পার্বত্য চট্টগ্রাম কি দেশের ভিতরে আর একটি দেশে?
লিখেছেন লিখেছেন হৃদয় আমার তলোয়ার ২০ ডিসেম্বর, ২০১৪, ০১:৪৬:১৬ রাত
মিজান - সুলতানা গং দেশ বিরোধী গভীরে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আর আমরা ঘুমিয়ে আছি।
তারা মানবধিকার নামে পার্বত্য চট্টগ্রামের উপজাতীয়দের প্রতি যে মায়াকান্না দেখাইতেছেন তা থেকে স্পষ্ট বার্তা হল তারা ইহুদী খৃষ্টানদের এজেন্ট হয়ে নীলনকশা বাস্তবায়ন এগিয়ে যাচ্ছে। এতদিন তারা গোপনে কাজ করলেও এখন আর গোপন নেই। মনে হয় তারা ফ্যাসিবাদী সরকারে থেকে গ্রিন সিগনাল পেয়েছে, না হয় তাদের এত স্পর্দা কেমন হল যে, পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে পাহাড়ি বাংগালিদের কে সরানোর আহবান জানাবে। তারা নিশ্চয় পার্বত্য চট্টগ্রাম কে বাংলাদেশের অংশ মনে করে না! যদি করত তাহলে কেমন করে বলতে পারে বাংলাদেশের একটি অংশ থেকে বাংলাদেশীদেরকে বের করে দিতে! এটা কি গভীর ষড়যন্ত্ররের অংশ নয় কি? পার্বত্য চট্টগ্রামে তাদের আনাগোনা এত বেশি কেন? এটা কি আমাদেরকে ভাবিয়ে তুলেনা? স্বাধীনতার পর থেকে পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে ইহুদী খৃষ্টানদের ষড়যন্ত্র বেড়েই চলেছে। তারা প্রতিনিয়ত ভেবে থাকে কিভাবে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আর একটি রাষ্ট্র সৃষ্টি করা যায়। এই জন্য তারা বাংলাদেশে এনজিও র মাধ্যমে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশে যত এনজিও সংস্থা আছে তাদের অধিকাংশই ইহুদী খৃষ্টানদের এজেন্ট হিসেবে কাজ করে। তাদের কে মূলত সাপোর্ট দেয় এই দেশে জন্ম নেয়া কিছু কুলাংকার।
বাংলাদেশে কিছু 'মানবধিকার সংগঠন' আছে যাদের কাজ হল শুধু পার্বত্য চট্টগ্রামের চাকমা মারমাদের জন্য অধিকার রক্ষায় কাজ করে! তাদের ভাবখানা এমন যে, সরকার ও পাবলিক তাদের সব অধিকার হরণ করছে! তাদের কে খেতে দিচ্ছে না! পড়তে দিচ্ছে না! তাদেরকে প্রতিদিন নির্যাতন করে হত্য করে! তাদের নারীদের কে ধর্ষণ করে!
অতচ এই ইহুদী খৃষ্টানদের নীলনকশা বাস্তবায়নকারী 'সিএইচটি কমিশন' পাহাড়ি চাকমা সন্ত্রাসীদের অস্ত্রের ঝনঝনানি শুনে না! দেখে না তাদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড! বুঝে না পাহাড়ি বাঙালীদের আর্তনাদ! দেখেনা চাকমা সন্ত্রাসীদের দ্বারায় ধবংস করা পাহাড়ি বাঙালীদের ঘরবাড়ি ও ক্ষেতকামার!
শুনবে কেন? তারাতো বাঙালীদের অধিকার রক্ষার জন্য কাজ নেয়নি।
সিএইচটি কমিশনের কো চেয়ারম্যান সুলতানা কামাল চক্রবর্তী ও খুশি কবির সহ অনেক ষড়যন্ত্রকারী কয়েকমাস আগে পার্বত্য চট্টগ্রামে গিয়েছিল। চাকমাদের সাথে বৈঠক করার জন্য। তারা বিক্ষুব্ধ জনতার মুখে পড়ে। সে সময় পার্বত্য গণপরিষদের নেতা জালাল উদ্দীন আহমেদ আলমগীরের অভিযোগে জবাবে বাঙলীদের সরে যেওয়ার ব্যাপাররে সম্পুর্ণ অস্বিকার করে। অতচ কয়েকদিন আগে মিজানুর রহমান ও সুলতানা কামাল অকপটে বলে দেন যে, পাহাড়ি বাঙলীদের সরে যেতে হবে।
http://parbattanews.com/%e0%a6%aa%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a6%a4%e0%a7%8d%e0%a6%af-%e0%a6%9a%e0%a6%9f%e0%a7%8d%e0%a6%9f%e0%a6%97%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a7%87-%e0%a6%aa%e0%a7%81%e0%a6%a8%e0%a6%b0/#.VJQROu2qoIE
বিবিসি বাংলায় দেখলাম, পার্বত্য গণপরিষদের নেতা জালালউদ্দিন আহমেদ আলমগীর বলেছেন, “২০০৯ সালে এই আন্তর্জাতিক কমিশন পার্বত্য এলাকা সফরের পর এই এলাকা থেকে সাড়ে চার লক্ষ বাঙালিকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিঠি দিয়েছিল। সে খবর পত্রিকায় এসেছে।” কিন্তু বাঙালিদের উচ্ছেদের সুপারিশ করে কোন ধরনের কোন চিঠি দেওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন সুলতানা কামাল। এ ধরনের অভিযোগকে তিনি ‘হাস্যকর এবং মিথ্যা’ বলেও বর্ণনা করেন। সুলতানা কামাল জানান,“আমাদের সুপারিশমালায় রেখেছিলাম – যাদের সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বা পুনর্বাসন করা হয়েছে তারা যদি স্বেচ্ছায় কেউ সেখান থেকে চলে আসতে চায় তাহলে তাদের সেই সুযোগ করে দেওয়া যেতে পারে।” সুলতানা কামাল বলছেন তাদের গঠিত কমিশন পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির ‘বাস্তবসম্মত এবং যুক্তিসংগত’ বাস্তবায়নের উপর জোর দিচ্ছে। আমি জানি না,কেন সুলতানা কামালদের মনে হলো, কোন বাঙালি ‘স্বেচ্ছায়’ পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে চলে যাওয়ার ইচ্ছা পোষন করবে! তার কাছে কি এমন কোন বাঙালি অভিযোগ করেছেন যে, তাকে জোর করে পার্বত্য চট্টগ্রামে ধরে রাখা হয়েছে?! আমি জানি না, এমন অভিযোগ কেউ করেছেন কিনা। তাই বুঝতে পারছি না, ‘স্বেচ্ছায়’ চলে যাওয়ার প্রশ্ন উঠলো কেন! কিন্তু একই সাথে আশ্চর্য হয়েছি, কারণ সুলতানা কামালরা ২০০৯ সালের সেই প্রতিবেদনে বাঙালিরা স্বেচ্ছায় চলে যেতে না চাইলে, ‘কিছু একটা’ করার সুপারিশও রেখেছিলেন। কিন্তু বিবিসি বাংলাকে সেই কথা তিনি এড়িয়ে গেছেন, অথবা বিবিসি বাংলা সেই অংশ ছাপেনি। সেটি হলো, বাঙালিরা স্বেচ্ছায় চলে যেতে না চাইলে তাদের ‘সকল সুযোগ-সুবিধা’ বন্ধ করে দেয়া! আমি এখন আরও একবার আশ্চর্যনিত হয়েছি! তিন মাস পরপর ৯০ কেজি মোটা চাউল দেয় সরকার সেসব পুনর্বাসিত পরিবারকে। এর বাইরে কোন সুবিধা দেয় বলে আমার জানা নেই। তাই ‘সকল সুযোগ-সুবিধা’ বলতে কমিশন কী বুঝিয়েছেন, সেটি আমার বোধগম্য নয়! তারা কি বুঝিয়েছেন যে, ৩০ বছর আগে সরকার যে, ৫ একর জমিতে ৫০ পরিবারের থাকার ব্যাবস্থা করেছে, সেই ‘সুবিধা’ তুলে দিতে অর্থাৎ উচ্ছেদ করতে?! কিন্তু সুলতানা কামাল বলছেন, তারা উচ্ছেদের সুপারিশ করেননি। তাহলে নিশ্চয়ই তিন মাসে ৯০ কেজি চাউল না দিতে সুপারিশ করেছেন তারা!
আমার প্রশ্ন হল, ‘মানবাধিকার সংগঠন’ ভূমিহীন মানুষদের জন্য সরকারের দেয়া সামান্য চাউল বন্ধ করতে সুপারিশ করেছে! আমি বুঝতে অক্ষম, কী করে সিএইচটি কমিশন নিজেদের একটি মানবাধিকার রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সংগঠন বলে পরিচয় দেয়!
http://www.bbc.co.uk/bengali/news/2014/07/140705_mb_bd_cht_attack
আসুন আমরা সব ভেদাভেদ ভূলে গিয়ে দেশের স্বার্থে এক প্লাটফর্মে দাঁড়াই। যদি ষড়যন্ত্রকারীদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন হয় তাহলে আমাদেরকে পিলিস্তিনিদের ভাগ্য বরণ করতে হবে।
বিষয়: বিবিধ
১৩০৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন