চিকিৎসায় নোবেল: যুগান্তকারী কিছু আবিষ্কার
লিখেছেন লিখেছেন আম পাবলিক ০৫ অক্টোবর, ২০১৩, ০১:৫৪:২০ দুপুর
১৯০২: ম্যালেরিয়া
ভারতে জন্মগ্রহণকারী ব্রিটিশ গবেষক রোনাল্ড রস প্রথম বের করেছিলেন ম্যালেরিয়ার কারণ অ্যানোফিলিশ মশা৷ এই আবিষ্কারের কারণেই পরবর্তীতে ম্যালেরিয়ার ওষুধ বের করা সম্ভব হয়েছিল৷ তারপরও অবশ্য প্রতি বছর প্রায় ৩০০ মিলিয়ন মানুষ ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়, যার মধ্যে প্রায় তিন মিলিয়ন মারা যায়৷ ম্যালেরিয়া নিয়ে কাজের কারণে রোনাল্ড রস ১৯০২ সালে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন৷
১৯০৫: যক্ষা
যক্ষা নিয়ে গবেষণা করে ১৯০৫ সালে নোবেল জেতেন জার্মান বিজ্ঞানী রবার্ট কখ৷ সংক্রামক এই রোগটি এখনো বিশ্বে ভয়ংকর রূপ নিয়ে রয়েছে৷ যদিও এখন তার টিকা পাওয়া যাচ্ছে, যেটা অবশ্য শিশুদের জন্য কার্যকরী, বড়দের নয়৷
১৯১২: অঙ্গ প্রতিস্থাপন
অর্গান ট্রান্সপ্ল্যান্ট বলুন, কিংবা ওপেন হার্ট সার্জারি – ফ্রান্সের বিজ্ঞানী অ্যালেক্সিস ক্যারেল না থাকলে সেটা কে সম্ভব করতেন কে জানে৷ শরীরের কোনো অঙ্গ শরীর থেকে বের করে বাইরে রাখার উপায় তিনিই প্রথম বের করেছিলেন৷ তাই ১৯১২ সালে তিনি যে নোবেল পাবেন তাতে আর অবাক হওয়ার কি আছে!
১৯২৪: ইসিজি
ইলেক্ট্রোকার্ডিওগ্রাম বা ইসিজির সঙ্গে আজকাল সবাই পরিচিতি৷ হৃদরোগের চিকিৎসায় অপরিহার্য এই প্রযুক্তিটি হাসপাতাল পর্যায়ে নিয়ে আসার পেছনের লোকটি হলেন ১৯২৪ সালে নোবেল পাওয়া নেদারল্যান্ডসের ভিলেম আইন্টহোভেন৷
১৯৩০: রক্তের গ্রুপ
রক্তের যে বিভিন্ন গ্রুপ রয়েছে সেটা প্রথম বের করেছিলেন অস্ট্রিয়ান কার্ল লান্ডস্টাইনার৷ তিনি এ, বি, সি (এখন যেটাকে আমরা বলি ও) গ্রুপের কথা জানিয়েছিলেন৷ পরবর্তীতে তাঁর সহকর্মীরা এবি গ্রুপ আবিষ্কার করেন৷ ১৯৩০ সালে নোবেল পেয়েছিলেন লান্ডস্টাইনার৷
১৯৩৯, ১৯৪৫, ১৯৫২: অ্যান্টিবায়োটিক
এই তিন বছরে চিকিৎসাবিদ্যার নোবেলটি যায় অ্যান্টিবায়োটির আবিষ্কারকদের দখলে৷ এর মধ্যে ১৯৪৫ সালে পেনিসিলিনের জন্য নোবেল পান আলেকজান্ডার ফ্লেমিং৷
১৯৭৯ ও ২০০৩: সিটি স্ক্যান, এমআরআই
সিটি স্ক্যানের জন্য ১৯৭৯ সালে ব্রিটিশ বিজ্ঞানী গডফ্রে হুনসফিল্ড এবং এমআরআই প্রযুক্তির উন্নয়নের কারণে মার্কিন দুই বিজ্ঞানী পল লটারবুর ও পিটার ম্যানসফিল্ড ২০০৩ সালে নোবেল পেয়েছেন৷
২০০৮: গর্ভাশয়ের ক্যানসার
জার্মান বিজ্ঞানী হারাল্ড সুয়র হাউজেন বলেছেন হিউম্যান প্যাপিলোমাভাইরাস (এইচপিভি)-এর কারণে সার্ভিক্যাল ক্যানসার হতে পারে৷ এর উপর ভিত্তি করে টিকাও আবিষ্কৃত হয়েছে৷ ২০০৮ সালে হাইজেন নোবেল পান৷
Click this link
বিষয়: বিবিধ
১৬৯৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন