যে কারনে পহেলা বৈশাখি পালন ইসলামে নিষিদ্ধ
লিখেছেন লিখেছেন হৃদয় আমার তলোয়ার ১২ এপ্রিল, ২০১৬, ০২:৩৬:৩৫ দুপুর
(১) “এসো হে বৈশাখ”বলা নিষেধ ৷ কারন এর দ্বারা
মাখলুকের নিকট কল্যাণ কামনা করা হয়৷ অথচ
কল্যানের মালিক একমাত্র আল্লাহ তা’লা ৷
২) বড় বড় র্যালি বের করা যাকে মঙ্গল শুভ যাত্রা
বলা হয় , এটা নিরেট হিন্দুদের ধর্মীয় কাজ। যা
কোন মুসলমান কখনো করতে পারেনা৷
৩) পহেলা বৈশাখে পান্তা- ইলিশ খাওয়া এটা ও
মূলত হিন্দুদের থেকে এসেছে কেননা তারা
আশ্বিনের শেষ রাত্রে রান্না করে কার্তিকের
প্রথম দিনে খায়৷
৪) এই দিনে সাদা কাপড়/শাড়ী পরিধান করে এবং
কপালে শাখা-সিঁদুর লাগায় ও উলুধ্বনি দেয় ৷ যা
মূলত হিন্দুদের কাজ৷
৫) জীব জন্তূর কার্টুন ব্যবহার করা,যেমন
বাঘ,শিয়াল,বানরের এটা ঠিক নয় ৷ কারন হিন্দুরা
হনুমান/ সাপের পূজা করে৷
এগুলো নিষেধের কারন হলো : রাসূল ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,যে ব্যক্তি অন্য
কোনো জাতির অনুসরন করবে, সে তাদের দল ভূক্ত
হবে৷ তাই আমরা হিন্দুদের দল ভূক্ত হতে চাই না ৷
৬) গালে, কপালে, হাতে উল্কি আঁকা, শরীরের যে
কোনো জায়গায় খুদাই করা । এটা তিন কারনে
নিষেধ
(ক): হাদীসে এসেছে,যে ব্যক্তি উল্কি আঁকে,এবং
যে আঁকায় তাদের উপর আল্লাহর অভিশাপ ৷
(খ) শারিরীক লস, কেননা চিকিৎসকরা বলেন,
কেমিক্যল ক্রিম,/ বস্তূ গুলো ত্বকের জন্য ব্যবহার
করা মারাত্বক ক্ষতিকর৷
(গ) বেপর্দা
৭) গান বাজনা ছাড়া তা পালন হয় না ৷ তার জন্য
ঢুল/ তবলার প্রয়োজন, আর হিন্দুরা পূজার সময়
ঢুল,তবলা বাজায় ৷ তা ছাড়া হাদিসে নিষেধ
এসেছে৷
৮) নারী,পুরুষের অবাধ মেলামেশা ৷
যার ফলে অনেক সময় অপ্রীতিকর ঘটনা সংঘটিত হয়,
যেমন গত বৎসরের আগের বৎসর পহেলা বৈশাখে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হয়েছে৷ অার গত বৎসর
টি,এস,সি মোড়ে যা হয়েছে তা সবার জানা ৷ এ
ছাড়া সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, ও রমনা পার্ক
এলাকার অবস্থা যে কত ভয়াবহ রূপ ধারন করে তা
লিখে শেষ করার নয় ৷
৯) আল্লাহর সৃষ্টির পরিবর্তন। যেমন উল্কি,ক্ষুদাইকরা, মুখোশ ব্যবহারের দ্বারা করা হয়,অতচ তা সম্পূর্ন
নিষেধ৷
১০) পহেলা বৈশাখ উদযাপনকে দুই ঈদের বিকল্প
হিসাবে দাঁড় করানো হয়। যেমন গত কয়েক বৎসর
পূর্বে প্রথম আলোর হেড লাইন ছিল, “বাংগালীদের
সব চেয়ে বড় উৎসব”
ব্যবধান হল শুধু মাএ ইদ শব্দের, ইদ বলতে
পারতেছেনা ভয়ে, কেননা ইদ বলে / লিখে দিলে
মানুষের মার খেতে হবে৷ তাই ইদের মত নতুন
খাবার,কাপড়, এবং মিডিয়ায় খুব বেশি প্রচারনা
চলতে থাকে৷তা ছাড়া অপচয় টাকা ব্যয় করা হয় ৷
যেমন ইলিশের হালি চল্লিশ হাজার টাকা ( গত
বৎসরের মানবজমিন)
হায়রে বাংঙালী ! পহেলা বৈশাখে ইলিশ-
পান্তা না খেলে কি বাংঙালী থাকা জায়না?
মনে রাখবেন এর দ্বারা হয়ত আপনি বিশাখ
দেবতাকে খুশি করতেছেন, না হয় শয়তান কে!!!
কেননা হিন্দুরা বিশাখ তারার পূজা করে এই দিনে
৷ না হয় অপচয় খরচ করে শয়তানের বন্ধুতে পরিনত
হলেন ৷ অতচ আল্লাহপাক কুরআনে বলেন,”
নিঃসন্দেহে অপচয়কারী হলো শয়তানের ভাই”
আল্লাহ অপচয় কারী কে ভালবাসেন না”৷
আল্লাহপাক প্রত্যেক মুসলমান নর- নারী কে পহেলা
বৈশাখ পালন করা থেকে হেফাযত করুন-আমিন।
বিষয়: বিবিধ
১৩৯১ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ইমাম ইবনে কায়্যিম (রাহিমাহুল্লাহ) এর বক্তব্য শুনুন,
“কাফেরদের তাদের উৎসবে সম্ভাষণ জানানো আলিমদের ঐক্যমতের ভিত্তিতে নিষিদ্ধ। এটা কাউকে মদ খাওয়া বা খুন করা বা ব্যভিচার করায় সাধুবাদ জানানোর মতো। যাদের নিজের দ্বীনের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ নেই, তারাই কেবল এ ধরনের ভুল করতে পারে। যে অন্যকে আল্লাহ্র অবাধ্যতা, বিদ’আত, অথবা কুফরীতে জড়ানোর কারণে শুভেচ্ছা জানাবে সে আল্লাহ্র ক্রোধ ও শাস্তির সামনে নিজেকে উন্মুক্ত করল”।হিন্দুয়ানী সংস্কৃতি থেকে নিজেকে বিরত রাখুন।
এত বেশী কথা চাউর হয়ে গেলে কেউ কেউ হয়ত এই পরিস্থিতিতে ঘোলা জলে মাছ শিকার করতে আসবে ।
বোমা ফাটিয়ে মুসলমানদেরকে ফাঁসাতে চাইবে । সাধারণ জনগন এসব ব্যাপারে চোখ বুঝে বিশ্বাস করে যে এটা মুসলমানদেরই কাজ ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন