অভিলম্ভে নেতৃবৃন্দের মুক্তি দাও..

লিখেছেন লিখেছেন গুডলাক ১৮ অক্টোবর, ২০১৩, ০৪:১১:৪৩ রাত



অভিলম্ভে নেতৃবৃন্দের মুক্তি দাও..

না হয় ১৬ কোটি মানুষ দেশে ও দেশের বাহিরে (যেখানে যাও)তোদের(হাসিনা গভ.)জালিয়ে পুড়িয়ে ছারখার করে দেেব,কারন যুদ্ধাপরাধ একটি সল্ব ইস্যু,আওয়ামী গভ.উদ্ধেশ্য প্রনোদিত ভাবে এই নাটকের জন্ম দেয়...আলেম ওলামার বিরুদ্ধে,ইসলাম ইসলামী মুল্যবোধের বিরুদ্ধে... তাই আজ গন মানুষের শ্লোগান,‘বাধা এলে উপড়ে ফেলবো’

‘বাধা এলে উপড়ে ফেলবো’

বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০১৩

কাজী সুমন: যুবদল সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেছেন, ২৫শে অক্টোবরের পর রাজপথে থাকবে বিএনপি। সরকারের বিরুদ্ধে হরতাল-অবরোধ, স্বেচ্ছাকারাবরণ, ঢাকা বিচ্ছিন্নসহ অসহযোগ আন্দোলন শুরু হবে। এবার বাধা এলে আর উপেক্ষা নয়, উপড়ে ফেলা হবে এবং আন্দোলনের চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করেই ঘরে ফিরবে বিএনপি। মানবজমিন অনলাইনের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন তিনি।

২৫শে অক্টোবরের পরবর্তী সময়ে বিরোধী দলের অবস্থান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের বক্তব্য অত্যন্ত পরিষ্কার। ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বাতিল করে নিজেদের অধীনে নির্বাচন দিতে চাচ্ছে। কিন্তু এটা তাদের ইশতেহারে ছিল না এবং নির্বাচনী ওয়াদাও ছিল না। এখন ২৪শে অক্টোবর পর্যন্ত জাতীয় সংষদের মেয়াদ বহাল থাকবে। এর মধ্যে যদি তারা সংবিধান সংশোধন করে লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি না করে তাহলে আমাদের আন্দোলন ছাড়া বিকল্প নেই। ২৫শে অক্টোবরের পর বিএনপির আন্দোলনের প্রস্তুতি সম্পর্কে মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, ২৫শে অক্টোবরের পর বিএনপি রাজপথে থাকবে। আন্দোলনের প্রস্তুতি হিসেবে ইতিমধ্যে সারা দেশের জেলা, উপজেলা, থানা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড কমিটির নেতাকর্মীরা বৈঠক করে নিজেদের কৌশল ঠিক করে নিয়েছে। তবে আন্দোলন তো আর দিনক্ষণ ঠিক করে হয় না। অতীতে স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলন আমরা করেছি। তখন মিলন নিহত হওয়ার পর আন্দোলনের পট পরিবর্তন হয়ে যায়। এরপর ওয়ান-ইলেভেনের সময় মইনউদ্দিন-ফখরুদ্দীন সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনও দেখেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে খেলার মাঠে সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে ছাত্রদের সংঘর্ষের ঘটনার পর আন্দোলনের দাবানল সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে। এবং এর ফলও জাতি পেয়েছে। এবার আমরা স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে অসহযোগ আন্দোলন শুরু করবো। এবং আন্দোলনের চূড়ান্ত বিজয় নিয়েই ঘরে ফিরবো। সরকারি দলের আন্দোলন প্রতিহতের ঘোষণা ঘোষণা সম্পর্কে তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিরোধী দলের বিরুদ্ধে নাড়াচাড়া রানাপ্লাজা ধসের যে তত্ত্ব দিয়েছিলেন তাতে দেশবাসীর মধ্যে হাসির খোরাক জুগিয়েছিল। এখন তিনি বিরোধী দলের আন্দোলন প্রতিহতের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তার উদ্দেশে আমি বলবো, রাজধানীর পশুর হাটগুলো আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা যেভাবে চাঁদাবাজি করছে সেবিষয়ে ব্যবস্থা নিলে দেশবাসী উপকৃত হবে। আর আওয়ামী লীগের অন্য নেতারা যে আস্ফালন করছেন তাদের উদ্দেশে বলবো, অতীতে এরশাদ বিরোধী আন্দোলন আমরা করেছি। স্বৈরাচারী এরশাদের পতন ঘটিয়েই আমরা ঘরে ফিরেছিলাম। এবার বিজয় অর্জন করেই ঘরে ফিরবো। তাই তারা আস্ফালন করে লাভ হবে না। খালেদা জিয়া সংগ্রাম কমিটি গঠনের ঘোষণা সম্পর্কে তিনি বলেন, বিএনপির নেতৃত্বে সংগ্রাম কমিটি গঠিত হচ্ছে। তবে এই কমিটির সঙ্গে ১৮ দল, হেফাজতে ইসলাম ও সমমনা দলগুলোর নেতাকর্মীরা থাকবে। ইতিমধ্যেই অনেক জেলায় সংগ্রাম কমিটি গঠন করা হয়েছে। বাকি জেলাগুলোতে সংগ্রাম কমিটি গঠনের কাজ চলছে। ২৫শে অক্টোবরের পর আন্দোলন কর্মসূচির ধরন সম্পর্কে এই যুব নেতা বলেন, নির্দলীয় সরকারের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে। সারা দেশে টানা হরতাল, রাজপথ, রেলপথ, নৌপথ অবরোধ, অসহযোগ, বিক্ষোভ, স্বেচ্ছায় কারাবরণ, সারা দেশ থেকে ঢাকাকে বিচ্ছিন্ন করার মতো কর্মসূচি দেয়া হবে। অবরোধে ঢাকার প্রবেশ পথগুলোতে অবস্থান নেবে ১৮ দলের নেতাকর্মীরা। তবে পরিস্থিতির ওপর ভিত্তি করেই আন্দোলনের ধরন পরিবর্তন করা হবে। আন্দোলনের যুবদলের ভূমিকা সম্পর্কে আলাল বলেন, আন্দোলন-সংগ্রামে সব সময়ই যুবদল অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। এবারের আন্দোলনেও আরও অনেক বেশি কৌশলী ও শক্তিশালী ভূমিকা রাখবে। যুবদল আলাদা অস্তিত্ব বজায় রেখেই সরকার পতন আন্দোলন এগিয়ে নেবে। ইতিমধ্যে আমরা সারা দেশের জেলা, উপজেলা, থানা ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড কমিটিগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে নির্দেশনা দিয়েছি। ঢাকার আশপাশের ছয়টি জেলার নেতাকর্মীদের নিয়ে আলাদাভাবে বৈঠক করেছি। সারা দেশ থেকে ঢাকাকে বিচ্ছিন্ন করার জন্য জোরালো ভূমিকা রাখতে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছি। ২৫শে অক্টোবরের আগে বিএনপির শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তারের একটা আওয়াজ শোনা যাচ্ছেÑ এ ব্যাপারে তিনি বলেন, আমরা অতীতেও দেখেছি, সরকার স্বৈরাচারী কায়দায় বিএনপি কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবসহ সিনিয়র নেতাদের গ্রেপ্তার করেছিল। ২০১২ সালের জুন মাসে দলের বেশির ভাগ শীর্ষ নেতাকে গ্রেপ্তারের পর সরকার আমাদের সমাবেশ ঠেকাতে পারেনি। সেদিন সরকারের বাধা-বিঘœ উপেক্ষা করে দলের নেতাকর্মীরা মাইলের পর মাইল পায়ে হেঁটে বিরোধী দলীয় নেতা খালেদা জিয়ার ঢাকায় জনসভায় যোগ দিয়েছিল। সেদিন আমরা শুধু সরকারের বাধা-বিপত্তি উপেক্ষা করেছি। এবারের সমাবেশে আসতে বাধা এলে আর উপেক্ষা নয় উপড়ে ফেলা হবে।

বিএনপির ২০০১-০৬ শাসনামলে বেশ কিছু নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। এবার যদি বিএনপি ক্ষমতায় আসে তাহলে এ ধরনের অভিযোগ উঠবে কিনা এ প্রশ্নের জবাবে আলাল বলেন, গত সরকার পরিচালনায় আমাদের কিছু দোষ-ত্রুটি ছিল। সিনিয়র নেতাদের নাম বিক্রি করে দলের কিছু দুষ্টু লোক অপকর্ম করেছে। এমন কি তারা অপকর্ম করে দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নামে চালিয়ে দিয়েছে। এসব অভিযোগ সম্পূর্ণ অসত্য ও মিথ্যা। এর বাস্তব উদাহরণ হলো, বর্তমান সরকার অনেক চেষ্টা করেও এর একটা অভিযোগও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে প্রমাণ করতে পারেনি। তারা এখনও অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। তবে এবার বিএনপি ক্ষমতায় এলে এই অভিযোগগুলোর ব্যাপারে সতর্ক দৃষ্টি রাখবে। কারণ ইতিমধ্যেই বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া একাধিক জনসভার বক্তৃতায় স্পষ্ট করে বলেছেন, বিএনপি দুর্নীতি ও জঙ্গিবাদ প্রশ্রয় দেবে না। এছাড়া পাঁচ সিটি করপোরেশন নবনির্বাচিত মেয়রদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানেও তাদের সতর্ক করে দিয়ে খালেদা জিয়া বলেছেন, কারও বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠলে ছাড় দেয়া হবে না। কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। এই দুটি উদাহরণ দিয়ে আমি বলতে পারি, বিএনপি আগামীতে সরকার গঠন করতে পারলে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর নীতি গ্রহণ করবে।

বিষয়: বিবিধ

১০৯০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File