মিসেস এরদোগানের সফর এবং রিটন মিয়াদের গাত্র দাহ! ছড়াকার লুৎফর রহমান রিটনের ছড়ার প্রতিবাদে ছড়া
লিখেছেন লিখেছেন তিমির মুস্তাফা ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১০:০৬:২৫ সকাল
ছড়াকার লুৎফর রহমান রিটন ! প্রতিভাবান ছড়াকার! দেশের মানুষ এক বাক্যে চেনে! আমরাও তাকে তার প্রতিভার জন্য সম্মান করতাম! কিন্তু আজ মানবতাবাদ- মানবতাবোধ এর বিপরীতে সে যা করেছে - তা বিশ্ববিবেকের সামনে আমাদের মাথা হেট করে দিয়েছে! সেই শ্রদ্ধার যোগ্য নয় সে !
কোন দেশের বিজ্ঞ বা জ্ঞানী মানুষ – বলতে শিক্ষক বিজ্ঞান কবি সাহিত্যিক লেখকদেরও বুঝাত! এক কালে তাদেরকে বলা হত জাতির বিবেক! আজকাল আর তা নয় । বাংলাদেশের সে বিবেকও পচে গেছে! এখন লেখক কবি সাহিত্যিক ছড়াকার- সব চামচাদের জয় জয়কার! শুদ্ধ কবিরা না খেয়ে শুকিয়ে মরে গেছে! পেটমোটা হয়েছে লুৎফর রহমান রিটনদের! কাজেই বাবু একটু বলতেই রিটনের মত পারিষদগণ কোরাস গেয়ে উঠেন! নাহলে মোটা পেট এর কি হবে !
ক্যানাডা অনেক উদ্বাস্তু বা রিফিউজিকে আশ্রয় দিয়ে তাদের জান বাঁচিয়েছে! তথাকথিত রিটন মিয়া তাদেরই একজন! অনেকেই বোধ হয় জানে না সে কাহানী! ক্ষমতাবানদের মালিশ করে ছড়াকার রিটনও এক সময় রাজনৈতিক নিয়োগ পায়! এবং দলের পট পরিবর্তন ঘটলে কানাডায় রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করে - রিফিউজি হিসেবে -; দেশে ফিরলে মৃত্যু- জেল জুলুমের ভয় –ইত্যাদি কাহিনী দিয়ে অনেকেই এ কাজটি করে – সেও করেছে! সত্য মিথ্যা সেই জানে! নিজে পলিটিক্যাল রিফিউজি হয়েও আরেক জাতের পলিটিক্যাল রিফিউজি রোহিঙ্গাদের কটাক্ষ করে এ সপ্তাহে তার লেখা একটি ছড়ার তীব্র প্রতিবাদ জানাই আমরা!
নেহায়েত মানবতার কারনে রোহিঙ্গাদের দেখাতে আসা তুর্কী প্রধানমন্ত্রী এরদোগানের স্ত্রী বাংলাদেশে এসেছিলেন । অর্ধ শতাধিক মুসলিম দেশ- আর কেউ সাহস করেও এদের দেখতে আসে নি, তিনি এসেছিলেন- এরজন্য আমাদের কৃতজ্ঞতা জানানোর কথা! তার আগমনের এ ঘটনা, বিশ্বব্যাপী সংবাদ মাধ্যমে যে কাভারেজ পেয়েছে তা রহিঙ্গাদে জন্য খুব জরুরী ছিল ! এমন ঘটনাকে সাধুবাদ না দিয়ে সেই অতীতের রিফিউজি রিটন ব্যাঙ্গাত্মক ছড়া লিখেছে – যাদের চামচ হিসেবে সে রুটি রুজি করে খাচ্ছে তাদেরকে খুশী করতে! হাতে কলম থাকলেই যে যা খুশি তা লেখা যায় না- লেখকদের যে সামাজিক দায় রয়েছে- এই ছড়াকার রিটন মিয়া তা ভুলে গেছে!
ছড়া লেখা এমন জটিল কোন বিষয় নয়! আম আদমিরাও যে চাইলে অমন দু চার খানা ছড়া লিখে ফেলতে পারে-সেটাও সত্যি! রিটনের লেখার প্রতিবাদে আমাদের এক আম আদমি লিখে ফেললেন এই ছড়া ! কেমন হয়েছে মত প্রকাশ করতে ভুলবেন না! ভাল লাগলে শেয়ার করবেন- অবশ্যই!
ছড়াকার লুৎফর রহমান রিটনের ছড়ার প্রতিবাদেঃ
এরদোগানের বৌরে নিয়া
পদ্য লেখে রিটন মিয়া
আমরা থাকি চুপ;
রোহিঙ্গারা মরছে মরুক,
বসত ভিটা পুড়ছে পুড়ুক
বাড়ছে মরণ কূপ!
চামচাগিরীর রূপরেখা
রিটন মিয়ার হস্তে লেখা
আমরা সবই বুঝি;
বুকে জ্বালা মনেও জ্বালা
হাত বাঁধা আর মুখে তালা
সাবাস রুটি রুজি !
এরদোগানের বৌ এসেছে
মানবতার টানে,
তাকেও দেখিস বাঁকা চোখে
দল আর মালের শানে?
আজকে তোদের রংগ লীলা
আমরা দেখে যাই,
ভাবিসনে! কাল আসবে সময়
রক্ষা তোদের নাই!
কালকে যখন দলের ভরা
ডুববে জোরে শোরে,
সেদিন কোথায় পালিয়ে যাবি,
পাবলিকেরই ডরে!
পলিটিক্যাল রিফিউজি তোর
লজ্জা শরম কম,
রোহিঙ্গাদের বিপদ কালেও
দিস না নিতে দম?
তুই বেঁচেছিস কানাডাতে তারা বাংলাদেশে
বিষয়টা তো একই নাকি?
কার বেশী কার কম?
ওরাও তোদের স্বজাতি যে
ভুলিস নারে ভাই,
মানবতার উপরে তো
ধর্ম কিছুই নাই!
তোর যখন এই সিচুয়েশন
হবে আবার কাল,
ভুলব নাকো মনে রাখিস
BAL এর তালের ‘তাল !!
বিষয়: বিবিধ
১৩৪৯ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ধন্যবাদ আপনাকে
রিটন সাহেব হলেন গিয়ে চামচা ও রিফিউজি দুটো
মন্তব্য করতে লগইন করুন