ভাড়া করা লোক দিয়ে হরাতল বিরোধী মানববন্ধন করতে এসে গণধোলাইয়ের শিকার বাম ফ্রন্টের চেয়ারম্যান
লিখেছেন লিখেছেন আম পাবলিক ৩০ অক্টোবর, ২০১৪, ০৮:২১:৫৪ রাত
ভাড়া করা লোক দিয়ে হরতাল বিরোধী মানববন্ধন করতে এসে গণধোলাইয়ের শিকার হয়েছেন বাম ফ্রন্টের চেয়ারম্যান লায়ন ডাঃ এম এ সামাদ।
বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বেলা সাড়ে ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। বাংলাদেশ বাম ফ্রন্টের চেয়ারম্যান লায়ন ডাঃ এম এ সামাদকে গণধোলাই দেয় ভাড়া করা মানববন্ধনের কর্মীরা। পরে পুলিশ ও সাংবাদিকরা তাকে উদ্ধার করে।
হরাতল প্রত্যাহার ও যুদ্ধাপরাধীদের দ্রুত বিচারের রায় কার্যকর করার দাবিতে দুপুর ২টায় শুরু হয় মানববন্ধন।
মানববন্ধনের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ আছে, উপস্থিত থাকবেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শামসুল হক টুকু, বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী রাসেদ খান মেনন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ, আওয়ামী লীগ নেতা বলরাম পোদ্দার, ন্যাপ ভাসানির চেয়ারম্যান মোস্তাক আহম্মেদ ভাসানী, মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের সাধারণ সম্পাদক রোকন উদ্দিন পাঠান, স্বেচ্ছাসেবক পার্টির সভাপতি জাহাঙ্গীর প্রধান। তবে উল্লেখিত নামের কাউকেই মানববন্ধনে দেখা যায়নি।
বেলা সোয়া ৩টার দিকে শেষ হলে মানববন্ধনের কর্মীরা বাংলাদেশ বাম ফ্রন্টের চেয়ারম্যান লায়ন ডাঃ এম এ সামাদের কাছে টাকা চাইলে, তিনি একটু পর দিবে বলে সময় চান।
পরবর্তীতে মানববন্ধনকর্মীরা প্রায় আধা ঘণ্টা অপেক্ষার পর ক্ষিপ্ত হয়ে প্রেসক্লাবের সামনে রাস্তার উপর তাকে মারতে শুরু করে।
তবে মানববন্ধন শেষে টাকার জন্য যখন তাকে মারপিট করা হয় তখন সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, যারা উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তারা কেউ রাজনৈতিক নেতাকর্মী নন। তারা সবাই কাঁচা মালের ব্যবসায়ী।
উপস্থিত মানববন্ধনকর্মী মোঃ মামুন বলেন, ‘এই লোক প্রাই সময় এ রকম মানববন্ধন করেন। তখন তিনি আমাদের ডাকেন। আমরা উপস্থিত থাকি ৭০ থেকে ৮০ টাকা পাবার জন্য। কিন্তু তিনি সেই টাকাও আমাদের দিতে চান না। আজকে টাকা না দেয়ার হুমকি দিলে আমারা তাকে মারি।’
তবে বাংলাদেশ বাম ফ্রন্টের চেয়ারম্যান লায়ন ডাঃ এম এ সামাদ বলেন, ‘আমি তো সবাইকেই টাকা দিব। কিন্তু আমার কাছে টাকা ছিল না। তাই বিকাশের মাধ্যমে টাকা আনতে একটু দেরি হচ্ছিল।’
উপস্থিত পুলিশ ও সাংবাদিকরা বাম ফ্রন্টের চেয়ারম্যান লায়ন ডাঃ এম এ সামাদকে উদ্ধার করে। পরবর্তীতে প্রেসক্লাবে দায়িত্বে থাকা ডিউটি পুলিশ অফিসার মোঃ মতিন ডাঃ এম এ সামাদসহ দুই জনকে শাহাবাগ থানায় পাঠিয়ে দিয়েছেন।
মানববন্ধনে উপস্থিত মোট ২২ জনের মধ্যে মামুন, সাগর, নুরুল হক, রাজ্জাক, মাস্টার, জব্বার, রাজু, জনি প্রমুখ সবাই কাঁচামাল ব্যবসায়ী।
বিষয়: রাজনীতি
১১৯১ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
যদিও তার নেতারা কোটিপতি।
মন্তব্য করতে লগইন করুন