সংসার নামের ভালবাসার সাতকাহন
লিখেছেন লিখেছেন আলোর আভা ২৮ নভেম্বর, ২০১৩, ১০:৪৪:৩৪ রাত
বিয়ের ২সপ্তাহ পর নাবিলা স্বামী আকিবের সাথে ঢাকা ছেড়ে চট্টগ্রাম শহরে আসে
নতুন জীবন নিজের সংসার নিজের মনের মত করে সাজাচ্ছে এসব নিয়ে নাবিলা বেশ আনন্দেই আছে ।বাবা মা ভাই বোনদের জন্য মাঝে মাঝে মন খারাপ হলেও ফোনে কথা বলে সেটা পুশিয়ে নেয় ।
আর মন খারাপই বা হবে কেন আকিবের মত স্বামী যদি পাশে থাকে।স্বামী হিসাবে আকিব চমৎকার সৎ ধার্মিক সুর্দশন ও স্মার্ট।নাবিলার প্রতি কেয়ারী ও হেল্পফুল।
দুজনের টোনাটুনির সংসারে হাসি আনন্দের মাঝে সময় বয়ে যেতে থাকে নাবিলার।
আকিব ব্যাবসার কাজে ভীষন ব্যাস্ত তবু সপ্তাহে একদিন নাবিলাকে সময় দেয় , সেদিনটা শুধু তাদের দুজনের, তারা নিজের মত করে কাটায় ।
আকিবের কাজের দিন গুলোতে নাবিলার কষ্ট হয়।আকিব যায় সকাল ৯টায় আর ফিরে সন্ধ্যা ৭টায় মাঝে মাঝে রাত ৯-১০ টাও বেজে যায়।বাসায় নাবিলার কোন কাজ ও নেই, যে টুকু কাজ কাজের বুয়াই করে দিয়ে যায়।যদিও আকিব যখন ই সময় পায় ফোন করে নাবিলার খবর নেয়। নাবিলাও মাঝে মাঝে ফোন করে এর ওর সাথে কথা বলে ।তবু নাবিলার এই এই দীর্ঘ সময় কিছুতেই কাটতে চায় না। কোন কাজ না করে ও শোয়ে বসেই নাবিলা ক্লান্ত হয়ে যায়।
আকিব বাসায় ফিরেই নাবিলার মুখের দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে যখন বলে কেমন আছ নাবিলা ?এতেই নাবিলার সব ক্লান্তি ,কষ্টদূর হয়ে যায় মুখে হাসি ফুটিয়ে বলে ভাল আছি।
আর নাবিলার মিষ্টি মুখের মিষ্টি হাসি দেখে আকিবের ও সারা দিনের পরিশ্রমের কষ্ট চলে যায়।
এভাবেই দুজনের ভালবাসা বাসিতেই দুই বছর চলে যায়।
আজ ছুটির দিন ,আকিব ও নাবিলা ফজরের নামাজের পড়ে শুয়ে আছে। নাবিলা আস্তে করে আকিবের গায়ে হাত দিয়ে আকিব একটা কথা বলি ? বল
দুই বছর তো হয়ে গেল এবার কি আমরা চিন্তা করতে পারি না ,আমাদের মাঝে নতুন কেউ আসুক ।
আকিব নাবিলার মাথায় হাত বুলিয়ে আর একটু ধৈর্য ধর নাবিলা ।আমি আর একটু গুছিয়ে নেই ,যাতে আমাকে এত বেশী ব্যাস্ত থাকতে না হয় । আমি যেন তোমাকে আর আমাদের সন্তানকে পর্যাপ্ত সময় দিতে পারি।
আমার জন্মের ২বছর পর আমার বাবা মারা গেছে ,বাবার আদর কেমন আমি বলতে পারব না।আমার মা কষ্ট করে মানুষ করে আমার মা ও চলে গেছেন ,আমি আমার মাকে ও কোন সুখ দিতে পারি নি ।আমি আমার সন্তান, আর তোমাকে কোন কষ্ট দিতে চাই না ।আমি বুঝি তোমার সারা দিন বাসায় একা খারাপ লাগে ।আমি আমার ব্যাবসা মোটামুটি গুছিয়ে এনেছি আর ২টা বছর অপেক্ষা কর।
ওকে ঠিক আছে তাহলে আমি একটা জব করতে চাই ?
আকিব শোয়া থেকে উঠে বসে কিছুটা অবাক হয়ে কি তুমি করবে চাকরি !!!
নাবিলা নীচু স্বরেই বলে আসলে আমি ভয়ে ,আর মনে করে ছিলাম জব হয়ত হবে না তাই তোমাকে বলিনি ,ছয় মাস আগে যখন আমি ঢাকায় গিয়েছিলাম তখন একটা প্রাইভেট ব্যাংকে জবের জন্য ইন্টারভিউ দিয়েছিলাম ।আম্মু আজকে ফোন করে বল্ল আমার জবটা হয়েছে আগামী মাসের ২ তারিখ জয়েন করতে হবে ।আকিব আমি জয়েন করতে চাই ?
আকিব এবার রাগত স্বরেই এত কিছু হয়েছে আমাকে বলনি !!
শোন নাবিলা স্বামী -স্ত্রীর মাঝে রক্তের কোন সম্পর্ক নেই,আত্বীয়তার কোন বন্ধন নেই ।স্বামী -স্ত্রীর সম্পর্কের সবটাই হচ্ছে বিস্বাস আর ভালবাসা ।তাই স্বামী -স্ত্রীর মাঝে যদি বিস্বাস না থাকে সেখানে ভালবাসা থাকবে কেমন করে ।
আকিবের কথায় নাবিলার চোখে পানি চলে আসে ।আমি সরি আকিব আমি অনেক সরি ।
আমি মনে করি মেয়েরা চাকরি করতে পারে যদি সংসারে প্রয়োজান থাকে ।তুমি শখ করে চাকরি করবে এটা আমি চাই না ।
আর বিয়ের সময় আমার একটা মাত্র শর্তছিল আমার বউকে চাকরি করতে দিব না ,সেটা মেনে নিয়েই তো তুমি আমাকে বিয়ে করেছ তাই না ..............।
নাবিলা কাঁন্না জড়ানো কন্ঠেই বলে আকিব আমি ঘরের ভিতর একা একা বোর হয়ে যাচ্ছি ,আমি আমার এই বুরিং সময়টা কাটানোর জন্য মাত্র ২ বছর জব করতে চাই ?
নাবিলার কথায় আকিব আরো বেশী উত্তেজিত হয়ে বলে,এক দিনের জন্য ও না । তুমি একবার জবে ডুকলে পরে আর ছাড়তে পারবে না, প্রথমত : টাকা ,দ্বীতিয়ত :মেয়েদের পা একবার বাহিরে গেলে সে পা আর ঘরের ভিতর থাকতে পারে না । হোক সেটা ভাল কাজে বা খারাপ কাজে।
তুমি জব করতে চাইলে আমি তোমাকে বাধা দিব না তবে জব আথবা আমাকে যে কোন একটা তোমাকে বেছে নিতে হবে ।আমার কথা শেষ এখন তুমি ডিসিশন নিতে পার বলে আকিব রুম থেকে বের হয়ে ড্রয়িং রুমে যেয়ে পেপার পড়তে বসে ।
আকিবের এরকম কড়া কথায় নাবিলা ভীষন কষ্ট পায় সাথে রাগ আর কিছু অভিমান মিলে নাবিলার ব্রেন কোন কাজ করছে না ।সে কাঁদতে কাঁদতেই বিছানা থেকে উঠে ব্যাগ গুছিয়ে নিজে কোন রকম রেডী হয়ে ড্রয়িং রুমের উপর দিয়ে বের হওয়ার সময় আকিব আমি আসি বলে বাসা থেকে বের হয়ে যায়।
আকিব ও তারা তারি রেডী হয়ে বের হয়ে আসে গাড়ি নিয়ে একটু আগাতেই দেখে নাবিলা ট্যাক্সিক্যাবে উঠছে ,আকিব কিছুটা দুরত্ব রেখে নাবিলার ট্যাক্সিক্যাবকে ফলো করতে থাকে।
নাবিলা হানিফ পরিবহন এর বাস কাউন্টারের সামনে এসে নেমে কাউন্টারের ভিতররে ডুকে যায় ।
আকিব গাড়ি সুবিধা মত স্থানে পার্ক করে এসে কাউন্টারের কাচের দরজা দিয়ে নাবিলা সামনেই বসে আছে।
আকিব ভাবে এখন কি করি ,সবই আল্লাহর ইচ্ছা নাবিলা ভিতরে মহিলাদের টয়লেটের দিকে যায় এই ফাঁকে আকিব কাউন্টারের ভিতর ডুকে দুইটা টিকিট কেটে বেড়িয়ে আসে ।
বাস কাউন্টারের সামনে আসতেই আকিব সবার আগে গিয়ে সবার পিছনের সীটে গিয়ে বসে ।একে একে বাসের সব যাত্রীরা বাসে আসে ,নাবিলার পাশের সীটের যাত্রী আর আসে না বাস ছাড়ার সময় হয়ে গেছে বাস ছেড়েও দেয় ।বাস চলতে শুরু করে ।
নাবিলা নিজের ভিতর অস্থিরতা অনুভব করে হায় হায় আমি কি করলাম ,আমি এত বড় ভুল করে ফেললাম আব্বু আম্মুর সামনে যেয়ে দাড়াব কি ভাবে ।
আম্মু তো সবসময় বলে ,
দুনিয়াতে কোন মানুষ পারফেক্ট না ।সব মানুষের মাঝেই কিছু ভাল কিছু মন্দ থাকবেই ।আকিবের ও থাকবে তুমি তার খারাপ দিকগুলো বড় করে না দেখে তার ভাল দিক গুলোও সবসময় তোমার মনে ও চোখের সামনে রাখবে ।
কোন মানুষ কখনো সে যত ভালই হোক আরেকজন মানুষের ১০০% মনের মত হতে পারবে না ।সেটা যেমন আকিব হতে পারবে তোমার মনের মত আর তুমিও হতে পারবে না আকিবের মনের মত। তুমি আকিব কতটা তোমার মনের মত এটা চিন্তা না করে তুমি কতটা আকিবের মনের মত হতে পারছ বা হওয়ার চেষ্টা করছ এটা নিয়ে ভাববে ।
নাবিলা এসব ভাবছে আর নাবিলার চোখ বেয়ে পানি পড়ছে।
আকিব নিজেকে লুকিয়ে এ দৃশ্য দেখছে আর কষ্ট পাচ্ছে ।খুব ইচ্ছা করছে নাবিলার কাছে যেয়ে চোখের পানি মুছে দিয়ে বলতে নাবিলা কেঁদ না আমি আছি তো..... তোমার পাশে।
নাবিলা ভাবে আসলে অন্যায় তো আমি করেছি ।আমার তো মোটেই উচিত হয়নি আকিবকে না জানিয়ে কিছু করা। এতে তো আকিব রাগতেই পারে ,রাগ হওয়ারই কথা ।কিন্তু আমি রেগে গেলাম কেন ?আবার বাসা থেকে বের হয়ে আসলাম ,আমি তো আবার ও অন্যায় করে ফেললাম।।
আকিব অনেক ভাল ছেলে ,সে আমাকে অনেক ভালবাসে ,সে আমাকে কি ভাবে সুখে রাখবে কি ভাবে আমি ভাল থাকব সে তো সব সময় এ চেষ্টাই করে ।আমি কি ভাবে এমন করতে পারলাম ।
আকিব তো আমাকে চলে যেতে বলেনি বা তাড়িয়ে দেয় নি ।সে ত দুটো অপশন রেখেছিল ,আকিব অথবা জব ।আমি কেন রাগের মাথায় আকিবকে ছেড়ে আসলাম ,আমি তো আকিবকে ছেড়ে থাকতে পারব না তাহলে কেন এমন করলাম........?
এসব ভেবে নাবিলার নিজের উপর এমন রাগ হয় যে নিজের মাথার চুল ছিড়তে ইচ্ছা করছে।আবার অনুশোচনা হতে থাকে কেন এমন করলাম .........।
নিজের উপর রাগ আর অনুশোচনা্য নাবিলা বাসের ভিতরই ছটফট করতে থাকে ।
নাবিলার এই অস্থিরতা দেখে আকিবের নিজেকে অপরাধী মনে হয় ,সে নিজেকে ধিক্কার দেয় কেন যে এমন রেগে গেলাম।নাবিলা অনেক লক্ষী মেয়ে ওকে বুঝিয়ে বললেই ও বুঝত।
আর আম্মু তো আমাকে আগেই সব জানিয়েছে যখন নাবিলা এ্যাপলিকেশন করে ইন্টারভিউ দেয় আম্মু তো তখন বলেছে তুমি নাবিলাকে মানা কর তখন তো আমি বলেছি করে দেখুক চাকরি হলে ডিসিশন নেয়া যাবে কি করব।গতকালও তো আম্মু প্রথমে আমাকেই জানিয়েছে তখন ও আমি আম্মুকে বলেছি ঠিক আছে নাবিলাকে জানান তাহলে কেন এমন হল, কেন এমন হয় এখন তো দুইজনেই কষ্ট পাচ্ছি।
নাবিলার ভাবনায় আরো যোগ হয় আম্মু বলেছিল ।স্বামী-স্ত্রীর মাঝে টুকটাক ঝগড়া হতেই পারে তাই বলে সেটাকে এমন পর্যায়ে নিয়ে যাবে না যাতে সেটা মিমাংসা করার জন্য তৃতীয় কাউকে প্রয়োজন পড়ে।
নাবিলা মা তুমি মনে কর না তুমি মেয়ে বলে আমি এ উপদেশগুলো তোমাকে দিচ্ছি ,আমার ছেলের বিয়ের পর আমার ছেলের জন্যও আমার এ উপদেশগুলো থাকবে।
তবে মেয়ে হিসাবে তোমার জন্য আমার অতিরিক্ত উপদেশ বিয়ের পর স্বামীর ঘর তার আসল ঘর ,সেটাই তার আসল ঠিকানা ,সেখানেই তার সন্মান। আমার এ কথা গুলো বা এর চেয়ে ভাল কোন উপদেশ কারো কাছ থেকে পাও সেগুলো গ্রহন করলে তুমি জীবনে সুখী হবে।আর তুমি সুখে থাকলেই আমি সুখী ।
নাবিলা একথা মনে হতেই নিজেই নিজের কাছে লজ্জিত হয় ।আমি কি ভাবে আব্বু আম্মুকে বলব আমি আকিবের সাথে ঝগড়া করে চলে এসেছি ,আব্বু আম্মু কি ভাববে ,দুই দিন পর আত্বীয় স্বজনরাও জানবে ,সবাই আমাকে, আকিবকে কি ভাববে ।আমি কিছুতেই আকিবকে কারো কাছে ছোট হতে দিব না ।আমি আব্বু আম্মুর বাসায় যাব না ।আমি পরের বাসেই ফিরে যাব আকিবের কাছে ,আমার নিজের সংসারে, আমার নিজের ঠিকানায়।
বাস এসে গাবতলী বাস র্টামিনালে থামে ।নাবিলার পিছন পিছন আকিবও নামে বাস থেকে ।
আকিব একটু দূর থেকে দেখে নাবিলা কোন ট্যাস্কি বা স্কুটার না নিয়ে রাস্তা পার হয়ে আবার ও বাস কাউন্টারের দিকে যাচ্ছে ।
আকিবের আর বুঝতে বাকি থাকে না নাবিলা ফিরে আসছে তার কাছে ।
আকিব সুযোক বুঝে আবার দুইটা টিকিট কেটে বাহিরে ঘুরা ফিরা করতে থাকে দুপুরে খাওয়া হয়নি ,খিদেও লেগেছে নাবিলাকে রেখে খাই কি করে ,থাক বাসায় যেয়ে একসঙ্গে খাব ।
বাস কাউন্টারে আসতেই এবারও আকিব সবার আগে পেছনের সীটে যেয়ে বসে ।নাবিলাও বাসে উঠে তার সীটে বসে ।এবারও নাবিলার পাশের লোক আসেনি দেখে নাবিলা বেশ খুশী যাক ফ্রী ভাবেই যাওয়া যাবে।
এবার মনে প্রশান্তি আর দেহে ক্লান্তি নিয়ে বাসে উঠেই দুই সীটের জায়গা নিয়ে নাবিলা ঘুমিয়ে পরে।
নাবিলাকে ঘুমাতে দেখে আকিবও চোখ বন্ধ করে ঘুমানোর চেষ্টা করে ।
সন্ধ্যা ৭টায় তাদের বাস চিটাগ্যাং শহরের র্টামিনালে এসে থামে।নাবিলা বাস থেকে নেমে যেতেই আকিব তারা তারি বাস থেকে নেমে গাড়ি নিয়ে বাসার দিকে রওনা দেয়।
নাবিলাও একটা ট্যাস্কি ক্যাবে বসে।
আকিব তারা তারি বাসায় এসে জামা কাপড় ছেড়ে শাওয়ার নিয়ে ফ্রেস হয়ে চুলায় ভাত বসিয়ে দেয় । এমন সময় ডোর বেল বেজে উঠে ।আকিব নিজেকে গুছিয়ে নিয়ে দরজা খুলে অবাক হওয়ার বান করে নাবিলা তুমি !!
নাবিলা কোন কথা না বলে আকিবকে জড়িয়ে ধরে আকিব আমি অনেক সরি ,আমাকে তুমি ক্ষমা কর আমি অনেক বড় ভুল করেছি ।
আকিব নাবিলার পিঠে হাত বুলিয়ে চোখ মুছে আর কাঁদতে হবে না ,ভুল আমি ও করেছি,আমি সরি নাবিলা এবার যাও শাওয়ার নিয়ে ফ্রেশ হয়ে এস আমি খাবার গরম করছি ।
নাবিলা ফ্রেশ হয়ে বের হতেই আকিব এক গ্লাস পানি নাবিলার দিকে এগিয়ে দিয়ে আগে এটা খেয়ে নাও ..।
নাবিলা এক ঢোক খেয়ে মুখ বিকৃত করে এটা কি !!
আকিব হেসে স্যালাইন,
আজকে তোমার শরীর থেকে মানে তোমার চোখ দিয়ে অনেক পানি বের হয়ে গিয়েছে তো.........তাই ঘাটতি পূরণের জন্য বলেই আরো জোরে হাসতে থাকে ।নাবিলার মুখেও হাসি তবে সেটা লজ্জিত হাসি ।
আকিব ও নাবিলা নিজেদের রুমে ডুকে খাটের উপর বসে আকিব নাবিলার হাত দুটো ধরে নাবিলা এটাই স্বামী-স্ত্রীর বিশ্বাস বা ভালবাসা ।তারা ভুল করে, তবে তারা এমন ভুল করে না যে ভুল জীবনকে জটিল করে ফেলে ।
নাবিলা তুমি আমার বিস্বাসের চেয়ে ও আগে ফিরে এসেছ,আমার বিস্বাস ছিল আজকের রাতটা আমাদের আব্বু আম্মুর ওখানে কাটাতে হবে কিন্তু হয়নি ।
নাবিলা আকিবের মুখের দিকে তাকিয়ে আমাদের মানে.......।!!
মানে আমি কি তোমাকে একা যেতে দিতে পারি ,আমিও ছিলাম তোমার সাথে ।আকিবের একথায় নাবিলার চোখ দিয়ে পানি আসে এটা দেখে আকিব ,নাবিলাকে জরিয়ে ধরে তোমার কিন্ত ডিহাইড্রেশন হয়ে যাবে ..............দুজনেই উচ্চস্বরে হেসে উঠে......।
বিষয়: সাহিত্য
৩৩৬০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন