মহাজোটের (!) তত্ত্বাবধায়ক ভিতী
লিখেছেন লিখেছেন যায়েদ ভাই ০২ অক্টোবর, ২০১৩, ০৬:২৭:৪৯ সকাল
মহাজোটের (!) তত্ত্বাবধায়ক ভীতি -
প্রধান বিচারপতি জাতীয় নির্বাচনক
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা থাকবে ক
ব্যাপারে প্রথমে হ্যাঁ ও পরে না বলে বিভ্রান্তিকর
দিয়ে পুরো জাতিকে একটা অগ্নিগহ্
এখন অহরহ হরতাল, অবরোধ, মানববন্ধন, গা
গাড়িতে অগ্নিসংযোগ, পুলিশের ছ
মরিচের গুঁড়ার ¯েপ্র, লাঠিচার্জ, রাব
পরিশেষে গুলি এরপর মিছিলকারী ও
খবর পাওয়া যাচ্ছে। শুধু খবর পাওয়া যা
সামনেই ঘটতে দেখছি। পুলিশ আহত ও ন
পাওয়া যাচ্ছে। সরকারি দলের ক্যাড
পুলিশের পাশাপাশি তাদের শক্তি
বিতর্কিত ও বিভ্রান্তিমূলক রায় দিয়
বিচারপতি পরিবার-পরিজন নিয়ে সুন্
বেঘোরে প্রাণ হারাচ্ছে দেশের স
বিরোধী দলের কর্মীরা।
দেশ যখন মোটামুটি শান্তির পথে এগ
বাতাস যখন ভালোর দিকে। রাজনীত
হাঁটি হাঁটি পা পা করে গণতন্ত্রের প
তখনই নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার আ
রায় বাতিল করে দিয়ে সাবেক প্রধা
জাতিকে আগুনের কুণ্ডলীর মধ্যে ফেল
আমরা না থাকলাম বাঙালি আর না থ
আমরা যেন হয়ে গেলাম একে অপরের
রায়ে কার কতটুকু লাভ হলো? কেউ তা
মেলাতে পারছে না।
এক দল বলছে, দেশে আর নির্দলীয় তত্ত্ব
সরকারব্যবস্থা আসতে দেয়া হবে না।
রায়ে তা বাতিল হয়ে গেছে। আর অন্
ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য নির্দলী
অবশ্যই হতে হবে, অন্যথায় বিরোধী দল
নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। এমনকি
দেবে না। বিশ্বের সব গণতন্ত্রচর্চাকা
একতরফা নির্বাচন মেনে নেবে না ব
ইঙ্গিতে জানিয়ে দিয়েছে।
বাংলাদেশের অন্যান্য রাজনৈতিক দল
নির্দলীয় ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার খুবই জরু
সভাপতি বাংলাদেশের সাবেক রা
চৌধুরী বলেছেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক দিন,
হয়ে যাবে, না হলে রাজনীতি ছেড়
সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল, সর্বজনশ্
রফিকুল হক আগাগোড়াই নির্দলীয় তত্ত্
কথা বলে আসছেন। সংবিধান-লেখক ড
‘দলীয় সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ ন
বাংলাদেশের আরো বহু জ্ঞানী-গুণ
জন্য ভাবেন তাদের কোনো কথাই সরক
করছে না বরং তাচ্ছিল্যের সাথে প্রধ
‘অসাংবিধানিকভাবে ক্ষমতা দখলে
করতে একশ্রেণীর মানুষ অপেক্ষায় থা
জনগণের! দেশটা যেন একটা দলের, একট
একটা পরিবারের বা একজন ব্যক্তির।
একসময় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা চা
আন্দোলন করেছিল। তারাও রাজপথ দখ
জানমালের ক্ষয়ক্ষতি কম করেনি। এখন
বলছেÑ ‘কোনো সভ্য দেশে তত্ত্বাবধা
আর কাকে বলে। এই তো মাত্র কিছু দিন
পাকিস্তানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারে
নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে গেল। আওয়ামী
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতির জন্য আন্দ
বাংলাদেশ কী ছিল? সভ্য না অসভ্য?
প্রধানমন্ত্রী প্রায়ই বলেন, জনগণ ক্ষমতা
সম্প্রতি একটি দৈনিকে নির্দলীয় তত্
ওপর জরিপ চালানো হয়। সেই জরিপে
প্রকাশ করে। এই রায়কে প্রধানমন্ত্রী ত
প্রত্যাখ্যান করেন। এই রায় যদি তার পক্
কি তিনি প্রত্যাখ্যান করতেন? না কর
নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধ
করতে আওয়ামী লীগের এতো ভয় কেন
হোক না কেন, ফলাফল নির্ভর করে রা
কর্মকাণ্ডের ওপর। নির্দলীয় তত্ত্বাবধা
কেউ ভাবেন, এই পদ্ধতিতে নির্বাচন হ
ও গ্রহণযোগ্য। আবার কেউ ভেবে থাকত
নির্ঘাত হেরে যেতে হবে। আবার ক
ব্যবস্থায় বিজয় সুনিশ্চিত। দেশের সাধ
সে কথা আমাদের মাথায় কেন নেই?
নির্বাচনে হারজিত আছেই। সবাই জি
কেউ হারবে আর কেউ জিতবে। হারজ
হাতে না। হারজিত জনগণের হাতে। স
নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার হচ্ছে অ
অনির্বাচিত ব্যক্তি দিয়ে গঠিত হয়ে
তারাই তো পরিচালনা করবে জাতী
তো অনির্বাচিত ব্যক্তি। অনির্বাচি
যদি একটি সুষ্ঠু (?) নির্বাচন
পরিচালনা করতে পারে তাহলে অন
ব্যক্তি সমন্বয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠ
আসলে জুজুর ভয়টা অন্যখানে।
সংসদে অনির্বাচিত সদস্য রয়েছেন, এ
হলে গেলেন। মন্ত্রিসভায় আছেন অন
মন্ত্রী এবং মন্ত্রীর মর্যাদাসম্পন্ন উপদ
তাতে তো আমাদের কোনো সমস্যা হ
পাকিস্তানে ঐতিহাসিক নির্বাচন
মতো গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ক্ষমতার
তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হয়েছ
মেয়াদ শেষ করতে না পারা নওয়াজ শ
ভরাডুবির শিকার পিপিপিকে (পাক
ভাগ্যবান বলা চলে। খুব ভালো কিছু কর
নিজেদের ক্ষমতার ৫ বছর পূরণ করতে পা
মতো দেশে কম কথা নয়।
পিপিপি এভাবে স্পট থেকে হারিয়
নেতারা হয়তো স্বপ্নেও ভাবেনি। ত
বিষয়টি তারা টের পেয়েছিল। সম্ভব
চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদ
থেকে বাইরে পাঠিয়ে দিয়েছে প
ভুট্টোর রক্তের বিনিময়ে এক মেয়াদ
পদ ও রাষ্ট্র ক্ষমতার স্বাদ পেয়েছেন ম
আসিফ আলী জারদারি।
নির্বাচন পরবর্তী পাকিস্তানের সঙ্গ
অবস্থা একেবারে মিলে যাচ্ছে। নি
দলের প্রাপ্ত আসন ও আমাদের শাসকদল
কাছাকাছি। ২০০১ সালে আওয়ামী ল
অবস্থা দ্রষ্টব্য। তবে ব্যতিক্রম
হচ্ছে পাকিস্তানে নির্বাচনে হের
অভিযোগ তোলেননি। বীরত্বের সঙ্গ
ইমরান খান। যেমনটি আমাদের দেশে
অনেক অমিল থাকলেও কেন যেন পাক
অনেক কিছু মিলে যায়। আমরা বিভিন্
এনে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বাত
গ্রহণ করে ইতিহাসে জায়গা করে নে
করে নিয়েছে পাকিস্তান। নিজেদ
বাইরে অতিরিক্ত হস্তক্ষেপ করেনি ব
খোসোর নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক স
সাবেক সেনাশাসক পারভেজ মোশা
বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতা ও দুর্নীতির
করেনি। তারা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়ে
সরকারের রুটিন ওয়ার্ক ও একটি স্বচ্ছ ও ন
করে দেয়া। এদিক থেকে পাকিস্তান
চূড়ান্ত সফল ও ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য। দ
ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ভোট পড়া
নির্বাচন যথেষ্ট অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে ব
পর্যবেক্ষকেরা দাবি করেছেন। এরই মধ্
সরকারের পদ্ধতি গ্রহণ করেছে। ফলে এ
পদ্ধতি ধরে নেয়া যায়। ভবিষ্যতে আর
করবে বলেও আশা করা যায়। বিষয়টি ব
গৌরবের।
সলে আমাদের মতো অবিশ্বাসের গণত
দেশগুলোতে নির্বাচিত সরকারের আ
নির্বাচন কতটুকু নিরপেক্ষ হবে তা প্রশ্ন
অভাবের কারণেই কিন্তু আমাদের তত্
আবির্ভাব। এখনও সেই অবিশ্বাস দূর হয়ন
না ভেঙ্গে কিভাবে আরেকটি পার্
হবে এটাও পরিষ্কার নয়। ফলে সাধারণ মানুষ
ভেঙ্গে দিয়ে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়
আগামী জাতীয় নির্বাচন হোক।
প্রশ্ন হচ্ছে, কেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হা
১৪ দলীয় জোট (তাদের ভাষায় মহাজ
আওতায় নির্বাচন করতে রাজি হচ্ছে ন
প্রতি কি প্রচণ্ড ভীত। জনগণের উপর আস্থ
বিডিআর বিদ্রোহ, শেয়ারবাজার ক
সমাজের ওপর হামলার কারণে নিজে
ধরেছে। আওয়ামী লীগ কি ২০০১ সাল
পুনরাবৃত্তি দেখে তত্ত্বাবধায়কের প্র
দলটি বুঝতে পারছে বিরোধী দলের স
তারা যেভাবে জেলে পুরছে তেমন
অপেক্ষা করছে। এ জন্যই যেকোনোভা
জন্য নিজেদের অধীনেই নির্বাচন কর
জনসমর্থনের যা অবস্থা তাতে এমন আশঙ্
ফলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আওতায়
নির্বাচনে যেতে চাইবে না আওয়াম
স্বাভাবিক।
তবে কথায় কথায় যে দলটি বলে থাকে
তাদেরকে অবশ্যই সেই জনগণের প্রতি
থাকলে নিরপেক্ষ, নির্দলীয় তত্ত্বাবধ
নির্বাচন আয়োজন করার উদ্যোগ নিতে হবে৷
বিষয়: রাজনীতি
১১১১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন