ফিরে এসো শান্তির পথে (পর্ব ৩ )
লিখেছেন লিখেছেন আলোর আভা ৩১ জানুয়ারি, ২০১৪, ০২:২১:৩২ রাত
হাবেলা খাতুন ,রাহেলাকে মীনাদের সব ভাই বোনদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেন ।
এরা মা হারা অনাথ সন্তান , তোমার স্বামীর সন্তান ,তোমার স্বামীর সবচেয়ে আপনজন এরা ।তুমি তোমার স্বামীকে আপন করে নেয়ার সাথে সাথে এদেরও আপন করে নিবে ।তোমার স্বামীকে সুখী করতে চাইলে আগে এদের সুখী করতে হবে।এদেরকে ছাড়া তোমার স্বামী সুখী হতে পারবে না ।তুমীও সুখী হতে পারবে না ।
মা আপনি আমাকে দোয়া করবেন আমি যেন সবাইকে নিয়ে সুখী হতে পারি ।
রেহানা সবাইকে হাত ইশারা করে, তোমরা আমার কাছে আস ।
দীনা, যুব ,শুভ রেহানার কাছে আসলে ও মীনা ফিরে যায় তার রুমে ।
মীনার আচরনে রাহেলা হোচট খেলে ও দীনা ,যুব, শুভর চোখের পানি মুছিয়ে দিয়ে ,আমি তোমাদের মায়ের মত হতে পারব না ।।মায়ের মত তো কেউ হয় না ।মা তো মাই তাই
না ।
হায়াত মৃত্যু সবই আল্লাহর ইচ্ছা ।তোমার আম্মুর হায়াত শেষে আল্লাহ উনাকে নিয়ে নিয়েছেন ।তোমাদের আম্মুর অর্বতমানে তোমাদের জীবন থেমে না থকলেও কিছু তো সমস্যা হচ্ছেই ।
সংসার দেখতে গিয়ে মীনা দীনার পড়া শুনার সমস্যা হচ্ছে যুব শুভ ও তোমাদের আব্বুর সেবা যত্নের সমস্যা হচ্ছে আর তোমার দাদী সে তো বৃ জীবন তোমাদের জীবন তো থেমে থাকবে না তাই না
তোমাদের আম্মুর অর্বতমানে তোমাদের জীবন থেমে না থাকলেও কিছুটা সমস্যা তো হচ্ছেই ।যেমন মীনা দিনাকে সংসার দেখতে গিয়ে তাদের পড়াশুনার সমস্যা হচ্ছে ,যুব,শুভ ও তোমার আব্বুর সেবা যত্ন ও ঠিকমত হচ্ছে না ,তোমাদের দাদীও বৃদ্ধ মানুষ তার সেবা যত্নের দরকার সেটার ও সমস্যা হচ্ছে ।
কিন্তু তোমার আম্মু যখন ছিল তখন এ সমস্যা গুলো ছিল না ।
তোমাদের আম্মু তো আর ফিরে আসবে না তাই এই সমস্যার জন্য বিকল্প একটা ব্যবস্থা করা দরকার ।
কিন্তু মায়ের কোন বিকল্প হয় না । তোমাদের অন্তরে তোমার মায়ের প্রতি যে ভালবাসা আছে ,তোমার আব্বুর অন্তরে তোমার মায়ের যে স্থান আছে সেখানে আমি তোমার আম্মুর বিকল্প হতে পারব না ।
তোমাদের আম্মুর বিকল্প হয়ে আমি তোমাদের সংসারের অন্যান্ন দায়- দায়িত্বগুলো পালন করতে পারব ইনশা আল্লাহ ।
আমি তোমাদের মা হাড়া চার ভাই-বোনের কথা জেনেই এসেছি। আমি নিজেকে বার বার তোমাদের অবস্থানে দাড় করিয়ে বুঝার চেষ্টা করেছি তোমাদের মনের অবস্থা ।যার কারনে আমার মনের ভিতর তৈরি হয়েছে তোমাদের প্রতি একধরনের মায়া ।
আমি অনেক আশা অনেক স্বপ্ন নিয়ে তোমাদের কাছে এসেছি তোমাদেরকে আমার আদর ভালবাসা দিয়ে আমি তোমাদের নিয়ে সুখী ও সুন্দর জীবন নিয়ে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাব ।
তার জন্য আমার তোমাদের সাহায্য দরকার ।তোমারা যদি আমাকে সহজ ভাবে নিতে না পার ,আমাকে যদি তোমরা মনে কর তোমাদের আম্মুর প্রতিদন্ধী বা তোমাদের শত্রু মনে কর, আমি ও তাই মনে করে আমরা একে অপরের প্রতি হিংসা ,রাগ ,বিদ্বেষ নিয়ে চলি তাহলে আমরা কেউ সুখী হতে পারব না ।
কাউকে কষ্ট দিয়ে নিজে ও সুখী হওয়া যায় না ।
কথাগুলো বলতে বলতে রেহানার চোখ দিয়ে পানি চলে আসে
শুভ রেহানার চোখের পানি মুছে দেয় ।মা মনি তুমি কেদনা আমরা তোমাকে সাহায্য করব যুব,দীনাও সম্মতি দেয় ।
চল আমরা এখন মীনার কাছে যাই ও একা আছে ।
দীনা ,যুব ,শুভ রেহানাকে নিয়ে মীনার রুমে ডুকে ।
মীনা বিছানায় উপুর হয়ে শুয়ে ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাঁদছে ।
রেহানা মীনার পিঠে হাত রেখে মা তুমি কাঁদছ কেন ?
মীনা সোজা হয়ে রেহানার হাত সরিয়ে দেয় ।
তুমি আমার রুমে কেন আসছ ?আমি তোমার সাথে কথা বলতে চাই না ।তুমি আমার রুম থেকে যাও কথা গুলো মীনা বেশ রাগের সাথেই বলে ।
রেহানা কিছু বলার আগেই দীনা বলে মীনা তুই এমন করেছিস কেন ? তুই এটা করতে পারিস না এটা ঠিক হচ্ছে না ।
রেহানা মুখে কিছু না বল্লেও রেহানার চেহারা অন্ধকার হয়ে যায় ।
থাক দীনা মীনার এখন মন খারাপ আমি না হয় পরে মীনার সাথে কথা বলব বলে রুম থেকে বের হয়ে যায় ------।
চলবে ......ইনশা আল্লাহ !
বিষয়: বিবিধ
১৭৪৫ বার পঠিত, ২৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ভালো লাগলো আপু।
না । চলছে
চলবে ......ইনশা আল্লাহ !
মায়ের জন্য ভালবাসা কে অটুট রেখে , বৃহত্তর স্বার্থে, পরিবারের শান্তি, স্বস্তির প্রয়োজনে কোনো কোনো সময় অনাকাংখিত বিকল্প মেনে নিতে হয়। যদি সে বিকল্প সত্যিকারের ভালবাসা দিয়ে সবাই কে আপন করে নিতে পারে।
২৫দিন পরে ৩য় পর্ব?
আর একটু কমানো যায়না গ্যাপটা?
পরের পর্ব একটু তাড়াতাড়ি দিয়ে দেন
এই লাইনটি সবচেয়ে বেশি ভালো লাগলো।
বাস্তব সত্য খুউব ধন্যবাদ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন