কেয়ামতের মিশনে আইএস
লিখেছেন লিখেছেন অরণ্যে রোদন ১৯ নভেম্বর, ২০১৫, ১০:২৩:১৭ রাত
যেভাবে আইএসের উত্থান
আইএস বা ইসলামিক স্টেট একটি সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন। কীভাবে গড়ে উঠল আইএস? কীভাবে এত শক্তিশালী হয়ে উঠল তারা? আইএস নির্মূলে বিশ্বের শীর্ষ সামরিক শক্তিধর দেশগুলো চালাচ্ছে সামরিক অভিযান। আইএসের উত্থানের পেছনে সবচেয়ে বেশি আলোচিত ইরাকে সাদ্দামের পতন। আইএসের উত্থানের পেছনে নিজেদের পরোক্ষ ভ‚মিকার কথা প্রকাশ্যেই স্বীকার করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। সাক্ষাৎকারে তিনি স্পষ্ট স্বীকারোক্তি দেন, ২০০৩ সালে জর্জ ডব্লিউ বুশের নির্দেশে ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা অভিযানের সময়ই সশস্ত্র গোষ্ঠী আইএসের উদ্ভব হয়েছে।
এর আগে নোয়াম চমস্কিসহ বেশ কিছু মার্কিন বুদ্ধিজীবী একই যুক্তি তুলে ধরেছিলেন। জাতিসংঘকে পাশ কাটিয়ে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ ২০০৩ সালে ইরাকে আগ্রাসন চালানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন। তার সঙ্গে হাত মিলিয়েছিলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার। মার্কিন অভিযানের অজুহাত হিসেবে বলা হয়েছিল, ইরাকে রাসায়নিক অস্ত্র মজুদ রয়েছে। কিন্তু ইরাকে সাদ্দামের পতনের পর এ ধরনের রাসায়নিক অস্ত্রের খোঁজ পাওয়া যায়নি। শেষ পর্যন্ত টনি ব্লেয়ারও ‘ইরাক যুদ্ধ ভুল হয়েছিল’ বলে স্বীকার করে নেন। আল-কায়েদা থেকে আইএসের উত্থান কীভাবে হলো সেটা নিয়ে বহু বিশ্লেষণ হয়েছে। সিরিয়া-ইরাকের বিশাল এলাকা দখল করে বৈশ্বিক জিহাদি আন্দোলনের নামে আইএসের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের পেছনে বেশ কিছু দেশ, রাজনৈতিক নেতা ও আর্থিক সংগঠনের প্রশ্নবিদ্ধ ভ‚মিকা রয়েছে। আইএসের বেড়ে ওঠার পেছনে যোগসূত্র আছে ‘আল-কায়েদা ইন মেসোপটেমিয়ারও। এরা আল-কায়েদা ইরাক (একিউআই) নামেই পরিচিত। ২০০৩ সালে হামলা চালালে সাদ্দাম হোসেনের পতন ঘটে। ইরাক দখল করে নেয় যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন কোয়ালিশন বাহিনী। পরবর্তীতে বিশ্লেষকরা দেখেছেন, সাদ্দাম পতন ও ইরাক দখল করতে গিয়ে আল-কায়েদাকে ব্যাপক অস্ত্র ও ট্রেনিং দেওয়া হয়েছিল। ২০০৬ সালে সালাফি জিহাদি গোষ্ঠীর সঙ্গে সুন্নি নেতাদের দ্বন্দ্ব শুরু হয়। স্থানীয় উপজাতি এবং আমেরিকানদের মধ্যে সহযোগিতার কারণে ইরাকে অভ্যন্তরীণ যুদ্ধের সূত্রপাত হয়। এরই মধ্যে মার্কিন হামলায় নিহত হন একিউআইয়ের প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান আবু মুসাব আল-জারকাভি। তার মৃত্যু এই জঙ্গি সংগঠনের পতনের একটি ইশারা ছিল। ইরাক ও এই অঞ্চলে নতুন জঙ্গি সংগঠন উঠে দাঁড়ানোর সম্ভাবনাও সৃষ্টি হয়। ২০১০ সালে আবু বাকার আল-বাগদাদিকে নেতা নির্বাচনের পর সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী সংগঠন গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। ইরাকের ব্যাপক রাজনৈতিক মেরুকরণের মধ্যে ক্ষমতা নেন বাগদাদি। ক্ষমতাচ্যুত সাদ্দাম হোসেনের সেনাবাহিনী থেকে অনেক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও অভিজ্ঞ সদস্যদের দলে টানেন বাগদাদি। বিশেষ করে সাদ্দামের রিপাবলিকান গার্ডের সদস্যরা আইএসের পেশাদার যোদ্ধা হিসেবে যুদ্ধ করে এবং মানুষ হত্যার একটি শক্তিশালী যন্ত্রে রূপ নেয়। সুন্নি পদাতিক সৈনিক হিসেবে ২০০৪ ও ২০০৫ সালে মার্কিন বাহিনীর হাতে দুবার আটক হয়েছিলেন বাগদাদি। উমা কুসারের ক্যাম্প বুক্কা কারাগারে বন্দীও ছিলেন বেশ কিছুদিন। বন্দী থাকা অবস্থায় জেলেই অনেক জিহাদির সঙ্গে পরিচয় হয় তার। জেলে বসেই ধর্মীয় মতবাদের অনেককে নিয়ে এক শক্তিশালী নেটওয়ার্ক গঠন করেন। ক্যাম্প বুক্কায় বাগদাদির সঙ্গে দেখা হয় সাদ্দাম হোসেনের বিশ্বস্ত সেনা অফিসারদের।
সেখানে জিহাদি আর সাবেক সেনা সদস্যদের মধ্যে এক কোয়ালিশন গঠন হয়। ২০১১ সালে ইরাক থেকে মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহার করা হয়। এই সুযোগের অপেক্ষাতেই ছিল আইএস। অবিশ্বাস্যভাবে রাতারাতি তাদের সদস্য সংখ্যা ১৭ হাজার থেকে ৩২ হাজারে উন্নীত হয়। ধীরে ধীরে ডালপালা মেলে এটি। ধর্মকে পুঁজি করে সন্ত্রাসবাদের দিকে ঝুঁকে পড়ে আইএস। কয়েকবছরের ব্যবধানে আইএসের হাতে আসে উন্নত অস্ত্র। আর্থিক ভিত্তিও শক্তিশালী হয়ে ওঠে।
আইএসকে অর্থ ও অস্ত্র দিচ্ছে কারা?
আমেরিকায় নাইন-ইলেভেন হামলার পরপরই সারা বিশ্বে সন্ত্রাসবাদ শব্দটি ব্যাপকভাবে আলোচিত হতে শুরু করে। যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে অনেক দেশই সে গলায় সুর মিলিয়েছিল। তারই ধারাবাহিকতায় উঠে আসে আল-কায়েদার নাম। ইরাকের কাছে রাসায়নিক অস্ত্র রয়েছে ও ইরাক সন্ত্রাসবাদকে প্রশ্রয় দিচ্ছে এমন শক্ত অভিযোগ এনে ইরাক আক্রমণ করে বসে যুক্তরাষ্ট্র। সন্ত্রাসবিরোধী মার্কিন হামলার সময়ই অভিযোগ ওঠে ইরাকে সাদ্দামবিরোধীদের সশস্ত্র প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। উন্নত অস্ত্র ও অর্থ সহযোগিতারও অভিযোগ ওঠে। এক সময় ইরাকে সাদ্দাম হোসেনের পতন ঘটে। কিন্তু অনেকেই ভবিষ্যৎ আঁচ করতে পারেননি। সাদ্দাম হোসেনের অনুগত প্রশিক্ষিত সেনা সদস্য ও মানবতাবিরোধী একটি পক্ষ বরাবরই পা গেড়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে আসছিল। আর সে সুযোগটি বুমেরাং করে কাজে লাগাতে চেয়েছে বিপক্ষ। সাম্প্রতিক সময়ে আলোচনায় এসেছে মোসাদ ও সিআইএ। বিশ্লেষকরা দাবি করেন, ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থার ইশারাতেই আইএস শক্তিশালী হতে শুরু করে। আন্তর্জাতিক মিডিয়াগুলোর দাবি, বৃহৎ অর্থে আইএস নিজেই নিজের অর্থের জোগানদাতা। ইরাক ও সিরিয়া দখলে থাকা তেলক্ষেত্র থেকে তেল বিক্রি, অপহরণের পর মুক্তিপণ আদায়, চোরাকারবারি, ট্যাক্স আদায়, লুটতরাজ, ব্যাংক ডাকাতি ইত্যাদির মাধ্যমে বিপুল অর্থ পাচ্ছে তারা। যখন জঙ্গি গোষ্ঠীটি আÍপ্রকাশ করে তখন বিশেষ করে সৌদি আরব, কাতার ও কুয়েতের অনেক ব্যক্তি ও সংস্থার কাছ থেকে অর্থ পায় আইএস। শুরুতে পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলের রাজপরিবারগুলো আইএসসহ সিরীয় প্রেসিডেন্টের বিরোধী পক্ষগুলোকে প্রকাশ্যেই অর্থসহায়তা দিয়েছে।
জ্বালানিবিষয়ক গবেষণা সংস্থা আইএইচএসের ধারণা, প্রতি ২৪ ঘণ্টায় আইএস ৬০ হাজার ব্যারেল পর্যন্ত তেল উৎপাদন করছে। এর মূল্য ১০ লাখ পাউন্ড। নিউজউইকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, আইএস নানাভাবে গত দুই বছরে কমবেশি চার কোটি ডলার জোগাড় করেছে। আর যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ বিভাগের হিসাবে ২০১৪ সালেই মুক্তিপণ বাবদ হাতিয়ে নিয়েছে তারা কমপক্ষে দুই কোটি ডলার। সব মিলিয়ে প্রতি বছর আইএসের বার্ষিক আয় ২০০ কোটি ডলার।
অর্থের জোগানের এই হিসাব নিঃসন্দেহে যে কাউকে চমকে দেবে। কিন্তু অস্ত্র আসছে কোথা থেকে? প্রশ্ন জাগতেই পারে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে যে দেশগুলো নেতৃত্ব দিয়ে থাকে তারাই মূলত অস্ত্র তৈরি ও রপ্তানি করে আর্থিকভাবে মুনাফা অর্জন করে থাকে। আইএসের কাছে যে মানের আধুনিক অস্ত্র রয়েছে তাতে বিশ্লেষকদের কপালে ভাঁজ পড়েছে। এ বছর জানুয়ারিতে প্যারিসে ফরাসি বিদ্রƒপাÍক পত্রিকা শার্লি এবদোর কার্যালয়ে হামলার পর অস্ত্র বিশেষজ্ঞরা খতিয়ে দেখেন হামলায় ব্যবহৃত অস্ত্রগুলোর বেশির ভাগই ইউরোপের বলকান অঞ্চল থেকে চোরাই পথে আনা। এগুলো সাবেক যুগোশ্লাভিয়া যুদ্ধের (১৯৯১-৯৫) সময়ে ব্যাপকভাবে ব্যবহƒত হতো। কিছু কিছু গণমাধ্যম জানায়, ইউরোপে ৫০০ থেকে এক হাজার ইউরোর বিনিময়ে স্বয়ংক্রিয় বন্দুক কিনতে পাওয়া যায়। আর কনফ্লিক্ট আর্মামেন্ট রিসার্চ গ্রুপের গত বছরের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, মধ্যপ্রাচ্যে আইএসের হাতে থাকা অস্ত্রভাণ্ডারের বেশির ভাগই যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও রাশিয়ার তৈরি। এ ছাড়া ২০১৪ সালে ইরাকের অনেক জায়গা দখলের পর তারা সরকারি অস্ত্র নিজেদের করে নেয়। আর সৌদি আরব, ইরাক, সিরিয়া ও পশ্চিম ইউরোপ থেকে চোরাই পথে অস্ত্র আইএসের হাতে যাচ্ছে। অর্থ ও অস্ত্র হাতে পেয়ে আইএস আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে। মধ্যপ্রাচ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে এখন ইউরোপে সন্ত্রাসী হামলার দিকে মনোযোগ বাড়িয়েছে আইএস। আইএস হামলা থেকে এখন কোনো দেশই ঝুঁকিমুক্ত নয়।
আইএসের শীর্ষ নেতা মোসাদের অনুচর।
মার্কিন প্রচারমাধ্যম এবিসি নিউজ ও সিএনএনে প্রকাশ যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান দলের সিনিয়র সিনেটর ও ২০০৮ সালের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী জন ম্যাক কেইনের সঙ্গে বাগদাদির বেশ কয়েকবার বৈঠক হয়। তেমনই এক বৈঠকের ভিডিও স্নাপশটে প্রমাণ মিলেছে। মধ্যপ্রাচ্যের জনপ্রিয় ইন্টারনেট রেডিও আজিয়াল ডটকম, সোশিও-ইকোনমিক হিস্ট্রি, গ্লোবাল রিসার্চ, এডওয়ার্ড স্নোডেনের ফাঁস করা আমেরিকার গোপনীয় নথি, পলিটিসাইট ডটকমে আইএসের শীর্ষ নেতা বাগদাদিকে নিয়ে প্রচারিত তথ্যানুযায়ী
♦ খলিফা আবুবকর আল বাগদাদি আসলে ইহুদি
♦ ২০০৪ সাল থেকে সিআইএ-র সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা শুরু
♦ টানা এক বছর সামরিক প্রশিক্ষণ দিয়েছেন মোসাদ
♦ ইরাক হামলার সময় ছদ্মবেশে মসজিদের খতিব ছিলেন
সিরিয়ায় রুশ যুদ্ধবিমানের বোমা হামলার পর নতুন করে আইএসের প্রতিষ্ঠা ও সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে বিশ্লেষণ শুরু হয়। মাত্র সাত দিনের বোমা হামলাতেই আইএস পিছু হটতে শুরু করলে সবার মনেই প্রশ্ন জাগে, বছরব্যাপী মার্কিন ও তার মিত্র বাহিনীর আইএসবিরোধী অভিযানের নামে আসলে কী হচ্ছে। রুশ প্রেসিডেন্ট ভূদিমির পুতিন একই অভিযোগ এনে জানান, বুঝতে কষ্ট হয় না কারা আইএস সৃষ্টি করেছে। সাম্প্রতিক প্যারিস হামলার আলোচনা ও বিশ্লেষণ জোরদার হয়েছে। আন্তর্জাতিক মিডিয়াগুলো এরই মধ্যে চমকপ্রদ তথ্য মানুষের সামনে এনেছে। ইরাক ও সিরিয়ার সন্ত্রাসী কার্যকলাপের সঙ্গে নেতৃত্ব দিয়ে থাকেন ৪৪ বছর বয়সী আবুবকর আল বাগদাদি। তিনি ইসলামিক স্টেট (আইএস) ইরাক ও সিরিয়ার নেতা। পশ্চিমাদের চোখে আইএস বিশ্বে ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে পরিচিত। আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় প্রচার হয়েছে আইএসের শীর্ষ নেতা আবুবকর আল বাগদাদি ও আইএস মূলত ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সৃষ্টি। ২০১৩ সালের জুনে যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান সিনেটর জন ম্যাককেইন সিরিয়ায় আবুবকর আল বাগদাদিসহ অর্ধডজন শীর্ষ জঙ্গি নেতার সঙ্গে গোপন বৈঠক করেন। তখন বাগদাদির মুখে লম্বা দাড়ি ছিল না। ওই বৈঠকে বাগদাদির সহযোগী আইএসের শীর্ষ সন্ত্রাসী মোহাম্মদ নূরও উপস্থিত ছিলেন। মার্কিন প্রচারমাধ্যম এবিসি নিউজ ও সিএনএনের একটি ভিডিও স্নাপশটে এ ছবির ব্যাপারে প্রমাণ পাওয়া গেছে। ইসলামিক স্টেট ও এর প্রধান খলিফা আবুবকর আল বাগদাদির পরিচয় নিয়ে রহস্যও উম্মোাচিত করার দাবি এসেছে। সন্ত্রাসী সংগঠন আইএসের শীর্ষ নেতা খলিফা আবুবকর আল বাগদাদি মুসলমান নন। তিনি একজন ইহুদি। তার আসল নাম আকা ইলিয়ট শিমন। ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা এ জঙ্গি গোষ্ঠীর শীর্ষস্থানীয় নেতাদের প্রত্যেকেই মোসাদের কাছে প্রশিক্ষণ নিয়েছে। মোসাদের প্রশিক্ষণ পদ্ধতিতেই আইএস জঙ্গিদের ‘যুদ্ধকৌশল’ শেখানো হয়। বাগদাদির পরিচয় সম্পর্কে ছড়ানো হয়েছে তিনি ১৯৭১ সালের ২৮ জুলাই ইরাকের সামারায় জম্নগ্রহণ করেন। বাগদাদ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইসলামিক স্টাডিজে মাস্টার্স ও পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। ২০০৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ইরাক আক্রমণের সময় সামারায় ছদ্মবেশে একটি মসজিদে খতিবের দায়িত্ব পালন করেন বাগদাদি। পরে তিনি ‘আমিরে দায়েশ’ উপাধি গ্রহণ করেন। গ্লোবাল রিসার্চ নামের একটি গবেষণা ওয়েবসাইট দাবি করে, ২০০৪ সাল থেকে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ-র ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠে আবুবকর আল বাগদাদি।
মুসলিম দেশগুলোই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত।
লেবানন, ফিলিস্তিন, ইসরায়েল, সিরিয়া, ইরাক, তুরস্ক ও সাইপ্রাসের একাংশ নিজেদের করে খেলাফত প্রতিষ্ঠা করতে চায় আইএস। মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে তাদের তাণ্ডব দেখছে বিশ্ববাসী। নিরীহ মানুষদের পুড়িয়ে মারছে, জবাই করছে। নিরপরাধ নারী ও শিশুরাও বাদ যাচ্ছে না আইএসের নৃশংসতার হাত থেকে। সম্প্রতি প্যারিসে সন্ত্রাসী হামলার পর বিশ্বজুড়ে শুরু হয়েছে আইএস আতঙ্ক। ২০০৪ সালে মাদ্রিদ রেলের ওপর বোমা হামলার পর ইউরোপে এতবড় হামলার ঘটনা আর ঘটেনি। প্যারিসে হামলার পর ইসলামিক স্টেট তথা আইএস নামটি আবার উঠে এসেছে। আইএস এই হামলার দায় স্বীকার করেছে। আইএসের বিশ্বজুড়ে সন্ত্রাসী হামলায় মুসলিমপ্রধান দেশগুলোই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বেশি। ধর্ম নিয়ে রাজনীতি ও সন্ত্রাসকে পুঁজি করে সন্ত্রাসবাদ শব্দটির সঙ্গে মুসলিম দেশগুলোকে জড়ানোর অপচেষ্টাও করা হয়েছে বিভিন্ন সময়ে। কিছু আন্তর্জাতিক মিডিয়া সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে মুসলিম দেশগুলোর সম্পর্ক খুঁজে নিতেই বেশি মরিয়া। বাস্তবতা হচ্ছে, বিশ্বের প্রতিটি সভ্য দেশ, তাদের সরকারপ্রধান ও শান্তিপ্রিয় মানুষ বরাবরই সন্ত্রাসবাদ ও নির্দিষ্ট কোনো ধর্মকে এক করে দেখেন না। সন্ত্রাসীদের ধর্ম একটা, সন্ত্রাসবাদ।
(নিউজ পেপার থেকে নেয়া)
বিষয়: বিবিধ
২২৬৯ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এ সবই এক জায়গা হতে নিয়ন্ত্রিত। কাজ করছে বিশ্বের মানুষকে বড় রকমের ধাপ্পা দিতে (তাই এর কোন মূল খুজতে দেওয়া হয়না)। আপনি যা লিখলেন হিস্টরী হিসাবে - তা তাদের কাছ হতে বাজারে ছাড়া হয়েছে - সো আপনি আমি আমরা প্রতারিত হই, ভীত সন্ত্রস্ত হই, একে অপরকে সন্দেহ করি - আর এর চালিকাশক্তি সরকারের মধ্যস্থিত এজেন্ট সমূহকে এ্যাকাউন্টেবল না করি।
সে সাথে মানুষকে ডিজিটাল বিভিন্ন উপায় উপকরনের আওতায় এনে নিয়ন্ত্রন করার ক্ষমতা নিশ্চিত করতে (যা অলমোস্ট তারা করতে পেরেছে)। সে সাথে মানুষকে এ্যানস্লেইভ করে কাজ করতে বাধ্য করতে (যেটাও প্রায় শতভাগ সাকসেসফুলি করে ফেলেছে)। এখন বাকি আছে এ প্রক্রিয়ার ডামাঢোলে রাশিয়া ও চায়নাকে বাধ্য করা যাতে তারা আমেরিকার নেতৃত্বাধীন ন্যাটোর সাথে পারমানবিক যুদ্ধে জড়াতে বাধ্য হয় এবং পৃথিবীর প্রতি ১০০ মানুষের ৯৯ জনকে মারতে পারে, আমেরিকা, ইউরোপ, রাশিয়া, চীনকে পরিপূর্নভাবে ধ্বংশ করে ফেলতে পারে, মেরুদন্ডহীন করে ফেলতে পারে। অবশেষে মুশরিক ইন্ডিয়া ও ইয়াহুদীর জেরুজালেম রাজধানী করে ইসরাইল সোলেমন এর টেম্পল বানিয়ে তা হতে বিশ্বকে উপহার দিবে মসীহ - যা মূলতঃ মসীহ উদ দজ্জাল। সারা পৃথিবীর মুমীন রা তখন ফিজিক্যাল দজ্জালকে দেখতে পাবে আর ভুয়া মুসলিম, ইয়াহুদীরা তাকে মসীহ বলে এক্সেপ্ট করে নেবে।
কেয়ামত আরো পরের কোন এক সময়ের ব্যাপার। তার আগে আরো অনেক কিছু দেখার বাকি আছে।
-আরো জঘন্য ওরা..অনেক ধন্যবাদ..
মন্তব্য করতে লগইন করুন