“শায়খ মতিউর রহমান মাদানী”- বাংলা ভাষায় সবচেয়ে বেশী সংখ্যক ইসলামী বক্তৃতা দেওয়া এই মানুষটি কে নিয়ে এত আলোচনা কেন?
লিখেছেন লিখেছেন পরবাসী ২১ এপ্রিল, ২০১৪, ০৬:০১:২১ সন্ধ্যা
আস-সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার, আমরা তাঁর প্রশংসা করি এবং আমরা তাঁর কাছে সাহায্য চাই এবং তাঁর কাছে ক্ষমা চাই এবং তাঁরই কাছে তওবা করি। তাঁরই কাছে আমাদের নফসের অমঙ্গল এবং মন্দ আমল হতে আশ্রয় চাচ্ছি।
আল্লাহ তাআলা যাকে হিদায়েত দান করেন কেউ তাকে পথ ভ্রষ্ট করতে পারে না আর যাকে গোমরাহ করেন তাকে কেউ হিদায়াত দিতে পারে না। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই। তিনি একক। তাঁর কোন শরীক নেই। আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর বান্দা ও রাসূল। আল্লাহ সুবহানাহু তা’আলা তাঁর শেষ এবং চুড়ান্ত রাসূল মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, তাঁর পরিবার এবং তাঁর অনুসারীদের প্রতি শান্তি ও রহমত বষর্ণ করুন। আমিন!
মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা বলেছেনঃ “যে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেয়, সৎ কর্ম করে এবং বলে, আমি একজন আজ্ঞাবহ, তার কথা অপেক্ষা উত্তম কথা আর কার?” (আল কুরআন ৪১:৩৩)
“সৎকর্ম ও খোদাভীতিতে একে অন্যের সাহায্য কর। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা কঠোর শাস্তিদাতা।”(আল ময়েদা:২)
ভাষাগত দুর্বলতা, পীর-ফকীরদের মাধ্যমে দ্বীন শেখা, পৌত্তলিকদের/বিধর্মীদের সাহচার্যে দীর্ঘদীন অবস্হান ও তাদের দ্বারা শাসিত হওয়া সহ বিভিন্ন কারনে আমরা যখন দ্বীন ইসলামের নামে কবরপুজা, মাজার পুজা, পীরপুজা, চল্লিশা, কুলখানী, কবরে চাদর চড়ানো, পীরের নামে মুরগী জবাই(এগুলোর কিছু ভিডিও চিত্র দেখুন)
http://www.youtube.com/watch?v=QThu1SHsM_c
http://www.youtube.com/watch?v=sQNQYMjLCNY
হাদীসের নামে জালিয়াতি, সন্তান/স্বামী বসের আমল, জন্মদিন/মিলাদের অনুষ্ঠান এবং সে অনুষ্ঠানে রাসুলুল্লাহর সাঃ জন্য খালি চেয়ার রাখা, রাসুলুল্লাহ সাঃ কবর থেকে উঠে এসে তাবলীগের শায়েখের সাথে করমর্দন করা, পীরসাহেবের জান্নাতের সার্টিফিকেরট দেওয়া, পীরের থুথু খাওয়া থেকে শুরু করে যখন ইসলামের নামে আমরা অনেক শীরক-বিদাত বা কুসংস্কারে লিপ্ত হয়ে কুরআন সুন্নাহ থেকে অনেক দুরে অবস্হান করছিলাম, তখন যে অল্পসংখ্যক বাংলাভাষী আলেম এসব শিরক/বিদাতের বিরুদ্ধে দাড়িয়ে কুরআন সুন্নাহর অমীয়বানী প্রচার করেছেন বা করছেন…..শায়খ মতিউর রহমান মাদানী তাদের মধ্যে অন্যতম। আমি ব্যাক্তিগত ভাবে তাকে কখনও দেখিনি বা তাকে চিনিও না এবং আমি একজন হানাফী পরিবারের মুসলিম। দ্বীন শেখার প্রচন্ড তাগিদ নিয়ে জীবনে বিভিন্ন আলেমদের বক্তব্য শুনেছি (আলহামদুলিল্লাহ)। মাওলানা দেলওয়ার হুসাইন সাঈদী, তারিক মুনাওয়ার, হাবিবুর রহমান যুক্তিবাদী, জাকির নায়েক, আব্দুর রহিম গ্রীন, বিলাল ফিলিপস, ইউসুফ ইস্টেটস, তাবলীগের বয়ান থেকে শুরু করে দ্বীন শেখার জন্য যাদের কেই ভাল মনে হয়েছে তাদের বক্তব্য শুনেছি বই পড়েছি। অন্তর, লিখনি ও ভোটাধিকারের মাধ্যমে দিয়ে জামাত/ছাত্রশিবিরের সমর্থন করেছি, সাঈদী সাহেবের বক্তব্য শুনে কত চোখের পানি ঝরিয়েছি, জীবনে অনেকবার তাবলীগে গিয়েছি (আমার এই ভালবাসা ও প্রচেষ্টা শুধুমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই বরাদ্দ রেখেছিলাম, কোন মানুষ বা দলকে লিজ দিয়ে দেইনি-আলহামদুলিল্লাহ)। কিন্তু আল্লাহকে সাহ্মি রেখে বলতে পারি শায়খ মতিউর রহমান মাদানীর মত এত বিশুদ্ধ ও বিষয়ভিত্তিক বক্তব্য আর কারও থেকে শুনিনি। আমি মনে করি বংলাভাষায় তার দেওয়া বিষয়ভিত্তিক বক্তব্যগুলি (৭০০ও বেশী বক্তব্য আছে) সাধারন মানুষের বিশুদ্ধ দ্বীন শিহ্মার এক অমুল্য রিসোর্স।
তার দেওয়া বক্তব্যগুলি যে কারনে আমার ভাল লেগেছে তার কতগুলি উল্লেখ না করলেই নয়:
১. তার বক্তব্যে কোন সুর/গুন্নাহ নেই। বস্তুনিষ্ঠতা ও কুরআন সুন্নাহ রেফারেন্সই তার বক্তব্যের মুল আকর্শন। তাই সুর করে মানুষকে আকৃষ্ট করার প্রয়োজন নেই।
২. তার বক্তব্যে কোন বানোয়াট কাহিনী বা জাল যয়ীফের বয়ান নেই। কোনআন ও বিশুদ্ধ হাদীসের বক্তব্য দিয়েই তিনি এত সুন্দর ভাবে বিষয়গুলি বর্ননা করেন, যা অত্যন্ত শ্রুতিমধুর। তাই তার বক্তব্যে যা কিছু শুনবেন তার প্রায় সবগুলোই কুরআন বা সহীহ হাদিসে পাবেন।
৩. তিনি অন্য কারও অনুবাদের সাহায্য নেন না। আরবী ভাষার উপর অগাধ ঞ্জানের কারনে তিনি নিজেই আরবীর শাব্দিক উচ্চারন থেকে শুরু করে পুরো বিষয়ের অর্থ তুলে ধরেন।
৪. তিনি মনগড়া কুরআনের ব্যাখ্যা করেন না। বরং সংশ্লিষ্ট কুরআনের আয়াত এবং রিলেভেন্ট সহীহ হাদীসের আলোকে সলফে সালেহীনগন কি ব্যাখ্যা বুঝেছেন তা তূলে ধরেন।
৫. তিনি মানুষের মন রহ্মার জন্য বক্তব্য দেন না। যে বক্তব্যগুলি দিলে মানুষের মন গলবে মানুষ প্রশংসা করবে শুধু তাই বলেন না। বরং যা কিছু শিরক-বিদাত-কুসংস্কার থেকে মুসলিম কে মুক্ত করে বিশুদ্ধ দ্বীন পালনে সহায়তা করবে তাই তিনি নির্ভয়ে আল্লাহর উপর ভরসা করে বলে থাকেন। যার কয়েকটি প্রমান আমি নিচে দিলাম। এই বিষয়গুলি নিয়ে আমি এর আগে আর কারও কাছ থেকে কোন বক্তব্য শুনিনি।
ক. বেরলভী আকীদা (http://www.youtube.com/watch?v=HcSBPL37E40)
খ. শরশীনা তরীকা (http://www.youtube.com/watch?v=4E5olige7-c)
খ. ফুলতলী তরীকা (http://www.youtube.com/watch?v=tcSC4INdTG4)
গ. চরমোনাই তরীকা (http://www.youtube.com/watch?v=CXqZmrpcb4s)
ঘ. দেহবন্দী তরীকা (http://www.youtube.com/watch?v=mIcg3OeCIVY)
ঙ. তাবলীগ জামাতের কিছু ভুল (http://www.youtube.com/watch?v=aw_5sSWV2eE)
চ. প্রচলিত বিদাত (http://www.youtube.com/watch?v=IIxdTCbdarI)
ছ. রজব ও সাবান মাসের বিদাত (http://www.youtube.com/watch?v=ZEL0veyIRU4)
জ. মাওলানা দেলওয়ার হুসাইন সাঈদী সাহেবের কিছু ভুল (http://www.youtube.com/watch?v=3lz2nal-Qwo)
ঝ. সপ্নের ধর্ম (http://www.youtube.com/watch?v=wgnfDELzClM)
অথচ এদের প্রায় সবারই রয়েছে মারাত্মক ধরনের কিছু ভুল, যা হাজার হাজার মানুষকে বিভ্রান্ত করেছে এবং করছে এবং এগুলোর অনেকটিই মুসলিমের ঈমান-আকীদা ধংশ করে তাকে মুশরিক বানিয়ে ছাড়ছে, যার পরিনাম আজীবন জাহান্নাম। স্বাধীনতার ৪০ বছর পরও এই দ্বায়িত্ব কে নেবে? আমার প্রশ্ন এই অপ্রিয় সত্য কিন্তু দ্বীন ইসলামের জন্য অতীব জরুরী এই বিষয়গুলো কি আমাদের আলেম সমাজ জানতেন না, নাকি জেনে শুনে গোপন করেছেন? মানুষকে এই বিষয়গুলি না জানালে চিল্লা দিয়ে কি লাভ বা রাজনিতি করে কি লাভ? বাকিটা আল্লাহর কাছে সমর্পন করলাম।
৬. আরেকটি বৈশিষ্ট কোন বিষয়ের উপর ৩৬০ ডিগ্রী আলোচনা। তিনি যে বিষয়ের উপর আলোচনা করেন তার উপর কুরআন সুন্নাহ ভিত্তিক চতুর্মুখী আলোচনা করেন। এবং এই আলোচনা শুনার পর আপনি বলবেন বিষয়টির কুরআন সুন্নাহ ভিত্তিক কিছু ঞ্জান আমি জানতে পেরেছি। (আলহামদুলিল্লাহ)। যেমন নিচের লেকচার গুলির যেকোন একটি শুনুন:
ক. মুসলিমের চরিত্র (http://www.youtube.com/watch?v=0kC_foSFG8A)
খ. ইসলাম ভংগকারীর বিষয় (http://www.youtube.com/watch?v=uS8ectBq3kI)
গ. রকমারি সাদাকাহ (http://www.youtube.com/watch?v=i7eJ5U1SFrY)
ঘ. রুগীর পরিচর্যা (http://www.youtube.com/watch?v=QG2HsBx67P8)
ঙ. রমজানের সত্ আমল (http://www.youtube.com/watch?v=ezYSeMSM-xo)
৭. ইসলামের প্রায় সকল গুরুত্বপের্ন শাখায় তার বাংলা বক্তব্য পাওয়া যায়। যা বাংলা বা ইংলিশ মিডিয়ামে পড়া বাঙ্গালীদের দ্বীন শিখতে খুবই গুরুত্বপুর্ন ভুমিকা রাখতে পারে। উনার বক্তব্যগুলি পাবেন নিচের লিংকে:
ভিডিও: http://www.youtube.com/playlist?list=PLC1EE336CA2AEF148
অডিও: http://www.shorolpoth.com/download-audio-lecture-bangla-of-sheikh-motiur-rahman-madani-mp3/
তবে উনার বক্তব্যে যা পাবেন না:
১. সুরেলা ওয়াজ
২. সম্মিলিত মোনাজাত
৩. ইমাম আবু হানিফার ৪০ বছর এশার অযুতে ফজর পড়ার কাহিনী বা শাহজালাল হুজুরের গায়েবী ইলম দিয়ে আসামের বন থেকে ইবনে বতুতাকে রহ্মা করার কাহিনী অথবা রাসুলুল্লাহ সাঃ এর কবর থেকে উঠে এসে করমর্দনের কাহিনীর মত জাল যয়ীফের কাহিনী। যা কিছু বস্তুনিষ্ট এবং কুরআন ও সহীহ হাদীস থেকে প্রাপ্ত তার বাইরে তেমন কিছু পাবেন না।
৪. রক্তগরম করার মত কোন বক্তব্য পাবেন না
৫. পাবেন না জান্নাতের কোন সার্টিফিকেট
৬. পাবেন না মাযহাবী গোড়ামী
৭. পাবেন না শিরক-বিদাতের প্রতি নমনীয়তা
তবে কেন এত বিতর্ক/কুতর্ক:
কিন্তু এত কিছুর পরও সোনার বাংলাদেশের মত মুসলিম অধ্যুসিত ব্লগে মতিউর রহমান মাদানী সাহেব কে নিয়ে অনেক সমালোচনা মুলক পোষ্ট দেখতে পাই। পড়ার আগে আশা থাকে হয়ত গঠন মুলক ও দলিল ভিত্তিক কোন সমালোচনা দেখতে পাব যা মুসলিম উম্মার দ্বীন পালনে ভুমিকা রাখবে। কিন্তু সমালোচনা বিষয়ক প্রায় সবগুলো পোষ্ট আমাকে শুধু হতাশই করে নি বরং উনার প্রতি আমার শ্রদ্ধা বোধ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। দেখা যাবে অধিকাংশ হ্মেত্রেই findings এর ভয়াবহতা থেকে মন্তব্যের ভয়াবহতা অনেক বেশী। এর একটা প্রধান কারন আমাদের আনুগত্য আল্লাহ ও তার রাসুল থেকে সরে গিয়ে কোন দল বা ব্যাক্তির উপর পতিত হয়েছে। তাই তো মতিউর রহমান মাদানী সাহেব যখন বিভিন্ন ধর্মীয় নেতা বা দ্বায়িত্বশীলদের মারাত্মক ভুলগুলো কুরআন সুন্নাহর আলোকে ধরিয়ে দেবার মত কঠিন কাজগুলো সাহসীকতার সাথে করে যাচ্ছেন….. তখন এই নেতাদের অন্ধঅনুসারিদের তা ভাল না লাগছে না। তাই তো তারা ব্যাক্তিগত আবেগে বশবর্তী হয়ে তাদের ঞ্জান ও ইসলামের সীমা অতিক্রম করে যা লিখছেন তা জন্য আল্লাহর কাছে কি পু্রস্কার অপেহ্মা করছে তা আল্লাহই ভাল জানেন। অবশ্য আমাদের দেশে দুটো বড় দল জামাত ও তাবলীগের ভুল নিয়ে বক্তব্য দেবার জন্য তিনি দলগুলোর অন্ধ অনুসারিদের কাছ থেকে না হলেও আল্লাহর কাছ থেকে উত্তম প্রতিদান পাবেন এই আশা রাখি এবং দ্বীনই ভাই হিসাবে দোয়া করি। দলগুলোর অন্ধ অনুসারিদের কেউ কেউ এই দলগুলোকে আল্লাহ ও তার রাসুল থেকেও বেশী ভালবাসেন, যার একটি প্রমান আমি দিচ্ছি–
“এই লেকচার গুলোতে বাংলাদেশের প্রায় সবগুলো পীর-ফকীরের/দলের/মতের ভুলগুলো কুরআন ও সহীহ হাদীসের আলোকে ধরিয়ে দেয়া হয়েছে কিন্তু তাদের অধিকাংশ অনুসারিই মনে করছে তারা ঠিক করছে- এমনকি কেউ পীরের নামে মুরগী জবাই করছে, তবুও মনে করছে তারা ঠিক করছে! যা শুধু মতিউর রহমান সাহেবের কাছেই নয় বরং অন্যান্ন দলের (জামাত,তাবলীগ) কাছেই শিরক বলে পরিগনিত। হয়ত সবাই বলবেন এই অন্ধ অনুসারিরা যদি একটু চিন্তা করত । ঠিক সেই একই ভাবে বড়দলের ভুল গুলো নিয়ে কি দলগুলোর অনুসারীদের একটু নিরপেহ্ম ভাবে চিন্তা করা উচিত নয়।
রাসূল (সা.) বলেছেন :
“ঈমানের সবচেয়ে শক্ত বন্ধন হচ্ছে আল্লাহর ওয়াস্তে আনুগত্য, আল্লাহর জন্য অন্যের সাথে সম্পর্ক ত্যাগ করা, আল্লাহর জন্য (কাউকে) ভালবাসা এবং আল্লাহর জন্য (কাউকে) ঘৃণা করা।” (আল তায়ালিসী, আল-হাকিম, আল-তাবারানী ইত্যাদি – আলবানীর মতে সহীহ)
আর পবিত্র কোরআন বলছে:
“নিশ্চয় শিরক হচ্ছে সবচেয়ে বড় জুলুম”। (সূরা লোকমান-১৩)
‘সৎকর্ম ও খোদাভীতিতে একে অন্যের সাহায্য কর। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা কঠোর শাস্তিদাতা’। (আল ময়েদা:২)
আর আমরা আজ শিরক ও বিদাতের প্রতি নমনীয় হয়েছি আর ব্যাক্তিগত দলীয় বা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যের প্রতি কঠোর হয়েছি। যারা শিরক ও বিদাতের বিরুদ্ধে লড়াই করছে আমরা তাদের বিরুদ্ধে নেমেছি। আল্লাহপাক আমাদেরকে একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই কাজ করার তাওফীক দান করুন।
আর আলেমগন ভুল করতেই পারেন। সে যে আলেমই হোক না কেন। কিন্তু তাদের সমালচনা academic হতে হবে কুরআন সুন্নাহ ভিত্তিক হতে হবে এবং একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য হতে হবে-দল/মত/আত্মতুষ্টির জন্য নয়।
আল্লাহ আমাদের ভালবাসা একমাত্র আল্লাহর জন্যই উত্সর্গ করার তাওফীক দান করুন। আর সকল দ্বীনই ভাইদের সকল প্রচেষ্টা ভুলত্রুটি মাফ করে কবুল করে নিন। আর সবাইকে সঠিক বুঝ দান করুন।
এটা সম্পুর্ন আমার ব্যাক্তিগত অভিমত। আমার উদ্দেশ্য ছিল একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি। তবুও অনিচ্ছাকৃত ভুলগুলো আল্লাহ পাক হ্মমা করে দিন। আমীন।
বিষয়: বিবিধ
৮০৭৭ বার পঠিত, ৪৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
সাবানের কাজ হল, ময়লাকে পরিষ্কার করা। ময়লার মাঝে থেকেও সাবান স্বচ্ছ ও পরিষ্কার থাকে। সাবান যদি কিছু ময়লা পরিষ্কারে নতুন কোন শর্ত দেয় কিংবা সে ব্যাপারে ব্যস্ত হয়ে পড়ে, তাহলে সাবানেরই গুরুত্ব চলে যায়।
ইমাম বোখারী বলেছেন, কেয়ামতের দিন আল্লাহ আমাকে কোন বিষয়ে পাকড়াও করলেও, একটি বিষয়ে পাকড়াও করতে পারবে না। সেটা হল আমি পুরো জীবনে কারো গীবত করিনি। অথচ সবাই জানে, তিনি হাদিস লিখতে গিয়ে হাজার হাজার ব্যক্তির জীবনী লিখেছেন। ইতিহাসের সেই লিখনী নিয়ে কোনদিন তাঁকে সমালোচিত হতে হয়নি।
দেখেছি এই আলেম সমালোচিত হয়েছেন, কেননা কারো সমালোচনার উত্তম মানদন্ড মেনে চলতে তিনি পারঙ্গম নন। যা পারাটা তার জন্য অতীব জরুরী। অনেক ধন্যবাদ।
সাধারনের ভুল গুলি যেহেতু ব্যাক্তিগত তাই সেগুলো পাবলিকলি বললে গীবত হবে,কিন্তু সাঈদী সাহেবের আলোচনা গুলো যেহেতু মানুষ শুনে থাকে এবং ইসলামের অনেক ভুল ব্যখ্যা বুঝে তাই যে কোন ভাল আলেমের কর্তব্য হল নিষ্ঠার সাথে ভুল গুলা ধরিয়ে দেওয়া যাতে মানুষ সতর্ক হতে পারে।
সাঈদী সাহেব,চরমোনাই,দেওবন্দ,তাবলীগ এগুলো সম্পর্কে আলোচনা করেছেন কারন মানুষ মনে করে এগুলো মনে হয় হকের উপর আছে,উনি কিন্তু মাইজভান্ডারী,দেওয়ানবাগী,আটরশী সম্পর্কে আলোচনা করেন নি।
গীবত করা হারাম - রিয়াজুস সলেহীন পড়বেন, সেখানে ২৫৪ পৃষ্ঠায় ইমাম নববী (র)একটা অধ্যায় কায়েম করেছেন "কোন কোন ক্ষেত্রে গীবত বৈধ"সেখানে উনি ৭ টি কারন বর্ননা করেছেন যেসব ক্ষেত্রে গীবত বৈধ আর এর সপক্ষে ৫টি হাদীস বর্ননা করেছেন,
উনার সমালোচান মুলক আলোচনার একটারও তো এখন পর্যন্ত জবাব পেলাম না
ইমাম বুখারী (র)হাদীস লিখতে গিয়ে হাজার হাজার ব্যাক্তি সম্পর্কে সমালোচনা করেছেন,তবে কি আপনি বলবেন বুখারী (র)গীবত করেছেন ?
যাক, মাদানী সাহেবের পদ্ধতিটি অবশ্যই গীবত, কেননা তার বক্তব্যে সাইদী সাহেবের ভুল ধরার চেয়ে নিজের গ্রহন যোগ্যতা প্রচার বেশী লক্ষণীয়। তাছাড়া ভুল ধরার কথা বলে, বাজারে কাদা ছোড়াছুড়ি করার নাম নয় দ্বীন প্রচার নয়।
এই ক্ষেত্রে ইমাম আবু হানিফার একটি কর্মপদ্ধতি উদারহরন হিসেবে পেশ করা যায়।
একবার এক প্রসিদ্ধ ব্যক্তি কুফার মসজিদে ইমাম আবুহানিফার বিরুদ্ধে বিষেধাগার করে বক্তব্য রাখেন। এই সংবাদ আবু হানিফার কাছে গেলে তিনি তার পরদিন সকাল বেলা অনেক গুলো ফল ও মিষ্টি নিয়ে সেই ব্যক্তির বাড়ীতে বেড়াতে গেলেন। তিনি তো দেখে হতবাক, গতকাল যে ব্যক্তির এত সমালোচনা করলাম তিনি কিনা আমার বাড়ীতে বেড়াতে এসেছেন?
আবু হানিফা বললেন, আমার উপকার করার জন্য আপনার নিকট হাদিয়া এনেছি। উপকার হল আপনার সুযোগ থাকা স্বত্ত্বেও আমার সাথে সমাধান না করে তা মসজিদে বসে মানুষের উপস্থিতিতে হাজারো মানুষকে সাক্ষ্যি রেখে, গীবত করে আমার যে পরিমান গুনাহ কমিয়ে আপনার কাঁধে তুলে নিয়েছেন, যে উপকারের কোন প্রতিদান দেওয়া সম্ভব নয়, তাই দুনিয়াবী কিছু উপঠৌকন এনেছি। সেই ব্যক্তি লজ্জিত হল একং কুফার মসজিদে গিয়ে অনেক মানুষের কাছে দুঃখ প্রকাশ করল। শরীয়তের কোন মাসয়ালাতে গেলাম না, আল্লাহ আপনাকে অনেক জ্ঞান দিয়েছেন, এই ঘটনার আলোকে কাউকে বিশ্লষন করুন, নিজের উত্তর নিজে পেয়ে যাবেন।
আপনার প্রতি আমার অনুরোধ থাকবে সাইদী সাহেব সম্পর্কে উনার আলোচনাটা শুনার , কমপক্ষে ভুমিকা
আপনাদের উচিত উনার বক্তব্যের পুন্খানুপুন্খ জবাব দেওয়া অথবা চুপ থাকা
জামা'ত মনা কিছু ভাই অযাচিত ভাবে সাইদী সাহেব কে টেনে এনেছে
﴿وَمَا لَكُمْ لَا تُقَاتِلُونَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَالْمُسْتَضْعَفِينَ مِنَ الرِّجَالِ وَالنِّسَاءِ وَالْوِلْدَانِ الَّذِينَ يَقُولُونَ رَبَّنَا أَخْرِجْنَا مِنْ هَٰذِهِ الْقَرْيَةِ الظَّالِمِ أَهْلُهَا وَاجْعَل لَّنَا مِن لَّدُنكَ وَلِيًّا وَاجْعَل لَّنَا مِن لَّدُنكَ نَصِيرًا﴾
৭৫) তোমাদের কী হলো, তোমরা আল্লাহর পথে অসহায় নরনারী ও শিশুদের জন্য লড়বে না, যারা দুর্বলতার কারণে নির্যাতীত হচ্ছে ? তারা ফরিয়াদ করছে, হে আমাদের রব ! এই জনপদ থেকে আমাদের বের করে নিয়ে যাও, যার অধিবাসীরা জালেম এবং তোমার পক্ষ থেকে আমাদের কোন বন্ধু , অভিভাবক ও সাহায্যকারী তৈরী করে দাও৷ ১০৪
﴿الَّذِينَ آمَنُوا يُقَاتِلُونَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ ۖ وَالَّذِينَ كَفَرُوا يُقَاتِلُونَ فِي سَبِيلِ الطَّاغُوتِ فَقَاتِلُوا أَوْلِيَاءَ الشَّيْطَانِ ۖ إِنَّ كَيْدَ الشَّيْطَانِ كَانَ ضَعِيفًا﴾
৭৬) যারা ঈমানের পথ অবলম্বন করেছে তারা লড়াই করে আল্লাহ পথে ।যারা কাফের তারা লড়াই করে তাগুতের পথে ৷ ১০৫ কাজেই শয়তানের সহযোগীদের সাথে লড়ো এবং নিশ্চিত জেনে রাখো, শয়তানের কৌশল আসলে নিতান্তই দুর্বল৷ ১০৬
১০৫. এটি আল্লাহর একটি দ্ব্যর্থহীন ফায়সালা। আল্লাহর পৃথিবীতে একমাত্র আল্লাহর দীন প্রতিষ্ঠিত করার উদ্দেশ্যে লড়াই করা হচ্ছে ঈমানদারদের কাজ। যথার্থ ও সত্যিকার মুমিন এই কাজ থেকে কখনো বিরত থাকবে না। আর আল্লাহর পৃথিবীতে আল্লাহ বিরোধী ও আল্লাহদ্রোহীদের রাজত্ব ও কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য তাগুতের পথে লড়াই করা হচ্ছে কাফেরদের কাজ । কোন ঈমানদার ব্যক্তি এ কাজ করতে পারে না।
১০৬. অর্থাৎ আপাত দৃষ্টিতে শয়তান ও তার সাথীরা বিরাট প্রস্তুতি এগিয়ে আসে এবং জবরদস্ত কৌশল অবলম্বন করে কিন্তু তাদের প্রস্তুতি ও কৌশল দেখে ঈমানদারদের ভীত হওয়া উচিত নয় অবশ্যি তাদের সকল প্রস্তুতি ও কৌশল ব্যর্থতায় পর্যবসিত হবে।\\
وَمَا لَكُمْ لَا تُقَاتِلُونَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ
আল্লাহ তায়াল মু'মিনদের তার পথে জিহাদের জন্যে উদ্বুদ্ধ করছেন,তিনি বলছেন গূটিকয়েক দুর্বল ও অসহায় লোক মক্কায় রয়ে গেছে যাদের মধ্যে নারী ও শিশুরাও রয়েছে। মক্কায় অবস্থান তাদের জন্য অসহনীয় হয়ে উঠেছে তাদের উপর কাফেরদের উতপীড়ন চালানোর কারনে। সুতরাং তোমরা তাদের মুক্ত করে আন। কেননা তারা দোয়া করছে,হে আল্লাহ আমাদের এ অত্যাচারী গ্রাম অর্থাত মক্কা থেকে বহির্গমিত কর। সহীহ বুখারীতে আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা)হতে বর্নিত আছে যে,আমি এবং আমার আম্মাও ঐ দুর্বলদের মাঝে ছিলাম। অন্য বর্ননায় আছে যে,তিনি والمستضعفين من الرجال والنساء এ অংশটুকু পাঠ করে বলতেন,আমি ও আমার আম্মা ঐ লোকদের অন্তর্ভুক্ত ছিলাম যাদেরকে আল্লাহ দুর্বল ও অসহায় করে রেখেছিলেন।
এরপর আল্লাহ বলেন,মু'মিনরা আল্লাহর আদেশ পালন ও তার সন্তুষ্টির জন্যে যুদ্ব করে থাকে আর কাফিররা শয়তানের আনুগত্যের জন্যে যুদ্ধ করে থাকে।মুসলামানদের উচিত তারা যেন আল্লাহর শত্রু ও শয়তানের বন্ধুদের সাথে প্রানপনে যুদ্ধ করে। (তাফসীরে ইবনে কাসীর,ড:মুজিবুর রহমান কতৃক অনুবাদকৃত পৃষ্টা নং ৪৭৮/৪৭৯ খন্ড ৫ খন্ড)
লক্ষ করবেন আল্লাহ এখানে جاهد,يجاهد শব্দ বলেন নাই উনি قاتل,يقاتل বলেছেন যার অর্থ লড়াই করা।
ক্ষমতার জন্যে মিছিল,মিটিং,অবরোধ,ভাংচুর করা এগুলো আল্লাহর পথে লড়াই করা না।
দয়া করে আল্লাহর কালামের ভুল ব্যাখ্যা মানুষকে বুঝাবেন না।
ধন্যবাদ
অবস্থা বেগতিক দেখলে নির্বাচন জায়েয করে তাদের কাউকে প্রেসিন্ট নির্বাচনে দাঁড় করিয়ে দিয়ে হলেও ভালো মুসলিমের ভোট কর্তন করে দিল্লীজান মামুদের ভাগ্নেদের বিজয় নিশ্চিত করার চেষ্টা করেন। আপনার বয়স কত জানি না, ১৯৮১’র প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ইতিহাস জানা থাকলে বিষয়টি বুঝে আসা সহজ হবে।
েএখন আসুন মাওলান দেলাওয়ার হোসাইন সাইদী প্রসঙ্গে; সাইদীর ব্যাপারে এই মাদানী(!) সাহেব যা ছড়াচ্ছেন, তিনি(মাদানী!)যদি সত্যিকার দ্বীন প্রেমিক হতেন তাহলে সাইদী সাহেবের এহেন পরীক্ষার মূহুর্তে তা থেকে বিরত থাকতেন। সাইদীর মুক্ত অবস্থায় হলে কোন আপত্তি থাকতো না। সাইদী সাহেব কোন অবস্থাতেই ভুলের উদ্ধে নন্, মাদানী সাহেব ও নন। তবে আমার জানামতে তাঁর কোন ভুলের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তা যদি সঠিক হয়ে থাকে তা মেনে নিতে তিনি কোন ধরণের ইতস্ততা করেন না।
কোন একটি হাদীস সহীহ কি জাল সে বিষয়ে যথেষ্ট বিতর্ক রয়েছে। মাদানী সাহেব বলেছেন বলে হাদীসটি সহীহ হয়ে গেলো আর সাইদী বলেছেন বলে জাল বা অসুদ্ধ হয়ে গেলো, বিষয়টি এমনভাবে নেয়া ঠিক নয়। কারণ হাদীস তারা নিজেরা তৈরী করেন নি। তারা শিখেছেন মাত্র। তবে আমাদের প্রত্যেকের উচিৎ কোন ভুল শিক্ষার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষিত হলে তা বিবেচনায় নেয়া।
শেষ কথা একটাই- সাইদী সাহেব ইসলামী রাজনীতি করার কারণেই মাদানী সাহেবদের কু-নজরে পড়েছেন মাত্র। আশা করি দুধের পরিমান দেখে বিস্মিত হওয়ার সাথে সাথে দুধের সাথে অন্যকিছুর মিশ্রন ঘটেছে কি না, তাও যাচাই করবেন। ধন্যবাদ।
সাঈদী সাহেব সম্পর্কে আলোচনা আর "ইসলাম বনাম গনতন্ত্র" এই দুটা আলোচনা শোনার আহবান জানাচ্ছি
আসাদ মাদানী দেওবন্দী,ধর্মনিরপেক্ষবাদীদের তল্পিবাহক আর উনি আহলে হাদীস,
নির্বাচন এলে দুটি দলের মধ্যে যার বেশী খারাপ তাদের ঠেকানোর জন্যে কম খারাপ দলকে সমর্থন করা যায় তবে তা অবশ্যই গনতন্ত্রের উপর আস্থার সাথে নয় , একথা আপনি উনার আলোচন "ইসলাম বনাম গনতন্ত্র"এ পাবেন।
৮১ তে হাফেজ্জী হুযুর আর ২০১৩ তে শফি হুযুর হোক না কেন কুফুর গনতন্ত্র কখনো মুসলিম উম্নাহর সমাধান হতে পারে না ,
সাঈদী সাহেব সম্পর্কে উনি আলোচনা করেছেন ২০০৯ এ , এরও এক বছর পর উনি জেলে গেছেন ,উনার কি উচিত ছিল না সমালোচনা মূলক বক্তব্যের জবাবে উনার বক্তব্য তুলে ধরা ?
চীনে গিয়ে ইলম শেখার হাদীস জাল,সাইদী সাহেব পারলে প্রমান করুক হাদীসটা সহীহ,
সাঈদী সাহেব বক্তব্যে ভুলের পাশাপাশি ভাল কিছুও যে নেই তা কেউ বলে নি, এবং উনি এখন অবিচারের শিকার এটাও আমি বিশ্বাস করি, ধন্যবাদ
উনি সাঈদী সাহেবের কি গীবত করেছেন ?
সাইদী সাহেব মিথ্যা বলেন (আমি বলছি না উদাহারন দিচ্ছি)নামায পড়েন না এমন গীবত তথা ব্যাক্তি জীবনের গুনাহ নাকি সাঈদী সাহেবের বর্ননাকৃত হাদীসটি জাল এটা দলীল সহ মানুষকে জানিয়ে দেওয়া,
কথা পরিস্কার, উনি যদি ব্যাক্তি সাঈদীর (অথবা অন্য যে কেউ হোক না কেন)সমালোচনা করেন তবে সেটা গীবত তা হারাম, আর উনি যদি বক্তা সাঈদীর গঠনমুলক সমালোচনা করে থাকেন তবে তা যেকোন আলেমের জন্যে কমের পক্ষে ফরজে কেফায়া
এই ব্যক্তি সম্পর্কে এমন অনেক কিছু আমাদের জানা আছে যা প্রকাশ করা আমাদের রুচিতে বাধে।
যার সম্পর্কে তিনি এত মারাত্মক মন্তব্য করেছেন,তিনি এবং তার কিছু ভক্তরা নিজেদেরকে আয়নার সামনে দাড়ালেই হত।
ধরেন আপনি জানলে উনি ফজরের নামায পড়ে না,আপনার কর্তব্য হবে উনাকে সামনাসামনি বলা। আর ধরেন উনি জাল হাদীস বয়ান করছেন আর হাজার হাজার লোক তা শুনছে তখন আপনার উচিত হবে ঐ হাজার হাজার লোককে সতর্ক করার জন্যে আর একটি আলোচনার মাধ্যমে আপনার বক্তব্য তুলে ধরা।
উপরের কমেন্টের জবাব দ্রষ্টব্য
সবাই যদি এই প্লাটফর্মে আসে অটোমেটিক আমরা এক হয়ে যাব
অনুসরন করতে হবে কুরআন ও সহীহ সুন্নাহর,প্রথমে নিজেকে সংশোধন করতে হবে,তারপর নিজের পরিবারকে ,তারপর সমাজকে,এটাই দ্বীন ক্বায়েম
যতটুকু আল্লাহ আমাদেরকে ক্ষমতা দিয়েছেন আমরা ততটুকুই জিগ্গাসিত হব, যার ক্ষমতা যত বেশী তার দায়ীত্বও তত বেশি।
আর হাদীস বুঝবেন মুহাদ্দিসীনগনের মত অনুযায়ী,এই হাদীস সম্পর্ক ইমাম নববী,ইবনে হজর আসকালানী,তিরমিযী,জুহরী,শাওকানী,নাসিরুদ্দিন আলবানী প্রমুখ মুহাদ্দিসগন কি বলেছেন সেটা বিবচনায় নিবেন।
এ ক্ষেত্রে এই বিংশ শতাব্দিতে বড় খেদমত করেছেন নাসিরুদ্দন আলবানী (র)উনার সিলসিলাহ আহাদীস আস সহীহাহ ও যয়ীফাহ (সহীহ ও যয়ীফ হাদীসের সিরিজ)এর মাধ্যমে,যা ইসলামী ফাউন্ডেশন কতৃক অনুবাদকৃত ও সারাবিশ্বে সমাদৃত
তাফসীরে ইবনে কাসীর আপনি নেট থেকে ডাউনলোড করে নিতে পারেন,সহীহ যয়ীফ হাদীসের সিরিজও নেটে পাবেন সেখানে মুহাদ্দিসীনদের রেফারেন্স সহ হাদীস সহীহ যয়ীফ সাব্যস্ত করা হয়েছে। কোন হাদীসের সনদ যাচাইয়ের জন্যে আপনি গুগলের সাহায্যও নিতে পারেন।
যে সমস্ত ঘটনা উল্লেখ করার কারণে ফাযায়েলে আমলে (ফাযায়েলে আমল এখানে শুধু উদাহরণ হিসেবে ব্যবহার করলাম) মতিউর রহমান, মেরাজ রব্বানী, তউসিফুর রহমান, মুরাদ বিন আমজাদ সাহেবরা শিরক খুঁজে পান, সেই একই ধরণের ঘটনা তো উল্লেখিত ইমামদের বই সমূহেও রয়েছে প্রচুর। কিন্তু সমস্যা হল আমাদের সাধারণ সালাফি ভাইয়েরা সেগুলো সম্পর্কে অবগত নন।
আসলে এ বিরোধ যতটা না কোরআন-সুন্নাহ কেন্দ্রিক, তার চাইতে অনেক বেশি ব্যক্তি এবং গোষ্ঠীগত। নতুবা মতিউর রহমান সাহেবদের দ্বারা উল্লেখিত ইমামগণেরও সমালোচিত হওয়ার কথা।
কিন্তু আপনারা যে সমস্ত বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে অন্যদের আক্বীদার শিরক খুঁজছেন সেগুলোর অনেকগুলোই তাফসীর ইবনে কাসীর সহ ইমাম ইবনে কাসীর(রহ) এর বহু গ্রন্থে রয়েছে।
তাহলে ইমাম ইবন তাইমিয়া (রহ), ইবন কায়্যিম (রহ), ইবন কাসীর (রহ), ইমাম নববী (রহ), ইবন হজর আসকালানী (রহ) - সবার বই থেকেই "শিরকী আক্বীদা" বের করা সম্ভব।
যেমন ????????
http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/4599/namerkidorkar/7948- এটি তার ছোট্ট একটি উদাহরণ।
বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তারিত লেখার ইচ্ছা আছে।
১/ তার বাচন আরও মার্জিত হওয়া প্রয়োজন। কোন কোন সময় তার কথার টোন অনেককে মনে আঘাত দেয়।
২/ অন্যকে হেয় করে নিজের পান্ডিত্ত জাহির করার প্রবনতা লক্ষণীয়। এটিই তার বিরুদ্ধে সমালচনার প্রধান কারন।
৩/ নামের সাথে মাদানী পদক লাগিয়ে দৃষ্টি আকর্ষনের মানসিকতা অনাকাংক্ষিত ও অনুচিত। পদক বা ডেকোরেশন বেশীরভাগ ক্ষেত্রে একদিকে অহংকার সৃষ্টি করতে পারে, আবার সাধারণ মানুষের কাছে ফুটানকি মনে হতে পারে। মদিনায় জন্মগত লোক ছাড়া অন্যদের নামের সাথে মাদানী লাগানো অগ্রহণযোগ্য। তাছাড়া ইসলামের একটি পবিত্র স্থানকে শাব্দিকভাবে বাজারজাত করনের মত মনে হয়। ভারতবর্ষীয়দের এ পদক প্রবণতা দীর্ঘদিনের। এজন্য না চাইলেও হুসাইন আহমদ মাদানী নামটা বারবার সামনে চলে আসে। অথচ মতিউর রহমান মাদানীর অনেক সহযোদ্ধারা "মাদানী" টাইটেলের জন্য হুসাইন আহমদ মাদানীকে কঠোর সমালোচনা করেন।
সাইদী সাহেব মিথ্যা বলেন (আমি বলছি না উদাহারন দিচ্ছি)নামায পড়েন না এমন গীবত তথা ব্যাক্তি জীবনের গুনাহ নাকি সাঈদী সাহেবের বর্ননাকৃত হাদীসটি জাল এটা দলীল সহ মানুষকে জানিয়ে দেওয়া,
কথা পরিস্কার, উনি যদি ব্যাক্তি সাঈদীর (অথবা অন্য যে কেউ হোক না কেন)সমালোচনা করেন তবে সেটা গীবত তা হারাম, আর উনি যদি বক্তা সাঈদীর গঠনমুলক সমালোচনা করে থাকেন তবে তা যেকোন আলেমের জন্যে কমের পক্ষে ফরজে কেফায়া
উনার ৬০০ র বেশী বিষয়ভিত্তিক আলোচনা আছে,তার মধ্যে ৫/৬ টা আলোচনা সমালোচনা মুলক, ভান্ডারী,দেওয়ানবাগ,আটরশী সন্বন্ধে আলোচনার দরকার পড়ে না,মানুষ এগুলো বাতিল বলেই বিশ্বাস করে।
আসলে আপনাদের এত চুলকানী হত না যদি না উনি সাঈদী/জামা'তের অপব্যাখ্যা গুলো তুলে না ধরতেন (চরমোনাই সম্পর্কে আলোচনার পর দাম্মাম জামা'তের নেতাকর্মী সেই আলোচনা পাইকারী হারে বিলি করেছিল)।
সাঈদী এবং জামাত সম্পর্কে উনার আলোচনার সঠিক জবাব দেন নয়তো চুপ থাকুন আল্লাহর ওয়াস্তে।
পাগল নাকি ?????
উনি একজন সাধারন কামেল পাশ বক্তা
﴿وَمَا لَكُمْ لَا تُقَاتِلُونَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَالْمُسْتَضْعَفِينَ مِنَ الرِّجَالِ وَالنِّسَاءِ وَالْوِلْدَانِ الَّذِينَ يَقُولُونَ رَبَّنَا أَخْرِجْنَا مِنْ هَٰذِهِ الْقَرْيَةِ الظَّالِمِ أَهْلُهَا وَاجْعَل لَّنَا مِن لَّدُنكَ وَلِيًّا وَاجْعَل لَّنَا مِن لَّدُنكَ نَصِيرًا﴾
৭৫) তোমাদের কী হলো, তোমরা আল্লাহর পথে অসহায় নরনারী ও শিশুদের জন্য লড়বে না, যারা দুর্বলতার কারণে নির্যাতীত হচ্ছে ? তারা ফরিয়াদ করছে, হে আমাদের রব ! এই জনপদ থেকে আমাদের বের করে নিয়ে যাও, যার অধিবাসীরা জালেম এবং তোমার পক্ষ থেকে আমাদের কোন বন্ধু , অভিভাবক ও সাহায্যকারী তৈরী করে দাও৷ ১০৪
﴿الَّذِينَ آمَنُوا يُقَاتِلُونَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ ۖ وَالَّذِينَ كَفَرُوا يُقَاتِلُونَ فِي سَبِيلِ الطَّاغُوتِ فَقَاتِلُوا أَوْلِيَاءَ الشَّيْطَانِ ۖ إِنَّ كَيْدَ الشَّيْطَانِ كَانَ ضَعِيفًا﴾
৭৬) যারা ঈমানের পথ অবলম্বন করেছে তারা লড়াই করে আল্লাহ পথে ।যারা কাফের তারা লড়াই করে তাগুতের পথে ৷ ১০৫ কাজেই শয়তানের সহযোগীদের সাথে লড়ো এবং নিশ্চিত জেনে রাখো, শয়তানের কৌশল আসলে নিতান্তই দুর্বল৷ ১০৬
১০৫. এটি আল্লাহর একটি দ্ব্যর্থহীন ফায়সালা। আল্লাহর পৃথিবীতে একমাত্র আল্লাহর দীন প্রতিষ্ঠিত করার উদ্দেশ্যে লড়াই করা হচ্ছে ঈমানদারদের কাজ। যথার্থ ও সত্যিকার মুমিন এই কাজ থেকে কখনো বিরত থাকবে না। আর আল্লাহর পৃথিবীতে আল্লাহ বিরোধী ও আল্লাহদ্রোহীদের রাজত্ব ও কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য তাগুতের পথে লড়াই করা হচ্ছে কাফেরদের কাজ । কোন ঈমানদার ব্যক্তি এ কাজ করতে পারে না।
১০৬. অর্থাৎ আপাত দৃষ্টিতে শয়তান ও তার সাথীরা বিরাট প্রস্তুতি এগিয়ে আসে এবং জবরদস্ত কৌশল অবলম্বন করে কিন্তু তাদের প্রস্তুতি ও কৌশল দেখে ঈমানদারদের ভীত হওয়া উচিত নয় অবশ্যি তাদের সকল প্রস্তুতি ও কৌশল ব্যর্থতায় পর্যবসিত হবে।\\
মোহাম্মদ লোকমান
////////////////////////////////////////////////////////////////////
আপনার সাইদি তো চান্দের টুকরা । হেতেরে আবার চান্দেও দেহা জায়
এত হতাশ হওয়ার দরকার নাই । নিজে কোরান পড়ুন । কারো ওয়াজ শোনার দরকার নাই .।
মোহাম্মদ লোকমান
////////////////////////////////////////////////////////////////////
আপনার সাইদি তো চান্দের টুকরা । হেতেরে আবার চান্দেও দেহা জায়
এত হতাশ হওয়ার দরকার নাই । নিজে কোরান পড়ুন । কারো ওয়াজ শোনার দরকার নাই .।
আসল হল সাইদী সাহেবে একজন সাধারন কামেল পাশ বক্তা।
আর ২০০৯ এ সাইদী সাহেব সৌদীতে এসেছিলেন তখন রিয়াদের মসজিদ মালিক সৌদ এ এখানকার দাওয়া সেন্টারের কয়েকজন দায়ী উনাকে সামনাসামনি বলেছেন আপনার এই এই বক্তব্যে ভুল আছে, উনি কিছু স্বীকার করেছিলেন কিছু অস্বীকার করেছিলেন
শয়তান এভাবেই মানুষকে ধোকায় ফেলে।
আমার এই পোস্ট ছিল একজন দায়ী (মতিউর রহমান)র পরিচয় তুলে ধরা তার ভিতর আপনাদের মত কিছু লোক অযথাই সাঈদীকে টেনে আনছেন। আপনারা দেখি চরমোনাইর মত সাঈদীরেও পীরবাবা বানিয়ে নিয়েছেন
সাঈদী সাহেবের আলোচনা লক্ষ লক্ষ লোক শুনেছে এখনও শুনছে,মূলত তাদের সংশোধনের জন্যই প্রকাশ্যে সমালোচনা
জামা'ত মনা কিছু ভাই অযাচিত ভাবে সাইদী সাহেব কে টেনে এনেছে
মন্তব্য করতে লগইন করুন