আরেক কারবালা- বাংলার সীমান্তে এখন !
লিখেছেন লিখেছেন তিমির মুস্তাফা ০৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১০:১৫:৫৪ সকাল
মিয়ানমার এর খুনীরা মুসলিমদের খুন করছে গণ হারে, তাদের বাড়ী ঘর থেকে উচ্ছেদ করছে। ধর্ষণ- বাড়ি ঘরে আগুন- শিশু হত্যা ! মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ - ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করছে তারা!
নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে পালিয়ে আসছে মানুষ, সে এক স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া! তারা ছুটে আসছে নিজেদের জীবন- ইজ্জত সম্ভ্রম বাঁচাতে - স্বধর্মী মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ট মানুষের কাছে আশ্রয় পাবে, এমনটি তারা ভেবেছে! যেমন ৭১ সালে জান মান ইজ্জত আব্রু বাঁচাতে প্রতিবেশী ভারতে মানুষ ছুটে গিয়েছিল, এই বাংলাদেশ থেকেই!
যখন দেখছি সেই 'সাক্ষাৎ মৃত্যুর হাত থেকে পালিয়ে আসা গৃহহীন আশ্রয়হীন বিপণ্ণ শিশু নারী পুরুষদেরকে বাংলাদেশের সীমান্ত প্রহরীরা আবার সেই মৃত্যুর দিকে ফেরত পাঠাচ্ছে তখন মনে হচ্ছে -
"এরা বা এদের কর্তারা তো আরও বড় জল্লাদ!
মিয়ানমারের পশুদের প্রতি আমাদের ধিক্কার ! সাথে শত ধিক্কার বাংলার সেই পশুদের যারা আশ্রয়হারা মানুষের ঠাণ্ডা মাথায় ২য় বার মৃত্যুর দিকে এগিয়ে দিচ্ছে ! এর চাইতে তাদের গুলী করে মেরে ফেললেও বোধ হয় বেশি মানবিক হত!
কারবালার ঘটনা মনে পড়ে যাচ্ছে! হযরত হোসেনের এক আত্মীয় জীবনের ভয়ে মানুষের দ্বারে দ্বারে আশ্রয় ভিক্ষা করেছে; নিজেদের জীবনের ভয়ে কেঊ আশ্রয় দেয়নি তাকে। যে দিল সে পুরস্কারের লোভে - তাকে ধরিয়ে দিতে। বাংলার প্রতিরক্ষা বাহিনী কি এমন পুরস্কারের প্রতিশ্রুতি পেয়েছে মিয়ানমার এর খুনিদের কাছ থেকে । নাকি কুফার শাসক আবু সুফিয়ানের সেই জারজ এখন বাংলার ক্ষমতায় - যার ভয়ে কেউ আর নির্যাতিত নিপীড়িত অসহায় মানুষকে আশ্রয় দিচ্ছে না!
৭১ এ এদেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া মানুষদেরকে ভারত যদি 'পূশ ব্যাক করত? তেমন উদ্বাস্তু পরিবারের সদস্যদের অনেকেই এখন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় ! প্রতিবেশী রাষ্ট্রে আশ্রয় না পেলে আজ আর তাদেরকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় বসতে হত না!
সেই জল্লাদ দের কি একবারও মনে পরে না সেই অতীত দিনের কথা --!! রোহিঙ্গা মুসলিমদের আজ তো তেমনি দুর্দিন !
বিষয়: বিবিধ
১০০১ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন