ড্রোন হামলার কতো দেরী, পাঞ্জেরী

লিখেছেন লিখেছেন সাদাসিধে ঝুলিওয়ালা ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৩, ১০:৪৬:৫৪ রাত

গাড়িতে করে তারা বিয়েতে যাচ্ছিল।

হঠাৎ আমেরিকান একটি ড্রোন এসে হামলা করলো। ঘটনাস্থলেই মারা গেল ১০ জন, তারপর আরও ৫ জন হাসপাতালে।

ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল ১২/১২/২০১৩, ইয়েমেনে।

আল কায়েদার গাড়িবহর মনে করে ঐ বিয়ের গাড়িবহরে এই হামলা করা হয়।

ইয়েমেনে সর্বমোট ৮০ টি অপারেশনের ৬টি ড্রোন হামলায় নিহত হয় ৮২ জন, যার মধ্যে ৫৭ জনই সাধারণ নির্দোষ জনগণ।

নিউজ লিংকঃ

http://rt.com/news/yemen-strike-drone-wedding-161/

আর বেশিদিন না। দেখা যাবে যে বাংলার আকাশেও আমেরিকান ড্রোন ঘুর ঘুর করছে।

কেন?

"জঙ্গী" শব্দটি বিশ্ব মিডিয়ায় খুবই মারাত্মক বিপদজনক একটি শব্দ। এই শব্দটি শুনলেই মিডিয়া গন্ধ শুঁকে শুঁকে পিছু নিতে থাকে। আমাদের সরকার এই শব্দটি এতোই অতিমাত্রায় অপ্রয়োজনীয় ভাবে ব্যবহার করছে যে আমরা ইতোমধ্যে বিশ্ব মিডিয়ার দৃষ্টি আকর্ষণ করে ফেলেছি।

সরকার বিরোধী আন্দোলনকারী আর জঙ্গীদের মাঝে ব্যাপক ফারাক আছে আর এই কথাটি আমাদের মাথামোটা অপদার্থ গরুছাগল মার্কা সরকার বুঝতেই চায় না। আর সেটাই খাল কেটে কুমির আনার জন্য যথেষ্ট।

মিশরেও সরকার বিরোধী আন্দোলন হয়েছে এই কিছুদিন আগে। কই, তারা তো কখনও আন্দোলনকারীদের জঙ্গী বলেনি। সারা বিশ্বে বিভিন্ন দেশে সরকার বিরোধী আন্দোলন হয়েছে। কিন্তু কেউ এই শব্দটা ব্যবহার করেনি। যারা করেছে তাদের পরিস্থিতি চোখের সামনে।

পাকিস্তানকে দেখুন। গত এক দশকে পাকিস্তানে ড্রোন হামলায় মারা গেছে ২,২০০ জন।

আফগানিস্তানের কথা কি আর বলবো। আমরা সবাই জানি তালেবানরা জঙ্গী। অথচ একজন আফগানির সাথে আপনি কথা বলুন, সে বলবে তালেবানরা আমাদের হিরো, তারা আমাদের দেশের জন্য লড়ছে। আর একথাটাই সত্য। একমাত্র তালেবানদের কারণেই আজ অবধি কেউ আফগানিস্তানকে সম্পূর্ণ কাবু করতে পারেনি। তারা নিজের দেশের জন্য লড়ছে।

এদিকে মিডিয়া ফলাও করে প্রচার করছে তাদের জঙ্গী বলে। আর যেখানেই জঙ্গী, সেখানেই আমেরিকান সেনাবাহিনী অথবা ড্রোন।

গুডলাক বাংলাদেশ।

বিষয়: বিবিধ

৯০৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File