বিদ্যা ও জ্ঞান দেবী স্বরস্বতির হিন্দু ধর্মে পৃথিবী সৃষ্টির ইতিহাস
লিখেছেন লিখেছেন বেআক্কেল ০৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ১১:৩৮:৩৬ সকাল
সংস্কৃতি ভাষায় মহা বিশ্নের নাম বিশ্ব- ব্রহ্মান্ড। বাংলা ভাষাও বিশ্ব- ব্রহ্মান্ড বলা হয়। অন্ড বা আন্ডা মানে ডিম। হিন্দিতে ডিমকে আন্ডাই বলা হয়। আবার পুরুষের বিশেষ দুটো কোষকে অন্ডকোষ বলে। আপনারা কেউ কি জানের ব্রহ্মান্ড শব্দের উৎপত্তির সাথে মহাবিশ্ব সৃষ্টির ইতিহাস জড়িত?
ব্রহ্ম হল ভগবানের অপর নাম। একদা ব্রহ্ম কৌতুহলে একটি প্রতিকৃতি সৃষ্টি করেন। ব্রহ্মের বানানো প্রতিকৃতি টা এক সময় ব্রহ্মের কাছে পছন্দ হয়ে যায়, ফলে ব্রহ্ম সেটার ভিতরে প্রাণের সঞ্চার করেন। প্রাণ পেয়ে প্রতিকৃতিটি একটি মহিলার রূপ ধারন করেন। মূলত ব্রহ্ম নিজের অজান্তে একটি মহিলাই বানিয়েছেন। ব্রহ্ম তখন এই মহিলার প্রেমে আসক্ত হয়ে পড়েন। ব্রহ্ম অবশেষে তার নিজের সৃষ্ট মহিলাকে জোড় করে গর্ভবতী করে। ব্রহ্ম তথা ভগবান দ্বারা গর্ভবতী হয়েছে বলে সৃষ্ট মহিলার নাম হয় ভগবতি!
যাই হোক ভগবতি গর্ভবতী হল কিন্তু ছয় হাজার বছর পরেও প্রসব হবার কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছেনা। ব্রহ্ম তথা ভগবান রাগ করে মর্ত ছেড়ে স্বর্গে চলে যান। আরো ছয় হাজার বছর পরে হঠাৎ করে ভগবতী প্রসব বেদনা শুরু হয়। ব্রহ্ম তথা ভগবানের দেহে শিহরণ সৃষ্টি হয়, তিনি পুনরায় মর্তে ফিরে আসেন কিন্তু ভগবতীর প্রসবের কোন কুল কিনারা নাই, শুধু বেদনাই অনুভুত হচ্ছে। ভগবান স্বর্গে ফিরে গেলেন। আরো ছয় হাজার বছর পড়ে খবর আসল ভগবতি প্রসব করেছেন। ভগবান খুশিতে টগবগ হয়ে মর্তে ফিরে আসেন, ভগবতির প্রসবকৃত সৃষ্ট দেখার জন্য ভগবানের তাড়া সইছিল না। তিনি ভগবতির কাছে আসলেন এবং তাজ্জব হয়ে দেখলেন ভগবতী একটি বিশাল আকৃতির আণ্ডা প্রসব করেছেন! আটার হাজার বছর অপেক্ষার পর ভগবতি একটি বিশালকায় আন্ডা প্রসব করেছেন এটা দেখে ব্রহ্ম তথা ভগবানের মেজাজ গেল তিরিক্ষী হয়ে।
ভগবতি আন্ডা প্রসব করলেও মূলত আন্ডার অধিকারী ব্রহ্মই ছিল। তাই প্রচন্ড গোস্বায় ব্রহ্ম আন্ডাটি হাতে তুলে নিয়ে ফুটবলের মত করে বিশাল একটি লাথি মারেন। ব্রহ্মের প্রচন্ড লাথিতে আন্ডা চৌচির হয়ে পড়ল।
আন্ডার যে অংশ উপরে উঠে গেল তা দিয়ে আকাশ সৃষ্টি হয়েছে।
আর যা নীচে পড়ে গেল তা দিয়ে জমিন সৃষ্টি হয়েছে।
যেহেতু ব্রহ্মের লাথির আঘাতে ব্রহ্মের আন্ডা থেকেই মহাবিশ্ব সৃষ্টি, সেহেতু মহা বিশ্বের অপর নাম ব্রহ্মাণ্ড।
বিষয়: বিবিধ
৪৯৭৭ বার পঠিত, ৪১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ব্রম্মান্ড্য মানে-ব্রম্মা দেবীর ডিম। হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী শিবের সাথে অবৈধ মিলনের ফলে ব্রম্মা গর্ভবতী হয়ে পড়ে। তখন এ জগত ছিল মহাসমুদ্র। ব্রম্মা তার গর্ভ প্রসবের সময় মহা সমুদ্রের মাঝখানে একটা বিশাল আন্ডা প্রসব করে।
ব্রম্মার সেই আন্ডার নামই ব্রম্মান্ড্য যাকে পৃথিবী বলা হয়। হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী পৃথিবী হলো সেই ব্রম্মান্ড।
আধুনিক জ্ঞান বিজ্ঞানে শিক্ষিত হিন্দু পন্ডিতরা এই বিশ্বাস এখন করেন কি-না জানা যায় না। তবে কিছু মুসলমান না বুঝেই পৃথিবীকে ব্রম্মান্ড্য বলে থাকেন।
বুঝলাম না???
বাপরে কতো না কস্ট হইছে।
বেআক্কেলি শিখতাছি আফনের তইন।
কিযে বলেন, এটার চেয়েও বড় নাকি?
তো আপনার সেই আমার প্রিয় ভাষাটি কৈ ??
আহারে কিবা গাছের গুণ,
একই গাছে পান-সুপারী,
একই গাছে চুন.........
তেনারে যেভাবে ইচ্ছা হেই ভাবে ব্যাকরণ করা যাইব। বাঙ্গাল জাতির বিরাট আর্শিবাদ, শেখ মুজিবের বিষাক্ত বীর্যের ফল, আমামীলীগের অহংকার।
ছোটবেলায় দাদার কাছে শুনতাম শাস্ত্র সৃষ্টি কাছরা (মানে ময়লা আবর্জনা, অশ্লীলতা) হতে। হিন্দুরা এসব নোংরামিতে বিশ্বাস করে।
আহারে কিবা গাছের গুণ,
একই গাছে পান-সুপারী,
একই গাছে চুন.........
.........ধন্যবাদ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন