আরেকটি ইরাক,আফগানিস্থান,লিবিয়া তৈরি করার অজুহাত নয় কি??
লিখেছেন লিখেছেন অরণ্যে রোদন ১৬ নভেম্বর, ২০১৫, ০৮:৩৮:২২ রাত
আইএস নামক সংগঠনটির অস্ত্র তৈরির কোন কারখানা নেই, সরঞ্জাম কিংবা প্রযুক্তি কিছুই নেই। কখনো কি ভেবে দেখেছেন তারা অস্ত্র পায় কোথা থেকে? তাদের টয়োটা গাড়িগুলো কারা স্পন্সর করে? কারা তাদেরকে ট্রেনিং দেয়? কারা অর্থ সহায়তা দেয়?
.
সহজভাবে বলতে গেলে- অস্ত্র দেয় আমেরিকা, ইজরাইল দেয় প্রশিক্ষণ এবং দিক-নির্দেশনা আর সৌদির বাদশারা দেয় অর্থ সহায়তা। আমেরিকার সাথে সৌদির বাদশাদের যে গোপন চুক্তি রয়েছে সেটারই অংশ হিসেবে তারা আইএসকে সহায়তা দিয়ে থাকে। এছাড়াও শিয়া মুসলিমদেরকে হত্যা করার জন্য সৌদি আইএসকে ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
.
আইএস আর যাই করুক, ইসরাইলের স্বার্থবিরোধী কিছু করে না কখনোই। আইএস কখনোই ফিলিস্তিনের নির্যাতিত অসহায় মুসলিমদের পাশে দাড়ায়নি। এমনকি মুক্তিকামী ও প্রকৃত জিহাদী দল হামাসের বিরুদ্ধেও তাদেরকে অবস্থান নিতে গেছে। কিন্তু ইজরাইলের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত আইএস এর কোন পদক্ষেপ নেই। মুসলিম রাষ্ট্রগুলোতে অসংখ্য মসজিদে বোমা হামলা চালালেও ইজরাইল কিংবা আমেরিকায় একটা ঢিল ছুড়তেও দেখা যায়নি তাদেরকে।
এপর্যন্ত আইএস যা কিছুই করেছে সবই ইসলাম এবং মুসলিমদের বিরুদ্ধে গেছে। অাইএস নিধনের নাম করে অসংখ্য মুসলিম রাষ্ট্রকে মাটির সাথে মিশিয়ে দিয়েছে আমেরিকান জোট। আইএস নামক সংগঠনটির আসল পরিচয় এবং উদ্দেশ্য নিয়ে এরপর সন্দেহের আর কি কোন অবকাশ আছে? তারপর গত ২ বছর ধরে মার্কিন ও তার মিত্রদের অনবরত বিমান হামলার পর ও কিভাবে তারা টিকে আছে? তাহলে তাদের বোমা মিসাইল গুলো কোথায় যায়? যেই না রাশিয়া এদের ব্যাপারে নাক গলানো শুরু করল অমনি পশ্চিমা বিশ্ব মানবাধিকার নিয়ে প্রশ্ন তোলা শুরু করল। আইএস এর উত্থানের পর আইএস কে যদি কেউ ক্ষতি করতে পারছে তাহলে সেটা করছে রাশিয়া, তাহলে আইএস রাশিয়া কে বাদ দিয়ে ফ্রান্স কে ধরল কেন? নাকি ৯/১১ এর মত কোন অজুহাত খাড়া করে নতুন কোন আফগানিস্থান, ইরাক, লিবিয়া তৈরির পায়তারা করতেছে?
বিষয়: বিবিধ
১৬৬৩ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন