গুণী আগাছাঃ শান্তি, ওম শান্তি!
লিখেছেন লিখেছেন তিমির মুস্তাফা ১৭ জুলাই, ২০১৭, ০৬:১৫:৪৭ সকাল
দেখিতে গিয়াছি পর্বত মালা, দেখিতে গিয়াছি সিন্ধু,
দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া –ঘর হতে শুধু দুই পা ফেলিয়া,
একটি ধানের শীষের উপরে একটি শিশির বিন্দু!
এমনটা হয় অনেক সময়! একটু খুলে বলি!
ওমেগা- ৩ একটা ফ্যাটি এসিড। এখন ‘সুপার ফুড এর তালিকায়! একাধারে একে বলা হয় মেধার খাদ্য বা ব্রেইন ফুড; আবার এর হৃদরোগ বা স্ট্রোক প্রতিরোধী ভুমিকা প্রমাণিত। স্তন্যপায়ীরা এই প্রয়োজনীয় ‘উপাদানটি নিজেরা প্রস্তুত করতে পারে না; হয় উদ্ভিদ, না হয় অন্যদের থেকে ‘ধার করে। এলমণ্ড, ওয়ালনাট এর মত বাদাম বা তৈলবীজে বা মাছের তেলে রয়েছে এই ‘মূল্যবান উপাদান। আরও কিছু উদ্ভিদেও রয়েছে এই গুরুত্বপূর্ণ উপাদান, তার মধ্যে অন্যতম হল ‘শান্তি! বৈজ্ঞানিক নাম- Portulaca oleracia! Portulacaceae পরিবারের সদস্য, ল্যাটিন oleracia শব্দটি ‘সব্জি অর্থে ব্যবহৃত! শুধু আধুনিক কালে নয়, আদিম গ্রীক –সভ্যতায় এর ব্যবহার হয়েছে, সব্জি হিসেবে, এ নাম সেটাই প্রমান করে। বাংলায় ‘পত্রলেখা বা পর্তুলাকা বলে আমরা যে বহুল প্রচলিত ফুলকে চিনি, এ তারই এক কাজিন! শান্তি শুধু বাংলায় নয়, ভারতেও একে ‘শান্তি নামে ডাকা হয়, অঞ্চল ভেদে অবশ্য ভিন্ন নাম রয়েছে! নুনিয়া শাক নামে চেনে অনেকে! প্রসঙ্গতঃ উল্লেখ্য, মহাত্না গান্ধীর প্রিয় ছিল – এই শাক!
পারস্য ও ভারত উপমহাদেশের আদি বাসিন্দা বলে ভাবা হয়ে থাকে, এক সুত্র মতে, সালাদ এর সবজি হিসেবে আরবদের হাত ঘুরে ইউরোপে এসেছে ১৫ শতকের দিকে এই উদ্ভিদ। তবে গ্রীকরা অনেক আগে থেকেই এর ব্যবহার করে আসছে। হয়তো বা ইউরোপে ছড়িয়ে পড়েছে আরবদের হাত ঘুরেই! চাইনিজ চিকিৎসায় এর ব্যবহার হয় । জাপানিজদের নববর্ষের সাত সব্জির সমাহারে বানানোর ডিশ (nanakusa-no-sekku (七草の節句) এর একটা উপাদান এই শাক। দেখা যাচ্ছে পারসিকদের নববর্ষ বা নওরোজ এর ৭ সিন (হাফট সিন - س) এর ব্যবহারঃ
যেমন ১। সুমাক (সূর্যোদয়ের রং এর প্রতিনিধি) ২। সিরকা (ভিনেগার – বয়স আর ধৈর্যের প্রতীক) ৩। সেনজিদ ( শুকনো ফল -ভালবাসার প্রতীক), ৪। সামানু ( বা শিরণি- প্রাচুর্যের প্রতীক) ৫। সব্জি (অংকুরিত মসুর বা ডাল বা সব্জি, পুনর্জন্মের প্রতীক) ৬। সেব (আপেল- সুস্বাস্থ্যের প্রতীক) ৭। সির ( রসুন- ঔষধের প্রতীক) (কেউ কেউ ‘সিক্কা (কয়েন- প্রাচুর্যের প্রতীক হিসেবে বা টাকা পয়সা), সম্বল ( হ্যায়াসিন্থ- বসন্ত তথা নবজীবনের প্রতীক), সাম- (মোমবাতি –জ্ঞানের প্রতীক) কিভাবে যেন জাপানিজদের ‘সাত সব্জির সমান্তরাল হয়ে গেছে! অবাক হওয়ার মত বিষয়! এক সময় সকল জাতি এক তাঁবুর নিচে বাস করেছে, এগুলো বোধ হয় তার প্রমান! যাক সে কথা!
বর্ষার শুরুতে বাংলাদেশের ঘাটে মাঠে সর্বত্র প্রচুর পরিমাণে জন্মাতে দেখা যায় এই উদ্ভিদ। কানাডাতে এর বিস্তার দেখে প্রথমে খুব অবাক হয়ে গেছি। আমার এক ফুলগাছের টবে- উড়ে এসে জুড়ে বসেছে; এবং তাকে উচ্ছেদ করতে পারিনি; ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে সে, বহাল তবিয়তে।
এদের গঠন এবং স্বভাব দেখে গ্রীষ্মমণ্ডলীয় উদ্ভিদ বলেই মনে হয়! কিন্তু উত্তর মেরুর চরম শীতে, বরফের আস্তরণের নিচে কিভাবে এরা টিকে থাকল সে এক বিস্ময়, মহা বিস্ময়। দেখতে খুব শান্তশিষ্ট, গো-বেচারা। গ্রীষ্মের গরম বাতাসের আবহ টের পাওয়ার সাথে সাথে আড়মোড়া ভেঙ্গে জেগে উঠেন এই শ্রীমতি!
গ্রীস্মের বৃষ্টির ধারায় ময়ূরের মত ‘পেখম খুলে নাচতে কেবল বাঁকি। সদ্য ঘুম ভেঙ্গে যেন আঁখি মেললেন- আরক্ত চক্ষু ! অনেকটা আলতা রাঙ্গানো গা পা তার, লালচে আভা থাকে পাতাতেও। কি সতেজ আর স্বাস্থ্যবান এর চেহারা! পুরু পাতা- কোন কাঁটা নেই; আঁকশি নেই, পাতা ধারালো নয়, স্পর্শ আরামদায়ক, ‘শান্তি’ নামটা বোধ হয় সেজন্যই। নরম সরম ফুলা ফুলা গোলাকার কাণ্ডের গঠন। সরু, পানি ভর্তি পাইপের মত ডানে বামে এগিয়ে গেছে। পাতা গুলো গজায় ‘নোড থেকে – কিছুটা চ্যাপ্টা মুগুরের আকৃতির – রসালো পাতা! খুব ঘন নয় আবার পাতলাও নয়, ভদ্র দূরত্বে পাতা গুলো ছড়িয়ে থাকে ডানে বামে, দেশী দলবাজদের মত একপেশে নয়, রয়ে সয়ে সবদিকে সমান গুরুত্ব দিয়ে উঁকি দিয়ে দেখছেন তিনি। কোনদিকে যাবেন তার হিসেব নিকেশ করছেন- ধীরে সুস্থে। ভেবে চিন্তে সিদ্ধান্ত নেবেন ! ফুলের পাঁপড়ির মত একই ধাঁচে ঘুরে ঘুরে সেট হয়েছে পাতাগুলো! বিধাতার নিখুঁত প্লানিং!
পৃথিবীর অনেক দেশেই চাহিদার তুলনায় মাংস মাছ এর অভাব না থাকলেও- ক্রয় ক্ষমতার সীমাবদ্ধতা রয়েছে মানুষের, আগেও ছিল, ভবিষ্যতেও থাকবে অনেকেরই। আবার স্বাস্থ্যগত কিম্বা ধর্মীয় কারনেও অনেকে মাছ মাংস এড়িয়ে চলেন, কিন্তু পুষ্টি তো তাদেরও দরকার! এই ‘উদ্ভিদটি তাদের জন্য সত্যই এক কার্যকর ‘সব্জি হয়ে উঠতে পারে।
এই গাছের ওমেগা -৩ (omega-3 fatty acids বা α-linolenic acid) এর পরিমাণ অবাক করার মত। যে কোন সব্জির চাইতে তুলনামূলক বেশী, এমনকি অনেক ফিশ ওয়েল থেকেও বেশী! ১০০ গ্রামের ফ্রেশ পাতা- ৩৫০ মিলিগ্রামের α-linolenic acid এর যোগান দেবে। গবেষণায় দেখা গেছে- ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড গ্রহণের ফলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। হৃদরোগ বা স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে; আজকালকার বাচ্চাদের এটেনশন ডেফিসিয়েন্সি –(ADHD) প্রতিরোধ করে, অটিজম বা বাচ্চাদের গঠনগত সমস্যা থেকে মুক্ত রাখে।
চমৎকার এই সব্জিতে ক্যালরির মাত্রা খুব কম, প্রতি ১০০ গ্রামে ১৬ কিলোক্যালরি মাত্র। যারা ওজন সচেতনতার কারনে অনেক খাবার এড়িয়ে চলেন, তারাও নির্দ্বিধায় এই আঁশযুক্ত, ভিটামিন ও মিনারেল সমৃদ্ধ সব্জি তৃপ্তি মিটিয়ে খেতে পারবেন; সাথে এক্সট্রা বেনিফিট ওমেগা -৩, আর কি চাই।
ভিটামিন –এ এর চমৎকার উৎস! ( ১৩২০ আই ইউ/১০০গ্রাম) । প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় ভিটামিনের ৪৪ ভাগ যোগান দিতে সমর্থ এই শাক; লতাপাতা জাতীয় সব্জির মধ্যে উচ্চমাত্রার! ভিটামিন –এ – একটি শক্তিশালী প্রাকৃতিক এন্টি- অক্সিডেন্ট, দৃষ্টিশক্তির জন্য অতি প্রয়োজনীয়। এটা প্রয়োজনীয় মিউকাস ও ত্বকের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। আমাদের অনেকের জানা আছে, ভিটামিন-এ সমৃদ্ধ ফলমূল ও সব্জি গ্রহণ ফুসফুস ও মুখ গহ্বরের ক্যান্সার এর বিরুদ্ধে কার্যকর প্রতিরক্ষা ।
আরও অনেক সবুজ শাকসব্জির মত, এই সবুজ শাকেও প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি থাকে। এর সাথে কিছু বি কমপ্লেক্স – রাইবোফ্লাভিন, নিয়াসিন, পাইরিডক্সিন এবং ক্যারোটিনয়েড; তার সাথে আরও থাকে খনিজ উপাদান যেমন আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম এবং ম্যাংগানিজ।
বিস্তারঃ এই সহজলভ্য উদ্ভিদের বিস্তার প্রায় দুনিয়া জোড়া। কানাডার শীত সহ্য করে যদি বেঁচে থাকে, গরম এলাকা তো তাদের জন্য কোন সমস্যাই নয়। পূবের ভূমধ্যসাগরীয় এলাকায় এর ব্যবহার হয় প্রচুর, গ্রীকরা সালাদে ব্যবহার করে, এশিয়াতেও শাক হিসেবে ব্যবহার হয় যথেষ্ট, তবে তা মূলতঃ পল্লী এলাকাতেই! খৃষ্টপূর্ব চার শতকে গ্রীক পন্ডিত থিওফ্রাষ্টাস এর নাম দেন ‘আন্দ্রাখনে – গরমের কয়েকটা সব্জির একটা, যা এপ্রিলের মধ্যে টবে লাগাতে হয়’! সেই আদি যুগেও মানুষ এর ব্যবহার জানত, এবং এর চাষ করত; অবাক করার মত বিষয় নয়! ইতালির মিলানে এই সব্জি এক বিশেষ স্থান পেয়েছিল- যার জন্য একে তারা উল্লেখ করত ‘মিলানের গর্ব (marvels of Milan) বলে। যত্র তত্র হেলায় জন্মে জন্য এর কদর নেই আমাদের কাছে, গাঁয়ের পাত্রী ---! নাকি ঘরকা মুরগী ডাল বরাবর!
গ্রীসে এর কান্ড, পাতা একত্রে শাক হিসেবে ফেটা চিজ, টমেটো, পেঁয়াজ রসুন, অরিগানো এবং অলিভ তেল সহযোগে ভাজি করা হয়। তুরস্কে সালাদ হিসেবে এবং বেক করেও খাওয়া হয়; আবার পালং এর মত রান্না করেও খায় তারা! পোড়া, মাথা ব্যাথা, পাকস্থলী, পেটের পীড়া, কফ সারাতে এর ব্যবহার হয়েছে, এমনকি আরথ্রারাইটিস ও প্রদাহ নিরসনেও । এই শাকের ‘নিরাময় ক্ষমতার উপরে এমন আস্থা এসেছিল যে Pliny the elders – (Natural history 20.210) উপদেশ দিয়েছিলেন- এটা ‘তাবিজ এর মত বেঁধে রাখতে!
এছাড়াও, এই গাছে দুই ধরণের betalain alkaloid রঞ্জক থাকে – লাল রঙ্গের জন্য বেটা- সায়ানিন ( β-cyanin), এবং হলুদ রঙ্গের জন্য β- জ্যান্থিন (β- xanthin) । দুটোই রঙ্গের জন্য দায়ী হলেও তারা শক্তিশালী এন্টি- অক্সিডেন্ট এবং গবেষণাগারে এদের মিউটেশন প্রতিরোধী ভূমিকা লক্ষ্য করা গেছে। (Proc. West. Pharmacol. Soc. 45: 101-103 (2002)। এর অর্থ ক্যান্সার বিরোধী বা রোগ থেকে প্রতিরক্ষায় এদের ভূমিকা থাকতে পারে।
হয়তোবা প্রায় ২০০ বছরের কলোনিয়াল শাসনের কারনে, সে জোয়াল ঘাড় থেকে নামলেও, এখনো ‘বিলাতী জিনিষ তথা বিদেশী জিনিষের প্রতি আমাদের অতিরিক্ত ‘আকর্ষণ সর্বজনবিদিত। একটা পেয়ারার পুষ্টিগুণ আপেলের থেকে অনেক ক্ষেত্রে বেশী হলেও, বাংলাদেশে জন্মানো পেয়ারার চাইতে – ‘ক্ষতিকর প্রিজারভেটিভ চর্চিত বিদেশী আপেলের ‘মর্যাদা – অনেক বেশী* । এটা এক ধরনের মানসিক দৈন্যতা। এই কালচার এর পরিবর্তন জরুরী। ভাল জিনিষ কে ভাল বলতে দোষ নেই, বিদেশী হলেই ভাল হবে এমনটা নাও হতে পারে!
ঘাটে মাঠে প্রাকৃতিকভাবে জন্মানো এমন অনেক শাক বা ভেষজ গাছপালার গুণাগুণ জানা না থাকায় তাদের প্রতি আমাদের কোন আকর্ষণ গড়ে উঠতে পারেনি। অনেকের কাছে ঘাটে মাঠে পাওয়া সস্তা খাবারের কোন মর্যাদা নেই। রাস্তার পাশে বা জংগলের ধারে মানুষের পেশাব পায়খানা করার কারনেও এমন জায়গায় জন্মানো সব্জি খেতে অনেকেই ‘নিরুৎসাহিত হয় । যত্র তত্র পেশাব পায়খানা করার বদ অভ্যাস ত্যাগের পাশাপাশি, কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাব গুলোতে আমাদের অতি পরিচিত গাছগাছালি ফল মূলের পুষ্টিমান নিয়ে গবেষণা হলে – আর সবাই তা জানলে ‘শান্তি’র মত এই ধরনের হাতের কাছের শাকপাতা বা ফলমূলের উপর নূতন করে মানুষের আগ্রহ জন্মাবে। দেশী পণ্য দিয়েই ‘ধন্য হবে দেশের মানুষ! তখন মনে হবে উপরে উল্লেখ করা কবিতার লাইনগুলি- দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া--!
