভেম্বর, ২০১৩, ১০:০৫:৩২ সকাল
বাংলাদেশ এর ভবিষ্যৎ নির্ধারিত দিল্লি কিম্বা হোয়ইট হউসের বারান্দায় । আবার অন্তর্বর্তী সংকট নিয়ে দর কষাকষি হয় এদের দুই দূতাবাসে সোফায়।এ যে মারাত্মক বৈদেশিক স্বাধীনতা আমরা ভোগ করছি । এই যে বানরের রুটি ভাগাবাগি ও আমাদের স্বাধীনতা চর্চার মধ্যে জনগণের কোন অংশগ্রহণ আছে কি ? সাম্প্রতিক জনপ্রিয় একটা অনলিন পত্রিকা "পরিবর্তন" এ শাহাদত তৈয়ব একটা অনুসন্ধানী প্রতিবেদন অনুবাদের উপসংহারে বললেন , বাংলাদেশ নিয়ে ভারত-যুক্তরাষ্ট্র 'কাজিয়া' এর মধ্যে আছে । থাকবে এটা ঐতিহাসিক । কিন্তু এখন কোন অবস্থানে তা ব্যাখ্যা করতে সাহায্য নিলেন ,ভারতের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম টাইমস অফ ইন্ডিয়ায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনের । এতে বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক জটিল পরিস্থিতি সম্পর্কে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের সাংঘর্ষিক মনোভাবের কথা তুলে ধরা হয়েছে।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গেলো সপ্তাহে দিল্লির সাউথ ব্লক ঘুরে গেছেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান মজিনা। এ সময় তিনি যে লম্বা বৈঠক করেছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব সুজাতা সিংয়ের সাথে তাতে দিল্লি-ওয়াশিংটন যথেষ্ট দরকষাকষি হয়েছে। আর এই কষাকষিতে ভারতের সাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মন কষাকষিও হয়েছে।তারা যখন সাউথ ব্লকে বসে ঢাকায় কার কী নীতি বাস্তাবায়ন হবে তা নিয়ে দুই পক্ষ বোঝাপড়া করছিলেন তখন রাজধানী ঢাকাসহ সারা বাংলাদেশে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের হরতাল চলছিল। এ সময় বাংলাদেশে চলা চরম সহিংসতা এবং অস্থিরতা নিয়ে মজিনা-সুজাতা গভীর উদ্বেগও প্রকাশ করেন।সংবাদ মাধ্যমটি জানিয়েছে, শেখ হাসিনা বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে নির্বাচনকালীন সরকার বিষয়ে আলোচনার জন্য গণভবনে নৈশভোজের আমন্ত্রণ জানিয়ে ফোন দিয়েছিলেন।কিন্তু ভারতে সবচেয়ে বেশি উদ্বেগ বিএনপি যে ধরনের রাজনীতি করছে তার ধরন নিয়ে। ঠিক এই জায়গাতেই যুক্তরাষ্ট্রের সথে ভারতের 'বিরোধ'।
ভারত মনে করে, প্রকাশ্যেই কট্টর হয়ে ওঠা রাজনৈতিক দল বিএনপি-জামায়াতের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ। দিল্লির বিশ্বাস, তারা সফল হলে বাংলাদেশ জাতি হিসেবেই সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরনের হয়ে যাবে। কারণ গত দুই বছরে বিএনপি-জামায়াতের রাজনীতি অনেক বেশি কট্টর ও চরমপন্থী হয়ে উঠেছে। জামায়াত ও বিএনপি রীতিমত সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোকে ক্রমাগত প্রশ্রয় দিয়ে যাচ্ছে।
শুধু তাই নয়, ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলো জামায়াত-বিএনপির ওপর আল-কায়েদা ও পাকিস্তানভিত্তিক লস্কর-ই-তৈয়বার গুরুতর প্রভাব ও সম্পর্ক শনাক্ত করেছে। পাকিস্তান ও পশ্চিম এশিয়ার কয়েকটি দেশের কাছ থেকে ব্যাপক আর্থিক তহবিলের যোগান পায় এই গ্রুপগুলো।
এছাড়া বিএনপির প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ঝোঁকটা আরো নানা কারণেও হতে পারে। প্রথমত ইতোমধ্যে শান্তিতে নোবেল বিজয়ী এবং আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্ব ড. মুহম্মদ ইউনূসের সাথে গ্রামীণ ব্যাংক নিয়ে হাসিনার মারাত্মক বিরোধ ঘটে গেছে। হাসিনা-ইউনূসের এই বিরোধ পদ্মা সেতু পর্যন্তও গড়িয়েছিল। একই সাথে পদ্মা সেতুর অর্থায়ন নিয়ে ক্যালেঙ্কারি এবং যুদ্ধাপররাধ ট্রাইবুনালসহ নানা কারণেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি-জামায়াত জোটেই সম্পর্ক খুঁজে নিতে চায়।
এছাড়া বিএনপির সাথে ভারতের ভিন্ন অবস্থানের আরো বড় কারণের কথাও বলেছে পত্রিকাটি। পত্রিকাটি মনে করে, ২০০১ সালে পদুয়া-রৌমারি সীমান্তে বিডিআর গণহত্যা চালিয়ে বিএসএফের যে ১৫ জওয়ান নিহত হওয়ায় ঘটনা ঘটিয়েছে তার জন্য বিএনপিকে বিশ্বাস করতে পারে না ভারত। এই ঘটনা ভারত কোনোভাবেই ভুলতে পারছে না ।
বিএনপিতে ভারতের স্বাচ্ছন্দ্য না পাওয়ার আরো কারণ হল, জামায়াতকে নিয়ে তাদের আন্দোলন ও সরকার গঠন। জামায়াতের সাথে বিএনপির সম্পর্ক ভারত মেনে নিতে পারছে না।২০০১ সালে জামায়াতকে নিয়ে বিএনপি সরকার গঠনের পর দেখা গেল জেএমবি ও হুজির ভয়বহ তৎপরতা। আঞ্চলিক অস্থিতিশীলতার জন্যও বাংলাদেশে মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের আশ্রয়কে দায়ী করেছে ভারত। ভারত মনে করছে, বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের তাদের জনসংখ্যায় মিশিয়ে ফেলার কারণেই মিয়ানমারে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা মারাত্মক আকার ধারণ করছে।
তবে আমেরিকা আর ভারতের স্বার্থ গত সমস্যা পাশ কাটিয়ে আর একটা বিষয় মাথা চারা দিয়ে তা হেফাজত কে ঘিরে । হাসিনা সরকার যে ভঙ্গিতে তাদের উপর ক্রাগ ডাউন করে ঢাকা থেকে বিতাড়িত করে তা নিয়ে জনগণের মধ্যে যে গভীর রাত্রে বাতি নিবিয়ে হাজার হাজার ইয়াতিম, আলেম , সাধারণ মানুষ হত্যা করার রেটরিক আছে তা । এটাকে হাসিনার অনেক দিন মোকাবেলা করতে হবে । এ দিকে এই ক্রাগ ডাউন করতে পারার আত্মবিশ্বাস তাদের ভবিষ্যতে আরও বেশি হত্যা করাবে । আর এই সুযোগে কওমি সহ ইসলামী সংঘটন গুলো একটা নতুন শক্তি হিসাবে বাংলাদেশ এর রাজনীতিতে অন্যতম ফ্যাক্টর হয়ে ওঠে কিনা তা নিয়ে ভারত না চিন্তিত থাক আমেরিকা মাথা ঘামাবে তার প্রমাণ আমরা মজিনার কাপ ঝাপ দেখে আন্দাজ করতেই পারি ।বিশ্ব ব্যাপী আমেরিকার ওয়ার এন্ড টেরর প্রোজেক্ট যে মুসলিম পলিটিকাল রোলে কে দমনের জন্য তা সর্ব খেত্তে প্রমাণিত । আজকে বাংলাদেশ এ বি এন পি এমন একটা বুর্জুয়া দল যার সাথে যেবাবে হক ইসলামী সক্তিগুলোর একটা সাক্ষ্য গড়ে উটেছে । ইতিহাস বলে নির্যাতিত জনগণ এর মধ্যে একটা সম্পর্ক গড়ে ওঠে সেটা সাময়িক কিম্বা স্থায়ী হক । আমাদের দেশে হাসিনা সরকার ক্ষমতায়ে থাকতে চাইলে অবশই বিএনপিকে দমিয়ে রাখতে একটা পুলিসি শাসন বজায়ে রাখতে হবে । এতে ইসলামী শক্তিগুলো এর সাথে তাদের একটা চুক্তি ভিত্তিক সম্পর্ক গড়ে উঠবে ।তার মানে দেশের রাজনীতিতে ইসলামী শক্তির একটা ভূমিকা পতিহত করার জন্য বিএনপিকে আমেিরকা চাইবে । কারণ তারা জানে হাসিনা সরকার আলোচনার মাধ্যমে হেফাজতী ধাবি কিম্বা ভূমিকা কে দেশের রাজনীতি থেকে তুলে ফেলতে পারবে না ।তবে বিএনপি কিছুটা সমঝোতা কিম্বা আলোচনা করে তাদের রাজনৈতিক অবস্থান দুর্বল কোরতে পারবে ।সেটা করবে ক্যান তার ভবিষ্যৎ রাজনীতির স্বার্থে । আর এই কারণে ভারত এর সাথে আমেরিকা এর বাংলাদেশ এ তাদের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক ছক এর মধ্যে একটা সুস্পষ্ট পার্থক্য তৈরি হয়ে গেছে ।তবে মজিনা ভারত এর কাছে এই আশা নিয়ে গেছে যে দুইজন এর সন্ত্রাসবাদ বিরোধী নীতির মধ্যে একটা মিল রয়েছে ।তবে এ সকল বিষয়ে যে বাংলাদেশ এর সাধারণ জনগণের যে কোন মূল্য কেউ দিচ্ছে তা স্পষ্ট । তবে ভারত কে অনেক ভারতীও সাংবাদিক , বুদ্ধিজীবী যে কোন মুলে এমনকি সামরিক হস্থখেপ করে বন্দুপ্রতিম দলকে ক্ষমতায়ে রাখার কারণে যে বিশাল মূল্য দিতে হবে তার কারণ বাংলাদেশ এ পাকিস্তানের মত ভারত বিরোধী চেতনাও রাজনীতির অনতম উপাদান ।এই অবস্থায়ে আমাদের যে আরও কিছু দিন অপেক্ষা করতে হবে আর এটা নির্ভর করবে জনগণের অবস্থান ও বিএনপির মাঠের শক্তির উপর । নির্বাচন ও উত্তরণ সহজ হচ্ছে না তা স্পষ্ট ।এদিক থেকে জামাত চাইবে আমেরিকার বিজয় ।জাতে তার দুটো লাভ একটা হাসিনা সরকারের নির্যাতন , নিপীড়ন থেকে মুক্তি , যুদ্ধ অপরাধী এর বিচার লম্বা কিম্বা খালাস করা আর বাংলাদেশ এর ইসলামী শক্তি হিসাবে তাদের বিকল্প নষ্ট হওয়া ।
১। http://www.facebook.com/l.php?u=http%3A%2F%2Ftimesofindia.indiatimes.com%2Fhome%2Fopinion%2Fedit-page%2FBangladesh-is-in-a-violent-phase-and-India-must-do-all-it-can-to-see-a-friendly-regime-return-to-power%2Farticleshow%2F25009551.cms&h=qAQGgAY4i
২।http://www.poriborton.com/article_details.php?article_id=36297
বিষয়: রাজনীতি
১৬২৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন