দয়া করে একটু গুরুত্ব সহকারে পড়ুন

লিখেছেন লিখেছেন হৃদয় আমার তলোয়ার ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১২:৩৩:৫৬ রাত

সবাইকে পবিত্র ঈদুল আজাহার শুভেচ্ছা ---- ঈদ মোবারক

আপনার কোরবানির চামড়াটি কওমি মাদ্রাসায় দেয়ার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করছি। কারণ, এইসব মাদ্রসা সমাজে সু নাগরিক প্রতিষ্টায় অবদান রেখে যাচ্ছেন সরকারের কোনো অনুদান ছাড়াই। মাদ্রাসাগুলো আপনার আমার টাকা দিয়ে চলে। যদি পারেন বিনামূল্যে দিয়ে দিবেন। অবশ্যই আপনার প্রতিবেশী, আত্বিয়ও স্বজনেরও হক আছে এই চামড়ার পয়সাতে। যদি আপনি ৩০/৫০ হাজার বা ১ লক্ষ্য টাকা দিয়ে গরু কিনতে পারেন তাহলে নিশ্চয় আপনার পকেট থেকে ৫০০, ১০০০ টাকা দিতে কোনো ইতস্ত হওয়ার কথা নয়।

কেন আপনার কোরবানির পশুর চামড়াটি কওমি মাদ্রাসায় দিবেন?

একজন অভিবাবক তার সন্তানকে বিদ্যালয়ে পাঠায় শিক্ষা অর্জন করে মানুষের মত মানুষ হয়ে সমাজের উচ্ছ মর্যাদার অধিকারী হওয়ার জন্য। একজন মানুষ তখনি সম্মানিত হবে যখন সে আদর্শবান হবে।কিন্তু সব শিক্ষিতই আদর্শবান হতে পারে না। কারণ সব শিক্ষার মাঝে সত্ শিক্ষা পাওয়া যায় না। একমাত্র কওমী মাদ্রাসায় হল সঠিক শিক্ষার স্থান।

কওমী মাদ্রাসা এমন একটি বিদ্যাপীঠ যেখানে শুধু শিক্ষাই দেওয়া হয়না সাথে সাথে বাস্তব জিবনের চর্চাও করা হয়। কওমী মাদ্রাসা হল মানুষ গড়ার কারিগর যেখানে একজন ছাত্রকে পরিপূর্ণ একজন আদর্শবান ব্যাক্তি হিসেবে গড়ে তুলে।

জিবনের সকল ক্ষেত্রে কিভাবে চলতে হয়,মানুষের সাথে কিভাবে আচরন করতে হয় এবং যত প্রকার আদব - কায়দা আছে, তা কওমী মাদ্রাসায় প্র্যাকঠিকেল্লি শেখানো হয়।

একজন কওমী মাদ্রাসার ছাত্রের মাঝে কি কি চারিত্রিক গুনাবলী আছে আপনি তখনই বুঝতে পারবেন যখন একটা স্কুল কলেজের ছাত্র ছাত্রী সাথে কওমী মাদ্রাসার ছাত্র ছাত্রী কে তুলনা করবেন।

চারিত্রিহীন বা আদর্শহীন শিক্ষার কোন মূল্য নাই, অনেক সময় এই সব শিক্ষা সমাজের জন্য অভিশপ্ত হয়।

কওমী মাদ্রাসা যুগ যুগ ধরে সমাজ উন্নয়নে অবদান রেখে চলছে। এই কওমী মাদ্রাসার অধিকাংশ ছাত্র ছাত্রী এতিম বা খুবই গরিব। প্রতিটি কওমী মাদ্রাসায় রয়েছে এতিমখানা। যারা মোটামোটি সচ্ছল পরিবারের সন্তান তারা নাম মাত্র কিছু খোরাকি দিলে দেয়, না দিলে কোন জোর করা হয় না। তাদের একমাত্র উদ্দেশ্য হল ছাত্র ছাত্রীদের কে সু-শিক্ষায় শিক্ষিত করা। অতচ তারা সরকারের থেকে কোন প্রকার অনুদান পায় না। এই সব মাদ্রাসা সাধরন ধর্মপ্রান মানুষদের অনুদানে চলে। প্রতি বছর কোরবান আসলে তাঁরা কোরবানীর পশুর চামড়া কিনে এবং বড় বড় ব্যাবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে। অনেক আল্লাহর বান্দা আছে যারা পশুর চামড়া ফ্রি দিয়ে দেয়। এই চামড়ার ব্যাবসা থেকে যা লাভ হয় তা দিয়ে ছাত্র ছাত্রীদের জন্য ভবন তৈরি করে বা কর্য পরিশোধ করে বা শিক্ষকদের বকেয়া বেতন দেয়।

সকলের প্রতি আমার বিনীত অনুরোধ, আপনার কোরবানির পশুর চামড়াটি কওমী মাদ্রাসায় দান বা সূলভ মূল্য বিক্রি করুন যদিও আপনার কোন সন্তানই না পড়ুক কিন্তু অন্য কাহরো সন্তানতো পড়তেছে। এটি আখেরাতে আপনার নাজাতের উসিলা হতে পারে।

বিঃদ্রঃ - এখানে আমি অন্য কোন শিক্ষাকে অমূল্যায়ন করি নাই। আমিও একজন জেনারেল স্টুডেন্ট।

বিষয়: বিবিধ

১১৬৭ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

377481
১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬ রাত ০১:১৩
শাহাদাত হুসাইন নবীনগর লিখেছেন : আমার কোরবানীর চামড়াও কওমী মাদরাসায় দেবো ইনশা আল্লাহ্
১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬ রাত ১১:৪৫
313033
হৃদয় আমার তলোয়ার লিখেছেন : ধন্যবাদ
377485
১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬ রাত ০২:০৮
আফরা লিখেছেন : ভাল লাগল ধন্যবাদ ।
১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬ রাত ১১:৪৪
313032
হৃদয় আমার তলোয়ার লিখেছেন : আপনাকেও ধন্যবাদ
377491
১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬ রাত ০৩:৩৮
সন্ধাতারা লিখেছেন : Salam n eid Mubarak. Important writing. Jajakallahu khair.
১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬ রাত ১১:৪৪
313031
হৃদয় আমার তলোয়ার লিখেছেন : ধন্যবাদ
377523
১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬ দুপুর ০৩:১৫
হতভাগা লিখেছেন : ঈদ মুবারাক । আল'হামদুলিল্লাহ্‌ , কুরবানীর চামড়া মাদ্রাসাতে দেওয়া হয়ে গেছে ।





১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬ রাত ১১:৪২
313030
হৃদয় আমার তলোয়ার লিখেছেন : মাশাআললাহ, আললাহ আপনাকে কবুল করুক- আামিন

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File