কুলুষিত মন
লিখেছেন লিখেছেন আলোর আভা ১০ জানুয়ারি, ২০১৪, ১০:১৬:৫০ রাত
ভাই,ভাবীর সাথে অল্প বয়সে দেশ ছেড়ে ইউরোপ পাড়ি দেয় মোনা ।
ভাই ,ভাবীর কঠোর শাসন ,বাসায় ইসলাম চর্চা ও ইসলামী পরিবেশের কারনে স্কুল,কলেজ বর্তমানে ইউনির্ভাসিটিতে আন্ডার গ্রাজোয়েশনের শেষ ধাপে পড়াশুনা করলেও ইউরোপের কৃষ্টি ক্যালচারের কাছে নিজেকে বিকিয়ে দেয়নি ।
এ প্রযন্ত আসতে মোনাকে অনবরত যুদ্ধ করতে হয়েছে নফস আর বিবেকের ।
তার লেবাস তার চাল-চলন নিয়ে ক্লাসে তার সহপাঠি এমনকি শিক্ষকদের কাছ থেকেও শুনতে হয়েছে বিদ্রোপমূলক কথা হতে হয়েছে বিভিন্ন প্রশ্নের সম্মুক্ষীন ।
ছেলেরা তো বটেই এমনকি মেয়েরাও মোনাকে এড়িয়ে চলত ।গ্রপ ষ্টাডি গুলোতে কোন গ্রপই মোনাকে নিতে চাইত না ।
সহপাঠিরা ক্লাসে তাকে নিয়ে সব সময় ব্যঙ্গো -বিদ্রোপ ,হাসি তামাশা করত ।তাদের এমন আচরনে মোনা কষ্টে কান্না করলে ও কখনো হতাশ হয়নি বা তাদের মত হওয়ার চেষ্টা করেনি ।তাই কারো সাথে তেমন করে গড়ে উঠেনি বন্ধুত্ব।
আধুনিক সভ্যতার ধারক বাহক ইউরোপে বসবাস করে ও তাদের কাছে মোনা থেকে যায় অনাধুনিক ।হাতের নাগালে থাকা আনন্দ ফুর্তির উপায় উপকরন থেকে নিজেকে বাচিয়ে রেখেছে তাকওয়ার চাদর দিয়ে ।তাই জীবনের কিছু দিক মোনার কাছে আজানায় রয়ে যায়।
@
১৮ পার হবার পর থেকে মোনার বাবা মা বিয়ের জন্য তাড়া দিতে থাকে ।তারা কিছু দিন পর পর বিভিন্ন ছেলের ছবি ও বায়ো ডাটা পাঠাতে থাকেন ।
মোনা চায় না দেশের কোন ছেলেকে বিয়ে করতে ,মোনা মনে করে সে ইসলামকে মনে প্রানে ভাসবাসলেও মেনে চলার চেষ্টা করলেও অনেক বছর ধরে এখানে থাকার ফলে এখানকার খারাপ দিক গুলো দেখতে দেখতে সে অভ্যস্ত হয়ে গেছে যা এখন আর তার কাছে খারাপ মনে হয় না। আর এমন অনেক কিছু আছে যা তাকে বাধ্য হয়ে মেনে নিতে হয়েছে ।কিন্তু হঠাৎ করে আসা একটা ইসলামী মাইন্ডের ছেলের পক্ষে এগুলো মেনে নেয়া কঠিন হয় ফলে শুরু হয় দুজনের মাঝে ভুল বুঝাবুঝি ।সংসার জীবনে নেমে আসে অশান্তি ।চোখের সামনেই এরকম কয়েকটা সংসার বিয়ের এক বছরের আগেই ভেঙ্গে যেতে দেখেছে মোনা ।
আরেকটা কারন দেশ থেকে একটা ডাক্তার ছেলে বিয়ে করে আনলেও তাকে এখানে এসে ভাষা শিখতে কম পক্ষে দুই বছর এক বছর মেডিকেল সাইন্স পড়া ,তিন বছর ইন্টার্নী করতে হবে এটাও অনেক কঠিন একটা ছেলের জন্য,ইন্জিনিয়ারদের বেলায় ই তাই ,আর আমাদের দেশের নরম্যাল ডীগ্রীর তো কোন মুল্যই নেই এখানে।
এই সব কিছু চিন্তা করে মোনা চায় বাংগালী ছেলেকে বিয়ে করতে তবে সে ইউরোপেই বসবাস করছে সাথে ইসলামী মন মানসিকতা আছে এমন ছেলেকে ।
মোনা যে দেশে আছে সে দেশে এমন ছেলে পাওয়া একটু কঠিন,এখানে বাংগালীর সংখ্যা কম যাও আছে ইসলামী মন মানসিকতা নেই ।
মোনার ফেসবুক একাউন্ট আছে অনেক বছর আর বন্ধুর সংখ্যা বেশী না হলেও একেবারে কমও নয় । তারা আছে ফ্রেন্ডলিষ্ট অলংকৃত করে তাদের কারো সাথেই মোনার কখনো কোন ধরনের চ্যাট করা হয়নি তারা রয়ে গেছে অচেনা অজানা।তাদের শেয়ারে মোনা লাইক দেয় অনেক সময়, মোনার শেয়ারেও অনেকেই লাইক দেয় এটুকুই ।
ফেসবুকে ঘাটতে গিয়ে একদিন একটা নাম চলে আসে সামনে সোহান ।মোনা ফ্রেন্ড রিকোয়েষ্ট পাঠায় ।সোহান ফ্রেন্ড রিকোয়েষ্ট এ্যাকসেপ্ট করে সাথে একটা ম্যাসেস ।
মোনা ম্যাসেজের উত্তর দেয় আবার আসে ম্যাসেস আবার উত্তর দেয় আবার ম্যাসেস এবাবেই কেটে যায় কয়েক দিন।
এই ম্যাসেস থেকেই মোনা জানতে পারে সোহান ও ইউরোপেই মোনাদের পাশের দেশেই থাকে অনেক দিন আর অবিবাহীত।মোনা ভাবে তাহলে একটু জানা শুনা হলে ক্ষতি কি এটা মনে করে দুজনের মাঝে শুরু হয় নিয়মিত চ্যাটিং ।
@
নিয়মিত চ্যাটিং এর মাধ্যমে সোহান নিজেকে গোপন না করে তুলে ধরে মোনার কাছে নিজের পজেটিভ দিকগুলোর চেয়ে নেগেটিভ দিকগুলোই বেশী ।এথেকেই মোনা বুঝতে পারে মোনা আর সোহানের জীবন ধারা সম্পূর্ণ বিপরীদ ।দুইজনের মন মানসিকতা দুই মেরুর অধিবাসী ।
সোহান প্রতি দিন কাজ থেকে ফিরেই মোনার মোবাইলে একটা এস এম এস করে ,মোনা আমি ফিরেছি আপনি ব্যাস্ত না থাকলে ফেবুতে আসেন ।সাধরন এই কথাও মোনার কছে মনে হয় অসাধারন সে অনুভব করে এক অন্য রকম আকর্যন ।তাই মোনা সোহানকে এড়িয়ে যেতে চাইলেও পারে না আর সোহানের নিগেটিভ দিক গুলোর চেয়ে তার পজেটিভ দিকগুলো তার সামনে চলে আসে মোনার মনে হয় সোহান ন্যায়-নীতি,সততার দিক দিয়ে অনেক ইসলামিষ্ট ছেলের চেয়েও অনেক ভাল ।
ন্যায়-নীতি,সততা সোহানের আছে শুধু আল্লাহ ভীতির সাথে প্রতিদিনের ধর্মীয় এবাদত গুলো পালন করলেই সোহান হবে পারফেক্ট মানুষ । বন্ধু হিসাবে মোনার এটাই চাওয়া , সোহান ও বলে বন্ধু হিসাবে মোনার ইচ্ছাকে পূরন করার চেষ্টা করবে ।
মোনা আর সোহানের বন্ধুত্ব এভাবেই এগিয়ে যায় নানা বিষয় নিয়েই তাদের চ্যাট হতে থাকে তারা আপনি থেকে তুমিতে নেমে আসে ।শয়তান ও তাদের এগিয়ে যেতে সাহায্য করে ।
মোনা একদিন সোহানকে নিয়ে একটা স্বপ্ন দেখে । ঘুমের মাঝেই স্বপ্নটা মোনার কাছে অদ্ভুদ রকম ভাল লাগে ।ঘুম ভাংগার পরও স্বপ্নটা তার মনের মাঝে গেথে রয় ।সারাটা দিন স্বপ্ন টা তার চোখের সামনে ভাসতে থাকে তার দিন কাটে এক অন্য রকম এক আনন্দে ।
রাতের বেলা সোহানের সাথে কথা বলার সময় মোনা স্বপ্নের কথাটা সোহানকে বলেই ফেলে ।
এই সুযোগে সোহান ও বলে ফেলে আমি তোমাকে ভালবাসি মোনা ।সোহানের এই কথার উত্তরে মোনা মুখে কিছু বলতে পারেনি তার ভিতরে শুরু হয় এক প্রচন্ড রকমের ঝড় ।তার ২৬ বছরের জীবনে কোন ছেলের কাছ থেকে সে একথাটি শোনে নি শোনার আশাও করে নি ।সে তার সমস্ত আশা আকাক্ষা ভালবাসা সঞ্চিত করে রেখেছে শুধু একজনের জন্য যে আসেবে তার জীবনে বৈধ ভাবে ।
এর পর মোনার জীবনে আসে কিছু পরিবর্তন মোনা হয়ে উঠে চঞ্চলা হরিনীর মত ইসলামী গান ছেড়ে আধুনিক গান শুনে ,কবিতা আবৃতি শুনে ।মোনার এই পরিবর্তন ভাবীর চোখে ধরা পরে ভাবীর মাধ্যমে ভাইও জেনে যায় ।তারা মোনাকে কিছু না বল্লেও বিষয়টা নিয়ে আলোচনা করে বড়বোন লোনার সাথে ।
@
লোনা এর মাঝে একটা ছেলের সন্ধান পায় ছেলে ফার্মাসিষ্ট ।নতুন পাশ করে একটা ওষুধ কোম্পানীতে জব হয়েছে। ইংল্যান্ডে জন্ম হলেও ফ্যামেলীও ছেলে একটু বেশীই ধর্মভীরু ।মোনার ছবি দেখে ছেলে ও ফ্যামেলীর সবাই পছন্দ করে। আর কথা হয়ে থাকে মোনা শীতের ছুটিতে লন্ডন আসবে তখন ছেলে মেয়েকে দেখবে ।
কিন্তু গোপনে দেশে দুই ফ্যামেলীই দুই ফ্যামেলী সম্পর্কে
খোজ নিতে গিয়ে আর একটা সম্পর্ক বেড়িয়ে আসে মোনার ভাই আর ছেলের মামা বন্ধু ।ইউনির্ভাসিটি লাইফে তারা এক হলে একরুমে একত্রে পাচ বছর কাটিয়েছে ।ছেলের মামা মোনাদের বাসায় অনেক এসেছে । ছেলের মা ভাইয়ের কাছ থেকে সব কিছু জেনে তারা পুরাপুরি পজেটিভ হয়ে যান।
মোনাদের লন্ডন যাওয়ার দিন তারিখ সব ঠিক ।লোনা ফোন করে ভাইকে জানায় ছেলের মা চায় তোরা এখানে আসার আগে ছেলে তোদের ওখানে যেয়ে মোনাকে সরাসরি দেখুক ও কথা বলুক ।যদি পজেটিভ হয় তাহলে তোরা এখানে আসার পর আকদ করে ফেলতে চায় ।স্যামারে আব্বু আম্মু আসবে মোনা ও গ্রাজোয়েশন শেষ হবে তখন অনুষ্টান হবে ।
মোনা ভাই ঠিক আছে আসতে বলো ।
ফয়সাল তার এক বন্ধুকে নিয়ে আসে মোনাদের বাসায় দুইদিন থাকে মোনা সাথে ভাইএর ছেলে ফাহাদকে নিয়ে শহরের বিভিন্ন জাগয়া তাদের ঘুরে দেখায় তখন ফয়সালের সাথে খুব বেশী কথা না হলেও টুকটাক অনেক কথাই হয় ।ফয়সালের কথা ও আচরনে মোনা একটুও বুঝতে পারে না ফয়সাল তাকে পছন্দ করেছে ।
মোনার ফয়সালকে সব দিক দিয়ে পছন্দ হলেও একটা দিক দিয়ে নয় তাহল তার বয়সের চেয়ে গুরু-গুম্বীর ভাব ।
ফয়সাল ফিরে গিয়ে পরের দিনই ফোন করে ভাবীকে সব কিছুর জন্য থ্যাংস জানায় , ফয়সলের মা কথা বলে জানায় তার ছেলে মোনাকে অনেক বেশী পছন্দ করেছে ।
মোনা সোহানকে এব্যাপারে সব না বল্লেও অনেক কিছুই বলে ।সোহান কোন কিছু নিয়ে মোনার সাথে জোড় করে না ,
তুমি আমার কথা আপুকে বলে দেখতে পার আমি কথা দিলাম নিজেকে তোমাদের মত করে তৈরি করে তুলব শুধু একটু সময় দাও ।
আর তুমি যদি মনে কর এ ছেলেকে নিয়ে তুমি সুখী হবে তুমি ঘর বাধতে পার আমার কোন আপত্তি নাই । আমি আমার মত সরে যাব তোমার জীবন থেকে ।
@
মোনা বোনের বাসায় আসার পরদিন ফয়সালের মা এসে হাজির ।তার কথা বার্তা আর আচরনে মনে হয় তার যেন আর তর সইছে না। মোনাকে কোলে নিবে না বুকে নিবে দিশা পাচ্ছে না ।
মোনা আপুকে সোহানের কথা কিছু বলার আগেই ভাবী মোনার ব্যাপারে আপুকে অনেক কিছু বলেছে যদিও ভাবী সোহানের ব্যাপারে কিছুই জানে না মোনার আচার আচরনের উপর ভিত্তি করে ।আপুর মন খারাপ দেখে মোনা বুঝতে পারে।
মোনা সোহানের কথা আপুকে বলতে চায় আবার ভয়ও পায় ।কিন্তু বলতে তো হবেই তাই সব ভয়কে অতিক্রম করে সোহানের সব কথা খুলে বলে ।সোহান নিজেকে পরিবর্তন করবে এটাও বলে।
মোনার কথা শুনে লোনা অবাক হয়ে তাকিয়ে তুমি এটা ভাব কি করে যে ছেলে ৩৬ বছর কাটিয়ে দিয়েছে ভুলের উপর সে তোমার জন্য এত সহজেই সে জীবন থেকে ফিরে আসবে ।তার কোন একটা দিক ও আমার কাছে ভাল মনে হচ্ছে না তোমার সাথে তার বয়সের ব্যাবধান অনেক বেশী ।তুমি এই বয়সে এত বড় ভূল কর কি ভাবে আমার ভাবতে অবাক লাগছে ।
তুমি আ্লপ বয়সে ইউরোপ এসেছ আব্বু আম্মু আমরা সবসময় তোমাকে নিয়ে টেনশনে থেকেছি ,আল্লাহর রহমতে আর সবার দো্যায় তুমি ভূল পথে পা দেও নি ।শেষ মূহুর্তে এমন ভুল তুমি কেমন করে করলে ।
লোনার কথা শুনে মোনার চোখ দিয়ে শুধু পানিই পড়ছে সে কিছুই বলছে না ।
মানুষ ভুল করে ভুলটা মেনে ও নেয়া তার একটা বয়স থাকে ।তোমার এখন সে বয়স নেই ।
তুমি তাকে শুধরে নিবে কেমন করে তোমার ই তো আল্লাহ ভীতি নেই ।সেটা যদি থাকত তাহলে তুমি এমন কাজ করতে পারতে না ।
আমি একথা আব্বু আম্মুকে তো নয়ই কাউকে বলতে পারব না,আমি চাইও না কাউকে বলতে আমি চাই তুমি নিজেকে শুধরে নাও ।আমার কাছে বলেছ একথা আমার কাছেই গোপন থাক আমি চাই না তোমার সম্পর্কে কারো খারাপ ধারনা হোক ।
তোমার ইমানের যে পরিচয় পেলাম তাতে আমার মনে তোমার এমন কা্উকে বিয়ে করা উচিত যার ইমান ,আমল,আখলাক তোমার চেয়ে ভাল যার সংস্পর্শে এসে তোমার ইমান ,আমল, আখলাক আরো উন্নত করতে পার ।
সে রকম ছেলে হিসাবে আমরা ফয়সালকে পছন্দ করেছি ।
জীবনটা তোমার, বিয়েও করবে তুমি, সিন্ধান্তও নিতে হবে তোমাকে ।আমরা জোর করে কোন সিন্ধান্ত তোমার উপর চাপিয়ে দিতে পারব না দিতে চাইও না ।
বিয়েটা মানুষের জীবনে এমন একটা বি্ষয় এব্যাপারে সিন্ধান্ত নিতে যদি ভুল কর তাহলে সারা জীবন কেঁদেও কূল পাবে না।
ফয়সলের আম্মা চাচ্ছে এখনই তোমাদের বিয়ে সেরে ফেলতে আমি উনাদের বলেছি আমার আব্বু আম্মুকে ছাড়া এটা সন্বব নয় আপনারা চাইলে এখন শুধু আংটি পড়াতে পারেন ।
তুমি সিন্ধান্ত নিয়ে তোমার মত জানাও আমি শক্রবারে ওনাদের আসতে বলি অথবা না করে দেই ।
মোনা অনেক ভেবে চিন্তে এটুকু বুঝতে পারে তার ফ্যামেলী কখনো সোহানকে মেনে নিবে না ।আর ফ্যামেলীকে ছেড়ে সে একা কখনো সোহানের কাছে যেতে পারবে না ।
আর আপু তো ঠিক কথাই বলেছে আমার তো এমন কাউকেই জীবন সাথী হিসাবে বেছে নেয়া উচিত যে আমলে আখলাকে আমার চেয়ে উন্নত ।
এসব চিন্তা ভাবনা করে মোনা লোনাকে জানিয়ে দেয় আপু ওদের আসতে বল ।
ফয়সলের বাবা মা আর কয়েকজন আত্বীয় নিয়ে আসে লোনার বাসায় রাতের খাওয়া সেরে ড্রয়িং রুমে বসেন সেখানেই ডাকা হয় মোনাকে ।টুকটাক কথার পর ফয়সালের মা মোনার গলায় পরিয়ে দেন চেন ও হাতে পরিয়ে দেন আংটি ।
মোনার চোখ দিয়ে ঝরে পরে অশ্রুধারা ।এ অশ্রু সোহানের প্রতি ভালবাসার জন্য নয় ।এ অশ্রু নিজের মনকে কুলুষিত করার জন্য ।এ অশ্রু অনুশোচনার,অনুতপ্তের ।
বিষয়: বিয়ের গল্প
৩৪৬৭ বার পঠিত, ৫১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
সাথে সাথে লেখাটির জন্য আপনার এই শ্রমকে কৃতজ্ঞতার সহিত স্মরণ করছি এবং ধন্যবাদ জানাচ্ছি --
অনেক সুউইট গল্প, থ্যাংক্স আপুমণি সবচেয়ে বেশি ভালো লাগছে পজিটিভ সমাপ্তিটা এ অশ্রু নিজের মনকে কুলুষিত করার জন্য ।এ অশ্রু অনুশোচনার,অনুতপ্তের
Shokol golpo kobita uponnash ami-tumi marka shoshta prem a vorpur.
অনেক ভালো লাগল। ধন্যবাদ।
এই প্রতিবাদ করার সাহশের জন্য লেখাটি কালকে পড়লেও আজকে কমন্ট করলাম।
কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ ভাইজান ।
অবশেষে আপনার লেখার জন্য ধন্যবাদ থাকল গল্প হিসাবে --
আপনার মতামতের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ।
কিন্তু আমি আপনার লেখার সোহানদের দেখেছি যারা বিয়ের পর এমন বদলে গিয়েছে আমরা তাকে ওনেক সময় বলতাম কিরে বৌ তাবিজ করে তোকে আমাদের থেকে ছিনিয়ে নিয়ে গেছে বুঝি-- তাই আমি বলেছিলাম আমার বাস্তব দেখা থেকে সোহানদের সুযোগ দিতে ভাল হওয়ার--
আরেক টি কথা মনে মনে শুধু জানতে চাইবেন আপনার পুরো পরিবারের বিবাহিত মানুষগুলি কতটা সুখি---
সাদা কাপরে ময়লা লাগলে চোখে পড়ে বেশী ।আমাদের দেশেও কোন আলেম যদি কোন খারাপ কাজ করে সেটা রটায় বেশী খারপ কাজগুলো কিন্তু সোহানদের দ্বারাই বেশী হয় সেটা নিয়ে কারো মাথা ব্যাথা নেই ।তবে আমি অস্বিকার করব না যে ব্যতিক্রম নেই ।
তবে স্বভাব পরিবর্তন হওয়া অনেক কঠিন ।
আপনাকে ধন্যবাদ ।
মা্ইন্ড করিয়েন না আপু, জাস্ট মজা লাগলো তাই একটু রিপীট করলাম।
আবারও অভিনন্দন !
আপনার গল্পে সোহান এর পজেটিভ দিক এর কথা বলতে গিয়ে লিখেছেন; সোহান ন্যায়-নীতি,সততার দিক দিয়ে অনেক ইসলামিষ্ট ছেলের চেয়েও অনেক ভাল । এখানেই আমার দ্বিমত, আপনি কি বলতে চান যাদেরকে আপনি ইসলামিস্ট বলে মনে করেন , তাদের মাঝে ন্যায়-নীতি , সততার অভাব। আর যদি তাই হয়ে থাকে তাহলে তাদেরকে কি ভাবে একজন ইসলামিস্ট হিসাবে মনে করেন আপনি ? আমি তো মনে করি ওরাই কেবল মাত্র ইসলামিস্ট যাদের মাঝে পাওয়া যায় , ইসলামের মৌলিক গুনাবলী ( প্রাকটিকালি ) সাথে সকল প্রকার ন্যায়- নীতি , সততার ও মানবিকতার সংমিশ্রন। আর সোহানের সাথে তুলনা করতে যে তথাকথিত ইসলামিস্টদের কথা বলেছেন , তারা ইসলামিস্ট নয় , বরং তারা সুবিধাবাধী লেবাসধারী তথাকথিত ইসলামিস্ট।
ধন্যবাদ আপনাকে।
শুধু এইটুকু বলব বর্তমান সমাজের এই জিবন ধারায় কয়টি পরিবার সুখে আছে আপনার লেখার ফয়সালদের সাথে ঘর বেঁধে এই নিয়ে আমি সন্দিহান ?
তারপরো আপনার লেখার মোনার মত বাস্তব জগতের সকল মোনারা সুখি হোক এই কামনা করছি ---
ভাইজান এখন আসল কথা বলি,ফয়সালদের সাথে ঘর বেধেই এখনো কিছু লোক সুখে আছে আমার মনে হয় ।
তবে সুখের ধরনটা একেকজনের কাছে একেক রকম ।কেউ দান করে খুশী কেউ দান গ্রহন করে খুশী ।
ধন্যবাদ ভাইজান আপনার মতামত ব্যাক্ত করার জন্য ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন