সাম্রাজ্যবাদী স্বার্থ ও জনপ্রিয় গণমাধ্যম

লিখেছেন লিখেছেন পাথরের প্রতিবাদ ১২ অক্টোবর, ২০১৩, ০৭:৩৬:৫৫ সকাল

প্রথম আলো এর জাতিও স্বার্থের বিরুদে অবস্থান ঐতিহাসিক । মানুষ যখন অজ্ঞ হয় তখন জনপ্রিয়তাকে মানদণ্ড ধরে ।সাম্রাজ্যবাদীরাই তাদের স্বার্থ উদ্দারের জন্য প্রথম আলোর মত পত্রিকাকে সমাজে জনপ্রিয় করে রাখে এবং অনুকরণপ্রিয় ও অজ্ঞ মানুষগুলোকে প্রতারণা করে । এর জন্য এই পত্রিকা গুলো ছোট ছোট সমাস্য ও সফলতা গুলোকে সুন্দর জকজকে কাগজে ছবি সহ তুলে ধরে কিন্তু বৃহৎ স্বার্থে বার বার সাম্রাজ্যবাদী শক্তির পক্ষে অবস্থান নেয়। আর এই স্বার্থের জন্য সাম্রাজ্যবাদী শক্তিরা প্রতারণার আশ্রয়ে জনপ্রিয় করে তোলে ।এই কারণে আনু মোহাম্মদ এর মত প্রথম আলো প্রেমী বাক্তিকেও লেখতে হয় বড় আপসোস করে "

বারবার একই ঘটনা ঘটায় কিছু প্রশ্ন মাথায় আসছে। গত ৫ অক্টোবর থেকে জাতীয় কমিটির পরপর তিনটি খবর প্রথম আলো প্রকাশ করেনি। একই দিন প্রধানমন্ত্রীর রিমোট কন্ট্রোল ভিত্তিফলক উন্মোচনের তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ সমাবেশ, ৮ অক্টোবর সাংবাদিক সম্মেলন এবং ৯ অক্টোবর দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচি কোনটিই নয়। এরকম ঘটনা এটাই প্রথম নয়। লং মার্চ বাদ দিলে গত একবছরে বহু কর্মসূচির খবরই প্রথম আলো প্রকাশ করেনি। ঘটনা এমন নয় যে, এসব খবর প্রথম আলোতে পৌঁছায়নি। কখনও কখনও অনলাইনে কিছু সময় খবর দেখে বোঝা গেছে সংবাদদাতারা রিপোর্ট জমা দিয়েছেন। পরে আর সেগুলো দেখা যায়নি। সংবাদপত্রের স্বাধীনতা আছে তার অগ্রাধিকার ও অবস্থান নির্ধারণের। পাঠকদেরও অধিকার আছে তা নিয়ে নিজেদের মতামত বা বক্তব্য প্রকাশের বা প্রশ্ন তোলার। অন্য সবার মতো সংবাদ মাধ্যমেরও জবাবদিহিতার ব্যাপার আছে। বিশেষত তা যদি প্রথম আলোর মতো সর্বাধিক প্রচারিত সংবাদপত্র হয়, যা অন্য অনেক ক্ষেত্রে দায়িত্বশীল ভূমিকার মাধ্যমে সমাজে প্রত্যাশা তৈরি করেছে।

এশিয়া এনার্জির (জিসিএম) পক্ষে সরকারের ১৪৪ ধারা ভেঙ্গে ফুলবাড়ীতে হাজার হাজার মানুষের সমাবেশ, ঐতিহাসিক জনপ্রতিরোধের ফুলবাড়ী দিবসের বড় কর্মসূচির খবর প্রথম আলোতে ছাপা হয়নি। বাংলাদেশের কয়লাসম্পদ দেখিয়ে এই জালিয়াত কোম্পানি এখনও লন্ডনে বেআইনী শেয়ার ব্যবসা করছে, সেই মুনাফার কিছু অংশ ছিটিয়ে এখানে মন্ত্রী, আমলা, কনসালট্যান্ট, কয়েকজন সাংবাদিক, একটি বিজ্ঞাপনী সংস্থা ব্যবহার করছে। লুটেরা রাজনীতিবিদ, মাদকসেবী আর সন্ত্রাসীদের নিয়ে বিরামপুর পার্বতীপুরে চক্রান্ত চালাচ্ছে। সেই কোম্পানির প্রেস রিলিজ কোন পর্যালোচনা ছাড়া বিশেষ রিপোর্ট আকারে প্রথম আলোতে প্রকাশিত হতে দেখেছি। এসব চক্রান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের খবর ছাপা হয়নি।

গত একবছরে রামপাল, পিএসসি- ২০১২র মাধ্যমে বঙ্গোপসাগরে জাতীয় বিনাশী নানা চুক্তির আয়োজন নিয়ে জাতীয় কমিটির বা বিশেষজ্ঞ আলোচনা, বক্তব্য, বিবৃতি, কর্মসূচির অনেক খবরও জায়গা পায়নি। রামপাল লংমার্চের খবর দেখে তাই কেউ কেউ প্রশ্ন তুলছেন, জাতীয় কমিটি এসব বিষয় আগে কথা বলেনি কেন? আমাদের প্রশ্ন, এগুলো কি প্রথম আলোর সম্পাদকীয় সিদ্ধান্ত থেকে হচ্ছে?

যেমন সর্বাধিক পঠিত অনলাইন পত্রিকা বিডিনিউজ একদিকে লংমার্চসহ রামপাল বিষয়ে প্রতিবাদের খবর প্রকাশে খুবই কুন্ঠিত দেখা যাচ্ছে, অন্যদিকে খুব গুরুত্ব দিয়ে কয়েকদিন ধরে ভারতীয় মন্ত্রীর সাক্ষাৎকার ‘রামপাল উইল বি ক্লিন’ শিরোনাম দিয়ে ঝুলিয়ে রাখছে। এতে ধারণা হয় তাদের সম্পাদকীয় অবস্থান এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পক্ষে, এবং তারজন্য জনমত তৈরি করতে তারা আগ্রহী। মনে হচ্ছে, সুন্দরবন ধ্বংস নিয়ে তাদের দুশ্চিন্তা নেই বা তারা এবিষয়ে প্রতিবাদ তা যতই জনসমর্থন পাক তাকে গুরুত্ব দিতে মোটেই ইচ্ছুক নয়। প্রথম আলো-র ক্ষেত্রে কী? তাদের কাছে কি সুন্দরবন ধ্বংস, বঙ্গোপসাগরের সম্পদ নিয়ে ভয়াবহ চুক্তি বা কয়লা সম্পদ নিয়ে জালিয়াতদের চক্রান্ত ইত্যাদির বিরুদ্ধে যুক্তি, তথ্য, জনপ্রতিবাদের সংবাদ মূল্য কম না এসব খবরের জন্য জায়গার অভাব হচ্ছে? নাকি দখলদার লুটেরাদের হাত হিসেবে পত্রিকার ভেতরেই জন প্রতিবাদের খবর খুন করতে কেউ কেউ বিশেষভাবে সক্রিয়?বারবার একই ঘটনা ঘটায় কিছু প্রশ্ন মাথায় আসছে। গত ৫ অক্টোবর থেকে জাতীয় কমিটির পরপর তিনটি খবর প্রথম আলো প্রকাশ করেনি। একই দিন প্রধানমন্ত্রীর রিমোট কন্ট্রোল ভিত্তিফলক উন্মোচনের তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ সমাবেশ, ৮ অক্টোবর সাংবাদিক সম্মেলন এবং ৯ অক্টোবর দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচি কোনটিই নয়। এরকম ঘটনা এটাই প্রথম নয়। লং মার্চ বাদ দিলে গত একবছরে বহু কর্মসূচির খবরই প্রথম আলো প্রকাশ করেনি। ঘটনা এমন নয় যে, এসব খবর প্রথম আলোতে পৌঁছায়নি। কখনও কখনও অনলাইনে কিছু সময় খবর দেখে বোঝা গেছে সংবাদদাতারা রিপোর্ট জমা দিয়েছেন। পরে আর সেগুলো দেখা যায়নি। সংবাদপত্রের স্বাধীনতা আছে তার অগ্রাধিকার ও অবস্থান নির্ধারণের। পাঠকদেরও অধিকার আছে তা নিয়ে নিজেদের মতামত বা বক্তব্য প্রকাশের বা প্রশ্ন তোলার। অন্য সবার মতো সংবাদ মাধ্যমেরও জবাবদিহিতার ব্যাপার আছে। বিশেষত তা যদি প্রথম আলোর মতো সর্বাধিক প্রচারিত সংবাদপত্র হয়, যা অন্য অনেক ক্ষেত্রে দায়িত্বশীল ভূমিকার মাধ্যমে সমাজে প্রত্যাশা তৈরি করেছে।

এশিয়া এনার্জির (জিসিএম) পক্ষে সরকারের ১৪৪ ধারা ভেঙ্গে ফুলবাড়ীতে হাজার হাজার মানুষের সমাবেশ, ঐতিহাসিক জনপ্রতিরোধের ফুলবাড়ী দিবসের বড় কর্মসূচির খবর প্রথম আলোতে ছাপা হয়নি। বাংলাদেশের কয়লাসম্পদ দেখিয়ে এই জালিয়াত কোম্পানি এখনও লন্ডনে বেআইনী শেয়ার ব্যবসা করছে, সেই মুনাফার কিছু অংশ ছিটিয়ে এখানে মন্ত্রী, আমলা, কনসালট্যান্ট, কয়েকজন সাংবাদিক, একটি বিজ্ঞাপনী সংস্থা ব্যবহার করছে। লুটেরা রাজনীতিবিদ, মাদকসেবী আর সন্ত্রাসীদের নিয়ে বিরামপুর পার্বতীপুরে চক্রান্ত চালাচ্ছে। সেই কোম্পানির প্রেস রিলিজ কোন পর্যালোচনা ছাড়া বিশেষ রিপোর্ট আকারে প্রথম আলোতে প্রকাশিত হতে দেখেছি। এসব চক্রান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের খবর ছাপা হয়নি।

গত একবছরে রামপাল, পিএসসি- ২০১২র মাধ্যমে বঙ্গোপসাগরে জাতীয় বিনাশী নানা চুক্তির আয়োজন নিয়ে জাতীয় কমিটির বা বিশেষজ্ঞ আলোচনা, বক্তব্য, বিবৃতি, কর্মসূচির অনেক খবরও জায়গা পায়নি। রামপাল লংমার্চের খবর দেখে তাই কেউ কেউ প্রশ্ন তুলছেন, জাতীয় কমিটি এসব বিষয় আগে কথা বলেনি কেন? আমাদের প্রশ্ন, এগুলো কি প্রথম আলোর সম্পাদকীয় সিদ্ধান্ত থেকে হচ্ছে?

যেমন সর্বাধিক পঠিত অনলাইন পত্রিকা বিডিনিউজ একদিকে লংমার্চসহ রামপাল বিষয়ে প্রতিবাদের খবর প্রকাশে খুবই কুন্ঠিত দেখা যাচ্ছে, অন্যদিকে খুব গুরুত্ব দিয়ে কয়েকদিন ধরে ভারতীয় মন্ত্রীর সাক্ষাৎকার ‘রামপাল উইল বি ক্লিন’ শিরোনাম দিয়ে ঝুলিয়ে রাখছে। এতে ধারণা হয় তাদের সম্পাদকীয় অবস্থান এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পক্ষে, এবং তারজন্য জনমত তৈরি করতে তারা আগ্রহী। মনে হচ্ছে, সুন্দরবন ধ্বংস নিয়ে তাদের দুশ্চিন্তা নেই বা তারা এবিষয়ে প্রতিবাদ তা যতই জনসমর্থন পাক তাকে গুরুত্ব দিতে মোটেই ইচ্ছুক নয়। প্রথম আলো-র ক্ষেত্রে কী? তাদের কাছে কি সুন্দরবন ধ্বংস, বঙ্গোপসাগরের সম্পদ নিয়ে ভয়াবহ চুক্তি বা কয়লা সম্পদ নিয়ে জালিয়াতদের চক্রান্ত ইত্যাদির বিরুদ্ধে যুক্তি, তথ্য, জনপ্রতিবাদের সংবাদ মূল্য কম না এসব খবরের জন্য জায়গার অভাব হচ্ছে? নাকি দখলদার লুটেরাদের হাত হিসেবে পত্রিকার ভেতরেই জন প্রতিবাদের খবর খুন করতে কেউ কেউ বিশেষভাবে সক্রিয়?''

বিষয়: বিবিধ

১১৬৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File