হাসিনার উপদেষ্টা এইচটি ইমামের মিথ্যাচার..... এরা দেশ বিরোধী... আওয়ামীদের আসল কাজ ইন্ডিয়ার এজেন্ডা বাস্তবায়ন।
লিখেছেন লিখেছেন গুডলাক ৩০ অক্টোবর, ২০১৩, ০৪:৫৬:২৬ রাত
হাসিনা এ ধরনের উপদেষ্টাদের ও মন্ত্রীপরিষদ দ্বারা পরিচালিত হওয়ার কারনে,(যাদের মূল কাজ ইন্ডিয়ার এজেন্ডা বাস্তবায়ন) ক্ষমতায় আসার সাথে বি ডি আর বিদ্রোহ বা পিলখানা ট্রাজেডীর জন্ম দেয়। যা ছিলো আওয়ামী লীগের মাধ্যমে ইন্ডিয়ার এজেন্ডা বাস্তবায়ন।
বিজিবি কে ইন্ডিয়ার ইচ্ছার আলোকে গঠন করে এ সরকার। যার কারনে আজ আমাদের সিমান্ত অরক্ষিত।এমন কোন সপ্তাহ নেই যে সপ্তাহে বাংলাদেশীদের মারা হচ্ছেনা।দেশের মানুষের অর্থে পরিচালিত বিজিবিকে আজ দেশের ভিতরে মানুষ মারার জন্য বা গনহত্যা পরিচালনার জন্য আওয়ামী সরকার ব্যবহার করছে। ...আওয়ামী লীগের প্রতিটি উপদেষ্টা , মিনিষ্টার,এমপি ও নেতারা আজ ভারতীয় এজেন্ডা বাস্তবায়নে বেশী মনোযোগি..আসুন এদের প্রতিরোধ করি.....
প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা ও বিরোধীদলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়ার বহুল আলোচিত কথোপকথন উদ্ধৃত করে প্রধানমন্ত্রীর সংস্থাপন উপদেষ্টা এইচটি ইমাম টিভি টক শোতে মিথ্যাচার করেছেন। বিএনপির সিনিয়র নেতারা এমনটাই অভিযোগ করেছেন।
মঙ্গলবার দলটির শীর্ষস্থানীয় একাধিক নেতা বাংলামেইলকে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর লোকেরা একটা বিভ্রান্তি ছড়ানোর জন্য নানা মিথ্যাচার করছেন।
প্রসঙ্গত, এইচটি ইমাম বলেছিলেন, ‘খালেদা জিয়া ফোনালাপে বলেছেন, মুক্তিবাহিনীর লোকেরাই গণহত্যা চালিয়েছিল’। রোববার গভীর রাতে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের টকশোতে উপদেষ্টা ইমামের এ কথা প্রকাশ করা হয় নিউজপোর্টাল বিডিনিউজে।
গত শনিবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী যখন তার সরকারি বাসভবনে বসে বিরোধীদলীয় নেতার সঙ্গে কথা বলেন সেখানে উপদেষ্টা ইমাম অন্য শীর্ষ আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে মঙ্গলবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বাংলামেইলকে বলেন, ‘এটি সম্পূর্ণ মিথ্যাচার, এইচটি ইমাম মিথ্যাচার করছেন। প্রধানমন্ত্রীর লোকেরা অসত্য কথা বলেছেন।’ দুই নেত্রীর ফোনালাপ গণমাধ্যমে প্রকাশ করা বাড়াবাড়ি বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এটা ভবিষ্যতে সংলাপের সম্ভাবনাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে উল্লেখ তিনি বলেন, ‘এটাই প্রমাণ করে, সংলাপের ব্যাপারে সরকারের আন্তরিকতা নেই। ফোনালাপ প্রকাশ উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত।’
প্রসঙ্গত, রোববার দুই নেত্রীর ফোনালাপের বিভিন্ন বক্তব্য তুলে ধরে এইচটি ইমাম এটিএন বাংলাকে বলেন, ‘বিরোধীদলীয় নেতা উচ্চস্বরে কথা বলছিলেন, প্রায় সব কথা শোনা যাচ্ছিল।’ দুই নেত্রীর আলোচনার বিষয়বস্তু তুলে ধরার পাশাপাশি ফোনালাপের সময় দুজনের কণ্ঠস্বর ও মানসিক অবস্থা কেমন ছিল তা বর্ণনা করেন তিনি। তার ভাষ্যমতে, আলোচনার ৩৭ মিনিটজুড়ে প্রধানমন্ত্রী হাসিমুখে শান্তভাবে আলাপ করেছেন। উত্তেজিত হননি। অপর প্রান্তের সেলফোনধারী বিরোধী নেতার কণ্ঠস্বর স্বাভাবিক ছিল না। তার অনুমান, তিনি রাগান্বিত থাকতে পারেন বা সে ধরনের মানসিক অবস্থায় ছিলেন।
আলোচনার এক পর্যায়ে শেখ হাসিনা ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালিয়ে তাকে হত্যাচেষ্টার বিষয়টি তোলেন খালেদার কাছে। জবাবে খালেদা (ইমামের বর্ণনা মতে) বলেন, ‘সমাবেশে আপনারাই গ্রেনেড নিয়ে গিয়েছিলেন।’ হাসিনাকে উদ্ধৃত করে তার উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা তাহলে গ্রেনেড নিয়ে সুইসাইড করতে গিয়েছিলাম বলে বলতে চান আপনি।’ সংলাপের প্রসঙ্গে আলাপ এলে বিরোধীদলীয় নেত্রী সব রাজবন্দিদের মুক্তির দাবি করলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনি সাজাপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধীদের মুক্তিও চাইছেন?’ জবাবে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সমরনায়ক প্রয়াত জেনারেল জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদাকে উদ্ধৃত করে যুদ্ধকালীন প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রিপরিষদ সচিব ইমাম বলেন, ‘আপনাদের মুক্তিবাহিনীরাই গণহত্যা চালিয়েছে। যাদের বিচার করছেন তারা যুদ্ধাপরাধী নয়।’ প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে জামায়াতে ইসলামীর ‘সাহচার্য’ ছাড়ার কথা বলেন বলেও জানান ইমাম।
এ ব্যাপারে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামছুজ্জামান দুদু বাংলামেইলকে বলেন, ‘জনগণকে বিভ্রান্ত করার জন্যই মিথ্যাচার করেছেন এইচটি ইমাম। এই ধরনের লোকদের মুক্তিযোদ্ধাদের স্বপক্ষের মানুষ চেনে। সুযোগ সন্ধানীদের দেশের মানুষ কখনো ক্ষমা করবে না।’
সোমবার রাতে হাসিনা-খালেদার ফোনালাপ বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল একাত্তরে প্রচারিত হয়। তাতে এএইচটি ইমামের উদ্ধৃত অংশটি যেভাবে ছিল-
প্রধানমন্ত্রী: হরতাল প্রত্যাহার করেন। আসেন। খালেদা জিয়া: আপনারা হরতাল হরতাল করছেন, হরতাল প্রত্যাহার করবো না।
খালেদা জিয়া: আপনার ছাত্রলীগ-যুবলীগের আমরা অস্ত্রসহ ছবি দেখাতে পারব। আপনার ছাত্রলীগ-যুবলীগ কীভাবে খুন করে নিরীহ মানুষকে।
শেখ হাসিনা: বললাম তো খুনের রাজনীতি আমরা করি না; বরং আমি দেখি...
খালেদা জিয়া: ...আপনাদের তো পুরানা অভ্যাস। আপনারা সেই স্বাধীনতার পর থেকে ৭১-এ যখন ক্ষমতায় ছিলেন তখনও এই হত্যা করেছেন। এত মানুষ হত্যা করেছেন। এগুলো ভুলে গেছেন আপনি? (ইমামের উদ্ধৃতিটি ছিল: আপনাদের মুক্তিবাহিনীরাই গণহত্যা করেছে। যাদের বিচার করছেন তারা যুদ্ধাপরাধী নয়। )
শেখ হাসিনা: একাত্তরে আমরা মানুষ হত্যা করেছি?
খালেদা জিয়া: হ্যাঁ অবশ্যই। একাত্তরের পরে...
শেখ হাসিনা: যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা করছেন। খালেদা জিয়া: সত্যিকার যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করলে আমরা পূর্ণ সমর্থন দিতাম। কিন্তু আপনি তা করছেন না। আপনার দলেও অনেক যুদ্ধাপরাধী আছে। হাসিনা: সত্যিকার বিচার হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে গত সোমবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকরা সংলাপ প্রসঙ্গে বিরোধী নেতার ওই উক্তি সম্পর্কে জানতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘এসব বানোয়াট ও বাখোয়াজ। এসব কথার উত্তর দেয়ার ভাষা আমার কাছে নেই।’
তিনি বলেন, ‘এ কথা আপনারা কোথায় পেলেন?’ এ সময়ে সাংবাদিকরা বলেন, ‘বেসরকারি টিভি এটিএন নিউজ ও বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে এটি প্রকাশিত হয়েছে।’ জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এসব এটিএন নিউজ ও বিডিনিউজের নিজস্ব চিন্তা। একদম বানোয়াট। প্লিজ প্লিজ, আর নয়।’
উল্লেখ্য, গত শনিবার সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টেলিফোন করেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে। প্রধানমন্ত্রীর এডিসি এমরানের মোবাইল থেকে বিরোধী দলীয় নেতার বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসের মোবাইলে এই ফোনালাপ হয়।উৎসঃ বাংলামেইল
বিষয়: বিবিধ
১২০৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন