জামায়াতে সর্বোচ্চ সতর্কতা, ছুটি বাতিল..........

লিখেছেন লিখেছেন যায়েদ ভাই ১৩ অক্টোবর, ২০১৩, ০৪:৪০:৪৪ বিকাল

জরুরি অবস্থা’ জামায়াতের জন্য নতুন

কিছু নয়। গত পাঁচ বছরই একের পর এক ঝড়

মোকাবেলা করতে হয়েছে তাদের।

তবুও অক্টোবরের শেষ

সপ্তাহকে সামনে রেখে বিশেষ

প্রস্তুতি নিচ্ছে জামায়াত-শিবির।

জারি করা হয়েছে সর্বোচ্চ

সতর্কতা। সাংগঠনিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ

সব নেতা-কর্মীর ঈদের ছুটি বাতিল

করা হয়েছে। তাদেরকে যে কোন

পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত

থাকতে বলা হয়েছে।

একইসঙ্গে কারাগারে আটক নেতা-

কর্মীদের যত সংখ্যক ঈদের আগে বের

করে আনা যায় তার

চেষ্টা চালানো হচ্ছে। অক্টোবরের

শেষ সপ্তাহকে নিজেদের

রাজনৈতিক অস্তিত্ব বজায় রাখার

ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়

মনে করছে জামায়াত-শিবির।

২৮শে অক্টোবরের অভিজ্ঞতার

কারণেই সতর্ক জামায়াত। ২০০৬

সালে চার দলীয় জোটের

ক্ষমতা ত্যাগের

দিনে আওয়ামী লীগের

নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের

সঙ্গে পল্টনে সংঘর্ষ হয়

জামায়াতের।

যে সংঘর্ষে জামায়াত-শিবিরের

ছয় কর্মী প্রাণ হারান। ওয়ার্কাস

পার্টির এক কর্মীও নিহত হন। পল্টন

হত্যাকাণ্ড নিয়ে এরপর

আলোচনা হয়েছে বিস্তর।

জামায়াতের নিজস্ব^ মূল্যায়নে ওই

দিনের ঘটনায় নিজেদের

পরিকল্পনা এবং প্রস্তুতির

অভাবকে দূর্বলতা হিসেবে চিহ্নিত

করা হয়। জামায়াতের একাধিক

সূত্রে জানা গেছে, অতীতের ভুলের

কথা বিবেচনায় রেখেই এবার

প্রস্তুতিতে কোন

দূর্বলতা রাখতে চাচ্ছে না জামায়া

শিবির। মাঠ পর্যায়ে জামায়াতের

সক্রিয় নেতারা এ নিয়ে একাধিক

বৈঠক করেছেন।

আন্দোলনে জামায়াতের মূল ফোর্স

ছাত্র শিবিরের নেতারাও এ

নিয়ে নিজেদের কর্মকৌশল

নির্ধারণ করেছেন।

জামায়াতের

নীতিনির্ধারকরা ২৪শে অক্টোবরের

পর আইন

শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিশেষ

করে পুলিশের ভূমিকা কি হয়

সেদিকে সবচেয়ে বেশি দৃষ্টি রাখছ

কারণ তাদের মূল্যায়নে বর্তমান

সরকারের আমলে আন্দোলন

করতে গিয়ে জামায়াতকে আওয়ামী

কাছ থেকে তেমন কোন চ্যালেঞ্চ

মোকাবেলা করতে হয়নি। পুলিশই

জামায়াতের

বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি অ্যাকশন

নিয়েছে। একটি বিশেষ ছাত্র

সংগঠনের রাজনীতির সঙ্গে একসময়

জড়িত ছিলেন এমন পুলিশ কর্মকর্তারাই

জামায়াতের

বিরুদ্ধে অ্যাকশনে নেতৃত্ব দিয়েছেন

বলে জামায়াতের

নীতিনির্ধারকরা মনে করেন।

তবে সার্বিকভাবে পুলিশের

ভূমিকা নিরপেক্ষ হয়ে যাবে বলেই

জামায়াত নেতাদের ধারণা।

দ্বিতীয়ত, জামায়াত গুরুত্ব

দিচ্ছে বিরোধী অন্যান্য দলগুলোর

সঙ্গে সংযোগ রক্ষা করার বিষয়টি।

বিএনপিসহ অন্যান্য দলের

সঙ্গে রাজপথে ঐক্যবদ্ধ

থাকলে আওয়ামী লীগ এবং আইন

শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে মোক

হবে বলে মনে করে জামায়াত।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার আদায়ের

আন্দোলন ছাড়াও জামায়াত

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ

হিসেবে দেখছে দলের

সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল

আব্দুল কাদের মোল্লার রায়

কার্যকরের বিষয়টি। জামায়াত

নেতারা আশঙ্কা করছেন, বর্তমান

সরকার ক্ষমতায় থাকলে অক্টোবরের

মাঝামাঝি সময়ে কাদের মোল্লার

ফাঁসির রায় কার্যকর হয়ে যাবে।

দলের অন্যান্য নেতাদের রায়

কার্যকরের বিষয়টিও নির্ভর

করছে সরকারের ক্ষমতায়

থাকা না থাকার উপর।

সবমিলিয়ে সামনের কিছুদিন

নিজেদের রাজনীতির অস্তিত্ব

নির্ধারণী সময়

হিসেবে ধরে নিয়ে প্রস্ততি নিচ্ছে

বিষয়: রাজনীতি

১৩০৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File