আমাদের দূর্বলতায় ভারতীয় মহানাটকে বুদ দর্শক!
লিখেছেন লিখেছেন অরণ্যে রোদন ০১ মার্চ, ২০১৪, ০৫:২৯:৩০ বিকাল
ইস্টিকুটুম, আলো, জননী, কোন আলো লাগলো চোখে, বোঝেনা সে বোঝেনা, মা, রাশি এসব নাম এখন বাংলাদেশের ঘরে ঘরে অতি পরিচিত। বিশেষ করে মধ্যবিত্ত পরিবারের টেলিভিশন দর্শকদের কাছে অতি আগ্রহের-বিনোদনের। পড়ন্ত বিকেল থেকে রাত অব্দি চলে ভারতীয় বাংলা চ্যানেলগুলোর মেগা সিরিয়ালগুলো। দর্শকপ্রিয় এই অনুষ্ঠানগুলোতে বুদ হয়ে থাকেন গৃহবাসী নারীরা। ইদানিং বাড়ছে পুরুষ দর্শকের অংশগ্রহণ। সংবাদ, অস্থির রাজনৈতিক পরিস্থিতিসহ কোনো কারণে কোনোটার এক পর্ব দেখাতে না পারলে, পরদিন সকালে পুনপ্রচার দেখা চাই-ই-চাই। সত্যিকার অর্থে জি বাংলা, ইটিভি বাংলা, স্টার জলসাসহ ভারতীয় বাংলা চ্যানেলগুলো বাংলাদেশের মানুষের বড় টিভি বিনোদনের খোড়াকে পরিণত হয়েছে। ফলে তারা যা গেলাতে চায় সেটাই আমরা গোগ্রাসে গিলছি। বিশেষ করে অস্থির মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো আকণ্ঠ ডুবে থাকছে অনুষ্ঠানগুলোতে।
কী এমন কনটেন্ট বা বিষয়বস্তু থাকে এসব অনুষ্ঠান ও মহানাটকে, যা দর্শকদের টিভির সামনে সেঁটে রাখছে দিনের পর দিন? সব ফেলে কেন ইস্টিকুটুম, রাশি, বোঝেনা সে বোঝেনা ইত্যাদি ইত্যাদি গ্রাস করছে পরিবারগুলোকে? এ নিয়ে গণমাধ্যম গবেষকদের গবেষণা জরুরী। নিশ্চয় এসব নিয়ে বিস্তর গবেষণা হবে। সাধারণভাবে ভাবে মহানাটকের মূল্যায়ণে করলে দেখা যায়-সবগুলোর কাহিনীর প্রধান উপজীব্য মধ্যবিত্তের সংসার জীবনের জটিলতার নানা দিক। অথ্যাৎ মুক্তবাজার অর্থনীতি আর আকাশ সংস্কৃতিতে ক্রমশ নিস্তেজ হয়ে পরা পারিবারিক বন্ধনকে ব্যবহার করছে তারা। পারিবারিক জটিলতাগুলো একদিকে উস্কে দিচ্ছে-খুচিয়ে ঘা করা হচ্ছে-পরিবারের সদস্যদের মধ্যে হিংসাত্মক মনোভাব তৈরী করা হচ্ছে। অন্যদিকে ঘটনার বৈচিত্র্য আনতে যোগ করছে বিকৃতির নতুন নতুন মাত্রা। যা আগে ছিল কল্পনার অতীত। ফলে দু’য়ে মিলে দারুণ খোড়াক যোগাচ্ছে নড়বড়ে মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোকে। যেমন সন্তানটির পিতা কে তা নিয়ে রীতিমত বাড়িতে সভা ডেকে সন্দেহ করা হচ্ছে-সন্তানের দিব্যি দিয়ে শ্বশুর-শ্বাশুড়ীসহ পুরো পরিবারের সামনে মাকে বলতে হচ্ছে সন্তানটির পিতা অন্য কেউ নয়, তার স্বামী। সাধারণত এসব আলোচনা আগে বিনোদনের খোড়াকে খুব একটা হিসেবে আসতো না। এখন আনা হচ্ছে তথাকথিত ঘটনার প্রয়োজনে। যেখানে বাড়তি রং দিয়ে করা হচ্ছে রসালো-মুখোরোচক।
সাধারণভাবে শহরাঞ্চলসহ বাংলাদেশের মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোর কাছে বিনোদনের জায়গাগুলো ছোট হয়ে আসছে। আর্থিক টানাটানি আর অনিশ্চয়তার মুখোমুখি পরিবারগুলোতেও বাড়ছে জটিলতা। সামাজিক অস্থিরতায় খুন খারাপিও জায়গা দখল করছে সবর্ত্র। আর সেই জটিলতাগুলোকে লুফে নিয়ে রমরমা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে ভারতীয় ধারাবাহিকগুলো। নাটকের উপজীব্যের সঙ্গে ব্যক্তি জীবন-সমাজজীবনের নানা অসঙ্গতি মিলে যাওয়ায় একধরনের মানসিক ঐক্য তৈরী করছে দর্শকদের মাঝে। ফলে সাংসারিক সেই ঘটনাকেন্দ্রিক নাটকগুলোতে নিজেদের সঁপে দিচ্ছেন বাংলাদেশের নারীরা।
যার মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে নারীদের উপর, তথা পুরো পরিবারে। শাকের উপর আঁটির বোঝার মতো অসুস্থ সামাজিক জীবনে জন্ম দিচ্ছে বিকৃতির নতুন মাত্রা। ভারতীয় মহানাটকগুলোতে কাহিনী বাড়াতে বেশি ঝুঁকছে অশ্লীলতা-কুৎসাকেন্দ্রিক ঘটনার দিকে। প্রতিটি ঘটনায় ব্যক্তি স্বার্থে ভিলেন বানানো হয়। একই চরিত্র ক’দিন আগে যার পাশে ছিলে, সেই চরিত্র ক’দিন পড়ে অকারণেই তার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে যাচ্ছে। অহেতুক সন্দেহ সৃষ্টি করিয়ে পরিস্থিতিতে নতুন জটিলতা তৈরী করানো হয়। ঘটনা বাড়াতে অসঙ্গতিপূর্ণ চরিত্রকে সামনে আনা হচ্ছে। যেকোনো মূল্যে গিট্টু বা জটিলতা-সন্দেহ পাকিয়ে কাহিনী বাড়াতে পারলেই হলো। কারণ ছাড়াই একজনকে খেপিয়ে তুলে অন্যের বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে সিদ্ধহস্ত। এতে দর্শকদের তথাকথিত ঘটনায় আটকে রেখে কৌতুহলী বাড়ানোর পাশাপাশি টেনে হিঁচড়ে ১০ পর্বকে ৩০ পর্বে নিয়ে যাওয়া যায়। এর সঙ্গে খানিক পর পর একই কথার কাট টু কাট সবার মুখমন্ডলের প্রতিক্রিয়ার ছবি দেখানো হয় ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে। বিরক্তিকর দৃশ্যে বিরক্ত হলেও দর্শকদের কিছুই করার থাকে না। এমনও দেখা যায় সবকিছু যখন ঠিকঠাক চলছে তখন হঠাৎ করেই নতুন এক চরিত্র এসে বাড়া ভাতে ছাই দিয়ে দেয়। বলা নেই, কওয়া নেই জেঁকে বসে জন্ম নেয় নতুন ডালপালা। এভাবে একেক সময় একেকটা চরিত্র নিয়ে চলছে মহানাটকগুলো মাইলের পর মাইল লম্বা পর্ব। নারী চরিত্র নির্ভর সবগুলো কাহিনীতেই নারী চরিত্রকে চক্রান্তকারী-খলনায়কের ভূমিকায় দেখানো হয়। কখনও কখনও সুখের সংসার ভাংতে তারা হাজির করে চক্রান্তকারী নারী চরিত্রের। ভাবটা এমন যে নারী মানেই কুচক্রী! সবসময় একটি ষড়যন্ত্র,সন্দেহ আর অবিশ্বাস জিইয়ে রেখে প্রতিটি গল্প সাজানো হয়। আর পদে পদে সন্দেহমূলক আচরণ-কূটকৌশল আর দ্বন্দ্ববিরোধমূলক কাহিনীতে কৌতুহলী করে তুলছে দর্শকদের, বিশেষ করে নারীদের।
নারী চরিত্রকে প্রাধান্য দিয়ে তৈরী এসব মহানাটকের দর্শক বেড়েই চলছে। কোনো কোনো নাটকে একজন নারীর পথচলাকে ঘিরে সাজিয়ে তোলা হয় কাহিনীচিত্র। নারীর এমন চিত্রায়ণও দর্শক নারী দর্শকদের আকৃষ্ট করতে সমান গুরুত্বের দাবিদার। এমনিতেই আমাদের সমাজে নারীরা সবদিক দিয়েই অবদমিত-বঞ্চিত। এক পা ফেললেই দু’পা বিপদে পড়তে হয় শিক্ষিত-অশিক্ষিত সব নারীদের। তাই টিভির পর্দায় নারীর কৃতিত্ব বা সফলতা দেখালে তা সহজেই তাদের আকর্ষণ করে নারীদের। নিজের অবদমিত অবস্থানে একধরনের কল্পিত সুখানুভূতি জাগে। অসচেতন ভাবেই ঐ চরিত্রকে ঘিরে একধরনের আশ্রয়স্থল গড়ে উঠে মননজগতে। আবার ঐ নারী চরিত্র যখন বিপদে পড়ে কিংবা সবাই তার বিরুদ্ধে যায়, তখন তার প্রতি একধরনের সহানুভূতি জাগে দর্শকদের। প্রধান চরিত্রের কী হয়, না হয় তা জানতে বিশেষ আগ্রহী করে তোলে দর্শকদের। এই মানসিক ঐক্যের কারণে মহানাটকগুলোর মায়ার বন্ধনে জড়িয়ে পড়ছে তারা। পরে ঘটনা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই বন্ধন আরও গভীর - জোড়ালো হয়ে উঠে। এসব কারণে মাসের গন্ডী ছাড়িয়ে বছরের পর বছর একটি ধারাবাহিক চললেও মুখ ফিরিয়ে নেয় না দর্শকরা। মাঝে ঘটনা ঝুলে গেলে সুযোগ বুঝে কাহিনীকারও জন্ম দেয় নতুন নতুন অঘটনের। যা কৌতুহলী দর্শকদের আরও বেশি মনোযোগী করে তোলে। ঘরে টিভি দেখেই ঘটনা শেষ হয়ে যায় না। যার রেশ পরদিন স্কুলে অপেক্ষমান আড্ডার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসে। কেউ দেখতে না পেলে আলোচনায় অংশ নিয়ে তা পুষিয়ে নিতে ভোলেন না। এক কথায় ব্যবসা সফল কূটকাহিনীর ভারতীয় চ্যানেলের মহানাটকগুলো। এ কারণে তারা যা চাই তাই আমাদের গিলতে বাধ্য করছে। যদিও এসব মহানাটকের মানের পাশাপাশি সুস্থ সংস্কৃতির বিষয়ে রয়েছে যথেষ্ট প্রশ্ন।
ঘরে ঘরে বিনোদন মানেই ভারতীয় মহানাটক। কিন্তু এই পরিস্থিতি এক দিনে তৈরী হয়েছে বা এর দায় কার? নি:সন্দেহে একদিনে আমাদের পরনির্ভরশীলতার দিকে ঠেলে দেয়নি? বাংলাদেশের নাটক ছিল একসময় টিভি বিনোদনের সবচেয়ে বড় জায়গা। সন্ধ্যে রাতে পড়া এবং নিজ নিজ কাজ শেষে সবাই উন্মুখ হয়ে বসে থাকতো টিভি সেটের সামনে। পরিবারের সদস্যরা একসঙ্গে উপভোগ করতো নাটকসহ বিনোদনমূলক অনুষ্ঠানগুলো। কিন্তু দিন বদলেছে-বিনোদনের চ্যানেল বেড়ে হয়েছে একগাদা। চ্যানেল জায়গা পূরণে নিয়মিত নির্মাতাদের সঙ্গে যদু মধুরা হরদম তৈরী করছে নাটক। হাতে গোণা দু’একটি ছাড়া বেশিরভাগই আঞ্চলিক ভাষার জগাখিচুড়ীতে ভরা। যেন হাস্যরস মানেই চটুল রসিকতা – ভাঁড়ামো আর ছ্যাবলামো ছাড়া আর কিছুই নেই। একধরনের সস্তা রস ও কাহিনীর এসব নাটক এখন আর দর্শকদের আকর্ষণ করতে পারছে না। ফলে মানের দিক দিয়ে বড় ধরনের পতন হয়েছে বাংলাদেশের নাটকের। কাহিনীও সেই গঁতবাধা। নতুনত্ব নেই, নেই সৃষ্টিশীল আয়োজন। গ্যাছস, খাইসছ, হ, যাইবি, কেমবা ইত্যাদি আঞ্চলিক শব্দের অতিমাত্রায় ব্যবহারে শুদ্ধ বাংলা খুজে পাওয়া কঠিন। ফলাফল দর্শকরা মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে বাংলাদেশি নাটক থেকে। সেই জায়গা দখল করছে ভারতীয় নাটকসহ অনুষ্ঠানগুলো।
পারিবারিক জটিলতা নির্ভর কাহিনীর পাশাপাশির পরিমিত বিজ্ঞাপন দর্শক ধরে রাখতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কিন্তু বাংলাদেশে আধা ঘন্টার একটি নাটক মানে তাতে প্রায় ২০ মিনিটের বিজ্ঞাপন। নাম ঘোষণার পর দু’এক মিনিট চলতে না চলতে শুরু হয় বিজ্ঞাপনের অত্যাচার। একবার শুরু হলে কখন শেষ হবে তা নিয়ে গোলক ধাঁধায় পড়তে হয়। এতে দর্শকরা বিরক্ত হয়ে চ্যানেল পাল্টে ফেলে। উল্টো দিকে ভারতীয় চ্যানেলগুলোতে বিজ্ঞাপন দেয়া হয় পরিমিত পরিমানে। এমনকি একটা নাটক শেষ হওয়ার পরে বিরতি না দিয়েই শুরু করছে পরের নাটকটি। এভাবে দর্শকদের এক বসাতেই নিয়ে যাচ্ছে পরের নাটকে। প্রতিযোগিতার বাজারের তাদের এই বিজ্ঞাপনের কৌশল অত্যন্ত কার্যকর। কারণ সবার হাতেই সময় কম। যত কম সময়ে বেশি অনুষ্ঠান দেখা যায় সেদিকেই বেশি আগ্রহ দর্শকদের। খুব সঙ্গত কারণেই তারা লুফে নিচ্ছে ভারতীয় চ্যানেলগুলোর মহানাটক। যেখানে বাছ বিচার করে পছন্দের অনুষ্ঠান দেখার বিষয়টি নিয়ন্ত্রন করছে ঐ চ্যানেলগুলি। নাটক ছাড়াও শিক্ষামূলক, নাচ-গানের প্রতিযোগিতা-খেলা, হাস্যরস-কৌতুক কিংবা মজার অনুষ্ঠানেও ভারতীয় চ্যানেলগুলো এগিয়ে। ডান্স বাংলা ডান্স, মিরাক্কেল আক্কেল চ্যালেঞ্জ, দাদাগিরি কিংবা সারেগামাপা’র মতো রয়েছে বেশ কিছু ভাল অনুষ্ঠান। যেগুলোর জনপ্রিয়তা এত বেশি যে তারা দর্শক বাড়াতে বাংলাদেশের অংশগ্রহণকারীদের । অনুষ্ঠানের জনপ্রিয়তার কারণে আমাদের বিজ্ঞাপনদাতারও ছুটছে ভারতীয় অনুষ্ঠানের পেছনে। এক বিজ্ঞাপন দিয়ে দুই দেশের কোটি কোটি দর্শকের কাছে পৌছানোর এমন সুযোগ কেইবা হাত ছাড়া করতে চায়। নিশ্চয় টেলিভিশনে বাণিজ্যিক লাভ-ক্ষতির বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। অল্প খরচে বেশি লাভ চাইবেন নির্মাতারা ও চ্যানেল মালিকরা। আবার দর্শকারও অল্প সময়ে যত বেশি বিনোদন পেতে চাইবে। ত্রিমুখী এই অবস্থান সমন্বয় করেই এগিয়ে যেতে হবে। না হলে নাটক চলবে কিন্তু দর্শক জনপ্রিয়তা পাবে না বিজ্ঞাপনের চাপে। আবার অনুষ্ঠানের মান ভাল না হলেও তাতেও আগ্রহী হবে বিজ্ঞাপন দাতারা। নাটক ছাড়াও বাংলাদেশে অন্য কোনো বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান নেই বললেই চলে। যা আছে তা হয় উপস্থাপনের ভীষণরকমের দূর্বলতা নয়তো প্রশ্নের বালখিল্যতা। কোথাও আবার মূল ঘ্টনার চেয়ে বাহ্যিক দিকে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়। সবকিছু মিলিয়ে দেশীয় চ্যানেলগুলোতে বিনোদন নির্ভর অনুষ্ঠানের বড্ড অভাব। শিশু কিশোরদের অনুষ্ঠান নেই বলেই চলে। যা আছে তা রীতিমত বস্তা পচা। দল বেঁধে এপাশ ওপাশ নেচে নেচে গান আর নাচের অনুষ্ঠান। পছন্দের শিশুকে ভালভাবে তৈরী করার আগেই টিভিতে দেখানোর হীন প্রতিযোগিতাও চালু আছে। সস্তায় চেহারা দেখানোর এই প্রতিযোগিতা শিশুদের প্রকৃত শিল্পী হিসেবে গড়ে তোলার পথ রুদ্ধ করে দিচ্ছে। ফলে বিশাল শূন্যতা তৈরী হয়েছে আমাদের টেলিভিশনগুলোর বিনোদন জগতে। আর সেই ফাঁকে জায়গা করে নিচ্ছে ভারতীয় চ্যানেলগুলো। ভালমন্দ মিশিয়ে তাদের অনুষ্ঠানগুলো থেকে চোখ ফিরিয়ে নিতে পারছেন বাংলাদেশের দর্শকরা। এখনও যথেষ্ট চাহিদা ও কাজের সুযোগ আছে বিনোদননির্ভর অনুষ্ঠানের। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে ভাববার সময় হয়েছে। অন্যের দিকে আঙ্গুল তোলার চেয়ে নিজের ঘর গুছানো জরুরী।
(সুশান্ত সিনহা)
বিষয়: বিবিধ
২৬৬২ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
সুন্দর বলেছেন বৈকি
Many male viewers also forced to watch to see these drama as their wife addict these.
I talk many pro islami people that they also face such problems, they cannot avoid these serials in their house.
মন্তব্য করতে লগইন করুন