ফিরে এস শান্তির পথ (পর্ব ৭ )
লিখেছেন লিখেছেন আলোর আভা ০৭ এপ্রিল, ২০১৪, ০৯:১৫:১৫ রাত
দীনা এর পর মাঝে মাঝেই গালিবকে ফোন দেয় গালিব ফোন রিসিপ করে দু-একটা কথা বলেই বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে ফোন রেখে দেয় ।
মীনা আবরারের পরামর্শ ,উৎসাহ ও সাহ্যয্যে এখন নিয়মিত নামাজ ,প্রতিদিন কোরআন ,হাদীস অধ্যয়ন করে সে এখন ইসলাম সম্পর্কে অনেক কিছু জানে ও সে অনুযায়ী চলার চেষ্টা করে ।
রাহেলার অবাক হয়ে ভাবে এই সেই মীনা যে রাহেলাকে দুচখে দেখতে পারত না সেই মীনা এখন রাহেলার পরম বন্ধু ।
রাহেলাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া ঠিকমত খাওয়া দাওয়া ,হাটা চলাফেরার কোন সমস্যা হচ্ছে কিনা সব ব্যাপারে মীনা খোজ রাখে ও যে কোন বিষয়ে রাহেলার সাথে পরামর্শ করে ।রাহেলাও বড় মেয়ে হিসাবে মীনার কথাকে গুরুত্ব দেয় ।
রাহেলা ঠিক সময়ে এক পুত্র সন্তানের জন্ম দেয় ।মীনাই তাকে সবার আগে কোলে তুলে নেয় ।
এসব দেখে রাহেলা নিজেকে খুব সুখী মনে করে ।আর মনে মনে বলে ইসলাম শান্তির ধর্ম এর ছায়া তলে যে আসবে তার জীবন হয় এমনি শান্তি ময় ।
প্রায় দুই বছর হয়ে যায় মীনা ও আবরারের এই ম্যাসেস আদান প্রদান ও মাঝে সাঝে কথার যদি ও সেখানে ভাললাগা বা ভালবাসার কথা বলা হয় নি ।মীনা আবরারকে দেখেও নি । তবুও মীনার মনে অনেকটাই জায়গা জায়গা জুরে আছে আবরার ।
আবরারও যে মীনাকে ভালবাসে আবরার মুখে না বল্লেও মীনা সেটা বুঝতে পারে ।
আবারারের লেখা পরা শেষ আর রেজাল্ড ভাল হ্ওয়াতে ঐ ইউনর্ভারসিটিতেই শিক্ষক হিসাবে জয়েন করে ।
মীনা ক্লাস শেষে বাসায় ফিরছিল মীনার মোবাইল বেজে উঠে মীনা ফোন রিসিব করলে আবরার এই সুসংবাদটি দেয় । মীনা ও খুশী হয় ।আবরার ইতস্তত করে বলে মীনা আমি আরো একটা কথা বলতে চাই ।
মীনা বলেন !
আমার তো লেখাপড়া শেষ চাকরি ও পেলাম এবার বিয়ে করতে চাই তোমার যদি মত বা কোন সমস্যা না থাকে তাহলে আমার গার্জিয়ানদের তোমার র্গারজিনদের সাথে কথা বলতে বলি ।
হঠাৎ করে আবরারের এধরনের কথায় মীনার মাঝে এক ধরনের লজ্জা ও খুশীতে বাক হারা হয়ে চুপ হয়ে যায় ।
মীনাকে চুপ থাকতে দেখে আবরার কি মীনা কিছু বলছ না যে ?
মীনা এবার আমতা আমতা করে বলে .....আসলে আমরা মানে আমি তো আপনাকে দেখি নি তাই আমরা কি আগে একবার দেখা করতে পারি ?
আবরার ও এই কথা আমি দেখতে কেমন কালো নাকি কানা,লেংরা তাই আগে দেখে নিতে চাও আবরার হেসে হেসে ই বলে।
মীনা লজ্জিত হয়েই বলে না আমি ঠিক তা মিন করি নি ।
জী আমি বুঝেছি ।ওকে তাহলে কালকে কি তোমার সময় হবে ?
মীনা জী হবে ।এর পর তারা দুজনে একটা জায়গা ঠিক করে কথা বলা শেষ করে অনেক খুশী মনে বাসায় ডুকে দীনার রুমে যায় ।
দীনা মন খারাপ করে চোখ বন্ধ করে শুয়ে আছে মীনা দীনার কপালে হাত দিয়ে অসময়ে শুয়ে আছিস তোর কি শরীর খারাপ ?
দীনা মন ভার করেই না এমনি ।
এমনি কেন কেউ কিছু বলেছে ?মীনার কথার দীনার চোখ বেয়ে পানি নেমে আসে ।
মীনা বোনের চোখের পানি মুছিয়ে দিয়ে বলে কাঁদছিস কেন ?কি হয়েছে বল ,কেউ কিছু বলেছে ,রেহানা আন্টি কিছু বলেছে ?
দীনা এবার উঠে বসে বোনকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে উঠে ।
দীনা এমন করে কাঁদবিনা বল কি হয়েছে ?
দীনা এবার বলে তুই জানিস রেহানা আন্টির একটা বোনের ছেলে আছে গালিব ভাইয়া আগে প্রায় আমাদের বাসায় আসত ।
মীনা হু আসত তো কি হয়েছে ?
দীনা :সে হঠাত করে আমাদের বাসায় আসা বন্ধ করে দেয় তার পর আমি মাঝে মাঝে তাকে ফোন দিতাম যদিও সে আমার সাথে ভালভাবে কথা বলত না ।আজকে সে আমাকে সরাসরি ফোন করতে মানা করে দেয় বলে দীনা আরো জোরে কাঁদতে থাকে ।
মীনা :তুই কি গালিব ভাইয়াকে ভালবাসিস ?
দীনা কোন কথা বলে না ।
মীনা :তবু বলব তোর এটা মোটেও উচিত হয়নি তাকে বিরক্ত করা তুই এর আগে বলেছিস সে অনেক ইসলামী মাইন্ডেরছেলে তাই হয়ত সে এটা পছন্দ করে নি । তোর ভাললাগার কথা আমাকে বলতে পারতি আমি রেহানা আন্টির সাথে কথা বলতাম ।
মীনা বোনের পিঠে হাত বুলিয়ে যাক কাঁদিস না আমি এব্যাপারে রেহানা আন্টির সাথে কথা বলব ।
মীনা ফ্রেস ও খুশী মনে বাসা থেকে বের হলেও নিদৃষ্ট স্থানের যত কাছা কাছি আসছে মীনার বুকের ভিতর ধুক ধুক করছে ।
মীনা গাড়ি থেকে নেমে দুর থেকে নিদৃষ্ট জায়গায় যাকে দেখতে পায় মীনা চমকে উঠে নিজের অজান্তে বলে এ কে .....?
বিষয়: বিবিধ
১৭৫৬ বার পঠিত, ১৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ঘটনা সম্ভবত আমি যা ভাবছিলাম তাই, তবে গল্পের ক্লাইম্যাক্সটা নষ্ট করতে চাচ্ছিনা। আগামী পর্বে তো আপনি নিজেই ফাঁস করবেন
মন্তব্য করতে লগইন করুন