ফিরে পাওয়া…..
লিখেছেন লিখেছেন ম্যাজিক মুনসি ০১ নভেম্বর, ২০১৩, ০১:০০:০০ দুপুর
আয়্না নিজের
চেহারাটা খুটিয়ে খুটিয়ে
দেখছে রুহিত।
কোথাও কোনো খুত আছে কিনা!
পাশে বসে আছে মালিহা।
মালিহা সম্পর্কে রুহিতের কাজিন হয়।
মালিহার মন খারাপ।
রুহিত না বললেও সে জানে রুহিত
কোথায় যাচ্ছে।
একটা বিশেষ উদ্দেশ্যে যাওয়ার
আগে-ই রুহিত নিজের চেহারাটা এত
ভালো
করে দেখে।
রুহিতের এই যাওয়া আসার
সাথে মালিহার গভির
একটা স্বার্থ আছে।তাই রুহিত যাওয়ার
সময়
সে মুখ গোম্ড়া করে রাখে,রুহিত মন
খারাপ
করে ফিরে এলে সে এক
ধরনে অজানা সুখ অনুভব
করে।
রুহিতের কাজ হলো সারা দিন রং
নাম্বারে কথা বলে দুই তিন মাস পরে
দেখা করতে যাওয়া।
এক বার তো মিট
করতে গিয়ে দেখে আন্টির
বয়সের এক মহিলা এসেছে সাথে দুই
টা বাচ্ছা নিয়ে।সে বার কোনো
রকমে দৌড়ে পালাল।তারপরেও
শিক্ষা হয়নি।
এবারের ব্যাপার টা মনে হয় ভিন্ন।
রুহিত মনে হয় এবার আর মন খারাপ
করে এসে বলবে না মালিহা আমার এই
রিলেসান টাও হল না।
তোর মুখ দেখে গেলে কি আর রিলেসান
হয়?তুই একটা কুপা।তোর এই কুপা মুখ
আমাকে আর দেখাবি না।
রুহিত বের হয়ে গেছে।আজ মালিহার
মনের
আকাশে প্রচন্ড
মেঘ ধরেছে।নাহ আজ আর মিছে হাসির
অভিনয় করবে না নিজের সাথে।আজ সে
কাদবে।যতটা কাদলে মনের দুঃখ
গুলো অশ্রু হয়ে ঝরে পড়ে নদী
সৃস্টি করে দুঃখ গুলো কে ভাসিয়ে
নিয়ে যাবে ঠিক তত টাই কাদবে।
রুহিত অপেক্ষা করছে।
আজ নন্দিতার সাথে তার দেখা হবে,
চার মাস
শুদু কথা-ই বলেছে।নন্দিতা কে
দেখার জন্য তার মনটা আনচান আনচান
করছে।
নন্দিতা দেখতে কেমন হবে রুহিত
কল্পনা করতে থাকে।
-- এক্সকিউজ মি। রুহিত?
--ইয়ে…হ্যা। তুমি…নন্দিতা??
--হ্যা…
এ যেনো
ডানা কাটা পরি।সে যত টুকু কল্পনা
করেছিল নন্দিতা তার চেয়েও বেশি
সুন্দরী।
কথা অনুযায়ি সারা দিন ঘুরা ঘুরি করে
পার্কে বসে গল্প করতে থাকে তারা…
বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নেমে আসে।
পার্কের
আনাছে কানাচে প্রেমিক প্রেমিকারা
নোংরা ভালবাসার নেসায় মেতে
উঠে.
রুহিতের কেমন
জানি কুয়াশা কুয়াশা লাগছে,অস্পস্ট
দেখতেছে সব
কিছু।
নন্দিতার কাদে নিজের অজান্তেই
মাথা রাখে রুহিত…
নন্দিতা কেমন করে যেন তাকিয়ে আছে।
( তারপর রুহিতের সাথে কি হয়েছে তার মনে নেই)
১৫-২০ মিনিট পর ঘুমের ঘোর কাটে
রুহিতের।
পাশে তাকিয়ে দেখে নন্দিতা নেই।
তাকে ফোন করার জন্য পকেটে হাত
দিয়ে আরো বেশি অবাক হয় সে।তার
পকেটে মোবাইল নেই,মানি ব্যাগ নেই।
সব নিয়ে গেছে নন্দিতা।
রুহিতের বুঝতে বাকি রইল না তার
সাথে কি ঘটেছে…
মন খারাপ করে বাসায় ফিরে
মালিহার রুমে যায় রুহিত।
মালিহা কে দেখতে
পায় না।টেবিলের উপর
একটা ডায়েরি পায়।
ডায়েরীর প্রথম পাতায় রুহিতের একটা
ছবি লাগানো।তার
wছবি দেখে কিছুটা অবাক হয়
সে।ডায়েরী পড়তে
থাকে আর আরো অবাক হতে থাকে সে।
"" আমি জানি তুই ফিরে আসবি,তুই আমার
ছিলি,
আমার আছিস,আমার থাকবি।তোর
অপেক্ষায়
থাকব চিরদিন..
যদি কখনো ভালবাসার অভাব হয় ফিরে আসিস পুরনো ঠিকানায়।
ভালবাসার সিন্ধু নিয়ে তোর অপেক্ষায় আছি""
শেষ লাইন টা পড়ে মালিহা কে খুজতে
থাকে রুহিত । কোথাও দেখতে পায় না,
অবশেষে ছাদে গিয়ে দেখা
মেলে মালিহার
--কিরে মেয়ে টা কেমন? (না তাকিয়ে)
--মেয়েটা কেমন জানি না শুদু জানি
মেয়েটা আমাকে অনেক ভালবাসে।কখনো
বুঝতে চেস্টা করিনি তাকে।তার
ভালবাসার মুল্য
দি নাই কোনো দিন। আজ বুঝেছি।
--বাহ তাহলে তো তুই খুব লাকি।
নাম কি মেয়েটার?
--মেয়েটার নাম..…
মালিহা !!
মালিহা অবাক দৃস্টিতে রুহিতের
দিকে তাকায়,ফাজলামি করছিস আমার
সাথে?
রুহিত ডায়েরীটা মালিহার
হাতে দিয়ে বলে হ্যা ফাজলামি করছি।
তুই
একা ফাজলামি করবি আর আমি করব
না,তা কি হয়?? ভালবাসিস না আমায়??
মালিহা দ্বিতীয় বার না ভেবে মুখ
লুকায় রুহিতের
বুকে…
অঝোর ধারায় কাদতে থাকে সে,রুহিত
ইচ্ছে করেই
বাধা দেয় না।
কিছু কিছু অশ্রু
থামাতে নেই,থামাতে হয় না।
থামাবার অধিকার মানুষের থাকে না।
এই অশ্রু
বিধাতা প্রদত্ত আশীর্বাদ
হয়ে ঝরে পড়ে…
( নাম গুলা কাল্পনিক,চরিত্র গুলা বাস্তব)
বিষয়: বিবিধ
১২১৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন