গুলি করছিলই তো প্রায়। সাক্ষাত মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে আসলাম। (সকালে বগুড়া)
লিখেছেন লিখেছেন বিতর্কিত মুফরাদ ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৩, ১০:৪৪:৪৮ রাত
RAB এর চায়না গুলি সম্পর্কে আমার
ধারনা ছিল আগে থেকেই ।
২৮শে ফেব্রুয়ারী । RAB এর
ছোড়া চায়না গুলি সাতার
কেটে কেটে এসে মামুন ভাইয়ের
বুকটা ঝাঝড়া করে দিলে,
কলজেটা ফেড়ে পিঠ দিয়ে বের হয়ে গেল,
কারও হাটুতে লেগে হাড়সব বিচূর্ণ
হয়ে গেল ,কারও পাজরে লাগলো , শহর
সভাপতির উরুর মাংস ছিড়ে নিয়ে গেল
RABএর চায়না গুলি ।
সেই চায়না গুলি আজকে তাক
করা হয়েছিল আমার উপর ।
থানা শাখার এরকম একটা নিউজ
সংগ্রহের দায়িত্বে থাকতে হয়,
নির্ভরযোগ্য তথ্য নেটে দিতে হয় ,
পুলিশের কাছাকাছি থাকতে হয় ।
গলিতে ছিলাম RAB BGBর
কাছাকাছি । সামনের ২ জনকে পুলিশ
গ্রেফতার করলো ।
হঠাত করে RABএর একটা গাড়ি বাঁক
নিয়ে বন্দুক তাক করলো গলির মুখে ।
পাকিস্থানীর মিলিটারীর মত চেহারা ,
মুখ কুঁচকে বন্দুক তাক করলো আমার
দিকে ।
হ্যালমেটের ফাক
দিয়ে দেখা যাচ্ছে ঘৃণাভরা দুটি চোখ ।
মনে হচ্ছে যেন আমি ওর বাপ-
মা মারা খুনি ।
বন্দুকের নলটা ঠিক কপাল
কি গলা বরাবর ধরে রেখেছে ।
RABএর চায়না গুলির কথা মনে পড়ল ।
কিভাবে চামড়া ফেটে ঢুকে হৃদপিন্ড
ব্রাস্ট করে দেয় ।
এবার নলটা নেমে আসল বুক বরাবর ।
আমার মুখটা হা হয়ে গেল প্রাণবায়ু বের
করে দেওয়ার জন্য ।
পাশের থেকে এক RAB বলল
'গুলি কর !'
বুঝলাম গুলি করবেনা ,
ইচ্ছা থাকলে এতক্ষন মেরে দিতো ।
এবার সম্বিত ফিরে পেয়ে হালকা দৌড়
দিলাম । কিছু দুর এসে সামনে ভাইদের
দেখতে পেয়ে দৌড়
থেমে হেঁটে হেঁটে আসলাম ।
চোখ দুটি ছল ছল করে উঠল । সাক্ষাত
মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে আসার
অনুভুতি ।
পরক্ষনেই চোয়াল দুটি শক্ত হয়ে গেল ।
গুলির ভয় দেখিয়ে দৌড়াতে বাধ্য করার
যে কতটা অপমানজনক !
বিষয়: বিবিধ
১১৭৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন