চিত্র জগতের শিবির সভাপতির ভয়ঙ্কর কথা, আমনেরা হুনছেন! তাড়াতাড়ি ঢুইকা পড়েন আর জলদি পইড়া লন

লিখেছেন লিখেছেন বেআক্কেল ১৪ মে, ২০১৪, ০৪:৫২:২৫ বিকাল



এত্তদিন ছাত্র শিবিরের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতিরা যে সব কথা কইত, এখন হেই কথা চিত্র জগত শাখার শিবির সভাপতি কওয়া শুরু করছে! আচ্ছা ওনার কি ক্রস ফায়ার-গুম হবার ভয় নাই! বাউরে বাউ শিবির বুঝি এইবার সেই খানেও হান্দাইয়া গেল...............যাই কুথায়

আঁই বে আক্কেলের কথা না হুইনা, চিত্রজগত শিবির সভাপতির মারাত্মক বক্তব্য শুনুন

দাদাবাড়ির মাঝি নাদের আলী বলেছিলো, “ট্রানজিট দে, দেখিস একদিন তিস্তা দিয়ে দিবো। জঙ্গি হটা, বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে দিবো।” দাদা সব নিয়ে নিয়েছে, দেয়নি কিছুই। আমাদেরও দেখা হয়নি কিছুই। ৪৩ বছর কেটে গেল। বাজার গেছে, আকাশ গেছে, পত্রিকার পাতাগুলো গেছে, চিন্তা গেছে। সিনেমা হলটা বাকি ছিলো, এবার সেটাও যাচ্ছে। যে দেশের মন্ত্রীর একমাত্র এজেন্ডা মনে হয় ভারতের ছবি আমদানি (তাও আবার ভারতের সবচেয়ে অখাদ্য ছবিগুলো), যে দেশের মন্ত্রী মনে করেন যে বাংলাদেশের সিনেমার উন্নতির একমাত্র উপায় ভারতের ছবি আনা এবং আমাদের ডিস্ট্রিবিউশন নেটওয়ার্ক ভারতীয় কোনো সংস্থাকে দেয়া, সে দেশের ভবিষ্যৎ চরম উজ্জ্বল। এই রকম চিন্তাশীল মানুষ যদি দেশ চালান, তাহলে সে দেশের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল না হয়ে পারে না। আশা করি অন্যান্য দেশও (যাদের সিনেমার অবস্থা খারাপ) আমাদের দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে চলচ্চিত্র বিপ্লব সাধন করবে।

বি. দ্র. পাশে বসা ছোটো ভাই বললো দুই দেশের ছবি না বিনিময় হওয়ার কথা। আমি তাকে পুনরায় ‘নাদের আলী’র কবিতা পড়তে বললাম।

খুশী হয়ে ছোট্ট ভাই আমাকে “জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় জঙ্গি দমনের গুরুত্ব” বিষয়ে একটা বক্তৃতার রিপোর্ট ধরিয়ে দিয়ে বললো, ‘দেশ চালাতে এইরকম প্রতিভাই আসলে দরকার!’

আমি বললাম “এইরকম একটা মন্ত্রী তুই ফুসলিয়ে নরেন্দ্র মোদীকে দিয়ে দে, আমরা বেঁচে যাই!”

-সুপ্রভাত! ইহা একটি সম্পূরক স্ট্যাটাস। কারো যদি আমার স্পিরিট বুঝতে সমস্যা হয় তাই বলছি। আমি ভারত-বাংলাদেশ সহযোগিতায় পূর্ণ আস্থাশীল। ভারত-বাংলাদেশ যৌথ প্রযোজনায় ছবি হোক, তাও চাই। রিসোর্স শেয়ার হোক, তাও চাই। আমাদের ছবি ভারতে চলুক, তাদেরটাও এখানে চলুক। কিন্তু তার জন্য যে একটা ফিজিবিলিটি স্টাডি করা দরকার, কর কাঠামো তৈরি করা দরকার, বছরে কতগুলো ছবি আসবে- কতগুলো যাবে এটা ঠিক করা দরকার, আমাদের হলগুলো ভারতীয় ছবি কত পার্সেন্ট স্ক্রিনিং করতে পারবে, ভারত আদৌ আমাদের ছবি চালাতে আন্তরিক কি-না, তাদের দিক থেকে কোনো রকম আইওয়াশ বা শুভংকরের অংক আছে কিনা- এই সব বিষয়ে খোলা মন নিয়ে কাজ করা দরকার।

কিন্তু এসব নিয়ে যখন কোনো উত্তেজনা দেখি না, উত্তেজনা দেখি যে ‘শুধু যেভাবেই পারো ভারতের ছবি ঢুকিয়ে দাও’- এই নিয়ে তখন প্রশ্ন আসে। যখন প্রেসক্রিপশন দেয়া হয় ‘বাংলাদেশের সিনেমার উন্নতির জন্য’ই ভারতের ছবি আনতে হবে তখনই বোঝা হয়ে যায় ‘ডাল মে কেয়া হায়!’

আগেও যেমন বলেছি- কলকাতায় হিন্দি ছবি চালালে ২৫% কর দিতে হয়, বাংলা চালাতে ২% এর মতো। কেন একই দেশে এই বৈষম্য? নিজের বাজার আর সংস্কৃতির পৃষ্ঠপোষকতা করা?

