গালাগালি দিয়াই ফখরুল ইসলাম সাহেব মিলাদুন্নবীর বয়ান শুরু করলেন!
লিখেছেন লিখেছেন বেআক্কেল ০৪ জানুয়ারি, ২০১৫, ০৩:৫২:৪২ দুপুর
এই পচ্ছদটি খুবই সুন্দর সিলেকশন করিছেন কিন্তু ফখরুল সাহেবের ব্যবহারে কুন সুন্দর নাই। মীলাদুন্নবী (সাঃ) উপলক্ষে কুন পোষ্ট ইষ্টিকি হয় নাই দেখিয়া মনে চরম ব্যথা পাইলাম। পাঠকের সেন্টিমেন্ট বুঝিতে মডারেটর বৃন্দ কম সক্ষম বলিয়া অনুমান হইল।
একজনকে উপদেশ দিতে যাইয়া অন্যজনকে কটুক্তি করা, কটাক্ষ করা কি হেয় প্রতিপন্ন হয় না! তিনি মডুদের সমালোচনা করিতে যাইয়া, নিজামী, সাইদী, জাফরীর জারজ সন্তান পর্যন্ত চলিয়া গেছেন। উপরের মানুষেরা কি দোষ করিছে বুঝলাম না।
তিনি কম্পিউটার ঘাটাঘাটি কইরা জোতিবিজ্ঞানের তথ্য নিয়া প্রমান করিছেন ১২ই রবিউল আউয়াল রাসুলের জন্ম ও মৃত্যুর দিন ছিল। গুরুত্বপূর্ন তথ্য প্রমান, জগতবাসির কামে লাগিবে।
রাসুলের (সাঃ) মৃত্যুর তারিখ লইয়া দ্বিমত নাই, তবে জন্মের তারিখ লইয়া দ্বিমত আছে, তাই কয়েকটি তারিখ বলা হইয়া থাকে। ফখরুলেরা দ্বিমতের তারিখটাকে সঠিক মনে করিয়া রাসুলের মৃত্যুর দিনে আনন্দ উৎযাপন করে। যদি ১২ তারিখ রাসুলের জন্ম নঠিক না হয়, তাইলে তারা পুরা জীবন ভর রাসুলের মৃত্যু দিনে আনন্দ কইরাছে সেই কথা প্রতিষ্ঠিত হইবে।
আমরা তাঁর জন্ম তারিখ লইয়া দ্বিমত করার দরকার আছে মনে করিনা, তারপরও ১২ তারিখ জন্মকে সঠিক মনে করিলাম। তাই বাইলা কি রাস্তায় মিছিল করিব। রাসুলের বিরুদ্ধে লতিফ সিদ্দীকি বাজে মন্তব্য করিলে জজবা কি মুজিব কোটের ভিতর লুকাইয়া রাখিব। নাকি সুন্নীয়তের তাসবীহের মাঝে আটকাইয়া রাখিব।
তিনি বইলাছেন বেদায়াত করিলে ছওয়াব হইবে! তিনি কি রাসুলের সেই কথা শুনেন নাই, বোখারী শরীফে বলা আছে, একটি বেদয়াত চালু হইলে একটি সুন্নত চিরতরে চলিয়া যাইবে। যে সমস্ত বেদায়াতে এবাদতের সমস্যা হয় না, তাই চালু করিলে না হয় একটা কথা ছিল, যেমন ব্যাংক, মাদ্রাসা, মক্তব ইত্যাদি। যে বেদায়াত এবাদতের উপর প্রভাব ফেলে তা না মানাই উত্তম। চট্টগ্রামের চুন্নি হুজুরেরা পুরো রাত বরীউল আউয়ালের জিকির কইরা পেট ভইরা গোশত খাইয়া রাত সাড়ে তিনটাই বিছানায় যায়, যাতে কইরা পরের দিন এগারটার আগে ঘুম না ভাঙ্গে। এই ধরনের সম্মান জানাইবার চাইতে গরু পিটানো বেত দিয়া পুরা দিন বেতানো দরকার বলে মনে করি।
এইটা হইল মহাকবি শেখ সাদী একটি কবিতার চরন। যেইটা লিখা হইছে রাসুলের ইন্তেকালের কয়েশ বছর পরে। আল্লামা ফখরুল সেইটাকে দরুদ হিসাবে চালাইয়া দিলেন। এইটা অবশ্যই একটা ভাল ও উন্নত মানের কলেমা সন্দেহ নাই। লেকিন দরুদ জিনিষটা কি সেইটা তো খোদ রাসুল বইলা গেছেন। তিনি কি অতি ছওয়াবের জন্য এই কাজটি করিলেন।
ফাইনাল কথায় আসি, যেই পোষ্টটি ষ্টিকি হইছে, সেটি সেলিনায় লিখে নাই, লিখেছেন অন্য আরেক ব্লগার। অবশ্যই লেখাটি সেরা হইয়াছে।
মীলাদুন্নবী (সাঃ) নিয়া ষ্টিকি করিবার মত পোষ্ট কি কেউ লিখেছে! মিলাদুন্নবী লইয়া ফখরুল সাহেবের প্রথম পোষ্টটির প্রথম পাঠক তো আমি ছিলাম। তিনি সেই পোষ্টে আগের মত খোচা মারিছেন, যারা মীলাদুন্নবী লইয়া জুলুচ করে তাদের পক্ষে লেখাটির মতলব ছিল বাকিরা সবই ফাসেক ও বাতিল হিসেবে তিনি মনে করেন। এই ধরনের একটি পোষ্টে যত ছবি থাক সেটা তো ষ্টিকি করা যায় না। আমি বে আক্কেল হিসেবেও সেটি মানতাম না। ভাল পোষ্ট যদি না থাকে কিভাবে দিবে।
তারপরেও মডারেটর গন পোষ্ট আহবান করিতে পারিতেন। এটি একটি গুরুত্বপূর্ন দিন, পাঠকেন সেন্টিমেন্ট বুঝাও তো একটি প্রজ্ঞা। রাসুলের জন্মদিন লইয়া কোন পোষ্ট ষ্টিকি না হওয়ায় আমিও চরম ব্যথীত।
বিষয়: বিবিধ
১৮০৬ বার পঠিত, ১৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
يٰأَيُّهَا الَّذينَ ءامَنوا لا يَسخَر قَومٌ مِن قَومٍ عَسىٰ أَن يَكونوا خَيرًا مِنهُم وَلا نِساءٌ مِن نِساءٍ عَسىٰ أَن يَكُنَّ خَيرًا مِنهُنَّ ۖ وَلا تَلمِزوا أَنفُسَكُم وَلا تَنابَزوا بِالأَلقٰبِ ۖ بِئسَ الِاسمُ الفُسوقُ بَعدَ الإيمٰنِ ۚ وَمَن لَم يَتُب فَأُولٰئِكَ هُمُ الظّٰلِمونَ
মুমিনগণ, কেউ যেন অপর কাউকে উপহাস না করে। কেননা, সে উপহাসকারী অপেক্ষা উত্তম হতে পারে এবং কোন নারী অপর নারীকেও যেন উপহাস না করে। কেননা, সে উপহাসকারিণী অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ হতে পারে। তোমরা একে অপরের প্রতি দোষারোপ করো না এবং একে অপরকে মন্দ নামে ডেকো না। কেউ বিশ্বাস স্থাপন করলে তাদের মন্দ নামে ডাকা গোনাহ। যারা এহেন কাজ থেকে তওবা না করে তারাই যালেম। "
আমি এডমিনদের উদ্দেশ্য করে কিছু প্রশ্ন করেছি । সেই প্রশ্নগুলো আমাকে কেহ করলে আমি যেভাবে উত্তর দিতাম তা নিচে উল্লেখ করছি :
১। আপনারা কি মুসলমান ? বা মুসলমানের বাচ্চা ?
উত্তর : আমি মুসলমান । মুসলমানের বাচ্চা ।
২। আপনারা কি মালাউন না মালাউনের বাচ্চা ?
উত্তর : না । আমি মালাউন নই । আমি মালাউনের বাচ্চা নই ।
৩। আপনারা কি ওহাবী কুকুর না ওহাবীদের অবৈধ সন্তান ?
উত্তর : আমি ওহাবী কুকুর নই । আমি ওহাবীদের অবৈধ সন্তান নই ।
কারণ ওহাবীরা ইসলাম ও মুসলিমদের চরম শত্রু । কিন্তু তারা নিজেদের প্রকাশ্য মুসলিম দাবি করে । বর্তমানে তারা কুরআনের অনেক কিছু বদল করেছে । যেমন : সুরা লাহাব ও সুরা সিজদা সহ অনেক সুরার নাম বদলে ফেলেছে । অনেক আয়াত হতে যের যবর বদল করার পাশাপাশি অর্থও বদলে ফেলেছে ।
৪। আপনারা কি ওহাবী মতাদর্শে বিশ্বাসী সৌদি রাজতন্ত্রের দালাল না সৌদি বাদশাহ বা কোন ওহাবীর জারজ সন্তান ?
উত্তর : না । আমি ওহাবী মতাদর্শে বিশ্বাসী সৌদি রাজতন্ত্রের দালাল নই । আমি সৌদি বাদশাহ বা কোন ওহাবীর জারজ সন্তান নই ।
৫ । হাসরের মাঠে কি আপনাদের গোলম আজম-নিজামী-সাইদী-কামালুদ্দীন জাফরী পার করবে ? আপনারা কি তাদের জারজ সন্তান ?
উত্তর : হাসরের মাঠে আমাকে গোলম আজম-নিজামী-সাইদী-কামালুদ্দীন জাফরী পার করবে না । আমার ঈমান ও আমলই আমাকে মিজান ও পুলসিরাত পার করে জান্নাতে নিয়ে যাবে । আর আমার সাথে তো রাসুল সা. শুভ কামনা ও শাফায়াতও থাকবে ইনশাআল্লাহ ।
আমি যাদের এই প্রশ্নগুলো করেছি । তারা এভাবে আমার মতো প্রশ্নের উত্তর দিলেই তো হয় । সুতরাং আমার প্রশ্নগুলো গালি গালাজ নয় । এগুলো ঈমানী প্রশ্ন । এসব প্রশ্নের চর্চা করলে ঈমান দৃঢ় হয় ।
ওয়ামা আলাইনা ইল্লাল বালাগুল মুবীন ।
আমি আমনের নাম লইয়া বিদ্রুপ কইরা মোটেও অন্যায় করি নাই, আল্লাহ নিজেই বইলাছেন, যে যেমন আচরন করিবে তার উত্তরও তেমন দিবে। যদি ক্ষমা করো তাহলে আল্লাহ মহিয়ান। তাই আমি হেডিং পালটাইলাম।
অমিল তো হবে। তাই শিষ্টাচারের মধ্যই থাকা উচিৎ।
আপনার লেখা নিচে দিলাম।
১। আপনারা কি মুসলমান ? বা মুসলমানের বাচ্চা
২। আপনারা কি মালাউন না মালাউনের
৩। আপনারা কি ওহাবী কুকুর না ওহাবীদের অবৈধ সন্তান ?বাচ্চা ?
৪। আপনারা কি ওহাবী মতাদর্শে বিশ্বাসী সৌদি রাজতন্ত্রের দালাল না সৌদি বাদশাহ বা কোন ওহাবীর জারজ সন্তান ?
৫ । হাশরের মাঠে কি আপনাদের গোলম আজম-নিজামী-সাইদী-কামালুদ্দীন জাফরী পার করবে ? আপনারা কি তাদের জারজ সন্তান ?
এগুলো না, লিখলেও পারতেন। ব্যক্তিত্ব ও সুশিক্ষা প্রকাশ পায়, লেখায় ও আচরণে।
ঈদে মিলাদুন্নবী পালন করার গুরুত্ব ও তাৎপর্য এবং বিশ্বব্যাপী ঈদে মিলাদুন্নবী পালন আর টুডে ব্লগের সম্পাদকের মৃত্যু কামনা করে দুয়া করা ওয়াজিব
http://www.bdmonitor.net/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/60105
সবাইকে " ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) " উপলক্ষ্যে শুভেচ্ছা
http://www.bdmonitor.net/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/59979
আমার এসব লেখা পড়লে আপনাদের দুনিয়া ও আখেরাতের কল্যাণ লাভ করতে পারবেন ।
শুইনা খুশী হইবেন আমি আমনের সকল লেখা বহু আগেই পইড়া ফেলাইছি।
আপনার লেখার কিছু অংশের জবাব পড়ে দিবো । ব্যস্ত আছি ।
আর কুল্লু বিদাতিন দালালাহ-সব বিদাতই গুমরাহী বলেও নবীর কথা যারা মানেনা--তারা কেমন মুসলিম, সেটাই ভাবার বিষয়। বিদাতের ভালো বা মন্দ বলে কিছু নেই যেমন নেই- ভালো মদ আর খারাপ মদ।
হাদিসমতে-গালবাজরা মুসলিম নয় স্রেফ মুনাফিক। এদের এড়িয়ে চলাই ভালো যেমন সাপের মাথায় মণি থাকলেও এবং দুর্জন বিদ্বান হলেও পরিত্যাজ্য।
আমি ব্যাক্তিগতভাবে ফখরুল সাহেবের লিখায় যুক্তিবোধ ও ভিন্নতা পোষন এর ধরন দেখে ওনার লিখার লিটারেলি একজন নিয়মিত পাঠক ছিলাম। কিন্তু বছর খানেক পর - আমি ওনার লিখা পড়তে গেলে - কেমন যেন দাম্ভিকতা, অন্যকে হেয় করার প্রবনতা ইত্যাদি বিষয় আমার মধ্যে ওনার লিখা পড়তে গেলেই এ্যালার্জি টাইপ একটা অনুভূতির সৃষ্টি করে - ঠিক যেমন আজকের বয়সে এসে রবীন্দ্রনাথ এর লিটারেচার পড়ার বা শোনার দরকার হলে - এ্যালার্জি টাইপ একটা অনুভূতির সৃষ্টি হয়।
তারপর ও আল্লাহর কাছে প্রার্থনা আমাদের সবার বোঝার শক্তি যেন তিনি বাঁড়িয়ে দেন এবং আমাদেরকে যথার্থ পথের সন্ধান দেন। আমিন।
মন্তব্য করতে লগইন করুন