লাখো বাঙ্গালীর সেরা কণ্ঠের সাথে গ্রীনিজ বুকের সেরা সেরা আবিষ্কার! দেখলে গোস্বা হইবেন কিন্তু না দেখলে পস্তাইবেন
লিখেছেন লিখেছেন বেআক্কেল ২৭ মার্চ, ২০১৪, ০৩:৪৮:৫৭ দুপুর
এই ব্যক্তি গালের চোপায় (কি মজবুত গালের চোপা রে বাবা!) হাঙ্গর ধরার বরশী ঢুকিয়ে ১০ পাউন্ড জিনিষ আল্গা করে গ্রীনিজ বুকে নাম তুলে দুনিয়া বিখ্যাত হইছেন।
জিমাল থিসেলিসভিলী নামক জর্জিয়ার এই নাদান ব্যক্তি নাকের বাতাস দিয়ে গরম পানির বোতল ফাটিয়ে এই রেকর্ড অর্জন করেন। (নাক তো নয় যেন গ্যাস সিলিন্ডার)
এন্থনী ভিক্টর নামে ভারতের এক ব্যক্তি কানের লোম ১৮.১ সেমি লম্বা করে এই রেকর্ড অর্জন করেন। সেলুনের চুল ঝাড়ার ব্রাশ বানানো যাইবে।
৪.২৯ মি লম্বা মোচ রেখে ভারতের রাম সিং চৌহান এই অপূ্র্ব রেকর্ড অর্জন করেন। (স্ত্রীর আত্মহত্যা করিতে সুবিধা হইবে)
বৃহত্তম পরিধির গাল দেখিয়ে ফ্রান্সিসকো ডুমিনো নামের বিরল প্রতিভার এক ব্যক্তি গ্রীনিজ বুকে নাম করেন। (আস্ত একটা তরমুজ লুকাইয়া রাখা যাইব)
এই চাইনিজ মহিলা ১৮মিটার লম্বা একটি তার নাক দিয়ে ঢুকিয়ে মুখ দিয়ে বের করে গ্রীনিজ বুকে নাম তুলে নেন। (একটা আস্তা খাটাশ দেখতে নুডুলস্ এর মত লাগে)
ড্যান শেলডন নামের এই ব্যক্তি মুখের ভিতরে বিষাক্ত বিচ্ছু ঢুকিয়ে রেখে গ্রীনিজ রেকর্ড অর্জন করেন। (রেকর্ড তো একটা লাগবই করার কিছু নাই)
মনোহরন নামে এই ব্যক্তি নাকের দুই ছিদ্রে দুটি সাপ ঢুকিয়ে মুখের ভিতর দিয়ে বের করে গ্রীনিজ বুকে নাম তুলেন। সকল খাটাশ মার্কা প্রানী ভারতেই বেশী।
খ্রীষ্টিনা নামের আমেরিকান মহিলা হাতের নখ ১০ ফিট ২ ইঞ্চি লম্বা রেখে গ্রীনিজ বুকের নাম তুলে বিখ্যাত হন। (আগের জমানায় হুনতাম নখ দিয়ে কলমের নিব হয়, এরগুলা দিয়াতো গিটারের তার হইব)
মিকেল র্যাফিনেল আট ফুট চওড়া বিশালকায় পাছা দেখিয়ে গ্রীনিজ বুকে নাম তুলে সম্মানিত হন। (হেরেই গোল কিপার বানান উচিত আধা পোষ্ট তো হরে পাছার কারণেই বন্ধ থাকব)
দিনেস উপাদায়া নামের এই ব্যক্তি মুখে ৪০০ স্ট্র পাইপ ঢুকিয়ে রেখ গ্রীনিজ বুকে ঢুকে পড়েন। (ছয় ইঞ্চির একটি পিভিসি পাইপ ঢুকাইতে পারলে তো নলকূপ ফেল মারত)
চার্লি নামের এই কুকুর টি সিডনীর রয়েল স্টার শো’ৱ অনুষ্ঠানে বৃহত্তম আওয়াজে ঘেউ ঘেউ করে গ্রীনিজ বুকে নিজের নাম তুলে অমর হইয়া আছেন। (হের কাম তো তাই, জাতির সুনাম রক্ষা করছে)[/u
অ্যনী হাউকিন্স নামের আমেরিকান মহিলা তার ৪৩ ইঞ্চির বিশালকায় স্তন প্রদর্শন করে এই গুরুত্বপূর্ণ রেকর্ড অর্জন করেন। (ছবি খানা দেখাইতে শরম লাগে, তিনি আমার এক বন্ধুর দুর সম্পর্কের খালাত চাচি হয়।)
ইন্ডিয়ান এই ব্যক্তিটি মুখে অনেকগুলো কেঁচো নিয়ে গ্রীনিজ বুকে নাম তুলেন। [u](অতিরিক্ত আইটেম হিসেবে চিরকৃমি থাকলে তো সোনায় সোহাগা হইত)
ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার কণ্ঠ জাতীয় সংগীত।
১৯০৮ সালে রবীঠাকুরের লিখিত বিরহের গান, ১৯৭২ সালের নির্বাচিত জাতীয় সংগীত! ২০১৪ সালের ২৬ মার্চ, কোটি কোটি টাকা খরচ করে লক্ষ বাঙ্গালী কণ্ঠ মিলিয়ে দুনিয়ার সেরা বুক হিসেবে খ্যাত গ্রীনিজ বুকে নাম তুলে আনতে সক্ষম হয়েছেন। হুররে!! হুররে!!! বাঙ্গালী!!!
(রবীন্দ্রনাথ ব্রিটিশ আমলে জন্ম লইয়া ১৯৪২ সালে ব্রিটিশ আমলেই মইরা গেছেন। ভারত পাকিস্থান বাংলাদেশ কিছুই দেখে নাই! নিজের পৈত্রিক জমিদারী হারাইবার ভয়ে ১৯০৮ সালে সোনার বাংলা গান লেখেন। সেই গান আজ গ্রীনিজ উইঠা পড়ছে, তাই আমরা সবাই আনন্দিত, পুলকিত, কাতুকুতু তাড়িত ও তড়িতাহত)
বাঙ্গালীর অপেক্ষমান গ্রীনিজ রেকর্ড:
নোবেল পুরষ্কার আলমারীতে থাকার পরও, অর্থের অভাবে রবীন্দ্রনাথের এপেনডিক্স অপারেশন হাসপাতালে না হইয়া বাড়ীর উঠানে হইয়াছে। সেই ব্যর্থ অপারেশনে তিনি দেহত্যাগ কইরাছেন, এই ঘটনাটি গ্রীনিজ বুকে উঠার জন্য লাইনে আছে। (ছেলেরাও বাপের মত কিপটা আছিল নাকি?)
আগামী মৌসুমের নেকস্ট গ্রীনিজ আইটেম:
বাংলাদেশে বে-আক্কেল আলীর মুরগীটা হাতির আকৃতি ধারন করিয়াছে, তাই বে আক্কেল মিয়ার নাম গ্রীনিজ বুকে ঢুইকা পড়ছে। (আসলেই বে-আক্কেল! গ্রীনিজ বুকে মুরগীর নাম উঠবে বে-আক্কেল মিয়ার না)
বিষয়: বিবিধ
৩৫৮৬ বার পঠিত, ৩৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
তাহার পরের ঘটনা যানে নি?
ভক্তগন রবিন্দ্রনাথের লাশ কাধে লইয়া উঠানে নিয়ে জয়রবিন্দ্রনাথ বলে চিৎকার দিতে থাকে। ভক্তগণ তার গুরুর কিছু জিনিস তাদের সঙ্গে রাখার ইচ্ছায় তার চুল,দাড়ী,মোচ সব কিছু টাইনা তুইলা নিয়া গেছে।
যখন তাকে শসানে নেয়া হইছেলো তখন তার মাথায় চুল দাড়ী গোফ ছিল না। বিকৃত চেহারা ছাড়া।
হায়রে বেরশিক ভক্ত।
(তথ্য সুত্র: এ এক অন্য ইতিহাস ২য় খন্ড রবিন্দ্রনাথের শেষের দিকে)
আরোও বিস্তারিত এই হানে পাইবেন বইডা সহ
আমনে আমার ব্লগে চিরদিন আমন্ত্রিত, নিমন্ত্রত অথিতি হিসেবে আইসবেন। আপনারে ধন্যবাদ।
স্বাধীন বাংলাদেশে যেই ভাবে জঙ্গিবাদী--আওয়ামীলীগ ধর্ষণের সেঞ্চুরি করেছে, তাতো পৃথিবীর আর কথাও হয় নাই,
এই ধর্ষক দল তোঁ গ্রীনিজ বুকের সেরা ধর্ষক দল,
----- যা মুজিব ভাই বানাইছে,
গ্রীনিজ বুকের সেরাদের পোস্টে এই খবর না দিলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা হিবে কেমনে ??????
????????????????
বস রাগ না করলে আপনাকে ১ টা প্রশ্ন করতে চাই ,
??????
আপ্নের মোরগের নতুন রেকর্ডের অপেক্ষায় আছি।
ধন্যবাদ
পিলাচ
অনেক কিছু জানলাম
এটাই সবচাইতে মজাদার।
ধইন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোষ্ট এর জন্য।
আরো কয়েকটা বিশ্ব রেকর্ড আমাদের জন্য ওয়েট করছে। যেমন সবচেয়ে বেশি ডক্টরেট। বিশ্বের শ্রেষ্ঠ আইটি এক্সপার্ট। সবচেয়ে বড় অটিস্টিক বিশেষজ্ঞ। ইত্যাদি। তবে আমি একটা বিশাল বিশ্ব রেকর্ড করেছি আজকে। চা তে কোকাকোলা মিশিয়ে খেয়েছি।
"সকল খাটাশ মার্কা প্রানী ভারতেই বেশী।"
মন্তব্য করতে লগইন করুন