একটা রাজ্য সরকার যা পারে, স্বাধীন দেশের সরকার তার চেয়ে তো বেশিই পারার কথা। আমাদের নীতিমালা আমাদের লাভের দিকে তাকিয়ে করতে হবে, অন্য কারো লাভের দিকে তাকিয়ে না। বিনিময় বা বন্ধুত্ব তখনই জমে যখন দুই তরফে আন্তরিকতা থাকে। কলকাতার পত্রিকার পাতায় আমরা এখনো মহকুমার চেয়েও ছোট, কিন্তু আমাদের পাতায় ওরা সুপার পাওয়ার। আমাদের টিভি ওখানে কৌশলে বন্ধ, আমাদের এখানে ওদের টিভি সানি লিওনের মতো খোলা। আরো একশোটা ইন্ডিকেটর দেখানো যাবে যেটা আসলে বন্ধুত্বের কথা বলে না। বললে ভালো হতো। বোঝা গেছে জিনিসটা?

বিষয়: বিবিধ

১৭০৭ বার পঠিত, ২০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

221450
১৪ মে ২০১৪ বিকাল ০৫:০১
আবু জারীর লিখেছেন : ধন্যবাদ
১৪ মে ২০১৪ বিকাল ০৫:০৪
168940
বেআক্কেল লিখেছেন : শুধু ধন্যবাদ! তাহলে ধন্যযোগ হবে কবে?
221464
১৪ মে ২০১৪ বিকাল ০৫:২৫
নীল জোছনা লিখেছেন : বাংলা চলচ্চিত্র ও নাটককে বিশেষ একটি স্থানে নিয়ে যাওয়াতে এই লোকটার অবদান অস্বীকার কোনো উপায় না। উনি আজকে যে উদ্বেগ প্রকাশ করতেছেন তা টের পাবো আমরা কয়েক যুগ পর। যখন আর কিছুই করার থাকবে না। তাই সব দল ও মতকে এখুনি তার সাথে ঝাপিয়ে পড়া উচিত।
১৪ মে ২০১৪ বিকাল ০৫:২৯
168942
বেআক্কেল লিখেছেন : দেশের মানুষ সব কিছুই দেরীতে বুঝে! ত্রিশ লাখের জগাখিচুরী কাহিনী ৪০ বছরেও বুঝে নাই। হা, হা, হা
221477
১৪ মে ২০১৪ বিকাল ০৫:৩৫
অনেক পথ বাকি লিখেছেন : ভালো লাগলো । ধন্যবাদ ।
১৪ মে ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৫৩
168987
বেআক্কেল লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ
221480
১৪ মে ২০১৪ বিকাল ০৫:৩৭
আমি মুসাফির লিখেছেন : দাদারা নিতে জানে দিতে জানে না আবার আওয়ামীরা মানুষে জিনিস অবাধে দিতে জানে নিজের জিনিস না আর এই আওয়ামীরা উচ্ছিস্ট নিয়ে পোষ্য জানোয়ারের মত কাজ করতে অভ্যস্ত । তাই স্বাভাবতই দেখা যায় এই আওয়ামীদেরকে ভারতীয় দাদারা এমনভাবে বস করেছেন যে তারা যে এদশের নাগরিক কথা বার্তায় কাজে কর্মে তা বুঝা যায় না। মনে হয় যেন এরা সব ভারতের দাদা দাদীদেরই আজ্ঞাবাহী ।
১৪ মে ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৫৩
168988
বেআক্কেল লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ
221481
১৪ মে ২০১৪ বিকাল ০৫:৩৮
চোরাবালি লিখেছেন : আমি বললাম “এইরকম একটা মন্ত্রী তুই ফুসলিয়ে নরেন্দ্র মোদীকে দিয়ে দে, আমরা বেঁচে যাই!”- দারুন-
১৪ মে ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৫৩
168989
বেআক্কেল লিখেছেন : ধন্যবাদ
221499
১৪ মে ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:০৪
আঁধার কালো লিখেছেন : সুন্দর হয়েছে অনেক ধন্যবাদ ।
১৪ মে ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৫৩
168990
বেআক্কেল লিখেছেন : ধন্যবাদ
221515
১৪ মে ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:১৯
রাকিব.ই.সুমন লিখেছেন : দাদারা সব কিছুই নেবে তবু বুবু বলবে এখনো কিছুই হলো না।যা আছে সব নাও।দেখবে স্বাধীনতা দাদার হাতে দিয়ে বলবে দাদারা আমাদের বন্ধু।ওদের হাতেই আমাদের দেশ নিরাপদ....!
১৪ মে ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৫৩
168991
বেআক্কেল লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ
221518
১৪ মে ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:২৫
তহুরা লিখেছেন :
১৪ মে ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৫৩
168992
বেআক্কেল লিখেছেন : ধন্যবাদ
221541
১৪ মে ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৪৪
মোহাম্মদ লোকমান লিখেছেন : ভালো জিনিস শেয়ার করেছেন। +
১৫ মে ২০১৪ দুপুর ০১:৩০
169212
বেআক্কেল লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ
১০
221544
১৪ মে ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৫২
সবুজেরসিড়ি লিখেছেন : “এইরকম একটা মন্ত্রী তুই ফুসলিয়ে নরেন্দ্র মোদীকে দিয়ে দে, আমরা বেঁচে যাই!” - - -জব্বর কথা কইছেন ভাই . . .
১৫ মে ২০১৪ দুপুর ০১:৩১
169213
বেআক্কেল লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File