জঙ্গী উধাও, তাই মন খারাপ
লিখেছেন লিখেছেন সাদাসিধে ঝুলিওয়ালা ০৯ নভেম্বর, ২০১৫, ০৭:৫৪:৩০ সকাল
লুল।
এমনিতেই গ্যাস্ট্রিকের জন্য পেটে ব্যথা, তার উপর আমাদের অবৈধ প্রধানমন্ত্রীর কথা শুনলে হাসতে হাসতে আরও পেট ব্যথা হয়ে যায়।
কারা নাকি দেশে ISIS এবং জঙ্গী আছে তা প্রমানের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। এটা প্রমানিত হয়ে গেলে দেশ আফগানিস্তান, ইরাক আর পাকিস্তানের মতো হয়ে যাবে।
আমি অবৈধ প্রধানমন্ত্রীর সাথে সম্পূর্ণ একমত। অবশ্যই কিছু লোক দেশকে একটি জঙ্গী রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য দিন রাত খেটে যাচ্ছেন। এদের মধ্যে অন্যতম ব্যক্তিটির নাম শেখ হাসিনা। তিনি গত সাত বছরে যা পরিমাণ জঙ্গী জঙ্গী বলে চেঁচামেঁচি করেছেন, তাতে জঙ্গী শব্দটার অর্থটাই পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
উনার পরেই যিনি এই ব্যাপারে দিন রাত খেটে যাচ্ছেন, তিনি আর কেউ নন, উনারই সুযোগ্য সন্তান জয়। তিনি দেশে বিদেশে বক্তৃতা কালে দেশে বোরকার প্রভাব বিস্তারসহ দেশে যে কি পরিমাণ জঙ্গী বেড়েছে তা বলতে বলতে কেঁদেই ফেলেন। তাছাড়া জয় সাহেবের ফেবু স্ট্যাটাসে তো জঙ্গীরা নিয়মিত সকাল বিকাল যুদ্ধ করে চলে।
এর পরেই যারা এর পেছনে প্রচুর মেহনত করে যাচ্ছেন, তারা সবাই শেখ হাসিনার চ্যালাবেলারা। মাহবুবুল হক হানিফ সাহেবের কথা না বললেই নয়। এইতো গত ইজতেমার সময়ই তিনি বললেন দেশে ৩৬০ জন ISIS জঙ্গী এসে ঢুকেছে বলে উনার কাছে তথ্য আছে। এর মাঝে নাকি চারজনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে।
মখা আলমগীর সাহেব বললেন, জলবায়ু মোকাবেলায় দেশে জঙ্গী দমন প্রয়োজন।
ইনু, হাসান মাহমুদ, নাসিম, সাহারা খাতুন, মতিয়া সহ আরও যত পাছা চাটা চ্যালাবেলারা রয়েছে, সবাই প্রতিদিন রুটিন করে দুইবেলা সারেগামার মতো করে জঙ্গী জঙ্গী বলে সাধনা করে থাকেন। দাড়ি টুপিওয়ালাদের "জঙ্গী" ডাকনামটা এদেরই সাধনার ফসল।
তাছাড়া দেশের স্বনামধন্য পুলিশ ও RAB বাহিনী তো আর আছেই। জঙ্গীদের গর্ত থেকে খুঁড়ে বের করে আনতে কতোই না পারদর্শী এরা। এইতো গত নির্বাচনের আগে ও পরে এরা যত জঙ্গী হত্যা করেছে, স্বয়ং জর্জ ডব্লিউ বুশও মনে হয় ইরাক আফগানিস্তানে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার খরচ করে, অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র দিয়ে এতো জঙ্গী মারতে পারেন নি। দেশের জেলগুলো জঙ্গীতে জঙ্গীতে ভর্তি। মাহমুদুর রহমানের মতো দুঃসাহসিক জঙ্গীতে ভর্তি।
আজ খারাপ লাগে যখন শুনি দেশে কোনও জঙ্গী নেই। এতোদিন চারিদিকে এতোই জঙ্গী ছিল যে, একসময় নিজেকেও একটা জঙ্গী মনে হতো। জঙ্গীদের সমাজে থেকে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছিলাম। আসলেই আফসোস হয়। আজ হঠাৎ করে জঙ্গীরা উধাও হয়ে গেল। নেত্রী এতো সাধ করে খাল কেটে কুমির এনে এদের পেলে পোষে বড় করলেন। আজ হঠাৎ করে বলে উঠলেন, আমার খালে কুমির নাই, এগুলো সব মাগুর মাছ। আসলেই আফসোস হয়।
বিষয়: বিবিধ
১৪০৫ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন