শয়তান সারাজীবনে যা করতে পারে না, মুজিবের একটা বক্তব্য দিয়ে তা সম্ভব!

লিখেছেন লিখেছেন ফেরারী সম্রাট ২৪ অক্টোবর, ২০১৩, ১১:১২:১৩ সকাল

ණ মুসলিমদের ধর্ম গ্রন্থ কুরআন-হাদিস।

ණ আওয়ামী লীগের ধর্ম গ্রন্থ তাদের আব্বার সেই ঐতিহাসিক (!) ভাষণ!

ණ একদিন শয়তানের প্রধানকে কোথাও পাওয়া যাচ্ছিল না। শয়তানের সকল শাখায় সংবাদ পৌছে গেল যে, শয়তান প্রধাননের কোন খবর নাই।

খবর পাওয়া মাত্রই দুনিয়ারসকল শয়তান জরুরী ভিত্তিতে মিটিংয়ে মিলিত হয় এবং ব্যাপক অনুসন্ধান চালানো হয়। কিন্তু দুদিন পার হওয়ার পরও কোন সন্ধান কেউ দিতে পারেনি।

অতপর শয়তানের যে এজেন্ট জাহান্নামের দায়িত্বে আছেন তাকে ফোন করা হল, শয়তান প্রধানকে আল্লাহ কোন গোপনে জাহান্নামে ঢুকিয়ে রেখেছে কিনা?

খবর আসল তিনি জাহান্নামে নাই।তাহলে বেহেশতে দেখ আল্লাহ কোন তাকে মাফ করে দিয়ে সেখানে রেখেছে কিনা?

সকল সম্ভাব্য সুত্রে খবর নিয়েদেখা গেল তিনি সেখানেও নেই। শয়তানের সকল এজেন্সীগুলো আবারো সচল হল এবং শয়তান প্রধানকে ভূপৃষ্টে তন্ন তন্ন করে খোঁজা হল। কোথাও থেকে কোন আশাব্যঞ্জক খবর পাওয়া গেলনা।

দুদিন পর অকস্মাত খবর আসল শয়তান প্রধানকে পাওয়া গিয়েছে। সবাই প্রশ্ন করল কোথায়??

উত্তর আসল তিনি বাংলাদেশের বঙ্গভবনে। আবারো প্রশ্ন তিনি ওখানে কি করছেন?

মাধ্যম উত্তরে জানালেন তিনি এখন শেখ মুজিবের পা টিপাটিপি করিতেছেন। সব শয়তান তাজ্জব হয়ে গেলেন দুনিয়ার এত কাজ থাকতে শয়তান প্রধান শেখ মুজিবের পা কেনটি পতেছেন কেন?

তার সাথে কি কথা বলা যায়?

উত্তর আসল এমুহুর্তে কথা বলার সময় ওনার হাতে নাই, কেউ যাতে ওনাকে বিরক্ত না করে।

তারপরও সকল শয়তান তাদের প্রধানের নিকট অনুনয় বিনয়করে জানতে চাইলেন শেখ মুজিবের পা টিপার রহস্যটি কি?

অবশেষে শয়তান প্রধান জানালেন, শয়তান প্রধান নিজেও একজন মানুষকে গোমরাহ করতে অনেককষ্ট করতে হয়। কখনও সফল হনকখনওব্যর্থ হন। কিন্তু শেখ মুজিব যেভাবে একটি বক্তৃতা দিয়ে তার সকল অনুসারীদের গোমরাহ করেন, সে যোগ্যতা শয়তান প্রধানের নেই।

শেখ মুজিব এককথায় যতজন মানুষকে পথভ্রষ্ট করতে পারেন, শয়তান প্রধান সারা জীবনেও তা করতে পারেন না। আর ৭ই মার্চের ভাষনে শেখ মুজিব এক বক্তৃতায় সাড়ে সাত কোটি মানুষকে গোমরাহ করেছে, যা কিনা সকল শয়তান সদস্য ১০০ বছরে করতে পারেনা।

তাই শয়তান প্রধানঅন্য সকল কাজ বাদ দিয়ে একজনের পা টিপাতে লেগে গেছেন, যদি শেখ মুজিবের মাধ্যমে আরেকটি বক্তৃতা বের করা যায় এই আশায়।”

–লেখক মাউলানা ভাসানী, (দৈনিক হককথা ১৯৭৪)

ණ মাওলানা ভাসানী যদি বেচে থাকত আজ কাঁদের সিদ্দিকীর মত তিনিও রাজাকার হতেন। তাকেও বিশ্ববিখ্যাত মুফাস্সিরে কোরআন আল্লামা দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর মত ক্যাঙ্গারু ট্রাইবুনালে ফাঁসির আসামি বানানো হত।

ණ হে বঙ্গ জননী! ৭ কোটি জনগণকে রেখেছ বাঙ্গালী করে, মানুষ করনি!!!

বিষয়: বিবিধ

১২৬১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File