শিরোনাম নেই
লিখেছেন লিখেছেন মনির হোসেন মমি ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৩, ০৩:৩৯:২১ দুপুর
লেখাটা কিভাবে শুরু, কি ভাবে লিখলে প্রিয় ব্লগার ও দেশবাসীর কাছে মনপূত হবে তাই ভাবছি।আবার না প্রকাশ করলে ও আমার মনের আমিটাকে যে শান্ত করতে পারবনা সেটাও ভাবনার বিষয়।পড়ে গেছি ফাটা বাশের চিপায়।মন কিছুতে বাধ মানেনা ,কথা বলার স্বাধীনতা যখন পেয়েছি তখন বলাটা ফরজ।
আমরা ধর্মীয় ভাবে জাতিতে মুসলিম-জাতির পিতা হযরত আদম(আঃ) ,জন্মগত দেশ হিসেবে আমরা বাংলাদেশী -মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তিরা বলে বাঙ্গালী ,ভাষাগত জাতি হিসাবে আমরা বাঙ্গালী।আর স্বদেশীয় জাতির পিতা বাংলাদেশের স্হপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান।আমার মনে হয় এমনই হওয়া উচিত।অথচ আমরা এই সমস্হ বিষয়াদি নিয়ে অযথা যুক্তি তর্ক এমনকি ঝগড়া পযর্ন্ত করি।মজার বিষয় হলো এ সবের সঠিক ব্যাবহার আমরা সকলই জানি এবং মনে প্রানে মানি।বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে এ দেশ সৃষ্টি হত না কথাটা মনে হয় কথার কথা-কারন মহান সৃষ্টি কর্তা আল্লাহ তা আলা কাকে কখন কোথায় প্রতিষ্টিত করবেন তা কেবল সেই জানে।সেই সময় আল্লাহ এ দেশের স্পতির ভার বঙ্গবন্ধুকে দিয়েছিলেন তাই সে আজ বাংলাদেশের জাতির পিতা হতে পেরেছেন।এখানে অন্য কেউ আসতেও পারত।সবই সৃষ্টিকর্তার খেলা।এখন প্রশ্ন হলো আমাদের এ দেশে একটি গ্রুপ প্রকাশ্যে বঙ্গবন্ধুকে জাতির পিতা মানতে নারাজ কিন্তু যদি তাদের অন্তরকে প্রশ্ন করি উত্তর পাওয়া যাবে বঙ্গবন্ধুই বাংলাদেশের জাতির পিতা।সুতরাং বুঝা যায় আমাদের দেশের রাজনিতী কতটা নোংরা।প্রতিবেশী ভারত দেখুন তারা কতটা পরিষ্কার এ ক্ষেত্রে।মহাত্বা গান্ধীই তারা দল মত নির্বিশেষে বলবে জাতির পিতা।এখানে কোন ছাড় নেই।তাদের এই ভক্তি তাদের অন্তরের, আইন করার প্রয়োজন হয়নি।আমাদের দেশে হয়েছে তার পরও ক্ষমতার রদবদলে পাল্টে যায় ।সরকারী অফিসে টাঙ্গানো বঙ্গবন্ধুর ছবির স্হলে আসে অন্য ছবি।এর মূলে রয়েছে আমাদের রাজনিতীর নোংরামী।’৭৪ স-পরিবারে বঙ্গবন্ধুর হত্যার পর আওয়ামিলীগ দল এক প্রকার ভেঙ্গে গিয়েছিল।শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে বহুদলীয় রাজনিতীর প্রবর্তন করেন।শ্রদ্ধেয় শেখ হাসিনার নেতৃত্ত্বে আওয়ামিলীগের কিছু ত্যাগী নেতাদের চেষ্টায় আবার লাইটে আসে।যুদ্ধাহত একটি রাষ্ট্র তার অর্থনীতি প্রায় নিঃশেষ ছিল।স্হপতি বঙ্গবন্ধুকেও দেশ গড়তে দেয়নি বাংলার তথাকথিত মীরজাফররা ,ক্ষমতার কয়েকদিনেই পরিবার সহ তাকে রক্তাক্ত সমাধি করে। এমন কি ছোট্র শিশু বাচ্চা “রাসেল”কেও বাচতে দেয়নি ।কি দোষ ছিল এই ছোট্র শিশুটির যার কোন গুণহার খাতা খুলেনি স্রষ্টা তাকেও রক্তাক্ত ভাবে হত্যা করল।সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হল এ সব হত্যাঘ্য চালিয়েছে এ দেশেরই প্রিয়ভাজন লোকগুলো।
এর পর শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় ।সে যখন দেখলেন দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে উন্নয়নের প্রয়োজন ।সে অত্যান্ত বুদ্ধিমত্তার সাথে রাষ্ট্র পরিচালনা করেন এবং বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে দেশকে উন্নয়নের ছোয়া দেন যা পরবর্তীতে বহিঃবিশ্বের নজরে আসেন।তাল পট্ট্রির সমস্যার সমাধানে অনেক দূর এগিয়ে যান।রাষ্ট্র পরিচালনায় বাধা গুলোকে ম্লান করে দেশকে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে নিতে কিছু আগাছাকে বিনষ্ট করতে রাষ্ট্র নায়কদের অপ্রিয় কিছু সিদ্ধান্ত নিতে হয়।সে তা করেছিল।কিন্তু তাকে এ দেশেরই মীরজাফররা হত্যা করে।আমার তখনকার দেশের দৃশ্যটি অস্পষ্ট ভাবে মনে আছে -মা-চাচীরা কান্না কাটি করছে।চারদিকে কেমন যেন থমথমে ভাব।সারা বাংলাদেশ যেন এতিম হয়ে গেল।হাজার হাজার জনতা তার জানাজায়।
এরপর বঙ্গবন্ধুর কন্যা এবং শহীদ রাষ্ট্রপতির সহধর্মীনি বেগম খালেদা জিয়ার ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে স্বৈরশাষকে হটিয়ে সন্পূর্ণ গণতান্ত্রিকভাবে কেয়ার টেকার সরকারের পরিচালনায় ক্ষমতায় আসেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল।ক্ষমতার শেষ লগ্নে শুর হয় আবারও অসহযোগ আন্দোলন।অনেক ঘটন-অঘটনের পর রত্না শেখ হাসিনায় ক্ষমতায় আসেন এবং অন্য ছোট খাটো দল নিয়ে মন্ত্রীসভা গঠন করেন।শ্রদ্ধেয় দুই নেত্রী ক্ষমতাকালেই কিছু অপ্রিতীকর ঘটনা ঘটান।যে স্হাপনায় যার নামেই হউক যে যখন ক্ষমতায় এসেছে সে তখন এ সব স্হাপনায় নামের পরিবর্তন এনেছেন নিজ দলের।যার একটি উল্ল্যেখযোগ্য উদাহরন হলো “জিয়া আন্তজার্তিক বিমান বন্দর”পরিবর্তে হযরত শাহ জালাল(আঃ)বিমান বন্দর।এখানেও রাষ্ট্রের অযথা খরচ।যেখানে বিদেশী দাতাদের উপর দেশের জনতার ভাগ্য সেখানে শুধু মাত্র রেসারেসির কারনে বিশাল অংকের টাকা গচ্চা দিতে হয়।এরকম ভাবে বি এন পি ক্ষমতার সময় বঙ্গবন্ধুর ছবি টাঙ্গানো নিয়ে টানা হেচরা জাতির জন্য বড়ই লজ্জ্যাষ্কর বিষয়।বঙ্গবন্ধু আর শহীদ জিয়াউর রহমান তাহারা যে যার অবস্হানে উজ্জল নক্ষত্র।তাদের নিয়ে আমরা যত টানা হেচরা করব ততই তাদেরকে ছোট করা হবে।রাজনিতীতে পৃথিবীর কোথাও এরকম আনকমন দ্বন্দ আছে কি না সন্দেহ আছে।দন্দ্ব হতে পারে দেশের স্বার্থে জনগণের কল্যানে এরকম ব্যাক্তি গত দন্দ্ব রাজনিতীবিদদের জন্য বড়ই হাস্যকর বিষয়।
স্বাধীনতার ঘোষক প্রকৃত পক্ষে কে ?এ এক বিরাট প্রশ্ন যদি এর উত্তর খুজতে যাই তাহলে শ্রদ্ধেয় মরহুম বঙ্গবন্ধু আর শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে পরকাল বেহস্ত থেকে পৃথিবীতে আবার পূর্ণজন্ম দিতে হবে নতুবা বর্তমানের এই নিয়ে যে বিতর্ক তা শ্রদ্ধেয় দু নেত্রীর পক্ষে সন্ভব নয়।অথচ শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান তার স্বাধীনতা ঘোষনা ভাষনে সে বলে দিয়েছে “বঙ্গবন্ধুর পক্ষ থেকে মেজর জিয়া বলছি”।কাউকে না কাউকে তো দেশের স্বার্থে, উদ্দ্যেশের স্বার্থে নেতৃত্ত্ব শূণ্যবস্হায় হাল ধরতেই হবে।সেটা শহীদ জিয়া ধরেছিলেন যার ফলসরূপ মুক্তিযুদ্ধারা তাদের মনোবল ফিরে পান।যেখানে বঙ্গবন্ধু এবং শহীদ জিয়া দন্দ্বে যাননি সেখানে আমরা কেনো একে অপরের সাথে তুলনা করে তাদেরকেই ছোট করছি।বঙ্গবন্ধু আর শহীদ জিয়াউর রহমান কখনই সমান নয়।যেমন ছেলে তার জন্মদাতাকে টপকাতে পারে না তেমনি ,দোহাই রাজনিতীবিদেরা আর নয় অনেক হয়েছে।একজন মহান নেতাকে যারা সন্মান করতে জানেনা তারা দেশের কি আর ভালো করবেন তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা।পোষ্ট করা ছবিটাই বলে দেবে মহান দু নেতার মাঝে পার্থক্য কি।আমাদের ভাববার সময় এসেছে ,যে সমস্ত স্হাপনা যে যার নামই করুক এ গুলো রাষ্ট্রীয় সন্পদ।
‘৯০ এর পর হতে আমাদের প্রিয় দু নেত্রী ক্ষমতার পালাক্রমে কিছু ভূলভ্রান্তি ছাড়া এ দেশের কিছু কিছু ক্ষেত্রে উন্নয়ন সাধন করেছেন।বিশেষ করে যোগাযোগের এগিয়ে।এখন আমরা ইচ্ছে করলে পুরো বিশ্বকে হাতের মুঠোয় দেখতে পাই যা বহিঃবিশ্বের উন্নত দেশগুলো বহু আগেই পেয়ে গেছেন।হিসাব কষলে আমরা এখন বহিঃ বিশ্ব হতে ১০০ বছর পিছিয়ে আছি।
মাঝে মাঝে এমন রাগ হয় যখন দেখি কিছু কিছু বাজে ছবি সংযোগ করে শ্রদ্ধেয় দুই নেত্রীকে নিয়ে ফেইস বুক কিংবা ব্লগে পোষ্ট করে।এ কাজের কোন প্রতিবাদও কেউ করেনা।কথা বলার স্বাধীনতার অর্থতো এটা নয়।এর অবশ্য কিছু কারনও আছে।আমাদের নেতা নেত্রী আমাদেরকে দেশপ্রেমের সহিত গড়ে তুলতে ব্যার্থ।যে যেই দলই করুন মনে করে দেশটা শুধু তাদের-অন্যরা সব যাযাবর।এ রকম মিথ্যে অহমিকাই আমজনতাকে দেশপ্রেম হতে দূরে ঠেলে দেয়।
ভাবতে হবে,ভাবাতে হবে
আমি তুমি সে সকলেই সকলের তরে
প্রত্যকে আমরা দেশের তরে।
যার যত সমালোচনা
বুঝতে হবে,শিক্ষার শুরু সেখান থেকে
ভাবতে হবে,ভাবাতে হবে
এ দেশ তোমার আমার।
বিষয়: রাজনীতি
১০৫৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন