প্রশ্নবিদ্ধ ট্রাইবুনাল ো আসামীদের ন্যায়বিচার

লিখেছেন লিখেছেন বিকাশ ০৩ অক্টোবর, ২০১৩, ০৫:০৬:১০ বিকাল

1971 সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় কৃত যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্তদের বিচারের মুখোমুখি করা জাতির প্রাণের দাবি। বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ এই বিচারের দাবি করে আসছে। আমরাো তরুণ জেনারেশন এই বিচারের দাবি করেছি। স্বাধীনতার প্রায় 38 বছর পরে হলেো এই বিচার কার্য শুরু হলো। আমরা প্রত্যাশা করেছিলাম একটি স্বচ্ছ ো ন্যায় বিচার। আমরা কখনোই চাইনি একটি জাতিয় বিভাজন ো রাজনৈতিক বিচার। আমি বিশ্বাস করি, এদেশের মানুষ এমন রাজনৈতিক কলুষিত বিচার কখনোই কামনা করে না।

হ্যা এ কথার সাথে হয়তো আপনিো একমত হবেন যে, কোন কোন মানুষ রুপি অমানুষরা এহেন একটি বিচারের নামে, আমাদের এই দেশে জাতিগত বিভাজন তৈরীতে কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের বিশ্বাস ো চিন্তা যদি ভুল না করে তবে আমরা তাদের চিহ্নিত করতে পেরেছি। আমরা বিশ্বাস করি ইতিহাস তাদের ক্ষমা করবে না।

আমাদের এই সবুজ শ্যামল ভূখন্ডটি নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে, আমাদের প্রতিবেশীরা ো আমাদেরই দেশের কিছু পা চাটা দালালরা।

আমাদের শাসন ক্ষমতায় ঘাপটি মেরে বসে আছে কিছু চিহ্নিত ভিন দেশীয় দালাল আর বিকৃত চিন্তার লোক। যাদের কারণেই হয়তো ঘটেছিল ইতিহাসের বর্বর হত্যাকান্ড 1974 এ। স্বাধীনতার স্থপতি মরহুম শেখ মুজিবুর রহমানকে স্ব-পরিবারে, রাতের অন্ধকারে হত্যা করেছিল ঘাতকেরা। আমরা সেই হত্যাকান্ডের বিচার আজো পাইনি। এ দাবি করেছিলেন বাংলার অহঙ্কার বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী। োনার এই দাবির সাথে আমরাো একমত। যাইহোক, বলতেছিলাম ট্রাইবুনালে যুদ্ধাপরাধীদের ন্যায় বিচার নিয়ে।

একাত্তর এর দালাল আইনে স্বাধীনতার এতোটি বছর পর মানবতা বিরোধী অপরাধীদের বিচার করার জন্য বর্তমান সরকার যে ট্রাইবুনাল গঠন করেছে, দেশ বিদেশে আইন, এখতিয়ার ো বিচার কার্য নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বারবার। বিচারপতি নাসিমের স্কাইপি কেলেঙ্কারীর পর দেশ বিদেশে ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়ে উঠে ট্রাইবুনাল। আসামি পক্ষ্যর সাক্ষ্যি গুম করে বিদেশে পাচার করা নিয়ে আর্ন্তজাতিক মানবধিকার সংস্থাগুলো এই ট্রাইবুণাল নিয়ে আবারো প্রশ্ন তোলেন। কিন্তু বিচারের আসনে বসে থাকা ঘার মোটা বিচারপতি ো দাম্ভিক সরকার সেদিকে নজর না দিয়ে তাদেরই চ্যালেন্জ করে বসে।

সরকারের ো ভারতীয় মদদে গড়ে তোলা হয় একটি ফ্যাসিবাদী মঞ্চ। দালাল মিডিয়াগুলো ফলাো করে গুটি কয়েক ধর্মদ্রোহীদের ফ্যাসিবাদী আচরণ ো স্লোগানকে রাষ্টের তরুণ প্রজন্মের স্লোগান ো আচরণ বলে বিশ্ব দরবারে প্রচারে নামে।

অবশেষে জেগে উঠে ধর্মপ্রাণ মানুষের সংগঠন হেফাজতে ইসলাম। রাতের অন্ধকারে ঘুমন্ত মানুষের উপর চালায় ইতিহাসের বর্বরতম গণহত্যা।

সর্বশেষ সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর রায় প্রকাশের দুই-তিন দিন আগেই আইন মন্ত্রনালয় থেকে গোপনে প্রকাশিত হয়ে যায় রায়। জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে প্রশ্ন তোলেন-রায় কারা লিখেছেন? আইন মন্ত্রনালয় রায় লেখার বা সংরক্ষণ করার অধিকার রাখে কিভাবে? উত্তর মেলেনি।

প্রথম দিকে ট্রাইবুনাল নিরব ভুমিকা পালন করলেো পরে আবার নাটকের দৃশ্যপট পরিবর্তন করে জিডি করেছেন ট্রাইবুনাল।

আইন মন্ত্রনালয় জবাবে বলেছেন-আইনমন্তনালয় থেকে রায় ফাস হোয়ার কোন প্রশ্নই উঠে না।

সর্বশেষ আমার প্রশ্ন-এই বিচার ো ট্রাইবুনাল কার স্বার্থে, কাকে মারতে?

বিষয়: বিবিধ

১০৪৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File