আর কতো লাশ হলে হাসিনার(আওয়ামী গভ.)এর রক্তের নেশা মিটবে????

লিখেছেন লিখেছেন গুডলাক ০৮ নভেম্বর, ২০১৩, ০৪:৪৫:৪৯ রাত





ক্ষমতায় আরোহনের সাথে সাথে পিলখানার গটনার মাধ্যমে ৫৮জন চৌকশ সেনা অফিসারসহ ৭৪জনকে হত্যার মাধ্যমে রক্তের হলিখেলা শুরু হয় এ আওয়ামী সরকারের। আসল হলিখেলা শুরু হয় ক্ষমাতায় আরোহনের আগে ২৮শে অক্টোবর লগি বৈঠার তান্ডবের মাধ্যমে..........এর পর থেকে চলছেই নিরন্তর হত্যা গুম খুন .... ক্ষেত্র বিশেষ রাষ্ট্রিয় নিরাপত্বা বাহিনী দিয়ে গটানো হচ্ছে genocide... তাই আজ আর বসে থাকার সুযোগ নেই....আসুন প্রতিরোধ করি এ খুনি গুন্ডা পান্ডা নাস্তিকের সরকারকে....

শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারের শাসনামলে একের পর এক হত্যাযজ্ঞের ধারাবাহিকতায় ১৮ দলের সর্বশেষ হরতালের তিন দিনে ঝরে গেল আরও ৮টি প্রাণ।

এর মধ্যে আওয়ামী লীগের হামলায় এক জামায়াতকর্মী, পুলিশের গুলিতে এক ছাত্রদল নেতা এবং প্রতিপক্ষের বোমা হামলায় এক আওয়ামী লীগ কর্মী নিহত হয়েছেন।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে গত ২৫ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ১৮ দলের চূড়ান্ত দফার আন্দোলনে এ নিয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৩৪ জনে।

এ সময় নিরাপত্তা বাহিনী ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলায়ই বিএনপি ও জামায়াতের ২২ নেতাকর্মী নিহত হয়েছেন।

নিহতদের মধ্যে বিএনপির ১৪ জন (এর বাইরে দলীয় সংঘাতে মারা গেছে আরও ২ জন), জামায়াতের ৭ জন এবং আওয়ামী লীগের ৫ জন। এছাড়া হরতালজনিত সহিংসতার মারা গেছে আরও ১০ জন।

এর আগে ২৫ অক্টোবর থেকে ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত ১৮ দলের হরতাল ও সমাবেশকে কেন্দ্র করে ২৬ জন নিহত হয়। এর মধ্যে পুলিশ, র্যাব ও বিজিবির হামলায় বিএনপি ও জামায়াতের ১৯ জন নেতাকর্মী নিহত হয়। এ সময় সংঘর্ষে আওয়ামী লীগের চারজন নেতাকর্মীও মারা যায়।

বস্তুত আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বাংলাদেশ যেন রক্তের বন্যায় ভেসে গেছে। শুরুটা হয়েছিল পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের মাধ্যমে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার মাস দেড়েক পরই বিশ্ব কাঁপানো এক রহস্যজনক বিদ্রোহে দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর ৫৭ কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতার সেই বিদ্রোহে জড়িত থাকার জোরালো অভিযোগ থাকলেও এর কোনো তদন্ত ও বিচার হয়নি। ফলে বিডিআরের বহু সদস্যদের ফাঁসি ও সাজা হলেও প্রকৃত ঘটনা এখনও উদ্ঘাটিত হয়নি বলে মন্তব্য অনেক নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞের।

রাজনৈতিক হত্যার পাশাপাশি শেখ হাসিনার এবারের শাসনামলে গার্মেন্ট শিল্পে সর্বকালের ভয়াবহ ট্রাজেডিতে শত শত দরিদ্র শ্রমিকদের করুণ মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সাভারের রানা প্লাজা ধস ও তাজরীন ফ্যাশনে অগ্নিকাণ্ডে নিহত হয়েছে ১২ শতাধিক শ্রমিক। সরকারের অব্যাহত উদাসীনতার কারণে এসব মৃত্যুকে গণহত্যা বলে মন্তব্য করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

শেখ হাসিনা সরকারের দানবীয় শাসনে শুরু থেকেই রাজনৈতিক সহিংসতায় বহু প্রাণ ঝরলেও গত দুই বছরে তা স্বাধীন বাংলাদেশের সব আমলকে বহুগুণে ছাড়িয়ে গেছে। এ হিসাব অবশ্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাবা শেখ মুজিবুর রহমানের শাসনকালে রক্ষীবাহিনীর জাসদ নেতাকর্মীসহ রাজনৈতিক হত্যার পরিসংখ্যানকে বাদ দিয়ে।

বিতর্কিত যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়কে ঘিরে আওয়ামী লীগ সরকারের নিরাপত্তা বাহিনী পাখির মতো গুলি করে নিরস্ত্র জামায়াত-শিবিরের ২ শতাধিক নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে।

এরপর হেফাজতে ইসলামের ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের রক্তে ভেসে গেছে ঢাকার রাজপথ।

সর্বশেষ আওয়ামী সরকার মরণকাপড় শুরু করেছে ২৫ অক্টোবর থেকে। আওয়ামী লীগের বর্বর শাসনের বিরুদ্ধে বিএনপি-জামায়াতের নেতৃত্বে গড়ে ওঠা গণবিস্ফোরণ দমনে নিরাপত্তা বাহিনীর পাশাপাশি আওয়ামী সন্ত্রাসীরাও হত্যাযজ্ঞে মেতে উঠেছে।

হরতালে অগ্নিদগ্ধ কিশোরের মৃত্যু

দ্বিতীয় দফা হরতাল শেষ হলেও সেই হরতালে যোগ হলো আরো একটি লাশ। হরতালে অগ্নিদগ্ধ কিশোর মনির হোসেন (১৫) তিন দিন লড়াই করে গতকাল বৃহস্পতিবার ভোররাত সোয়া চারটার দিকে মারা যায়। এই কিশোর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিত্সাধীন ছিল।

দ্বিতীয় দফায় বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোটের ৬০ ঘণ্টার হরতাল চলাকালে গত সোমবার সকাল ১০টার দিকে গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় জাতীয় আইন কলেজের পাশে আগুনে ঝলসে যায় এই কিশোরের শরীর। সে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার বড় কাঞ্চনপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র ছিল।

৬ নভেম্বর সাতক্ষীরায় যুবলীগের হামলায় আহত জামায়াতকর্মীর মৃত্যু

হরতালের সমর্থনে মিছিল শেষ করে বাড়ি ফেরার পথে সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটায় যুবলীগের হামলায় আহত এক জামায়াতকর্মী অবশেষে মৃত্যুবরণ করেছেন। ২ নভেম্বর তিনি গুরুতর আহত হন। ৬ নভেম্বর সকালে উন্নত চিকিত্সার জন্য ঢাকায় নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। নিহত জামায়াত কর্মী আবদুস সবুর (৩২) পাটকেলঘাটার সরুলিয়া ইউনিয়নের মৃত জাকারিয়ার ছেলে।

৫ নভেম্বর হরতালে চাঁপাইয়ে বোমা হামলায় আওয়ামী লীগ কর্মী নিহত

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার রানীহাটি এলাকায় হরতাল চলাকালে ৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় বোমা হামলায় কফিল উদ্দিন নামে আওয়ামী লীগের এক কর্মী নিহত ও অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন। নিহত কফিল উদ্দিন হরিণগড় গ্রামের রুস্তম আলীর ছেলে। পুলিশ সুপার বশির আহম্মেদ কফিলের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

৪ নভেম্বর পুলিশের গুলিতে ছাত্রদল নেতাসহ নিহত ৫

বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের ডাকা দ্বিতীয় দফা টানা ৬০ ঘণ্টা হরতালের প্রথম দিনই হরতালে লালমনিরহাটের পাটগ্রামে পুলিশের গুলিতে এক ছাত্রদল নেতাসহ চট্টগ্রাম, গাজীপুর, সাভার ও লালমনিরহাটে ৫ জন নিহত হয়েছেন।

হরতাল চলাকালে লালমনিরহাটের পাটগ্রামে পুলিশ-আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংঘর্ষকালে পুলিশের গুলিতে পৌর ছাত্রদলের প্রচার সম্পাদক নাসির হোসেন (২৫) নিহত হন।

একইদিন বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের হরতাল চলাকালে পিকেটারদের ধাওয়ায় পালাতে গিয়ে টেম্পো উল্টে একটি গার্মেন্ট ফ্যাক্টরির ম্যানেজার মোহাম্মদ জাকির (৩০) নিহত হয়েছেন। চান্দগাঁও থানার কালুরঘাট সড়কের মৌলভী পুকুরপাড় এলাকায় সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

এদিন সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নলজানি এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা কভার্ড ভ্যানে অতর্কিতে হামলা চালিয়ে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় হরতাল সমর্থকরা। এ সময় গায়ে আগুন লেগে আহত হয় চালকের ছেলে ওই কভার্ড ভ্যানের হেলপার মনিরুজ্জামান। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে নেয়ার পর সে মারা যায়।

একইদিন সাভার ক্যান্টনমেন্টের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ আবদুর রউফ গেটের সামনে একটি সিএনজি অটোরিকশায় রোববার রাতে পেট্রল ঢেলে অগ্নিসংযোগ ও হামলায় আহত এক যাত্রী সোমবার ১১টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিত্সাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তার নাম মুকুল হোসেন (৩৫)। তিনি সাভার নবীনগরের বিশ্বাস গ্রুপের কর্মচারী ছিলেন।

এদিন নাটোর জেলার বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কের গুরুদাসপুরের নয়াবাজারে একটি ট্রাক পিকেটারদের ধাওয়া খেয়ে পালাতে গিয়ে পড়ে ইসাহাক আলী মোল্লা (৪২) নামে এক শ্রমিক মারা গেছেন। তিনি সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশ উপজেলার মথুরাপুর গ্রামের খয়ের উদ্দিনের ছেলে।

২৯ অক্টোবর নিহত ৬

হরতালের শেষ দিনে কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় পুলিশের গুলিতে ৩ জামায়াত কর্মী নিহত হয়েছেন। এদিন মাগুরার ধোয়াইল বাজারে বিএনপির মিছিলে পুলিশের গুলিতে মারুফ হোসেন (১৮) নামের এক ছাত্রদল কর্মী এবং চট্টগ্রামে পুলিশের গুলিতে এক বিএনপি কর্মী নিহত হয়েছে। এছাড়া গতকাল রাতে কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে সংঘর্ষে আহত এক আওয়ামী লীগ নেতা মারা যান।

২৮ অক্টোবর নিহত ৬

হরতালের দ্বিতীয় দিন হরিণাকুণ্ডু উপজেলা বিএনপি সভাপতিকে কুপিয়ে ও বোমা মেরে হত্যা করা হয়। চাঁদপুর শহরে বিএনপির মিছিলে আওয়ামী লীগ ও পুলিশের যৌথ হামলায় ছাত্রদল কর্মী নিহত হয়। এদিন কুলিয়ারচরে পুলিশের হামলায় আহত যুবদল কর্মীর মৃত্যু হয় হাসপাতালে।

২৮ অক্টোবর সকালে জামালপুরে হরতালের সংঘর্ষে এক আ.লীগ কর্মী নিহত হয়। টাঙ্গাইলে বিএনপির দু’পক্ষের সংঘর্ষে উপজেলা যুবদল নেতা নিহত হন। সাতকানিয়ায় পিকেটারদের ধাওয়া খেয়ে ট্রাক উল্টে চালক নিহত হন।

২৭ অক্টোবর র্যাব পুলিশ বিজিবির গুলি ও হামলায় নিহত ৫

১৮ দলের ডাকা টানা তিন দিনের হরতালের প্রথম দিনে সারাদেশে সংঘাত-সংঘর্ষ-সহিংসতা ও পুলিশের গুলিতে ৫ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৫ শতাধিক। পাবনার ঈশ্বরদীতে যুবলীগ-ছাত্রলীগের হামলায় এক জামায়াত কর্মী নিহত হয়েছেন। ফরিদপুরের নগরকান্দায় বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষে স্বেচ্ছাসেবক দলনেতা নিহত হয়েছেন। পিরোজপুরে হামলায় এক যুবলীগ কর্মী নিহত হয়েছেন। এছাড়া যশোরের নোয়াপাড়ায় হরতালকারীদের হামলায় নিহত হয়েছেন এক যুবলীগ নেতা। বগুড়ার গাবতলীতে হরতালকারীদের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন।

২৬ অক্টোবর রাজশাহীতে র্যাবের গুলিতে শিবির নেতা নিহত

রাজশাহীতে ১৮ দলীয় জোটের ডাকা টানা ৬০ ঘণ্টা হরতালের সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশ-র্যাবের বেপরোয়া গুলিতে এক শিবির নেতা নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও শতাধিক নেতাকর্মী। তাদের মধ্যে অন্তত ২০ জন গুলিবিদ্ধ হন বলে জানা গেছে।

২৫ অক্টোবর বিজিবি-পুলিশ এবং আওয়ামী ক্যাডারদের গুলিতে নিহত হন ১৮ দলীয় জোটের ৮ নেতাকর্মী

২৫ অক্টোবর দেশব্যাপী ১৮ দলের বিক্ষোভ সমাবেশ চলাকালে বিজিবি-পুলিশ এবং আওয়ামী ক্যাডারদের গুলিতে ৮ বিরোধী নেতাকর্মী নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে কক্সবাজারের চকরিয়ায় বিজিবি-পুলিশের গুলিতে ছাত্রদল-যুবদলের তিনজন, চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের গুলিতে ছাত্রদল-যুবদলের তিনজন, নীলফামারীর জলঢাকায় পুলিশের গুলিতে এক শিবির কর্মী এবং সাতক্ষীরায় আওয়ামী লীগ ক্যাডারদের হামলায় এক জামায়াত কর্মী নিহত হন।

সব জায়গায়ই নিরস্ত্র বিরোধী নেতাকর্মীদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালায় বিজিবি-পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীরা।

এদিন ১৮ দলের সভা-সমাবেশে বিজিবি-পুলিশ ও আওয়ামী ক্যাডারদের হামলায় ছয় শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এদিন দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে সাড়ে চার শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-পুলিশ।

সুত্র: আমার দেশ

বিষয়: বিবিধ

১৬২৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File