বাংলাদেশ ভারত কারক বিন্যাস ।

লিখেছেন লিখেছেন এইচ ইউ রোকন ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৩, ০৯:১১:১০ সকাল

বাক্যের ক্রিয়া পদের সাথে অন্যান্য পদের যে সম্পর্ক তাকে বাংলা ব্যাকরণে কারক হিসাবে সংজ্ঞায়িত করা হয় । আর সেটা যদি একটি বিশ্ব বা উপমহাদেশের একটি ভূখণ্ডের সাথে আরেকটি ভূখণ্ডের সম্পর্ক হয় কূটনীতির ভাষায় তাকে বলা হয় "বন্ধু রাষ্ট্র " ।

সেটা যদি আবার বাংলাদেশে ভারত সম্পর্ক হয় তাহলেত আবার বিশেষ বিশেষণ কিংবা বিভক্তি যোগ করতে হয় । কেননা ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে বর্তমান দুই পরা শক্তি আমেরিকা ও চীনের বিরুদ্ধে একচেঠিয়া ভাবে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করেছিল ।

আমি সে সময়কার ভারতের কূটনৈতিক দৃষ্টি কি ছিল তা বলতে যাব না । কারণ তখন যদি ভারত এগিয়ে না আসত তাহলে আজকের এই বাংলাদেশ হয়ত এত দ্রুত স্বাধীনতা লাভ করতে পারত না । আর এই অসামান্য অবদানের জন্য ভারতের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার মত কোন বিশেষ বিশেষণ আমার কাছে জানা নাই । তবে বর্তমান এবং অতীত সময়ে বন্ধুর বেশ কিছু কর্ম কারকের মধ্যে বিভক্তি লোপ করে দিল । যদিও দুইটি দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের মধ্যে সম্প্রদানে কোন কারক হয়না যা হয় বিনিময় সূচক তথাপি আমাদের দেশের একশ্রেণীর সুশীল সমাস , মিডিয়া এবং রাজনীতিবিদ ভারত কে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেন অনন্ত যলিলের নিঃস্বার্থ ভালবাসার মত । আমাদের সামাজিক প্রথায় দেখা যায় সবল বন্ধু দুর্বল বন্ধুকে যখন কিছু দেয় তখন খুব কম বিনিময় সহজ শর্তে দেয় । কিন্তু বাংলাদেশ ভারত কূটনৈতিক বন্ধুত্বে দেখা যায় ফুরা ব্যাপারটাই উল্টা উচ্চ মূল্যে ডেমু ট্রেন , কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ প্রকল্প , ফারাক্কা বাঁধ মরণ ফাঁদ , তিন বিঘা করিডোর বনাম ট্রানজিট , সিট মহল নিয়ে অপরাগতা , সীমান্তে কাঁটা তাঁর , প্রতিনিয়ত সীমান্তে গুলি করে বিএসএফের অস্ত্রের নিশানা ঠিক রাখা । ভারত কর্তা তাঁর এতসব বন্ধুত্ব সুলভ কর্ম সাধন করে আর বাংলাদেশ কর্তা কোন প্রতিবাদ করনে হয়তবা কারকের মধ্যে অনিচ্ছাকৃত ফাটল সৃষ্টি হবে এই কারনে । তবে এই সব কর্মের জন্যে একক ভাবে ভারতকে দায়ী করা যায় না কেননা একটি রাষ্ট্র যখন ধীরে ধীরে শক্তিধর হতে থাকে তাঁর মধ্যে সাম্রাজ্যবাদী চেতনা টুকু বাড়তে থাকে এবং সেই সাথে যে বললাম কূটনৈতিক সম্পর্কের মধ্যে সম্প্রদান কারক বলতে কোন বক্তব্য নেই । আমাদের না হয় তালুক সম্পত্তি কোন জবাবদিহিতা নাই তাই বলে কি ভারতও তাদের স্বার্থ বিকিয়ে দিবে তা কি হয় ? নিশ্চয় নয় । আমাদের রাজনৈতিক পায়দা কূটনৈতিক ব্যর্থতা এবং জবাবদিহিতার অভাবে এত কিছু সম্ভব হয়েছে ভারতের । তাঁর পরও মানবতা এবং প্রতিবেশী রাষ্ট্র হিসাবে অনন্ত একটা বিষয় আমরা তাদের কাছে প্রাপ্য তা হল সীমান্তে মানুষ হত্যা বন্ধ করা । ফেলানিকে হত্যা করে এবং ভারতের আদালতে যেভাবে রায় দেয়া হল তাতে মনে হয় ভারত বন্ধুত্বের নামে এই দেশের সাথে প্রতারণা করেছেন । শুধু বাংলাদেশকে নয় তারা সমগ্র মানবতা এবং বিচার বিভাগকে অপমানিত করেছেন । তবে ভারত বাংলাদেশ কর্তাদ্বয় দের জন্যে একটি সম্ভাব্য সতর্ক বার্তা রয়ে গেল

কূটনৈতিক ভাবে যদি এই সমস্যা বন্ধ করা না যায় তবে এই কারক একদিন দা-কুমড়ার রূপ নিবে ।

বিষয়: বিবিধ

১০৯৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File