সা. কাদের চৌধুরীর রায় ফাঁস : ট্রাইব্যুনালের সিসিটিভির ফুটেজ ও পেনড্রাইভ জব্দ

লিখেছেন লিখেছেন যায়েদ ভাই ০৪ অক্টোবর, ২০১৩, ১০:০২:২৮ সকাল

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য

সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর রায়

ফাঁস হওয়ার ঘটনা তদন্ত

করছে গোয়েন্দা দল।

ট্রাইব্যুনালে তদন্ত

করতে এসে সিসিটিভির ফুটেজ

সংশ্লিষ্ট পেনড্রাইভ জব্দ

করেছে তারা। ট্রাইব্যুনালের

চেয়ারম্যান এটিএম ফজলে কবীরের

কক্ষে ব্যবহার করা একটি কম্পিউটার

থেকে এসব জব্দ করা হয়।

তবে অভিযোগ উঠেছে, ট্রাইব্যুনাল

থেকে নয়, রায় ফাঁস হয়েছে আইন

মন্ত্রণালয় থেকে। সালাহউদ্দিন

কাদের চৌধুরীর মামলার রায়

কম্পোজ করেছেন দুই বেঞ্চ অফিসার।

তারা দুই জনই ট্রাইব্যুনাল ১-এর

চেয়ারম্যানের ঠিক পেছনের

কক্ষে বসেন। তারা আদালতের

বিভিন্ন গোপন বিষয় টাইপ করতেন

বলেও জানা গেছে।

এই দুই বিচারপতি এটিএম

ফজলে কবিরের কক্ষের

কম্পিউটারে রায় কম্পোজের

কাজে যুক্ত ছিলেন। বেঞ্চে দুই

অফিসার হলেন গৌরাঙ্গ চন্দ্র ও

রাশেদা বেগম। তবে তাদের

পূর্ণনাম কী,

তা সঠিকভাবে জানাতে পারেনি রেজিস্ট্রার

দফতর।

তাদের সন্দেহ

করা হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে রেজিস্ট্রার

বলেন, ‘আমরা কাউকে সন্দেহ

করছি না। সন্দেহ

করলে আমরা অভিযুক্তদের নির্দিষ্ট

করে মামলা দায়ের করতাম।’

ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার এ

কে এম নাসিরউদ্দিন মাহমুদ ও

ডেপুটি রেজিস্ট্রার অরুণাভ

চক্রবর্তী এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

রায় ফাঁস হয়ে যাওয়ার

ঘটনা তদন্তের দায়িত্বে রয়েছেন

মহানগর গোয়েন্দা অফিসার

মোখলেসুর রহমান।

জানা যায়, রায় ফাঁসের ঘটনায়

শাহবাগ থানায়

প্রথমে জিডি পরে মামলা দায়েরের

পর বুধবার

বিকালে গোয়েন্দা কর্মকর্তারা রায়

লেখার কাজে ব্যবহার

করা কম্পিউটারটি জব্দ

করে নিয়ে যান। পরে গতকাল

সংশ্লিষ্টদের পেনড্রাইভ জব্দ

করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার

জানান, ট্রাইব্যুনালের

যে কম্পিউটারে এই মামলার

(সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী) রায়

লেখা হয়েছে, তা টাইপের কাজ

করেছেন দু’জন। তবে সার্বিক

কাজে চারজন ভিও যুক্ত ছিলেন। এসব

তথ্য রেজিস্ট্রার

এবং ডেপুটি রেজিস্ট্রারের

সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে।

ডেপুটি রেজস্ট্রার অরুণাভ

চক্রবর্তী বলেন, ‘আমাদের কাজ

হচ্ছে তদন্তের সহায়তা করা। তদন্তের

সহায়তার অংশ হিসেবেই বুধবার

তদন্ত দল রায় লেখার কাজে ব্যবহার

করা কম্পিউটারটি জব্দ

করে নিয়ে গেছে।’

এছাড়া ট্রাইব্যুনালের নিচের

কক্ষে ১০ থেকে ১২ জন

পরিচ্ছন্নতা কর্মী রাতে অবস্থান

করতেন। তাদের সরিয়ে নেয়ার জন্য

সিদ্ধান্ত

নেয়া হয়েছে বলে জানান

রেজিস্ট্রার। যেসব

কক্ষে পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা রাতে অবস্থান

করতেন, এখন থেকে ওইসব কক্ষে কেউই

থাকবেন না, এখন এইসব কক্ষে পুলিশ

প্রহরা থাকবে।

রায় ফাঁস হওয়ার পরে সার্বিক

বিষয়ে খোঁজখবর নিতে বৃহস্পতিবার

ট্রাইব্যুনাল ২-এর চেয়ারম্যান

বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও সদস্য

বিচারপতি শাহিনুর ইসলাম ঘটনাস্থল

পরিদর্শন করেছেন

বলে জানিয়েছেন রেজিস্ট্রার

নাসিরউদ্দিন মাহমুদ।

ট্রাইব্যুনালের

বিচারপতিরা পরিদর্শন করার

পরে সিদ্ধান্ত নেন যে এখন

থেকে নিরাপত্তাজনিত

কারণে রাতে কেউই অবস্থান

করতে পারবেন না।

মহানগর গোয়েন্দা অফিসার

মোখলেসুর রহমানের

নেতৃত্বে দলটি মঙ্গলবার সন্ধ্যায়

ট্রাইব্যুনাল থেকে রায়ের

কাজে ব্যবহার কম্পিউটারটি জব্দ

করে নিয়ে যায়। বৃহস্পতিবার

সকালে তদন্ত

দলটি ট্রাইব্যুনালে আসেন, দুপুরের পর

ডিবির আইটি টিমের কিছু

সদস্যরা আসেন।

এর আগে বুধবার দুপুরে ট্রাইব্যুনালের

রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে এক সংবাদ

সম্মেলনে রেজিস্ট্রার এ কে এম

নাসিরউদ্দিন মাহমুদ রায়ের

খসড়া কপি ফাঁসের কথা স্বীকার

করেন। এ বিষয়ে শাহবাগ থানায়

জিডিও করার বিষয়টিও উল্লেখ

করেন তিনি।

বিষয়: বিবিধ

১০৩১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File