*(অনেকেই জানেন না, গাছ থেকে ফসল উত্তোলন থেকে প্রায় ৬ মাস, ক্ষেত্র বিশেষে প্রায় বছর পর্যন্ত আপেল বা আঙ্গুরের মত ফল তাদের রং, রুপ সহ ভাল থাকে কি করে। প্রাকৃতিক ভাবে এক বা দু সপ্তাহের মধ্যে এগুলো শুকিয়ে যাবে, পোকা মাকড় বা ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণের শিকার হবে! এর কারন, এগুলো গাছ থেকে উঠিয়েই ‘প্রক্রিয়াজাত করা হয়, এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবেই পোকা মাকড় যেন এগুলো না খায় সেজন্য পরিমিত প্রিজারভেটিভ – আরও খুলে বললে ‘বালাই নাশক মেশানো পানিতে চুবিয়ে নেয়া হয়, এরপর মোমের হালকা আস্তরণ দেয়া হয় ! সেজন্য বাজারে উন্মুক্ত অবস্থাতেও এদের চকচকে, রসালো ভাব থেকেই যায়! এটা ব্যাবসায়িদের দৃষ্টিকোণ থেকে ভাল । এজন্য আপেলের মত ফল, খাওয়ার আগে, পানিতে, বা সম্ভব হলে ভিনেগার মেশানো পানিতে কমপক্ষে ১৫ মিনিট চুবিয়ে রেখে, পরিষ্কার করে মুছে অথবা এর চামড়া ছুলে ফেলে দিয়ে খাওয়া উচিত। আগে প্রয়োগ করা কীট নাশকের ‘রেসিডুয়াল ইফেক্ট তো আছেই, এর সাথে ‘প্রক্রিয়াজাত করার সময় ‘বোনাস হিসেবে যুক্ত হয় আরও কিছু ‘বিষ! একটা আপেল খেলেই আমাদের শরীরে তাৎক্ষনিক সমস্যা দেখা দেবে এমন নয় ( যারা সংবেদনশীল বা এলারজিক, তাদের ক্ষেত্রে এমন ফল খাওয়া মাত্রই সমস্যা দেখা দিতেও পারে!), তবে মনে রাখা দরকার, বিষ হজম করার এনজাইম আমাদের শরীরে নেই। এই বিষ ক্রমাগত আমাদের শরীরে জমা হতে থাকে। বছরের পর বছর ধরে ‘ক্ষতিকর প্রিজারভেটিভ শরীরে জমতে থাকলে, এক সময় শরীরে সমস্যা দেখা দেবেই। এইযে হৃদরোগ, কিডনি সমস্যা নানা রকমের ক্যান্সার ক্রমেই বেড়ে যাচ্ছে – এরজন্য আমাদের খাদ্যে ভেজাল বা বিষ এর কি কোন ভূমিকা নেই? আমাদের আধুনিক জীবন যাত্রায় ক্রমবর্ধিষ্ণু প্রক্রিয়াজাত খাদ্যের অনুষঙ্গ হিসেবে আমরা যা খাচ্ছি আর অন্যদিকে ক্যান্সারের পরিমাণ বাড়ছে – এ দুয়ের মধ্যে ‘সম্পর্ক রয়েছে বলে অনেকেই মনে করেন!) ।
বিষয়: বিবিধ
১৫০৯ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন