সেনাসদরে জিওসিদের বৈঠক শুরুঃ আর্মিকে বশে রাখতে ৫ বিলিয়ন ডলারের ঘোষণা আসছে
লিখেছেন লিখেছেন হৃদয় আমার তলোয়ার ০৯ অক্টোবর, ২০১৩, ১১:০০:৫২ রাত
সেনাসদরে জিওসিদের বৈঠক শুরুঃ আর্মিকে বশে রাখতে ৫ বিলিয়ন ডলারের ঘোষণা আসছে
মঙ্গলবার ঢাকার সেনাসদরে শুরু হয়েছে সেনাবাহিনীর ফরমেশন কমান্ডারদের বৈঠক। অনেকেই এই বৈঠককে রুটিন বৈঠক বললেও সেনা সংশ্লিষ্ট কিছু সূত্র এবিষয়ে ভিন্ন ভিন্ন খবর দিচ্ছে। দেশব্যাপী এমনকি দেশের বাইরেও চলছে ব্যাপক আলোচনা ও কানাঘুষা। জেনারেলদের চলমান এই বৈঠকে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি এবং সম্ভাব্য রাজনৈতিক সংকটে অচলাবস্থা হলে তাদের করনীয় সম্পর্কেও আলোচনা হয় বলে জানা গেছে। সরকারের তরফ থেকে বিরোধীদের উপর সম্ভাব্য আক্রমণাত্মক ভুমিকা নেয়ার কথা উঠলে অনেক জেনারেল এতে সায় দিতে রাজী নন বলে জানিয়েছেন। বিরোধী দল কোনরূপ আক্রমণাত্মক ভুমিকায় না থাকায় এমনকি হরতালের মতো কর্মসূচি না দেয়া সত্বেও তাদের উপর চড়াও হলে সেনাবাহিনী জনসমর্থন হারাবে বলে অনেকেই মত প্রকাশ করেন।
জনগণের প্রতি সেনাবাহিনীর এই সহানুভূতিশীল ভুমিকায় সরকার অনেকখানি নাখোশ হলেও তারা সেটি প্রকাশ না করে ভিন্ন আঙ্গিকে সশস্ত্র বাহিনীর প্রতি নিজেদের দরদ প্রকাশ করতে যাচ্ছেন। এজন্য আজ থেকে যে কোনদিন সেনাবাহিনীর উন্নয়নে ৫ বিলিয়ন ডলারের উন্নয়ন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
তবে যে বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা রয়েছে তা হলো সেনাবাহিনীকে দেশব্যাপী ৫টি কমান্ডে বিভক্ত করে দেয়া হবে। এছাড়া আরও ৪টি নতুন ডিভিশন গঠনের ঘোষণাও দেয়া হতে পারে বলে জানা গেছে। প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের মতে আওয়ামী ‘ফোরসেস গোল’ অনুযায়ী বাংলাদেশের সম্ভাব্য আক্রমণকারী যদি ভারতকে হিসেবে না রাখা হয় তবে এতো বড় সেনাবাহিনীর যৌক্তিকতা নেই। ভারতের একই তালে যদি রাশিয়ান অস্ত্র দিয়েই বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীকে সাজানো হয় সেক্ষেত্রে ভবিষ্যতে সশস্ত্র বাহিনী সম্ভাব্য যুদ্ধে যুদ্ধাস্ত্রের রসদ সাপ্লাই নিয়েও ঝামেলায় পড়বে। তাই বিশ্লেষকদের মতে সশস্ত্র বাহিনীকে চীনের বিপরীতে ভারতীয় বাহিনীর সহায়ক ভুমিকায় নিয়ে যাওয়ার এক দীর্ঘ পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই এগুলো করা হচ্ছে।
এ বিষয়গুলোতে সশস্ত্র বাহিনীর ভেতরেই চাপা ক্ষোভ রয়েছে, যা সরকারী দলের অনুকুলে নাও যেতে পারে। আগামী নির্বাচন নিয়ে যে উৎকণ্ঠা জাতির ভেতরে বিদ্যমান স্বার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য ধর্মগ্রন্থ নিয়ে শপথকারী সেনাবাহিনী তা থেকে মুখ ফিরিয়ে রাখতে পারে না বলেও অনেকেই জানিয়েছেন। তবে অধিকাংশ উচ্চপদস্থ সেনা কর্মকর্তা ইতিমধ্যেই কোনরূপ জনস্বার্থ বিরোধী কোন অবস্থানে নিজেদের নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে তাদের অপারগতা জানিয়ে দিয়েছেন নিজেদের ঐ চলমান বৈঠকে। তবে অতি উৎসাহী অনেক ভারতপন্থী জেনারেলদের কৌশলী ভুমিকা ও তাদের প্রতি ভারতীয় প্রেসক্রিপশন ৪ দিনের ঐ বৈঠক শেষে ফলাফল কোথায় গিয়ে শেষ হয় তা নিশ্চিত করে বলার সময় এখনো হয়নি বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে।
http://www.sheikhnews.com/2013/10/08/bangladesharmy/
বিষয়: বিবিধ
১১৮৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন