বাপের চেয়ে এক ধাপ এগিয়ে

লিখেছেন লিখেছেন হৃদয় আমার তলোয়ার ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫, ০১:২০:৩৫ রাত

শেখ মুজিব রক্ষীবাহিনী গঠন করেছিল সেনাবাহিনী বিলুপ্ত করার জন্য। যখন কোন কারনে সেনাবাহিনী প্রয়োজন হলে ভারত সাহায্য করবে। এমন কথাই বলেছিলেন একজন বৃদ্ধ লোক, যিনি শেখ মুজিবের অত্যাচার দেখেছেন। তিনি আরও বলেছিলেন, রক্ষীবাহিনীর অত্যাচার পাকিস্তানী হানাদারবাহিনীর অত্যাচেরর চেয়েও ভয়াবহ ছিল।

এখন মনে হচ্ছে, মুরুব্বীটা ঠিক বলেছেন।

আমি হানাদার বাহিনীর অত্যাচারও দেখিনি, রক্ষীবাহিনীর অত্যাচারও দেখিনি। তখন সেনাবাহিনীর ভূমিকা কি ছিল তাও দেখিনি। সব শুনেছি আর পড়েছি। কিন্তু এখন বুঝতে পারতেছি, রক্ষীবাহিনীর কেমন অত্যাচার করেছিল। এখন শেখ মুজিব নেই, আছে তার সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা। তবে শেখ মুজিবের চেয়ে তার কন্যা এক ধাপ এগিয়ে আছে। বাপে ঘোষনা দিয়ে রক্ষীবাহিনী গঠন করেছে, আর সেই সুবাদে বাকশাল সরকার গঠন করেছেন। এই কারনে বেশিদিন ঠিকে থাকতে পারেনি। কারন, তখন সেনাবাহিনীর ছিল প্রচুর দেশপ্রেম, তাঁরা দেশের জন্য জিবন দিতে একটুও দ্বিধা করতেন না। আর তার কন্যা ঘোষনা না দিয়ে রক্ষীবাহিনীর আদলে স্ব স্ব বাহিনীতে ছোট ছোট বাহিনী গঠন করেছে যারা পুরো বাহিনীকেই নিয়ন্ত্রণ করে। র‍্যাব, পুলিশ, বিজিবি রক্ষীবাহিনীর আদলে কাজ করতেছে। এই তিন বাহিনীকে রক্ষীবাহিনী বললে ভূল হবেনা। আর বাকশালী কায়দায় দেশ চালাইতেছে। সেনাবাহিনীকে করেছে পঙ্গু। হাসিনা বাপের ভূল থেকে শিক্ষা নিয়ে কৌশলে বাপের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতেছে। তাইতো ক্ষমাতা আসার এক দুই মাসের মধ্যে সব দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের হত্যা করেছে যেন, তার প্রতিবন্ধক সৃষ্টি না হয়। এখন সেনাবাহিনীর মধ্যে যারা আছে তাদের ব্যাপারে কিছু বলার নেই, তারা এখন ডাবল বেতন ও শান্তি মিশনে যাওয়ার জন্য উদগ্রীব হয়ে থাকে। তাদের নিয়ে বেশি কিছু বললে আবার 'সেনাবিদ্রোহ উস্কানি' র মামলা হবে, এই কারনে বিদেশেও ঠিকে থাকতে পারবনা! তারেক রহমানের মত আমার জন্যও আবার ইন্টারপোলের সাহায্য চাইবে!! সত্য কথা বললে যদি উস্কানি হয় তাহলে হোক, তাই বলে কি আমি সত্য কথা বলতে পারবনা! সেনাবাহিনী হল দেশের স্বার্বভৌমত্মের পাহারাদার। দেশের অর্ধেক বাজেট তাদের পিছনে ব্যায় হয়। তারা জনগনের ট্যাক্সের টাকায় চলে অতচ জনগনের বিপদে তারা নাই। এটা বলা যদি অপরাধ হয় তাহলে ১৬ কোটির মানুষের মধ্যে ১৫ কোটির মানুষের মত আমিও অপরাধী। বঙবীর কাদের সিদ্দিকী ঠিকই বলেছেন, দেশে অশান্তি, তারা জাতীয় সংঘের শান্তি মিশনে কি করে। আমার ভয় হচ্ছে, এই অবৈধ সরকার আর দুই এক বছর ঠিকে থাকতে পারলে র‍্যাব, পুলিশ আর বিজিবি হবে আর একটি রক্ষীবাহিনী। তখন সেনাবাহিনীর প্রয়োজন হবে না! এখনো সময় আছে দেশকে বাঁচানোর জন্য কিছু একটি করতে পারে। দেশের তরে সবাই একই পতাকার তলে আসুক, এটি সবার কামনা। সেনাবাহিনীকে অনুরোধ করব, জনগনের ভাষা বুঝতে চেষ্টা করুন, প্রয়োজনে উর্দি খুলে জনগনের সাথে মিশুন, গ্রামে গঞ্জে চায়ের দোকানে, শহরে অলিগলিতে টং এর দোকানে বসে চা পান করুন, তখন বুঝতে পারবেন জনগন কোন আতংকের মধ্যে আছে। আতংকিত জনগনকে বাঁচানোর দায়িত্ব কি আপনাদের নই???

বিষয়: বিবিধ

১৩১৪ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

306144
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ রাত ০২:০৬
দুষ্টু পোলা লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
306165
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ সকাল ০৬:০৯
শেখের পোলা লিখেছেন : সংবিধান লঙ্ঘণ করে ক্ষমতা দখলের শাস্তি মৃত্যু দণ্ড৷ অতএব, কে যাবে জীবন দিতে৷ তার চাইতে যা চাইছি তাই পাচ্ছি,এটাই ভাল৷ শেখ মুজিবের হত্যায় দদেশের লোক আল হাদু লিল্লাহ বলে খুনীদের দীর্ঘায়ু কামনা করে ছিল৷ তাদের যখন ফাঁসী হল তখন সেই জনগন নীরব থাকল অথবা হাতে তালিদিয়ে উল্লাস করল৷ অতএব, অরণ্যে রোদন না করে আসুন সর্বশক্তিমানের সাহায্য চাই৷

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File