আন্নেরা আজব খবর হুনছেন নি? প্রধানমন্ত্রীর ঐতিহ্যের ঠেলায় বাঙ্গালেরা এখন কাদা-পানিতে লুটোপুটি খাইতেছে
লিখেছেন লিখেছেন বেআক্কেল ০৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ১২:৪৩:৩১ দুপুর
ডিজিটাল সরকারের নতুন ডিজিটাল পাসপোর্টে দেশের ঐতিহ্য, কৃষ্টি, কালচার, সাহিত্য, গৌরব, মর্যাদা, ইজ্জত, আব্রু, স্বাধীনতার লক্ষ্য, মুক্তিযুদ্ধের সম্মান, ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র ও দেশের কীর্তি রক্ষা কিরতে যাইয়া পুরো পাসপোর্টের জলছাপ মৃর্তি দিয়া ভরিয়া দিয়েছে! হা, হা, হা,
বৈশাখী মেলার খেলনার ঘটি বাটিতে চুন দিয়া আঁকা এসব ছবি কবে থেইকা আমাদের জাতির ঐতিহ্যের প্রতিক হইয়া হয়ে বুঝতে পারিলাম না। জানিনতে পারিলাম তখনি, যখনি ভিন জাতির লাথি, গলা ধাক্ষা, পেঁদানী, পেচানী খাইয়া ৪৫ দিনের উপোষ থাকিয়া যখন নোংরা বসনে বিমান বন্দরে পৌছিলাম!
খবরে জানা যায়,
মুর্তি যুক্ত ছবির এসব পাসপোর্ট যখন সৌদি ইমিগ্রেশনে যাচ্ছে, তখনই তারা ভিসা লাগাবে দূরের কথা, পাসপোর্ট সহ ব্যক্তিকে বের করে দিচ্ছে। তাদের সাফ কথা, এসব ছবিযুক্ত পাসপোর্টে ভিসা লাগাবে পরের কথা তারা দেখতেও ইচ্ছুক নয়। সৌদিদের এসব কর্মকাণ্ড অন্যান্য আরব দেশ গুলোতে কৌতুহল সৃষ্টি করবে, তখন তারাও এটা অনুসরন করবে। যেমনি অতীতে করেছে।
এই সমস্যার কথা দুতাবাস থেকে আমাদের দেশের প্রধানকে জানানো হইলে তিনি তার অতীতের স্বভাবসূলভ ভাবে বলিয়া দিয়াছেন, ভিসা না লাগাইলে না লাগাগ! আমরা তো আর ভিখারীর জাতি নই! আমরা ভিক্ষা করিতে যাই নাই, কামলা হিসেবে সেখানে কাজ করিতে গিয়াছি!
বাঙালী জাতির অতীত গৌরবের কথা স্বরণ করাইয়া তিনি দুতাবাসের কর্মকর্তাকে জানাইয়া দিয়াছেন, পাসপোর্টে জাতীয় ঐতিহ্যের ছবির কারণে যাহাদের ভিসা লাগানো হয় নাই, জাতির গৌরব, মহিমা ভুলুন্ঠিত করিয়া সেখানে থাকিবার দরকার নাই। তাহারা দেশে চলিয়া আসিতে পারে এবং জাতীয় মার্যাদা ধরিয়া রাখিবার জন্য প্রয়োজনে দেশে আসিয়া 'রিসকা' চালাইতে পারে। তবুও এই ব্যাপারে আমরা কুন কমপ্রমাইজ করিব না।
আগের ট্রাক মন্ত্রী শাজাহান খান, জাতির তরুণদের এই সমস্যা লাঘবে লাখ লাখ রিসকা তৈরী প্রয়োজনীয়তার কথা মাথায় রাখিয়া প্রতিটি শহরে রিসকা কারখানা বানাইতে যাইতেছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার মাধ্যমে এই সমস্যা মোকাবেলায় সাংস্কৃতি মন্ত্রী বাকের ভাই নতুন জাগরণ সৃষ্টির চেষ্টা করিতেছে।
ওদিকে সৌদি প্রবাসীরা অপ্রত্যাশিত বিপদে পড়িয়া মুখে যত প্রকার বিশ্রী ও অশ্রাব্য আপ্ত বাক্য আছে, তাহা নিজেদের খেয়াল খুশিমত জপিতেছে। এমনিতেই সৌদিরা বাংলাদেশীদের উপর নাখোশ। একদিকে সৌদি আরবের ভিসা বন্ধ, আরেক দিকে আকামা বন্ধ ছিল, এটা ছিল সৌদি আরবের নিজেজের সমস্যা। বর্তমানে পাসপোর্টে ভুত, প্রেত, প্রেত্নীর ছবি দেখে বলেই দিচ্ছে এসব কাণ্ডজ্ঞানহীন পাসপোর্ট গ্রহণ যোগ্য নয়। পরিবর্তন করিয়া আন।
ফলে সৌদি আরবের প্রবাসীরা মইনকার চিপায় আটকা পড়েছে। তারা আরবীদের বুঝাতে পারছেনা এই পাসপোর্ট কুনদিন পরিবর্তন করা যাইবে না। পাসপোর্ট পরিবর্তনের আগে আমাদের প্রধানমন্ত্রীর গোয়ার্তুমির পরিবর্তন হইতে হইবে, তাহা না হইলে প্রধানমন্ত্রীর পরিবর্তন হইতে হইবে, তাহা না হইলে সরকারের পরিবর্তন হইতেই হইবে, তবেই পাসপোর্ট পরিবর্তন হইবে। নতুবা কুনদিন পাসপোর্ট হইতে ভুত-প্রেতের ছবি উঠানো যাইবে না।
এই পরিস্থিতিতে যা আচ করা যায়:
সরকারের ভাষায়:
যারা বিদেশ আছ, তোমাদের কে আমরা বিদেশে পাঠাইনি, তোমাদেরকে বিদেশে যাইতে বলিনি। রাষ্ট্রিয় সহযোগীতায় একমাত্র জাতি সংঘে সেনা পাঠানো হয়, আর কোথাও সরকার এই দায়িত্ব পালন করেনা। তোমরা নিজের গরজে নিজের দায়িত্বে বিদেশে গেছ, তোমারা যাহা আয় কর তাহা তোমারদের পিতা-মাতা খায় জাতির পিতা, মাতা, বোন-বেরাদর খায়না। সুতরাং তুমাদের সমস্যা তোমারা যেভাবে পার সেভাব মিটাও, না পারলে দেশে এসে রিসকা চালাও।
জাতীয় চেতনার ভাষায়:
আমরা মুক্তযুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করিয়াছি।
ত্রিশ লক্ষ মরিয়াছি তবুও পরাজিত হই নাই।
তিন লক্ষ নারী তাদের যৌন বিসর্জন দিয়াছেন।
দুই লাখ শত্রু আসামীকে জামাই আদরে ফেরত পাঠাইয়াছি।
নিজের দেশের লাখ লাখ মেরে নিজেরাই জনসংখ্যা কমাচ্ছি।
সুতরাং আমরা সেই জাতি, আমরা ভাঙ্গীয়া যাইব কিন্তু কোনদিন মচকাইব না। প্রয়োজনে ভিক্ষা করিব, তবুও কোন শালার দুয়ারে যাইব না।
প্রবাসী ভাষায়:
ছাড়া কিছুই বাকি নাই।
বিষয়: বিবিধ
১৮২৬ বার পঠিত, ২৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
অবশ্য প্রথমটা খুব ভাল ছিল, কোন অহেতুক ছবি ছিলনা, এখানে অহেতুক দেশ প্রেম দেখাতে গিয়ে দেশের মানুষদের বিপদে ফেলার একটা মূর্খমী ছাড়া আর কিছু নয়,
বাঘে ধরলে বাঘে ছাড়ে,
তিনি ধরলে কাম না সারাইয়া ছাড়েনা............
পাসপোর্ট হলো আইডেিন্িটি। বানাতে গেল সংস্কৃতি। আর তাতে গেল মানুষের ভাত।
Click this link
মন্তব্য করতে লগইন করুন