মুখ ফেরানো!!

লিখেছেন লিখেছেন সৎ লোকের শাসন চাই ০২ জানুয়ারি, ২০১৪, ০৫:২৬:৫৮ বিকাল



মাত্র কিছুদিন আগেও যারা আমাদের এই স্বাধীন(?) দেশে এসে একটি নির্দিষ্ট দলকে ক্ষমতায় বসানোর জন্য নগ্নভাবে দূতিয়ালি করে গেছেন, অবাক করার মত বিষয় হলেও সত্য তারাই এখন আস্তে আস্তে বোল পাল্টাচ্ছেন! আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অবস্থান দেখে হোক আর বিবেকের(?) তাড়নায় হোক তাদের এখন শ্যাম রাখি না কুল রাখি অবস্থা।

এতক্ষণে নিশ্চয়ই বুজে নিয়েছেন আমি কার কথা বলতে চাচ্ছি।

হ্যাঁ পাঠক, আমি ওপারের দাদাদের কথাই বলছি। কথা ছিল সব পক্ষের সাথে আলোচনা করে সবার অংশগ্রহনে কিভাবে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করা যায়। কিন্তু তা না করে উনারা আ.লীগের পক্ষে দালালি করে গেছেন।

আমার ভাবতে অবাক লাগে,আমরা স্বাধীন দেশে বসবাস করি। কারণ আমাদের দেশে কীভাবে নির্বাচন হবে,কোন সরকার ক্ষমতায় আসবে, সেই সরকার কতদিন থাকবে আবার কীভাবে নির্বাচন করতে হবে সেই নির্দশনা অন্য একটি রাষ্ট্র ঠিক করে দিবে এই কথা শুনে নিজেকে আজ অনেক অভাগা জাতির একজন নাগরিক মনে হয়।

বিস্তারিত এখানে

যাই হোক উনারা এখন কোন এক অদৃশ্য কারনে গত দুই দিন যাবত একপ্রকার আ.লীগের বিপক্ষেই কথা বলছেন!

তারাই এখন বলছেন ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনের মাধ্যমে যে সরকার গঠিত হবে সেই সরকার হবে পুরাই অবৈধ সরকার!

নতুন(নতুন মোড়কে পুরাতন পণ্য) সরকার গঠন হওয়ার আগেই তারা সেই সরকারকে অবৈধ ঘোষণা করে দিল?

বিস্তারিত এখানে

এ যদি হয় আ.লীগের বন্ধু রাষ্ট্রের মতামত তাহলে অন্য এই সরকারের অপ্রিয় দেশ গুলোর প্রতিক্রিয়া কি হতে পারে একবার ভেবে দেখুন।



১৯৭১ সালে শেমু এবং তার দল আ.লীগ বাংলাদেশের স্বাধীনতা চাননি বলে মন্তব্য করেছেন ভারতীয় এক গবেষক!

বিস্তারিত এখানে

তাহলে কি শেমু শুধুমাত্র ক্ষমতা দখল করার জন্য এদেশের মানুষ দিয়ে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করিয়েছে?

তিনি বলেছেন,তারা যে দেশের স্বাধীনতা চান,সেটা মার্চ মাস পর্যন্ত কোথাও বলেননি।

শ্রীনাথ রাঘবন লন্ডনের কিংস কলেজের রিসার্স ফেলো এবং সেন্টার ফর পলিসি রিসার্সের সিনিয়র ফেলো।

কোথায় এখন স্বাধীনতার পক্ষের সোল এজেন্ট দাবিদাররা? কোথায় এখন স্বাধীনতার চেতনাধারীরা? তাদের চেতনা কি চেতেনা? তাদের চেতনার অঙ্গ কি পুড়েনা?

আসলে চেতনার নামে এসব নাস্তিক কুলাঙ্গারেরা দেশ থেকে ইসলামের নাম মুছে দিতে চায়। তাদের মুল জ্বালা হল ইসলাম।

ইনশাল্লাহ একদিন এই দেশের ধর্মভীরু মানুষ এদেরকে দেশ থেকে বিতাড়িত করবে।

এবং বলবে, “হিন্ধুস্থানের রাজাকার,

তাড়াতাড়ি বাংলা ছাড়”।

বিষয়: রাজনীতি

১৫৫৮ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

158436
০২ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ১০:৩০
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : আই ওয়াস ছাড়া আর কিছুইনা। সরকার আমেরিকা ও ভারত এবং সেনাবাহিনী সবার সমর্থন নিয়েই ক্ষমতায় আছে। আফগানিস্তান থেকে আমেরিকা চলে যেতে চাইছে কারণ যুদ্ধে তারা প্রায় হেরে গিয়েছে। ওবামা ঘোষনাও দিয়েছিল তারা খুব শীঘ্রই আফগান ছাড়বে তবে তাতে ভারতের আপত্তি। কারণ তালেবান ঘোষনা দিয়ে রেখেছে আমেরিকা এ এলাকা ছেড়ে চলে গেলে তারা ভারতের মুসলিমদের বাঁচানোর জন্য ভারতের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হবে। সেটা যদি হয় তখন ভারত অস্তিস্ত সংকটে পড়বে।৫ লাখ সৈন্য দিযেও তারা কাশ্মিরের সামান্য কিছু জঙ্গীদের নির্মূল করতে পারেনা। কাজেই কাশ্মির হাতছাড়া হবে। গুজরাট, আমমেদাবাদ,মুজাফফরনগর,বিহার যেসব অঞ্চলে লাখ লাখ মুসলিমের উপর দীর্ঘদিন গণহত্যা-ধর্ষণ চলেছে যেসব অঞ্চলের মুসলিমরা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে। বাংলাদেশ লাগোয়া বিচ্ছিন্ন অঞ্চলগুলোও হাতছাড়া হবে। অন্যদিকে পাকিস্তান ও চীন ২জনই শত্রু প্রতিবেশি যারা চায় ভারতকে টুকরা টুকরা করতে। এমন মুহূর্তে যদি বাংলাদেশে শত্রু বিএনপি-জামাত থাকে তবে তো আরো শঙ্কার কথা। আবার আমেরিকা এই অঞ্চলে আমেরিকা বিরোধী জংগী সংগঠনগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য এবং চীনকে টেক্কা দেয়ার ভারতের সাথে বন্ধুত্ব গড়েছে। দীর্ঘদিন চাইছে বঙ্গোপসাগরে ঘাটি বানানোর জন্য কিন্তু সেটি ভারতের সাহায্য ছাড়া সম্ভব না তাই বাংলাদেশের ব্যাপারে তারা ভারতের অবস্হানের উপরে সিদ্ধান্ত নিতে চাইছেনা। কিন্তু আমেরিকা বিএনপি-জামাতকে ক্ষমতায় আনতে চায় কারণ তারা সারা পৃথিবী শাসন করে তাই অভিজ্ঞতা থেকে জানে,লীগ যদি ভারতের সাহায্যে ক্ষমতায় আবার আসে তখন তারা বিরোধীদের উপর দমণ-নীপিড়ন ও ইসলামিস্টদের উপর চরম অত্যাচার চালাবে ফলে এই অঞ্চলে জঙ্গীবাদের উল্থান ঘটতে পারে। ফলে গোটা উপমহাদেশ অস্হির হয়ে উঠতে পারে। যেমন সিরিয়াতে প্রথমে সেকুলাররা আসাদ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামে তার দুঃশাসনের বিরুদ্ধে। কিন্তু আসাদ তাদের উপর হত্যাকান্ড চালানো শুরু করে। তারা আসাদ সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেমে যায় তবে আসাদকে ক্ষমতা থেকে নামিয়ে নতুন সেকুলার সরকার আনার জন্য। পরবর্তীতে জাবহাত আন নূসরাহ এর নেতৃত্বে সব ইসলামিস্টরা আসাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামে তবে তাদের লক্ষ্য ইরাক ও সিরিয়া এলাকা মুক্ত করে খেলাফত ব্যাবস্হা কায়েম করা। আর সাম্প্রতিক সময় দেখা যাচ্ছে আসাদ বাহিনীর অবস্হা আগের মত নেই যুদ্ধে তাদের মনবল অনেকাংশে ভেঙ্গে গেছে। তাই আমেরিকা এ অঞ্চলে স্হিতিশীলতার জন্য চাইছে বিএনপিকে ক্ষমতায় আনতে কিন্তু তারা যেহেতু আপাতত ভারতের সাহায্য প্রত্যাশি কাজেই তারা উচ্চবাচ্য করছেনা। আর বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আমেরিকার কথা ছাড়া এক পাও নড়েনা কারণ জাতিসংঘ শান্তিমিশনের উন্য তারা আমেরিকার কমান্ডের উপর নির্ভরশীল। আবার আমেরিকা যদি নাখোশই হবে তবে লীগের সাথে টিকফা চুক্তি, সামরিক মহড়া ইত্যাদি চুক্তি করল কেন?

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File