দোষী কি না তা জানি না তবে এই বুড়া গুলোর আচারন সত্যিকারের ক্রিমিনালের মত,,, কিছু প্রশ্ন ???

লিখেছেন লিখেছেন পরবাসী ০৯ নভেম্বর, ২০১৪, ০৬:৩৭:৪৯ সন্ধ্যা

আচ্ছা আপনারা যারা জামাত করেন আর আপনাদের শীর্ষ নেতৃত্ব কে নিরাপরাধ মনে করেন তাদের প্রতি কিছু প্রশ্ন :

১) দেশের সর্বোচ্চ আদালত থেকে প্রমানিত হয়েছে এরা যুদ্ধের সময় গুরুতর অপরাধের সাথে জড়িত, কিসে আপনাদেরকে নিশ্চিত করল যে আসলেই তারা নিরাপরাধ (যেহেতু যারা ব্লগ জগতে বিচরন করেন তাদের প্রায় সবাই ৭১ পরবর্তী প্রযন্ম)। তাও আবার সকল নেতার ক্ষেত্র, এমনও তো হতে পারে কেউ আসলেই দোষী কেউ আসলেই নির্দোষী। এনারা দলীয় নেতা বলেই উনাদের নির্দোষ দাবী করা হয়, তাই নয় কি ?

তাহলে ব্যাপারটা কি দাড়ালো, আওয়ামীলিগ যেমন রাজনৈতিক স্বার্থে এই বিচার করছে আপনারাও তেমন রাজনৈতিক স্বার্থে কোনকিছু নিশ্চিত না হয়েই এদের নির্দোষ দাবী করছেন, এটা রাজনীতির খেলা চলছে আরা এই খেলায় আপনাদের গূটি কাটা যাচ্ছে, এখানে শহীদ,ইসলাম এইসব কোন ফ্যাক্ট না।

২) মুক্তিযুদ্ধের সময় দেশে ৩০ লাখ লোক না হোক কমপক্ষে ৩ লাখ লোককে যে হত্যা করা হয়েছে এটা অনুমান করাই যায়। আপানারা কি একটা প্রমান দেখাতে পারবেন যে তারা এর একটা নুন্যতম প্রতিবাদ করছে। যারা এতবড় একটা হত্যাযগ্গের প্রতিবাদ করে না, আরো তার সমর্থন করে তারা কত বড় ভালো মুসলিম তা বুঝাই যায়।

আমার সামনেও যদি একজন অমুসলিমকেও অন্যায়ভাবে হত্যা করা হয় আমি প্রতিবাদ করতে বাধ্য। আমি যদি একটা বড় দলের নেতা হই আমার দায়িত্ব আরও বেড়ে যায়।

৭১ সালে জামাতের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত ছিল পাকিস্তানের পক্ষে ব্লা ব্লা এইসব হেনতেন বইলেন না, রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত হইলে আপনারা রাজনৈতিক ভাবেই সমাধানের পক্ষে থাকতেন আর ভয়ানক হত্যাকান্ডের প্রতিবাদ করতেন যদি নুণ্যতম মানবতাবোধ থাকত, নুণ্যতম ইসলাম তো পরের বিষয়।

৩) এই আদালত রাজনৈতিক উদ্দ্যেশ্যপ্রনদিত সরকার জামাত কে রাজনীতির মাঠ থেকে নিশ্চিহ্ন করার জন্যেই বিচার শুরু করছে :

তাই যদি মনে করেন তাহলে উচ্চ আদালতে আপিল করছিলেন কেন ?

একটা আদালতে যদি আস্থা না থাকে তাহলে সেখানে কেউ আপীল করে না। খুব সিম্পল ব্যাপার, মাহমুদুর রহমান (আমারদেশ) বিশ্বাস করেন এখানে সবাই দলীয়ভাবে বিচার করে, আমি সুবিচার পাব না তাই আমি জামিন চাব না। এটাই হওয়া উচিত নয় কি ?

মামলার শুনানীর সময় "ইয়োর অনার/মাই লর্ড" (প্রসংগত: কোন মানুষকে মাই লর্ড বলা বড় শিরক, জামাতের আব্দুর রাজ্জাক তাও বলে) এইসব বুলি ছাড়বেন আর দোষী প্রমানীত হলে বলবেন "এই রায় ন্যায়ভ্রষ্ট" আমরা আপীল করব। আপীলে হারলে বলেবেন আমরা রিভিউ করব (একই সাথে হরতালও করব)

রিভিউ তে হারলে বলবেন "তিনি শহীদ হয়েছেন আল্লাহ বিচার করবেন" এইসব ছোটলোকি যারা নিছক রাজনৈতিক দল তাদের মানায়, ইসলামের নাম দিয়ে রাজনীতি করা কোন দলের মানায় না।

৪) কথা পরিস্কার, যদি মনে করেন আদালত দলীয়, তাহলে আইনী লড়াই কইরেন না, রাস্তায় ভাংচুর/ হরতাল করে আদালত বন্ধ করার চেষ্টা করেন। আরা যদি মনে করেন সুবিচার পাইতে পারি তাইলে অন্তত রায়ের বিরুদ্ধে হরতাল/ভাংচুর কইরেন না। একমাত্র ছোটলোকরাই "মারতেও পারে আবার কাদতেও পারে"

৫) উমাইয়া শাসনামলে বহু সাহাবায়ে কেরামকে অন্যায়ভাবে শহীদ করা হয়েছে। এমন একটাও কি উদাহারন দেখাতে পারবেন অন্য সাহাবারা এর প্রতিবাদে হরতাল/ভাংচুর করেছেন। উনারা ধর্য্য ধরেছেন কারন এই ভাবে বিনা দোষে প্রান দেওয়ার মাধ্যমে উনারা কিয়ামতের দিন আরো মর্যাদাবান হবেন। এটাই ইসলামের শিক্ষা, বিপদে পড়লে ধর্য্য ধরত হয় আল্লাহর কাছে দোওয়া করতে হয়। আর আপনারা জামাতির দোওয়া করা থেকে ভাংচুর/হরতাল করাকে প্রাধান্য দেন।

৬) উনি ইসলামী আন্দোলন করার কারনে আজকে উনাকে ফাসী দেওয়া হয়েছে: তাই যদি মনে করেন তাহলে চুড়ান্ত রায় হয়ে যাওয়ার পরেও রিভিউ এর জন্যে হাতে পায় ধরতেছেন কেন ? যদি এমন সম্ভাবনা থাকত রিভিউ হলে রায় পরিবর্তন হবে তাহলে একটা কথা ছিল।

এর পরও "পূর্নাংগ রায় বের হওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে রিভিউ পিটিশন করব তা শুনানী হয়ে ফয়সালা হবে, তার পুর্নাংগ রায় বের হবে তারপর রাষ্ট্রপতির ক্ষমার জন্যে আরও ১৫ দিন পাব" এইসব বলার একটাই উদ্দ্যেশ্য, হেনতেন করে আর কিছু দিন দুনিয়ায় থাকা।

জামাতের কোন নেতা রাষ্ট্রপতির কাছে মার্সি পিটিশন করবে না এটা সবাই জান, তারপরও এখন সেটা বলে না , যদি ঝুলায় দেয়। তাই বলছে 'রিভিউ হবে তারপর জানাবো রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাব কি না। এটাই হচ্ছে ক্রিমিনাল দের আচারন।

আমার সবাই জানি মুমিনের জন্যে দুনিয়া থেকে আখেরাত অনেক ভাল জায়গা। উনারা যদি সত্যিকারের মুমিন,ইসলামী আন্দোলনের সৈনিক,মুজাহিদ,শহীদ হন তবে দুনিয়ায় কয়টা দিন বেশী থাকার জন্য এত ছলচাতুরী করা লাগে কেন।

উনারা যদি সত্যিকারের মুমিন,ইসলামী আন্দোলনের সৈনিক,মুজাহিদ,শহীদ হন তাহলে উনাদের অন্যায় ভাবে ফাসী দেওয়ার সাথে সাথে জান্নাতে চলে যাবেন,সারা জীবনের গুনাহ মাফ হয়ে যাবে , এত বড় একটা সুযোগ নিতে এত অনীহা কেন কেন কেন ?

বিষয়: বিবিধ

১৯৩৮ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

282640
০৯ নভেম্বর ২০১৪ রাত ০৮:২৩
চিরবিদ্রোহী লিখেছেন : এই প্রশ্নগুলো আমার মাথায় ঘোরে। কিন্তু তাদের জিজ্ঞেস করলেই তারা যে সরাসরি BAL-এর দালাল সাব্যস্ত করতে উঠে পড়ে লাগেন! তাই ফ্যাসাদ এড়াতেই জিজ্ঞেস করি না।

প্রবাদ আছে যা রটে তা কিছু তো বটে। হয়তো ওনারা সবাই দোষি নন, কিন্তু সবাই যে নির্দোষ তারই বা কি প্রমান আছে!!! এটা কি সম্ভব যে এতগুলো মানুষের বিরুদ্ধে এতগুলো অভিযোগ উঠলো, যার একটাও, একটুও সত্য না!!!!

আন্তর্জাতিক আদালত নামে যে জিনিসটা এই মামলাগুলোর বিচার করছে এর প্রতি না আমার আস্থা আছে, আর না আছে নূন্যতম শ্রদ্ধাবোধ। এরা যে সঠিক বিচার করে না সে বিষয়ে আমার শতভাগ বিশ্বাস আছে। পাশাপাশি যুদ্ধাপরাধের বিচারের দাবিতে যে হোলাকুত্তাগুলো চিৎকার করে এরাও যে পেইড এতে কোন সন্দেহ নেই। সুতরাং ওরা কি বললো তাতে কিছু আসে যায় না।

তবে অন্যায়ের বিরুদ্ধে সাধ্যমত প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ করা মুমিনের কর্তব্য। সাহাবারাও (রাযি.) সাধ্যমতো প্রতিবাদ করেছেন। কিন্তু তা এমন নয় যে, নির্দোশ কোন মানুষের নূন্যতম কোন ক্ষতি হয়।
১০ নভেম্বর ২০১৪ দুপুর ১২:৫১
226221
পরবাসী লিখেছেন : আমারও আন্তর্জাতিক আদালত নামের জিনিসটার উপর কোন শ্রদ্ধা,আস্থা নেই। কিন্তু তার বিরুদ্ধেও আপীলের সুযোগ আছে এবং এরা সেখানেও দোষী প্রমানিত হচ্ছে এরপরও যদি তারা নির্দোষ হয়ে থাকে তাহলে তার বিচারের ভার আল্লাহর উপর ছেড়ে দেওয়া উচিত,প্রকৃত মুমিনের কর্তব্য এই নয় কি ?

আপনি কিভাবে বুঝবেন এদের বিরুদ্ধে অন্যায় হচ্ছে ? আর যদি নিশ্চিত হয়েও যান এদের বিরুদ্ধে অন্যায় হচ্ছে তাহলে ক্ষমতা না থাকলে অন্যায় বিরুদ্ধে মুখে প্রতিবাদ করতে হবে, যা সাহাবায়ে কেরামগন করেছেন। কিন্তু জামাতিরা তো হরতাল/ভাংচুর করছে
282641
০৯ নভেম্বর ২০১৪ রাত ০৮:২৭
হতভাগা লিখেছেন : চমতকার লিখেছেন ।

বান্দা মাফ না করলে আল্লাহও যে তা মাফ করবেন না তা জামায়াতীরা ধর্তব্যেই আনতে চায় না ।
১০ নভেম্বর ২০১৪ দুপুর ০২:৫০
226251
পরবাসী লিখেছেন : সমস্যা হল এরা মনে করে এরাই খালি ইসলামের কাজ করে, আর কেউ করে না তাই তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ নাই।
282654
০৯ নভেম্বর ২০১৪ রাত ০৯:২৩
শেখের পোলা লিখেছেন : আপনার গুষ্ঠিতে যদি কোন ইমানদার ৭১ পূর্ববর্তী প্রজন্মের মুসলীম থেকে থাকে তাকে চুপি চুপি আপনার প্রশ্নগুলি জিজ্ঞেস করুন, উত্তর পাবেন৷ উচ্চ আদালতের বিচার যদি দেখার ভাগ্য হয় তখন দেখবেন, কি রায় হয়৷
১০ নভেম্বর ২০১৪ দুপুর ০২:৪৯
226250
পরবাসী লিখেছেন : আমার গুস্ঠীর খোজখবর নিয়ে নিজের গুস্টির পরিচয় দিয়ন না।

তালিবালি না করে পারলে প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেন।
282948
১০ নভেম্বর ২০১৪ দুপুর ০২:৩৫
বড়মামা লিখেছেন : আপনাকেও রাজাকার বানানো কোন ব্যাপারই না।
১০ নভেম্বর ২০১৪ দুপুর ০২:৪৭
226249
পরবাসী লিখেছেন : এটাই তো আমার প্রশ্ন, আমাকেও যদি রাজাকার বানানো কোন ব্যাপার না হয় তাহলে বিএনপি/জামাত/আলেম ওলামা সবার মধ্যে এত এত বুড়ো থাকতে খালি এই কয় বুড়োর ব্যাপারে অভিযোগ থাকে আর তা প্রমানিতই বা হয় কি করে ?

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File