কূটনীতি চক্রে বাংলেদেশের নির্বাচন !!
লিখেছেন লিখেছেন পাথরের প্রতিবাদ ২৬ অক্টোবর, ২০১৩, ০৬:২৬:২৮ সকাল
আমাদের জনগণ আর সরকার সব সমায়ে মুখোমুখি । পাঁচ বছর পর পরই জনগণ সরকার পরিবর্তন করে । বিগত পাঁচ বছরে বিরোধী দল হিসাবে বিনপি ও অন্য দলগুলো এমন কোন মহৎ কাজ করে নি যে মহাজোট সরকারকে প্রত্যাখ্যান করে এখনই সরকার পতন করতে হবে । কিন্তু বাস্তবতা হল জনগণ আর সরকারকে চাচ্ছে না বিবিন্ন জরিপে এখন পর্যন্ত বিরোধী দল আগিয়ে আছে । এটা প্রতিটি সরকারের সেসের দিকে দেখা যায় ।আমার প্রশ্ন হল ক্যান সরকার এর উপর কয়েক বছর এর মধ্যে আস্থা হারিয়ে ফেলছে ।যদি এমন হত এক বছর পর পর সরকার পরিবর্তন হবে তাহলে কি জনগণ প্রতি বছর নতুন সরকার আনত।জনগন আস্থা হারালেও সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলো হারায় না । তারাও নির্বাচন এর আগে জনগণ এর মত নতুন সরকার এর কাছে যায় অথবা রাজনৈতিক দলগুলো যায় তাদের প্রতুসস্রুতি নিতে দিতে । উদাহরণ স্বরূপ আমেরিকা চায় ট্রিকফা , সন্ত্রাসবাদ বিরোধী চুক্তি । ভারত চায় রামপাল ও বাংলাদেশ এর বিতর দিয়ে অবাদ যাতয়াত সুবিদা ।দেন দরবার চলে তনে সাম্রাজ্যবাদী দের সাতে চলে দাসত্তের বন্ধন । যখন নির্বাচন সম্খ্নমুখীন তখন ক্যান আজকে মজিনা এর দৌড় ঝাপ আর সব দলের সাথে রুদ্ধদার বৈঠক ।প্রয়োজনে আঞ্চলিক সাম্রাজ্যবাদী শক্তি ভারত এর সাথে আমেরিকার ভাগাভাগি করে বাংলাদেশ এর নির্বাচন কিম্বা ক্ষমতা এর পরিবর্তন করন ।এটা একটা স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসাবে কিছু লোক ছাড়া দেশের মূলধারার শক্তিশালী মিডিয়া গুলো তেমন কোন প্রতিক্কিয়া কিম্বা লেখা প্রচার করছে না । একটা জিনিস বলা দরকার দেশের জনপ্রিয় মিডিয়া আজ সাম্রাজ্যবাদী শক্তি তৈরি করে তাদের শোষণ নিপীড়ন এর রূপ ঢেকে রাখার জন্য ।সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলো যখন দেশের নির্বাচন , রাজনৈতিক দর্শন তরি করে দেয় তখন ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যে তার বাইরে জেতে পারবে না কারণ ওয়েস্টার্ন এর পপুলার কালচার ।তরুণ সমাজ যে লিকুইড (তরল ) সম্পর্ক আর ভোগবাদী দর্শন কে আপন করে নিয়েছে তার হাজার হাজার প্রমাণ সমাজে আছে । যাই হোক কূটনীতি যে ভাবে আমাদের রাজনীতি , রাজনৈতিক দলগুলোকে বন্ধী করেছে তা যে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ এর জন্য অসনি সঙ্কেত তা বলাই বাহুল্য । রাষ্ট্র ,রাষ্ট্রযন্ত্র ,শাসক, বিরোধী শক্তি ,সুশীল সমাজ সবাই যখন এই অযাচিত কূটনীতি দৌড় ঝাপ কে কোন রকম বাধা প্রধান কিম্বা বিশ্লেষণ না করেই সাধুবাদ জানাচ্ছি তা আমাদের নতুন কোন চক্রে নিয়ে ফেলে নাকি এটা ভেবে দেখা দরকার । মজিনার ভারত সফর নিয়ে পঁচিশ অক্টবার বামপন্থা নামক একটা অনলাইন বিত্তিক পত্রিকা সুন্দর দুটি বিশ্লেষণ ছাপান যেখানে তেল-গ্যাস-বিদ্যুৎ-বন্দর ও খনিজ সম্পদ রক্ষা জাতীয় কমিটির নেতা কল্লোল মোস্তফা এমন সময়ে মজিনার সফরকে ‘আসল খেলা’ বলে বিবেচনা করেছেন । তিনি ফেসবুকে লিখেছেন ‘আসল খেলা তো চলতেছে অন্য জায়গায়, বাংলাদেশের নির্বাচনী ফর্মুলা নিয়া ঐক্যমত্যে পৌছানোর চেষ্টা করতেছে ইন্ডিয়া আর আমেরিকা…’ আর এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক জোবায়ের আল মাহমুদ প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন- ‘দুই বিবদমান রাজনৈতিক জোটের সংঘাতের সুযোগে পরাশক্তির এই অন্যায্য হস্তক্ষেপ বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বকে পুরাপুরি ধসিয়ে দিয়ে দেশকে যে স্রেফ একটা পুতুল রাষ্ট্রে পরিণত করবে সে হুঁশ আমরা হারিয়ে ফেলেছি! জনগণের উপর আস্থা না রেখে এভাবে পরাশক্তির সেবায় নিজেদের বিকিয়ে দিয়ে রাজনীতির নামে কূটনীতি করার যে চর্চা আমরা দেখতে পাই এদেশের দুই প্রধান রাজনৈতিক জোটের মাঝে তা দুর্ভাগ্যজনক। জনগণের তরফ থেকে এই মুহূর্তে বাংলাদেশের রাজনীতির অভিমুখ হবে দুইটি- প্রথমত দুই বিবদমান পক্ষকে অবিলম্বে নিজেরাই দেশের অভ্যন্তরেই একটা গ্রহণযোগ্য সমাধানে আসতে বাধ্য করা যেন একটি সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভবপর হয়। দ্বিতীয়ত রাজনৈতিক দলগুলোর বিবাদের সুযোগে বাংলাদেশের উপর পরাশক্তির নিরঙ্কুশ আধিপত্য বিস্তারের যে কোন প্রচেষ্টা প্রতিহত করা। পরাশক্তির আধিপত্য বাংলাদেশকে এতো বেশি গ্রাস করার মূল কারণ হচ্ছে একটা রাজনৈতিক জনগোষ্ঠী হিসেবে আমরা এখনো নিজেদের তৈরি করতে পারি নাই। ফলে এখনো একদিকে চলছে গণরাজনীতি বিবর্জিত কূটনৈতিক রাজনীতি যার ভিত্তিতে দুই প্রধান রাজনৈতিক জোট পরাশক্তির কৃপা লাভ করে ক্ষমতায় আসার স্বপ্নে বিভোর। অন্যদিকে এই নতজানু রাজনীতির বাইরে গণশক্তির বিকাশও সম্ভবপর হয় নাই যে রাজনৈতিক শক্তি পরাশক্তির হস্তক্ষেপ এবং আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে জনগণকে সাথে নিয়ে প্রতিরোধ করতে পারত। ফলে পলিটিক্যাল কমিউনিটি আকারে নিজেদের পুনর্গঠন করাই এই মুহূর্তের গুরুত্বপূর্ণ কাজ।’
জনগণ বার বার দলগুলর উপর আস্থা হারায় ক্যান তা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো আরও বেশি হোম ওয়ার্ক করে তাদের উপর আস্থা রেখে জনগণের জন্য সরকার গঠন করতে হবে । আমাদের একটা জিনিস মনে রাখতে হবে কোন সাম্রাজ্যবাদী শক্তি আমাদের জনগণ বান্ধব সরকার চায় ন আতাই জনগণ এর দায়িত্ব অবেহেলা করার সুযোগ নাই । জনগণ কেও তাদের জন্য যোগ্য বাক্তি এর জন্য সম পরিমাণ ত্যাগ স্বীকার করতে ।
বিষয়: রাজনীতি
১২০২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন