কাঁটার জঙ্গলে শুইয়া গুরুর শান্তিলাভ!
লিখেছেন লিখেছেন বেআক্কেল ০৫ আগস্ট, ২০১৪, ০১:২৪:০৩ দুপুর
আমাদের ব্লগার কেমানিক ওরফে কানা মানিক ওরফে কালা মানিক সর্বদা গুরুর কথা শুনিয়া পৃথিবীতে শান্তি লাভের জন্য আহবান জানান। তাঁর গুরু বিশ্ব শান্তি ফটর কম নামে একটি শান্তি প্রতিষ্ঠান খুইলা বইসাছেন। সেইখানে সবাইকে শান্তি সন্ধানে যাইতে অনুরোধ করেন। গুরু অনেক বিষয়ে বিশেষজ্ঞ কে কিভাবে শান্তি পাইবে পরামর্শ বাৎলান কেউ শান্তি না পাইলে কেন পাইলেন না তার রাস্তা বাৎলান। এই ছাড়াও রোগ, শোক, তাপ, বেথা, বেদনা, টাক, খাজুলী, একজিমা সহ যাবতীয় কর্মের পরামর্শ দিয়া থাহেন। তার কাছে অনুরোধ করিয়াছিলাম গুরুর একখানা ছবি পাঠাইতে। তার দয়ায় গতকল্য ছবিটি হস্তগত হইয়াছে।
গুরুর ছবি দেখিয়া তাজ্জব হইলাম। মন কাটার জঙ্গলে শুইয়া গুরু তপঃ করিতেছেন। এক ইঞ্চি লম্বা মন কাটার ব্যথার শুলানী কেমন, গুরুজীর চেহারা দেখিয়া বুঝা যাইতেছেনা। কেউ বলে গুরুর চামড়া গরুকে হার মানাইয়া গন্ডারের চামড়া হইয়াছে। কেউ বলেন বোতল খাইয়া এমন পর্যায়ের মাতাল হইয়াছেন, উহ আহ করিবার অনুভুতিও গুরুর নাই। আমনেরাই দেখেন গুরুর হাল হাকিকত।
কেমানিকের গুরুর কিছু উপদেশ বানী সংযু্ক্ত করিলাম:
গুরুজী বলিয়াছেন,
হলদে পায়খানাকে গোটা বানাইয়া উত্তম রূপে শুকাইয়া, ভাজা পেয়াজির মত আকার ধারণ করিলে হলুদ-মরিচের গুরা ছিটাইয়া কেচোর তেলে ভেজে খেলে বহুমুত্র রোগ সারাইয়া যাইবে।
কি কারণে বহুমূত্র রোগ সারিবে, সে বিষয়েও গুরুজী বমি উদ্রেককারী তথ্য দিয়েছেন।
ফ্রেশ গোবরকে ভাল করিয়া মন্তন করিয়া, কাঁচা হলুদের রস সমেত মুখে মাখিলে, মুখের ব্রন, মেছতা চলিয়া যাইবে। মাথায় মাখিলে মেহেদির অভাব দূর হইবে।
কি কারণে মুখের মেছতা যাবে, মেহেদী বর্ণ রং ধারন করিবে, সে বিষয়েও গুরুজী আবোর তাবোল তথ্য দিয়েছেন।
পঁচা কেচো ও তেলাপোকা পাটায় পিষিয়া, বহুদিনের পুরানা বাসি পিত্ত মাখিয়া মাথায় লাগাইলে টাক মাথায় বাল গজাইবে।
কি কারণে টাকা মাথায় বাল গজাইবে, সে বিষয়েও গুরুজী নিজের মাথায় টাক গজানোর কাহিনী জানাইয়া তথ্য দিয়েছেন।
গুরুজীর আরো বহু তথ্য তারই অন্ধ সাগরেদ কানা মানিক সাহা নিচে উল্লেখ করিয়াছেন
বিষয়: বিবিধ
৩০০৬ বার পঠিত, ১৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
সতর্ক করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
এই দেখেন ভুয়া গুরুজী গো মুত্র হাগু পনকারিদের কান্ড কানা মানিক্যারে একটু হাগু খাওয়াইয়েন।
মন্তব্য করতে লগইন করুন