একজন পুরুষের দ্বারা যে ব্যথা কখনোই সহ্য করা সম্ভব না
লিখেছেন লিখেছেন সাদাসিধে ঝুলিওয়ালা ০৯ মার্চ, ২০১৪, ০৬:০৯:৩১ সন্ধ্যা
পুরো ১২ ঘন্টার প্রসব বেদনায় কাতরানোর পর সকাল এগারোটায় একটা ফুটফুটে ছেলেসন্তানের জন্ম দিল আমার স্ত্রী। পুরো সময়টা পাশেই ছিলাম। চোখের সামনেই প্রসবের পুরো ঘটনাটা দেখলাম। এতোদিন শুধু মায়েদের প্রসব বেদনার গল্প শুনেছি, অনুভব করিনি। আমি অনেক ধৈর্য্যশীল একজন মানুষ। সহজে ঘাবড়িনা কিছুতে। কিন্তু আমার স্ত্রী যখন ব্যথায় কাতরাচ্ছিল তখন আমার হাত পা কাঁপছিল। ওকে সান্ত্বনা দেয়ার সাথে সাথে ওর ব্যথাটা অনুভব করার চেষ্টা করছিলাম যা কখনোই সম্ভব নয়। আমরা পুরুষরা অনেক শক্ত এবং ধৈর্য্যশীল। কিন্তু আমার মনে হয়না মায়েদের মতো আমরা এই মাত্রার ব্যথা সহ্য করতে পারবো। যারা সামনে থেকে দেখেছেন তারা অবশ্যই আমার সাথে একমত পোষণ করবেন। এতো ব্যথা সহ্য করা সম্ভব না।
বাচ্চা হওয়ার একটু পরেই বাইরে বেরিয়ে মাকে কল দিলাম সুসংবাদটা দেয়ার জন্য। মা কেঁদে উঠলো। আমার চোখেও পানি চলে আসলো। দুজনেই খুশিতে কাঁদছিলাম। একটু পরে আমি ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠি। আমার কান্নার সেই অংশটা মোটেও আনন্দের ছিলনা। তখন আমার মনে ভেসে ওঠে, যার সাথে এখন কথা বলছি সেই মহিলাটি আজ থেকে ২৪ বছর আগে এই একই ব্যথায় কাতরাচ্ছিলেন আমাকে জন্ম দেয়ার সময়।
কিভাবে সহ্য করলে মা?
বিষয়: বিবিধ
১০৫২ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
-দাদা, 'আপনার নাতিরা সারাদিন আমাকে অস্থির করে রাখে। আর ছোটটা রেগে গেলেই আমাকে মারে। ছোট হাত হলে কি হবে, খুবই ব্যাথা লাগে।'
-'এই জন্যই তোকে মা ডাকে।' দাদা বললেন।
আসলে গর্ভাবস্থা থেকে প্রসব পর্যন্ত একটি মেয়ের জীবন আসলে ঝুলে থাকা একটি সরু সুতার মত - যে কোন মুহূর্তে মায়ের মৃত্যু সহ যে কোন দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। সামান্য একটা রিক্সার ঝাঁকি, বাথরুমে একটু পা পিছলানো - বড় ধরনের দুর্ঘটনার জন্ম দিতে পারে - এই বিষয়গুলো অনেক পুরুষই খুবই কম বুঝেন, অনেক বুঝেনই না।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন